দেশজুড়ে
নিজ নামে ফাউন্ডেশন গড়ার ঘোষণা দিলেন হিরো আলম
মানবতার সেবায় এবার নিজ নামে ফাউন্ডেশন গড়ার ঘোষণা দিয়েছেন আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম। হবিগঞ্জের একজন শিক্ষকের কাছ থেকে উপহার পাওয়া মাইক্রোবাসটিকে অ্যাম্বুলেন্স বানিয়ে গরিব মানুষের সেবা দেয়ার মধ্য দিয়ে এ ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম শুরু করতে চান তিনি।
মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় মুঠোফোনে হিরো আলম বলেন, তার ফাউন্ডেশনের নাম হবে ‘হিরো আলম ফাউন্ডেশন’।
হিরো আলমকে গাড়ি উপহার দেয়া এম মখলিছুর রহমান হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার নরপতি গ্রামের হাজি আবদুল জব্বার জিএল একাডেমি অ্যান্ড হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক।
গেলো ৩১ জানুয়ারি ফেসবুক লাইভে এসে তিনি হিরো আলমকে নিজের ব্যবহৃত নোহা মাইক্রোবাসটি উপহার দেয়ার ঘোষণা দেন।
হিরো আলমকে উপহার হস্তান্তর উপলক্ষে শিক্ষক মখলিছুর রহমানের বাড়ির সামনে বানানো হয় একটি মঞ্চ। ওই দিন বেলা তিনটায় হিরো আলম নরপতি গ্রামে গিয়ে গাড়িটি গ্রহণ করেন।
হিরো আলম বলেন, ‘যে দুটি আসন (বগুড়া-৪ এবং বগুড়া-৬ নির্বাচনী) থেকে উপনির্বাচন করেছি, সেখানকার সুবিধাবঞ্চিত মানুষের কল্যাণে গাড়িটি ব্যবহার করতে চাই। মাইক্রোবাসটি অ্যাম্বুলেন্স বানিয়ে ২৪ ঘণ্টা মানুষের কল্যাণে ব্যবহার করা হবে। নির্দিষ্ট মুঠোফোন নম্বরে ফোন করলেই পৌঁছে যাবে এই অ্যাম্বুলেন্স। এলাকার হতদরিদ্র মানুষ বিনা মূল্যে অ্যাম্বুলেন্স সেবা পাবেন। এর মধ্য দিয়ে মানবতার সেবায় যাত্রা শুরু হবে “হিরো আলম ফাউন্ডেশন”–এর।’
তিনি আরও বলেন, ‘অনেক আগে থেকে মানবতার সেবায় বিভিন্ন জেলায় নানা কার্যক্রম চালিয়ে আসছি। সিলেটে বন্যার সময় সামর্থ্য অনুযায়ী ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেছি, বগুড়ায় ত্রাণ কার্যক্রম ছাড়াও ঈদে গরিব মানুষের মাঝে উপহারসামগ্রী বিতরণ করেছি। এখন “হিরো আলম ফাউন্ডেশন”–এর মাধ্যমে বড় পরিসরে মানবতার সেবায় কার্যক্রম পরিচালনা করতে চাই। বিশেষ করে কাহালু-নন্দীগ্রাম এবং বগুড়া সদরের সর্বস্তরের মানুষ যেভাবে ভোট দিয়ে আমার প্রতি ভালোবাসা দেখিয়েছেন, তাদের কাছে আমি ঋণী। এই এলাকার মানুষের জন্য কিছু করতে চাই।’
উপহারের গাড়িটি অ্যাম্বুলেন্সে রূপান্তর করতে ও কাগজপত্র ঠিক করতে অনেক টাকার প্রয়োজন জানিয়ে হিরো আলম বলেন, ‘সার্বক্ষণিক অ্যাম্বুলেন্স সেবা দিতে একজন দক্ষ চালক ও একজন সহকারী দরকার। ফাউন্ডেশন চালানোর মতো সামর্থ্য ও অর্থ হয়তো আমার কাছে নেই। তবে দেশ–বিদেশে অনেক ভক্ত, শুভাকাঙ্ক্ষী ও বিত্তবান মানুষ আছেন, যাঁরা মানবতার সেবায় অর্থ খরচ করতে চান। তাঁদের আহ্বান জানাব মানবিক এই উদ্যোগে আমার পাশে থাকার জন্য।’
হিরো আলম ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত বগুড়া-৪ ও বগুড়া-৬ আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী (একতারা প্রতীক) হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে বগুড়া-৪ আসনে ১৪–দলীয় জোটের অন্যতম শরিক জাসদের এ কে এম রেজাউল করিমের কাছে মাত্র ৮৩৪ ভোটে হেরে যান তিনি।
এরপর হিরো আলম অভিযোগ করেন, ভোটের ফলাফলে কারচুপি করে তাঁকে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রভিত্তিক ইভিএমের ভোটের প্রিন্ট কপি ও ৪৫টি কেন্দ্রের ভোট পুনর্গণনা চেয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে আবেদনও করেন হিরো আলম।
রাজশাহী
সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে পাবনায় সচেতনতামূলক সমাবেশ
সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সকল প্রকার সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে পাবনায় সচেতনতামূলক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) দুপুরে পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ বৈষম বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আয়োজনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় দেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সচেতনতামূলক বক্তব্য দেন এবং সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করার আহ্বান ও জানান। যাতে কোন অপশক্তি আবারও দেশটাকে অস্থিতিশীল তৈরি করতে না পারে তারও আহ্বান জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, এডওয়ার্ড কলেজের উপাধ্যক্ষ আব্দুল আউয়াল, বাংলা বিভাগের শিক্ষক মাহবুব, এডওয়ার্ড কলেজের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক বরকাতুল্লাহ ফাহাদ,স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক সিরাজুল মনিরা,রাব্বি রুহান ও এম এইচ অনিক।
