ফুটবল
শুভ জন্মদিন নেইমার জুনিয়র ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো
৫ ফেব্রুয়ারি ফুটবল সমর্থকদের জন্য অন্যতম একটি সেরা দিন। আজকের এই দিনেই আগমন ঘটেছিল সময়ের অন্যতম সেরা দুই তারকা নেইমার জুনিয়র ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর।
পেলের পর ফুটবলারের কারখানা ব্রাজিলে জন্ম নিয়েছে জিকো, কাফু, রোনালডো, রোনালদিনহো, রবার্ত কার্লোস কিংবা কাকা। এদের প্রত্যেকের হাতেই রয়েছে এক বা একাধিক বিশ্বকাপ। কিন্তু এতো তারকাদের ভীড়ে যাকে বলা হতো আগামীর পেলে, পেলের একমাত্র উত্তরসূরি সেই নেইমার জুনিয়র।
এক দশকের বেশি সময় ধরে ৫ তারকা ওজনের জার্সিটার প্রতিনিধিত্ব করে আসছে নেইমার। ব্যক্তিগত কিংবা দলীয় ভাবে অর্জনের ঝুলিটা খুব বেশি ভারী নয় তার। তবুও সেলেসাও ছন্দে কোটি কোটি ফুটবল প্রেমীর হৃদয় অর্জন করে নিয়েছেন নেইমার ডা সিলভা সান্তোস জুনিয়র।
১৯৯২ সালের আজকের দিনে ব্রাজিলের মগি দাস ক্রুজেসে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। মাত্র ৯ বছর বয়সে ফুটবল সম্রাট পেলের স্মৃতিবিজড়িত ক্লাব সান্তোসে নাম লিখিয়েছিলেন। ২০১৩ মৌসুমে যোগ দেন স্বপ্নের ক্লাব বার্সেলোনায়। এরপর ২০১৭ সালে রেকর্ড পরিমাণ অর্থে জমান পিএসজিতে।
আরেক ইউরোপীয়ান ফুটবলের জাদুকর ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। ৫ বারের ব্যালন বিজয়ী এই তারকার রয়েছে পাঁচটি উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ এবং একটি উয়েফা নেশম লিগ শিরোপা। পর্তুগালের মাদেইরা শহরে ১৯৮৫ সালে ফেব্রুয়ারির আজকের দিনে জন্মগ্রহণ করেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগানের সঙ্গে মিল রেখে মা-বাবা নাম রেখেছিলেন রোনালদো।
সিআর সেভেন খ্যাত রোনালদোর পর্তুগাল জাতীয় দলের ২০০৩ সালের আগস্ট মাসে কাজাকিস্তানের বিরুদ্ধে তার অভিষেক ঘটে। তিনি জাতীয় দলের হয়ে ১০০ এর অধিক ম্যাচ খেলেছেন এবং পর্তুগালের হয়ে সর্বোচ্চ গোলের অধিকারী।
ফুটবল বিশ্বের অন্যতম সেরা দুই তারকাই জন্মদিন আজ। একজন পা রাখলেন ৩৮ বছরে আর অন্যজন ৩১ বছরে।
‘শুভ জন্মদিন’ বর্তমান ফুটবলের অন্যতম সেরা দুই মহাতারকা।
ফুটবল
ফুটবলকে বিদায় জানালেন পেপে
সব ধরনের ফুটবল থেকে বিদায় নিলেন পর্তুগালের ডিফেন্ডার পেপে। বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি।
সর্বশেষ ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে পর্তুগালের ম্যাচটাই হয়ে রইল ৪১ বছর বয়সী এই ফুটবলারের ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ।
সে ম্যাচে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিয়েছিল পর্তুগাল। ইউরোর মূলপর্বে সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামার রেকর্ডও গড়েন তিনি।
পর্তুগালের হয়ে ১৪১ ম্যাচ খেলেছেন পেপে। জিতেছেন ২০১৬ ইউরো।
ফুটবল
বাফুফে থেকে পদত্যাগ করলেন সালাম মুর্শেদী
পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী। তিনি ২০০৮ সাল থেকে পদটিতে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এছাড়াও সালাম মুর্শেদী বাফুফের অর্থ কমিটি ও রেফারিজ কমিটির প্রধানও ছিলেন। এই দুটি পদ থেকেও তিনি পদত্যাগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সালাম মুর্শেদীর পদত্যাগের কথা জানায় বাফুফে। সালাম মুর্শেদী খুলনা–৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন।
ফুটবল
চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সংগঠক সাইদুর রহমান প্যাটেল
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অন্যতম সংগঠক ও উদ্যেক্তা সাইদুর রহমান প্যাটেল মারা গেছেন। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ছিলেন। হাসপাতালে থাকাকালীন সেসব ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করতেন তিনি। অবশেষে ৭৩ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন সাইদুর রহমান। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) শোক জানিয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সাইদুর রহমানের অবদান ছিল অনস্বীকার্য। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন স্থানে তহবিল তুলতেন সাইদুর রহমানরা। তারা ভারতে ঘুরে ঘুরে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের হয়ে প্রীতি ম্যাচ খেলতেন। সেখান থেকেও তহবিল সংগ্রহ করতো এই দলটি।
একজন ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রাখার লক্ষ্য নিয়েই স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠন করার উদ্যেগ নিয়েছিলেন সাইদুর রহমান প্যাটেলরা। এখানে খেলে যে অর্থ উত্তোলন হবে, তা মুক্তিযুদ্ধের জন্য গঠিত তহবিলে প্রদান করা হবে; এমনই ছিল স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সেসময়ের ভাবনা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ইচ্ছা ছিল সাইদুর রহমানের। সবশেষ সাধারণ নির্বাচনের আগেই অবশ্য চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাতে হয় তাকে। সেখানে লম্বা সময় ধরে চিকিৎসা নেওয়ার পর আর দেশে ফিরতে পারলেন না তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতেই নিজের জীবনের শেষ সময়টুকু কাটালেন।
সাইদুর রহমানের জন্ম ১৯৫১ সালের ৭ অক্টোবর। তিনি ঢাকার কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। পরে অবশ্য গেন্ডারিয়ায় চলে যায় তার পরিবার। গেন্ডারিয়াতেই বেড়ে উঠেছেন, স্থানীয় পর্যায়ে ফুটবল খেলতে খেলতে শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলেও নিজের জায়গা করে নেন। তিনি ঢাকার ইস্টএন্ডের হয়ে ফুটবল খেলেছেন। দ্বিতীয় বিভাগে ফরাশগঞ্জের হয়ে, প্রথম বিভাগে পিডব্লুডি’র হয়ে খেলেছেন সাইদুর রহমান প্যাটেল।
এম এইচ//
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন