লাইফস্টাইল
বিয়ের পর ছেলেরা কি বদলে যায়?
বিয়ের পর মেয়েরা বদলায়, না ছেলেরা? আসলে ছেলে ও মেয়ে উভয়েই বিয়ের পর বদলে যায়। কিন্তু অনেকেই বিষয়টি মানতে চায় না। আসলে বিয়ের কারণে ছেলেদের মাঝে ইতিবাচক পরিবর্তনই বেশি ঘটে। যা সংসার জীবনে খুবই প্রয়োজন। বোল্ডস্কাই ওয়েবসাইটে বিয়ের পর ছেলেদের পরিবর্তনের কিছু দিক তুলে ধরা হয়েছে।
১. গবেষণায় দেখা গেছে, বিবাহিত ছেলেরা অবিবাহিত ছেলেদের থেকে অনেক বেশি দায়িত্বশীল হয়। আর এই পরিবর্তনটি বিয়ের কারণেই ঘটে থাকে। সংসার, জীবনসঙ্গী সবকিছুর প্রতি তার দায়িত্ববোধ বেড়ে যায়।
২. ছেলেরা সাধারণত পার্টি, আড্ডা, ঘোরাঘুরি খুবই পছন্দ করে। কিন্তু বিয়ের পর ছেলেরা কাজ শেষে বেশির ভাগ সময়ই স্ত্রী-সন্তানের সঙ্গে কাটায়। এই পরবির্তন শুধু বিয়ের পরই সম্ভব।
৩. বিয়ের আগে ছেলেরা বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতেই বেশি পছন্দ করে। অথচ বিয়ের পর সেই একই মানুষ বউকে সময় দেয়ার জন্য নানা অজুহাত খুঁজে বেড়ায়। যার ফলে বন্ধুদের কাছ থেকে সে কিছুটা দূরে সরে যায়। বিয়ে ছাড়া এই দূরত্বটা একেবারেই অসম্ভব।
৪. বিয়ের পর ছেলেরা টাকা জমাতে শুরু করে। এমনকি সবকিছু বাজেট করেই করার চেষ্টা করে। মোটকথা, বিয়ের পর ছেলেরা ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে অনেক কম খরচ করে।
৫. বিয়ের পর ছেলেরা সম্পর্কের মূল্য দিতে শেখে। কারণ নতুন সব পারিবারিক সম্পর্কে সে জড়িয়ে পড়ে। এই সম্পর্কগুলো আসলে বিয়ের কারণেই তৈরি হয়।
৬. বিয়ের পর ছেলেরা ধৈর্য ধরতে শেখে। কারণ অনেক ভিন্ন পরিস্থিতিতে তাকে পড়তে হয়। প্রচুর ধৈর্যশক্তি না থাকলে এসব পরিস্থিতি সামলানো তার পক্ষে সম্ভব হতো না। তাই বলা যায়, বিয়ে ছেলেদের ধৈর্যশীল করতে সাহায্য করে। যদিও এটি আস্তে আস্তে আসে।
৭. বিয়ের পর ছেলেরা ঘরের কাজ করতে দ্বিধাবোধ করে না। বরং নিজের ইচ্ছায় স্ত্রীকে ঘরের কাজে সাহায্য করে। শুধু বিয়ে হলেই এই পরবির্তন আসা সম্ভব।
৮. বিয়ের পর ছেলেরা স্ত্রীর সঙ্গে করা প্রতিজ্ঞা রক্ষার চেষ্টা করে। এমনকি সাধ্যমত স্ত্রীর সব আবদারও পূরণ করার চেষ্টা করে ।
৯. সাধারণত ছেলেরা নিজেদের মধ্যে কথা লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করে। অথচ বিয়ের পর সে সব ধরনের কথাই স্ত্রীকে বলে। কোনো কিছুই লুকায় না। বিয়ে না করলে ছেলেদের এই ইতিবাচক পরবির্তন হয় না।
১০. ছেলেরা বিয়ের আগে কোনো কাজ করলে কাউকে জিজ্ঞেস করার প্রয়োজন মনে করে না। অথচ বিয়ের পর তারা অনেকটা বদলে যায়। সবকিছু করার আগে স্ত্রীকে অন্তত জানিয়ে রাখার চেষ্টা করে।
১১. বিয়ের পর ছেলেরা যেকোনো বিষয়ে ত্যাগ করতে শেখে। নিজের শখ, ইচ্ছা সবকিছুকেই বিসর্জন দেয়ার মতো মন মানসিকতাও তৈরি হয় ছেলেদের মধ্যে। তাই ‘বিয়ের পর ছেলেরা বদলে যায়’- এই কথাটি অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই।
১২. বিয়ের পর ছেলেরা কোনো সিদ্ধান্ত একা নেয় না। বরং সব ব্যপারে স্ত্রীর সিদ্ধান্তকেও জানার চেষ্টা করে।
পরামর্শ
মুখে ঘা দূর করতে মেনে চলুন ৫ উপায়
খাওয়া দাওয়ার সময় বা কথা বলার সময়ে মুখে ঘা হলে বেশ সমস্যায় পড়তে হয়। এই সমস্যা দীর্ঘদিন সহ্য না করাই উত্তম। এই সমস্যা কিন্তু একসময় মুখে আলসারেরও লক্ষণ হতে পারে। মুখের আলসারকে সামান্য ঘা ভেবে অবহেলা করলেই বিপদে পড়বেন। কোষ্ঠকাঠিন্য, হরমোন জনিত সমস্যার কারণে মুখের ভিতরে আলসার হতে পারে। অনেকে আবার ব্রেসেস পড়েন, তাঁদেরও মাঝেমাঝে এই সমস্যা হয়। শরীরে ভিটামিন সি ও ভিটামিন বি, আয়রন, জিঙ্ক, ফোলেটের ঘাটতির কারণেও মুখের ঘা থেকে আলসার হতে পারে।
মুখে ঘা হলে কিছুদিনের জন্য ঝাল, টক জাতীয় খাবার এড়িয়ে যাওয়াই ভাল। না হলে মুখে জ্বালা অনুভূত হবে। মুখে ঘা হলে মুক্তি পেতে পারেন ৫ উপায়ে ।
১) মুখের ঘা কমাতে হালকা গরম পানিতে সামান্য লবন মিশিয়ে কুলকুচি করুন। এতে আরাম পাবেন। দিনে তিন থেকে চার বার করলে ব্যথা ও ঘা দুটোই কমে আসবে।
২) ঘায়ের জায়গায় সামান্য মধু লাগিয়ে রাখতে পারেন, ভালো উপকার পাবেন। কয়েক ঘণ্টা অন্তর অন্তর মধু লাগালে সুফল পাবেন।
৩) ঘায়ের জায়গায় বিশুদ্ধ নারিকেল তেল লাগিয়ে রাখলেও বেশ আরাম পাবেন।
৪) যে কোনও ঘায়ের জন্য ভালো প্রাকৃতিক ঔষধ হতে পারে হলুদ। মুখে যে জায়গায় ঘা হয়েছে, সেই স্থানে হলুদ বাটা লাগিয়ে রাখতে পারেন। কিছু দিন ব্যবহার করলেই ঘায়ের তীব্র জ্বালা-যন্ত্রণা কমে আসবে।
৫) বেকিং সোডা ঘা সারাতে দারুণ উপকারী একটি জিনিস। এক কাপ পানিতে এক চা চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে কুলকুচি করলে ঘা কমে যাবে। এছাড়া বেকিং সোডার সঙ্গে সামান্য পানি মিশিয়ে একটা ঘন পেস্ট তৈরি করে নিতে পারেন। সেই পেস্ট ক্ষতস্থানে লাগিয়ে রাখলেও বেশ উপকার পেতে পারেন।
জেডএস/
লাইফস্টাইল
জুতো-মোজার দুর্গন্ধ দূর হবে যেভাবে
এসে গেছে বৃষ্টির দিন। দিনভর ঘ্যানঘ্যানে বৃষ্টিতে বাড়ি থেকে বের হওয়াই সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ। বাড়ি থেকে বেরিয়েই কাকভেজাহয়ে অফিসে যাচ্ছে মানুষ। জুতো থেকে মোজা, সব ভিজে একেবারে চুপচুপে। সেই জুতো-মোজা পরেই সারাদিন কাটিয়ে দেয়া।
সবশেষে ঘরে পৌছে জুতো খুলতেই বিকট গন্ধ! এই পরিস্থিতির সম্মুখীন অনেকেই হচ্ছেন নিশ্চয়ই? এই সমস্যা দূর করতে ঘরোয়া কিছু টিপসে খুব সহজেই দূর করতে পারবেন জুতো, মোজার এই বাজে গন্ধ।
আসুন জেনে নেই তাহলে –
১. ছোট্ট একটি কাপড়ে অল্প পরিমাণ বেকিং সোডা নিয়ে ছোট পুটলি বানিয়ে মোজার মধ্যে রেখে দিন। দেখবেন মোজা থেকে দুর্গন্ধ দূর হবে।
২. ন্যাপথোলিন গুঁড়ো করে নিয়ে ট্যালকম পাউডারের সঙ্গে তা মিশিয়ে জুতোর মধ্যে ছড়িয়ে দিন। দেখবেন জুতোয় আর দুর্গন্ধ হচ্ছে না।
৩. বাড়িতে ফিরেই ভিজে জুতো ভালো করে শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে নিন। তারপর জুতোর মধ্যে কিছু পরিমাণ বেকিং সোডা ছিটিয়ে দিন।
পরের দিন জুতোর ভিতর ভালো করে মুছে ফেলুন। দেখবেন গন্ধ দূর হয়েছে।
৪. জুতোর মধ্যে এক টুকরো ফেব্রিক সফটনার সিট রেখে দিন রাতে। পরদিন সেটি বের করে জুতো পরুন। বাজে গন্ধ একেবারে দূর হয়ে যাবে।
৫. বাড়িতে ফিরে জুতো ধুয়ে হেয়ার ড্রায়ার চালিয়ে হালকা শুকিয়ে নিন। এবার এক টুকরো কাপড় বা তুলো লবঙ্গ তেলে ভিজিয়ে জুতোর মধ্যে রেখে দিন সারারাত। জুতোর দুর্গন্ধ দূর হবে।
৬. ফুটন্ত জলে টি ব্যাগ ফেলে রাখুন ২ মিনিট। টি ব্যাগ ঠাণ্ডা হলে জুতোর মধ্যে রেখে দিন। এক ঘণ্টা পর তা সরিয়ে জুতোর ভেতরের অংশ ভাল করে মুছে নিন। দুর্গন্ধের পাশাপাশি দূর হবে তাতে থাকা ব্যাকটেরিয়াও।
জেডএস//
রেসিপি
ম্যাংগো পুডিং তৈরির রেসিপি
আমের সিজনে অনেকেই আমের পাল্প ডিপ ফ্রিজে সংরক্ষণ করেন। সেই ম্যাংগো পাল্প দিয়েই ম্যাংগো পুডিং বানানো যাবে। আর আমের সিজনে তো ফ্রেশ আমই ব্যবহার করতে পারবেন। ছোট বাচ্চাদের জন্য এটি বেশ হেলদি একটি ডেজার্ট আইটেম। মাত্র ৪টি উপাদান দিয়েই ইয়াম্মি ইয়াম্মি ম্যাংগো পুডিং বানিয়ে নেয়া যায়। চলুন দেরি না করে রেসিপিটি জেনে নেই এখনই।
উপকরণ
ঘন দুধ- ১ কাপ
চিনি- স্বাদ অনুযায়ী ( আমি হাফ কাপ দেই )
আম- ২টি
ডিম- ২টি
ম্যাংগো পুডিং তৈরির পুরো প্রণালী
১. প্রথমে আম ছোট ছোট করে কেটে নিন। দুধ জ্বাল দিয়ে ঘন করুন এবং ঠাণ্ডা করে নিন।
২. এবার ব্লেন্ডার জগে আম, চিনি, দুধ ও ডিম সবকিছু দিয়ে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিন।
৩) মিশ্রণটি মোটামুটি ঘন ও থকথকে হবে। যদি বেশি ঘন হয়ে যায়, লিকুইড দুধ মিশিয়ে নিতে হবে।
৪. এবার একটি স্টিলের টিফিন বক্সে পুডিংয়ের মিশ্রণ ঢেলে নিতে হবে।
৫. বড় সসপ্যানে পানি ফুটতে দিন। এবার একটি স্ট্যান্ড প্যানে সেট করে তার উপর স্টিলের টিফিন বক্সটি রাখুন।
৬. বাটির ঢাকনা ভালোভাবে আটকাবেন এবং পানি যেন ভেতরে না যেতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখবেন।
৭. চুলার আঁচ মিডিয়াম রাখুন, ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করে চেক করুন পুডিং জমেছে কি না।
৮. পুডিং জমে গেলে চুলা নিভিয়ে দিন। এরপর রুম টেম্পারেচারে ঠাণ্ডা করে নিতে হবে।
ব্যস, আমের পুডিং বানানো হয় গেলো! চাইলে ফ্রিজে রেখে ম্যাংগো পুডিং ভালোভাবে সেট করে নিতে পারেন। সেট হয়ে গেলে টিফিন বক্স থেকে পুডিংটি একটি প্লেটে সাবধানে উল্টিয়ে ঢেলে নিন। এবার ছুরি দিয়ে পিস পিস করে কেটে সার্ভ করুন। আর এটি ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা খেতে কিন্তু বেশি মজা লাগে। সব উপকরণগুলো বাসাতে থাকলে আজই বানিয়ে নিন দারুন মজাদার ডেজার্টটি।
জেএইচ
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন