Connect with us

করোনা ভাইরাস

করোনায় ভারতের চেয়ে বাংলাদেশে মৃত্যুহার বেশি

Published

on

দেশে করোনা আক্রান্ত প্রথম রোগী সনাক্ত হওয়ার পর দেড় বছরও না হতেই এরইমধ্যে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৯ হাজার।  

এদিকে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে মার্চের পর দেশে মৃত্যুর হার বাড়ছে। জুন মাস থেকে অবস্থার দ্রুত অবনতি হচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল রোববার পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা বিবেচনায় দেশে করোনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৬৫ শতাংশ। 

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির ২৬ জুলাইয়ের তথ্য অনুযায়ী দেশটিতে করোনা ভাইরাসে মৃত্যুর হার ১.৩৪ শতাংশ। সেখানে এ পর্যন্ত মারা গেছেন ৪ লাখ ২০ হাজার ৫৫১ জন। 

মোট মৃত্যুর হিসাবে ভারত বাংলাদেশের চেয়ে অনেক ওপরে থাকলেও দেখা যাচ্ছে করোনা আক্রান্ত প্রতি ১০০ জনে ভারতের চেয়ে বেশি রোগী মারা যাচ্ছে বাংলাদেশে। 

করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে ভয়াবহ অবস্থা হয়েছে ভারতেও। তবে দেশটির সরকার দাবি করছে, ভারতের কোনো কোনো অঞ্চলে সংক্রমণ কমার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। 

Advertisement

ভারতে করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি শুরু হয় গত মার্চ মাসের মাঝামাঝি। পরে তা দ্রুত বাড়তে থাকে। দেশটিতে গত ৩০ এপ্রিল প্রথম এক দিনে চার লাখের বেশি করোনা রোগী শনাক্ত হয়। ওইদিন শনাক্ত হয় ৪ লাখ ১ হাজার ৯৯৩ জন। 

ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ৬ মে ভারতে একদিনে ৪ লাখ ১৪ হাজার ৪৩৩ জন করোনা পজিটিভ বলে শনাক্ত হন। এটিই দেশটিতে একদিনে সর্বোচ্চ সংক্রমণ। 

আর ফেব্রুয়ারি-মার্চের দিকে যেখানে দৈনিক মৃত্যু ১০০’র আশপাশে ছিল, ২৩ মে তা ৫ হাজার ১৫ জনে পৌঁছায়। ভারতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে যে বিপুল প্রাণহানী হয়েছে এর জন্য দায়ী মূলত করোনা ভাইরাসের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট। বাংলাদেশেও এখন আক্রান্তদের মধ্যে এ ভ্যারিয়েন্টই বেশি পাওয়া যাচ্ছে।  

বাংলাদেশের অবস্থার দিকে তাকালে দেখা যায়, এ বছরের এপ্রিলে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার পর মে মাসে তা কমে আসে বেশ খানিকটা। সে সময় দৈনিক সংক্রমণ ৫০০-এর নিচেও নেমেছিল। তবে সেটা স্থায়ী হয়েছিল না। কয়েকদিন পর থেকেই পরিস্থিতি খারাপ হতে শুরু করে এবং তা এখনও চলছে। চলতি মাসের শুর থেকে দেশে লকডাউন চললেও এখনও তার ফল কার্যত দেখা যাচ্ছে না। 

১২ জুলাই দেশে একদিনে ১৩ হাজার ৭৬৮ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হন। এটিই এখন পর্যন্ত দেশে একদিনে সর্বোচ্চ সংক্রমণ। 

Advertisement

আর মৃত্যুর হিসাবে দেখা যায়, ফেব্রুয়ারিতে যেখানে ১০ জনের আশপাশে ছিল দৈনিক মৃত্যু, জুলাইয়ের ৭ তারিখে প্রথমবারের মতো তা ২০০ ছাড়ায়। তারপর থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ১০ দিন একদিনে ২০০-এর বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছে ১৯ জুলাই ২৩১ জনের।  

বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম ঢেউয়ের কেন্দ্র ছিল ঢাকা। তবে দ্বিতীয় ঢেউয়ের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম দেখা যাচ্ছে। এবার মূলত সারা দেশেই মারাত্মক আকারে ছড়িয়ে পড়েছে প্রাণঘাতী এ ভাইরাস। কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গার মতো জেলাতেও প্রতিদিনই প্রায় ১০ জনের বেশি মানুষ মারা যাচ্ছেন। এছাড়া খুলনা, রাজশাহীতে ও ময়মনসিংহ মেডিকেলেও প্রতিদিন মারা যাচ্ছেন ১০ জন, ১৫ বা তারও বেশি রোগী।  

সরকারি হিসাবের এ সংখ্যার পাশাপাশি আরও মানুষ মারা যাচ্ছেন উপসর্গ নিয়ে। উপসর্গ নিয়ে যাদের মৃত্যু হচ্ছে তারাও যদি করোনা আক্রান্ত হয়ে থাকেন তবে দেশের মৃত্যুর সংখ্যা আরও বেশি। 

দক্ষিণ এশিয়ার মৃত্যুর হারে বাংলাদেশের ওপরে আছে আফগানিস্তান, পাকিস্তান। অর্থাৎ দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ এখন মৃত্যুর হাতে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে।  

আফগানিস্তানের পরিস্থিতি বিশ্লেষণে দেখা যায়- সেখানেও মে মাস থেকে পরিস্থিতি খারাপ হতে শুরু করে, জুনের মাঝামাঝি তা সর্বোচ্চে পৌঁছায়। এরপর পরিস্থিতির উন্নতি হতে শুরু করে। ২৫ জুলাই দেশটিতে নতুন করে ৪১৪ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।

Advertisement

ওয়ার্ল্ডোমিটার বলছে, পাকিস্তানে মৃত্যুহার ২ শতাংশ। তবে সেখানে গত বছরে জুনে যেমন সংক্রমণ ছড়িয়েছিল এখন পরিস্থিতি তার চেয়ে ভালো। যদিও চলতি বছরের জুলাইয়ের শুরু থেকেই সংক্রমণ বাড়ছে দেশটিতে।  

পাকিস্তানে মৃত্যুর হিসাবে দেখা যাচ্ছে, সেখানে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছে ২০১ জনের, চলতি বছরের ২৮ এপ্রিল। আর ১৫ জুনের পর একদিনও দেশটিতে একদিনে ৫০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়নি। সে হিসেবে মৃত্যুহার বেশি হলেও পাকিস্তানের পরিস্থিতি দৃশ্যত বাংলাদেশের চেয়ে ভালো। দেশটিতে এ পর্যন্ত মোট ২৩ হাজার ৪৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। 

Advertisement

করোনা ভাইরাস

ফের ফিরে আসছে করোনা-আতঙ্ক!

Published

on

করোনা

মানুষ যখন করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণের কথা প্রায় ভুলতে বসেছে, তখনই হঠাৎ করে আবার জেএন.১ নামের এক উপধরন ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইতিমধ্যে এই ধরন পার্শ্ববর্তী ভারতসহ বিশ্বের ৪১টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। এই অবস্থায় বাংলাদেশে নতুন ধরনের সংক্রমণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সরকারের কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। যদিও নতুন এ ধরনে বাংলাদেশে কেউ এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়নি।

নতুন ধরনের সংক্রমণ মোকাবেলায় আবারও হাসপাতাল-ক্লিনিকসহ সকল স্থানে মাস্ক ব্যবহারসহ চার দফা পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডাক্তার মোহাম্মদ সহিদুল্লা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটির ৬৫তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় সকলের পরামর্শের আলোকে নিম্নলিখিত সিদ্ধান্তসমূহ গৃহীত হয়। সেগুলো হলো—

১। উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে যেমন হাসপাতাল/চিকিৎসা কেন্দ্র এবং উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তি— যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাদের সতকর্তা হিসেবে মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হলো। কমিটি মনে করে কোভিড-১৯ ছাড়াও অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা প্রতিরোধে এটি সহায়ক হবে।

Advertisement

২। সংক্রমণ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করার জন্য বৈশ্বিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও দেশে নজরদারি জোরদার করার জন্য সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান আইইডিসিআর প্রতি পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে সংক্রমণ বৃদ্ধি পেলে কোভিড পরীক্ষা ও আইসিইউসহ দ্রুত চিকিৎসার সকল প্রস্তুতি রাখার সুপারিশ করা হয়েছে। বিদেশ থেকে আগত যাত্রীদের স্ক্রিনিং এর প্রস্তুতি নেয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

৩। কোভিড ভ্যাকসিন বিষয়ে নিয়মিত বৈজ্ঞানিক তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণসাপেক্ষে সিদ্ধান্ত নেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ মোতাবেক উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের চতুর্থ ডোজ ভ্যাকসিন নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

৪। সভায় অস্ত্রোপচার অথবা অন্য কোনো রোগের চিকিৎসার আগে কোভিড পরীক্ষার প্রয়োজনীয়তা বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। কমিটি কেবলমাত্র কোভিডের লক্ষণ/উপসর্গ থাকলে কোভিড পরীক্ষা করার পরামর্শ দিয়েছে।

এদিকে ইতিমধ্যে একে ‘ভেরিয়েন্ট অব ইন্টারেস্ট’ হিসেবে অভিহিত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সংস্থাটির তথ্য অনুযায়ী, এই ধরনটি অতিদ্রুত ছড়াচ্ছে।

জনস্বাস্থ্যবিদরা বলছেন, ওমিক্রনের উপধরন হলো জেএন.১। রোগ প্রতিরোধক্ষমতাকে ফাঁকি দেওয়ায় জেএন.১ আরও অনেক বেশি কার্যকর। ফলে সংক্রমণের হার বেশি। তবে ঝুঁকি কম।

Advertisement

 

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

করোনা ভাইরাস

বিশ্বে করোনায় মৃত্যু হয়েছে আরও ২০৪ জনের

Published

on

গেলো ২৪ ঘণ্টায় করোনায় বিশ্বব্যাপী আরও ২০৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আক্রান্ত হয়েছেন ৮৮ হাজার ৫৯৯ জন। সুস্থ হয়েছেন ১ লাখ ৩৫ হাজার ৮২৫ জন।

বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে করোনার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে এ তথ্য পাওয়া যায়।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় সবচেয়ে বেশি মৃত্যু ও আক্রান্তের ঘটনা ঘটেছে রাশিয়ায়। এ সময় দেশটিতে মৃত্যু হয়েছে ১৮৬ জনের এবং আক্রান্ত হয়েছে ৭৯ হাজার ৩২ জন।

এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্ত হয়েছে ৬ হাজার ৪৪৪ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের। ভারতে আক্রান্ত হয়েছে ১ হাজার ৪০ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের। আফগানিস্তানে আক্রান্ত হয়েছে ১৯৪ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১ জনের।

বিশ্বে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭০ কোটি ৪ লাখ ৮১ হাজার ২৪৮ জন। এরমধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৬৯ লাখ ৬১ হাজার ১৩৬ জনের। সুস্থ হয়েছেন ৬৭ কোটি ১৬ লাখ ৮৩ হাজার ২২৪ জন।

Advertisement

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

করোনা ভাইরাস

এক মাসে করোনা রোগী বেড়েছে ৫২%

Published

on

বিশ্বজুড়ে আবারও বাড়তে শুরু করেছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। গেলো চার সপ্তাহে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী বেড়েছে প্রায় ৫২ শতাংশ। এ সময় নতুন করে সাড়ে ৮ লাখের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। পাশাপাশি বেড়েছে মৃত্যুহারও। জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

ডব্লিউএইচওর তথ্যমতে, আগের ২৮ দিনের তুলনায় গেলো চার সপ্তাহে বিশ্বব্যাপী করোনায় মৃত্যু প্রায় ৮ শতাংশ বেড়েছে। এ সময়ে মারা গেছে তিন হাজারের বেশি মানুষ।

সংস্থাটির হিসাবে, ২০২৩ সালের ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন অন্তত ৭৭ কোটি ২০ লাখ মানুষ। প্রাণ হারিয়েছেন ৭০ লাখেরও বেশি। এ সময়ে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন প্রায় ১ লাখ ১৮ হাজার মানুষ। গুরুতর অসুস্থ হওয়ায় নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখতে হয়েছে ১ হাজার ৬০০ জনকে।

বিশ্বব্যাপী দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার কারণে সম্প্রতি করোনাভাইরাসের জেএন.১ ধরনটিকে পৃথক ‘ভ্যারিয়েন্ট অব ইন্টারেস্ট’ হিসেবে ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এটিকে এতদিন করোনার বিএ.২.৮৬ ধরনের একটি অংশ হিসেবে ‘ভ্যারিয়েন্ট অব ইন্টারেস্ট’ গণ্য করা হতো। ডব্লিউএইচও জানিয়েছে, প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত অনুসারে, জেএন.১-এর কারণে এ মুহূর্তে অতিরিক্ত কোনো বৈশ্বিক স্বাস্থ্যঝুঁকি নেই। তবে উত্তর গোলার্ধে শীত শুরুর সঙ্গে সঙ্গে এটি শ্বাসযন্ত্রে সংক্রমণের সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

প্রধান সম্পাদক : সৈয়দ আশিক রহমান

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: বেঙ্গল টেলিভিশন লিমিটেড , ৪৩৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২১৫
ফোন : 01878-184154, ই-মেইল : contact.bayannotv@gmail.com
© 2023 bayanno.tv

কারিগরি সহায়তায় Build it