এএম/
ঢাকা
মন্দির পাহারা দিচ্ছে সাধারণ শিক্ষার্থী ও বিএনপির নেতাকর্মীরা
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের তারাবো পৌরসভার আরিয়াব এলাকার সংখ্যালঘুদের মন্দির পাহারা দিচ্ছে শিক্ষার্থীরা ও বিএনপি’র নেতা কর্মীরা।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) সকাল থেকে পৌরসভার আরিয়াব দুর্গা মন্দিরসহ উপজেলার বিভিন্ন মন্দিরে উপস্থিত হয়ে শিক্ষার্থী ও বিএনপি নেতাকর্মীরা মন্দির কমিটির লোকজনদেরকে যে কোনো হামলার প্রতিরোধে আশ্বাস দিচ্ছেন।
তারা জানান, কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে এক দফা দাবির পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশ ছাড়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাম্প্রদায়িক বিবাদ লাগাতে প্রস্তুত দুষ্কৃতকারী। তাই রূপগঞ্জের সাধারণ শিক্ষার্থী ও বিএনপি নেতাকর্মীরা উদ্যোগ নিয়েছে। যতদিন দেশ শঙ্কামুক্ত না হচ্ছে মন্দির ভাঙচুর প্রতিরোধে আমরা এভাবে পাহারায় থাকব।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী রাকিব ভূঁইয়া বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীরা সবসময় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে, তারই অংশ আজকের এই পাহারা।
তারাবো পৌরসভার বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফ হাসান আরব বলেন, দেশের এই ক্লান্তি লগ্নে কেউ যেন সংখ্যালঘু পরিবারের উপরে হামলা করে দেশকে অস্থিতিশীল করতে না পারে। সেজন্য শিক্ষার্থীদের সাথে বিএনপির নেতাকর্মীরা সবসময় পাহাড়া থাকবে।
এসয়ম উপস্থিত ছিলেন, তারাবো পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের বিএনপি’র সভাপতি আনিসুর রহমান ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক বাবুল শিকদার, সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম সাউথ, সহ-সভাপতি আবুল সাউদ, আলমগীর মীর, যুবদলের সভাপতি ৬ নং ওয়ার্ড মোখলেস সাউথ,মকবুল হোসেন, শিক্ষার্থী হাসান ভূঁইয়া, নীরব মিল্কি, আরিয়ান প্রমূখ।
এএম/
সিলেট
সুনামগঞ্জে ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করছে শিক্ষার্থীরা
সুনামগঞ্জের বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়ক থেকে ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কারের কার্যক্রম শুরু করেছেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা সড়কে যান চলাচলে শৃঙ্খলা ঠিক রাখতে ট্রাফিকের দায়িত্বও পালন করেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) সকাল থেকে সরেজমিন ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়। এছাড়া সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের গোবিন্দগঞ্জ এলাকায় দীর্ঘ দিনের জমে থাকা ময়লা আবর্জনা পরিস্কারে নামেন সাদা টি শার্ট পরিহিত একটি টিম। গোবিন্দগঞ্জ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক আবদুল ওয়াহিদ, হেক্সাস গোবিন্দগঞ্জের শিক্ষক রেদ্বওয়ান আহমদসহ অনেক শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের দেখা গেছে ওই টিমে।
মহাসড়কের ময়লা-আবর্জনা অপসারণ করতে আসা শিক্ষার্থীরা জানান, কোটা সংস্কারসহ এক দফা দাবিতে সুনামগঞ্জের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের হাজার হাজার শিক্ষার্থী যেভাবে সড়কে নেমে এসেছিল, তেমনি শিক্ষর্থীরা মহাসড়ক থেকে ময়লা-আবর্জনা অপসারণে সড়কে নেমে এসেছেন।
এ সময় শিক্ষার্থীরা ঝাড়ু দিয়ে মহাসড়ক পরিষ্কার করে ময়লা-আবর্জনা বস্তায় ভরে নির্দিষ্ট ডাম্পিং এরিয়ায় নিয়ে যান। আর তাদের পানি ও শুকনো খাবার দিচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
এলাকাবাসী জানিয়েছেন, সড়ক থেকে ময়লা-আবর্জনা অপসারণের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মহাসড়কে যান চলাচলে শৃঙ্খলা ঠিক রাখতে ট্রাফিক পুলিশের মতো কাজ করছে। সত্যিই এ দৃশ্য অনেক সুন্দর। আমাদের সবাইকে তাদের সাপোর্ট করা উচিৎ। এছাড়াও তারা গতরাতে মন্দির পাহারা দিয়েছে।
এএম/
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন