জাতীয়
চতুর্থ ধাপে ৫৫ পৌরসভায় নির্বাচিত হলেন যারা
বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ, ককটেল বিস্ফোরণ, কেন্দ্র দখল ও ভোট বর্জনের মধ্য দিয়ে চতুর্থ ধাপে দেশের ৫৫ পৌরসভা নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীরা। এ ধাপের মোট ৫৫টি পৌরসভার মধ্যে ৪৮টিতে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
বিএনপির মাত্র একজন প্রার্থীসহ আওয়ামী লীগের তিন বিদ্রোহী ও এক স্বতন্ত্র প্রার্থী মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন।
রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) এসব পৌরসভায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়।
চতুর্থ ধাপে যেসব পৌরসভায় আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা জয় পেয়েছেন তারা হলেন- ঠাকুরগাঁও-আঞ্জুমান আরা বেগম, রানীশংকৈল-মো. মেস্তাফিজুর রহমান, পাটগ্রাম-মো. রাশেদুল ইসলাম সুইট, কালাই-মোছা. রাবেয়া সুলতানা, শিবগঞ্জ-সৈয়দ মনিরুল ইসলাম, নওহাটা-মো. হাফিজুর রহমান হাফিজ, তানোর-মো. ইমরুল হক, তাহেরপুর-মো.আবুল কালাম আজাদ ও বড়াইগ্রাম-মো. মাজেদুল বারী নয়ন।
জীবননগরে-মো. রফিকুল ইসলাম, আলমডাঙ্গা-হাসান কাদির গনু, চৌগাছা-মো. নুর উদ্দীন আল-মামুন, বাঘারপাড়া-মো. কামরুজ্জামান, বাগেরহাট-খান হাবিবুর রহমান, কলাপাড়া-বিপুল চন্দ্র হাওলাদার, মুলাদী-মো. শফিকউজ্জামান, বানারীপাড়া-সুভাষ চন্দ্র শীল, গোপালপুর-মো. রফিকুল হক ছানা, কালিহাতী-মোহাম্মদ নুরুন্নবী, মেলান্দহ-মো. শফিক জাহেদী রবিন ও শেরপুর-গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া।
এছাড়া রয়েছেন শ্রীবরদী-মোহাম্মদ আলী লাল মিয়া, ফুলপুর-শশধর সেন, নেত্রকোনা-মো. নজরুল ইসলাম খান, বাজিতপুর-মো. আনোয়ার হোসেন, হোসেনপুর-মো. আ. কাইয়ুম (খোকন), করিমগঞ্জ-মো. মুসলেহ উদ্দিন, মিরকাদিম-আবদুস ছালাম, মাধবদী-মো. মোশাররফ হোসেন, গোয়ালন্দ-নজরুল ইসলাম, নগরকান্দা-নিমাই চন্দ্র সরকার, কানাইঘাট-লুৎফুর রহমান ও চুনারুঘাট-মোহাম্মদ সাইফুল আলম বেসরকারিভাবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন।
বাকি মেয়ররা হলেন, আখাউড়া- মো. তাকজিল খলিফা, হোমনা-মো. নজরুল ইসলাম, দাউদকান্দি-নাইম ইউসুফ, কচুয়া-মো. নাজমুল আলম, ফরিদগঞ্জ-আবুল খায়ের পাটওয়ারী, চাটখিল-মো. নিজাম উদ্দিন, রামগতি-এম মেজবাহ উদ্দিন, সাতকানিয়া-মোহাম্মদ জোবায়ের (বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়), পটিয়া-মো.আইয়ুব বাবুল, চন্দনাইশ-মো. মাহাবুবুল আলম, মাটিরাঙ্গা-মো. শামছুল হক, রাঙ্গামাটি-মো. আকবর হোসেন চৌধুরী, বান্দরবান-মোহাম্মদ ইসলাম বেবী, সোনাইমুড়ী-নুরুল হক চৌধুরী ও আক্কেলপুর- শহীদুল আলম চৌধুরী।
আওয়ামী লীগের তিনজন বিদ্রোহী প্রার্থী মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন তারা হলেন- লালমনিরহাট পৌরসভায় মো. রেজাউল করিম, গোদাগাড়ীতে মো. মনিরুল ইসলাম ও রাজবাড়ীতে মো. আলমগীর শেখ তিতু।
আর সাতক্ষীরা সদর পৌরসভায় বিএনপির মো. তাজকিন আহমেদ ও ত্রিশালে স্বতন্ত্র প্রার্থী এবিএম আনিছুজ্জামান বেসরকারিভাবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন।
এদিকে পরশুরাম পৌরসভায় মেয়র, কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে সবাই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পাওয়ায় সেখানে ভোট হয়নি। সেখানেও আওয়ামী লীগের প্রার্থী জয় পান।
এছাড়া কেন্দ্র স্থগিত থাকায় নরসিংদী ও শরীয়তপুরের ডামুড্যা পৌরসভার ফল স্থগিত রয়েছে।
এই নির্বাচনে চট্টগ্রামের পটিয়ায় এক কাউন্সিলর প্রার্থীর ভাই খুন হয়েছেন। এছাড়া বেশ কয়েকটি পৌরসভায় গোলাগুলির ঘটনাও ঘটেছে।
ভোট কেন্দ্র দখল ও সংঘাতের ঘটনায় তিনটি পৌরসভার সাতটি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করেছেন সংশ্লিষ্ট প্রিজাইডিং কর্মকর্তারা।
বেশ কয়েকটি পৌরসভায় বিএনপির প্রার্থীরা অনিয়মের অভিযোগ তুলে ভোট বর্জন করেন।
শুভ মাহফুজ
জাতীয়
শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানালেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা
শপথ নেয়ার পরের দিন ভাষা শহীদদের স্মরণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ১৩ জন উপদেষ্টা নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এর আগে, সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ও অন্য উপদেষ্টারা।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি এক নতুন বাংলাদেশ উপহার দেওয়ার অঙ্গীকার করেন।
আই/এ
জাতীয়
উপদেষ্টা পরিষদকে অভিনন্দন জানালেন জাসদ
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল—জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুস এবং অন্য উপদেষ্টাদেরকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন
বৃহস্পতিবার ( ৮ আগস্ট ) রাতে দলের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ অভিনন্দন জানান তারা।
বিবৃতিতে জানানো হয়, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করার পর দেশে আর একটিও প্রাণহানি, হামলা ও সম্পদ ধ্বংসের ঘটনা যেন না ঘটে তা নিশ্চিত হবে।”
বিবৃতিতে আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্রীয় চার মূলনীতিসহ সংবিধানকে সমুন্নত রেখে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তির সাথে আলোচনা করে সরকারের কর্ম পরিকল্পনার রূপরেখা দ্রুত প্রকাশ করে বিদ্যমান অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা প্রশমিত করবেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রাথমিক ও প্রধান কাজ হিসেবে অনতিবিলম্বে দেশে আইনশৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে জনজীবনে স্বাভাবিকতা ও শান্তি ফিরিয়ে আনতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
জাসদ নেতৃবৃন্দ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ, সাংবাদিক পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
জাসদ জোর দাবি জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে পূর্ববর্তী সরকারের পদত্যাগের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে চলমান বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ পেশাজীবী ও হিন্দু ও আহমদীয়াসহ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও হত্যা করা, মন্দিরসহ ধর্মীয় স্থাপনায় হামলা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে ও নেতাকর্মীদের বাসাবাড়িতে হামলা-হত্যা-নির্যাতন, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও ঘরবাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ, সংসদ ভবন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও গণভবনসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন-বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে হামলা, লুটপাট, জ্বালিয়ে ছারখার, দেশের বিভিন্ন স্থানে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য, সাত বীরশ্রেষ্ঠর ভাস্কর্যসহ ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য ও ম্যুরাল ভেঙে ফেলা এবং কুমিল্লার বীরচন্দ্র পাঠাগার, সুনামগঞ্জের ঐতিহ্য জাদুঘর, কুড়িগ্রামের উত্তরবঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, ময়মনসিংহের ঐতিহাসিক শশীলজের ভেনাস ভাস্কর্য ভেঙে ফেলাসহ অগনিত শিল্পকর্ম ভেঙে ফেলার সব অপরাধ কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত দায়ী ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার।
জেডএস/
জাতীয়
তদবির থেকে বিরত থাকুন, দেশগঠনে পরামর্শ দিন : আসিফ মাহমুদ
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে ১৭ সদস্যের অন্তবর্তীকালীন সরকার। এ উপদেষ্টা পরিষদে স্থান পেয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুইজন প্রতিনিধি। এদের একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আসিফ মাহমুদ। তিনি উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেয়ার পর ঘনিষ্ঠজনদের নিজেদের সুবিধার জন্য কোনো আবদার কিংবা তদবির করতে বারণ করেছেন। বরং দেশগঠনে কোনো পরামর্শ থাকলে দেয়ার অনুরোধ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্ট করে এ অনুরোধ করেন।
পোস্টে এই তরুণ উপদেষ্টা লিখেছেন, ব্যক্তিগত লাভের আশায় আবদার, তদবির করা থেকে বিরত থাকুন। এতে করে আমার সাথে আপনার সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে। দেশগঠনে পরামর্শ থাকলে জানাবেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ১৭ জনকে নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়। প্রধান উপদেষ্টা ও অন্য উপদেষ্টাদের শপথ পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ঢাকার বাইরে থাকায় তিন উপদেষ্টা ফারুক-ই-আযম, বিধান রঞ্জন রায় এবং সুপ্রদীপ চাকমা শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি।
সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়া অন্যান্য উপদেষ্টারা হলেন- ১. সালেহ উদ্দিন আহমেদ ২. ড. আসিফ নজরুল ৩. আদিলুর রহমান খান ৪. হাসান আরিফ ৫. তৌহিদ হোসেন ৬. সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান ৭. মো. নাহিদ ইসলাম ৮. আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ৯. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন ১০. সুপ্রদীপ চাকমা ১১. ফরিদা আখতার ১২. বিধান রঞ্জন রায় ১৩. আ.ফ.ম খালিদ হাসান ১৪. নুরজাহান বেগম ১৫. শারমিন মুরশিদ ১৬. ফারুক-ই-আযম।
জেএইচ