Connect with us

এশিয়া

আফগানিস্তানে তিনটি বড় শহর ঘেরাও করেছে তালেবান, তীব্র লড়াই

Published

on

আফগানিস্তানের গুরুত্বপূর্ণ দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলের তিনটি বড় শহরের দখল নেওয়ার চেষ্টা করছে তালেবান যোদ্ধারা। এতে শহরগুলোকে ঘিরে তালেবানের সঙ্গে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর তীব্র লড়াই চলছে।

আজ রোববার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, এরই মধ্যে আফগানিস্তানের হেরাত, লস্কর গাহ ও কান্দাহারের বিভিন্ন অংশে প্রবেশ করেছে তালেবান যোদ্ধারা। লস্কর গাহে গভর্নর অফিস থেকে মাত্র কয়েকশো মিটার দূরে রয়েছে তারা। মধ্যরাতের পর থেকে তাদের সরিয়ে দেওয়ার দাবি করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। তালেবানকে প্রতিরোধে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে যোগ দিয়েছে স্পেশাল ফোর্স।

তবে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছে, শহরগুলোতে শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে সশস্ত্র সংগঠনটি। সাধারণ মানুষের বাড়িঘরে অবস্থান নিয়েছে তারা। সহিংসতার কারণে বাড়িঘর ছেড়ে পালাচ্ছে হাজার হাজার বাসিন্দা।

গুরুত্বপূর্ণ তিনটি শহর সরকারি বাহিনী কতক্ষণ ধরে রাখতে পারবে তা নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে। এর মধ্যেই শহরগুলো হাতছাড়া হয়ে গেলে সেখানে মানবিক সংকট দেখা দেওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে ইরান ও পাকিস্তানের সঙ্গে থাকা লাভজনক সীমান্ত ক্রসিংসহ দেশটির অর্ধেক এলাকা দখল করে নিয়েছে তালেবান যোদ্ধারা।

 

Advertisement

সেপ্টেম্বরের মধ্যেই আফগানিস্তান থেকে প্রায় সব বিদেশি সেনা প্রত্যাহার করার ঘোষণা দেওয়ার পর থেকেই গ্রামীণ এলাকাগুলো দ্রুত নিয়ন্ত্রণে নিতে শুরু করে তারা।

কান্দাহারের এমপি গুল আহমদ কামিন জানিয়েছেন, যেকোন সময় শহরটির নিয়ন্ত্রণ নিতে পারে তালেবান। জনবহুল শহরে বেসামরিক নাগরিকদের কারণে ভারি অস্ত্র ব্যবহার করতে পারছে না নিরাপত্তা বাহিনী। শহরটি পতনের গুরুতর ঝুঁকিতে আছে। এরই মধ্যে বাস্তুচ্যুত হয়েছে প্রায় লাখখানেক মানুষ। সেখানে মানবিক সংকট আসন্ন।

তিনি আরো জানান, প্রতি ঘণ্টায় শহরটির পরিস্থিতি আরও নাজুক হয়ে উঠছে এবং শহরের ভেতরে চলা লড়াই ২০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে তীব্র হয়ে উঠেছে। এখন কান্দাহারকে একটি প্রধান কেন্দ্র হিসেবে বিবেচনা করছে তালেবান। শহরটিকে তাদের অস্থায়ী রাজধানী বানাতে চায় বলে জানান কান্দাহারের ওই এমপি। তিনি বলেন, শহরটির পতন হলে ওই অঞ্চলের পাঁচ থেকে ছয়টি প্রদেশ সরকারের হাতছাড়া হয়ে যাবে।

গুল আহমদ কামিন জানান, শহরের কয়েকটি এলাকায় অবস্থান নিয়েছে তালেবান যোদ্ধারা। শহরে পুরোপুরি ঢুকে পড়লেও অসংখ্য বেসামরিক লোকজন থাকায় তাদের বিরুদ্ধে ভারী যুদ্ধাস্ত্র ব্যবহার করতে পারবে না সরকারি বাহিনী।

পশ্চিমাঞ্চলের অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ শহর হেরাতের দক্ষিণাংশে প্রবেশ করেছে তালেবান যোদ্ধারা। দুই পক্ষের মধ্যে তীব্র লড়াই চলছে। শহরটির পাঁচটি এলাকায় লড়াই চলার খবর পাওয়া গেছে।

Advertisement

এদিকে, আফগানিস্তানের সরকারি বাহিনীর সমর্থনে এখনও বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন বিমান হামলার সমর্থন নিয়ে শহরটির বিমানবন্দরের আশপাশের এলাকা আবারও নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে সরকারি বাহিনী।

 

এসএন

Advertisement

এশিয়া

জাপানে ৭.১ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প

Published

on

জাপানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকায় রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ১ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।

বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ৪৩ মিনিটের দিকে পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রধান দ্বীপ কিয়ুশুর মিয়াজাকি অঞ্চলে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।

জাপানের আবহাওয়া সংস্থার (জেএমএ) বরাত দিয়ে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম এনএইচকে ওয়ার্ল্ড এ তথ্য জানিয়েছে।

খবরে বলা হয়েছে, ভূমিকম্পের পর দেশটিতে সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। মিয়াজাকিতে সমুদ্রের ঢেউ ইতোমধ্যে ৫০ সেন্টিমিটারে পৌঁছেছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতি কিংবা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে দেশটির মন্ত্রিপরিষদের মুখ্য সচিব ইয়োশিমাসা হায়াশি গণমাধ্যমকে বলেন, ভূমিকম্পের পর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্ল্যান্টগুলোতে কোনো ধরনের অস্বাভাবিক ঘটনা দেখা যায়নি। সরকার ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছে।

Advertisement

প্রসঙ্গত, জাপানে ভূমিকম্পের ঘটনা একেবারে সাধারণ। বিশ্বে ৬ বা তার চেয়ে বেশি মাত্রার ভূমিকম্পের প্রায় এক-পঞ্চমাংশই এদেশে ঘটে থাকে।

এর আগে, ২০১১ সালের ১১ মার্চ দেশটির উত্তর-পূর্ব উপকূলে ৯ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। যেটি ছিলো জাপানের ইতিহাসে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প। ওই সময় ভূমিকম্পের পর দেশটিতে বিশাল সুনামি আঘাত হানে।

সূত্র: রয়টার্স

জিএমএম/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

এশিয়া

শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর যা বললেন পুতুল

Published

on

ছাত্র-জনতার ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন শেখ হাসিনা। দেশে গঠিত হচ্ছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।

রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে মায়ের পদত্যাগ ও দেশত্যাগ নিয়ে এবার মুখ খুলেছেন মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল। জানিয়েছেন তার প্রতিক্রিয়া।

বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে যেতে বাধ্য হওয়ার পর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে এ বিষয়ে আবেগঘন পোস্ট দিয়েছেন মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল।

পোস্টে তিনি লিখেছেন, আমার দেশ বাংলাদেশ যাকে আমি ভালোবাসি, সেখানে প্রাণহানির ঘটনায় হৃদয় ভেঙে গেছে। আরও হৃদয়বিদারক যে, আমি এই কঠিন সময়ে আমার মাকে দেখতে ও আলিঙ্গন করতে পারিনি। আমি আরডি হিসেবে আমার দায়িত্ব পালনের বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রয়েছি।

Advertisement

প্রসঙ্গত, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল বর্তমানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে দায়িত্বপালন করছেন।

জিএমএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

এশিয়া

ভারতীয় গণমাধ্যম বাংলাদেশ নিয়ে গুজব ছড়াচ্ছে: পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ

Published

on

বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ভারতের স্থানীয় গণমাধ্যমে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। জানিয়েছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ। এ ব্যাপারে রাজ্যের বাসিন্দাদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ আহ্বান জানানো হয়।

পোস্টে বলা হয়, কিছু স্থানীয় টিভি চ্যানেলে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে যেভাবে রিপোর্টিং হচ্ছে, তা খুবই দৃষ্টিকটুভাবে সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক এবং ভারতের প্রেস কাউন্সিলের নিয়মাবলীর পরিপন্থী। দর্শকদের অনুরোধ, এই ধরনের কভারেজ দেখার সময় নিজস্ব বিচারবিবেচনা প্রয়োগ করুন এবং মাথায় রাখুন যে, চ্যানেলের দেখানো ফুটেজের সত্যতা কিন্তু কোনও নিরপেক্ষ তৃতীয় সংস্থা দিয়ে যাচাই করা নয়। একতরফা বিদ্বেষমূলক এবং বিভ্রান্তিকর প্রচারের ফাঁদে পা দেবেন না। শান্ত থাকুন, শান্তি বজায় রাখুন।

সোমবার (৫ আগস্ট) পদত্যাগ করে ভারত চলে যান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর থেকেই ভারতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে হিন্দুদের বাড়িঘরে হামলার মিথ্যা তথ্য ছড়ানো শুরু করে।

এমনকি বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের খেলোয়াড় লিটন দাসের বাড়িতে হামলা হয়েছে বলে খবর বের হয়। পরে জানা যায়, মাশরাফির বাড়িতে হামলার ভিডিও ব্যবহার করে সেটি লিটন দাসের বাড়ি বলে গুজব ছড়ানো হয়েছে।

Advertisement

জিএমএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

প্রধান সম্পাদক : সৈয়দ আশিক রহমান

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: বেঙ্গল টেলিভিশন লিমিটেড , ৪৩৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২১৫
ফোন : 01878-184154, ই-মেইল : contact.bayannotv@gmail.com
© 2023 bayanno.tv

কারিগরি সহায়তায় Build it