ফুটবল
মেসির ক্লাব ছাড়ার প্রসঙ্গে যা বললেন বার্সা সভাপতি
২১ বছরের সম্পর্কের সমাপ্তি। ক্যাম্প ন্যুয়ের যে ঘাসে লিওনেল মেসির বেড়ে ওঠা, সেই ক্লাবের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে ইতি টানলেন ৬ বারের ব্যালন জয়ী। ক্লাব কিংবদন্তির এমন হুট করে ক্লাব ত্যাগের ঘোষণায় সবাই অবাক হয়েছে। আর তাই বার্সেলোনা সভাপতি হুয়ান লাপোর্তাকে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন ডেকে উত্তর দিতে হয়েছে তার দিকে ধেয়ে আসা অজস্র প্রশ্নমালার।
শুক্রবার স্প্যানিশ স্থানীয় সময় সকাল ১১টায় বার্সেলোনা তাদের ক্লাব কমপ্লেক্সে মেসির পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। সেখানে মেসির ক্লাব ছাড়া প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের উত্তর দেন বার্সা সভাপতি। লাপোর্তা জানিয়েছেন, বার্সা-মেসি দুই পক্ষের ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও সম্ভব হচ্ছে বার্সেলোনায় মেসির থাকা। আর তাই কাতালান ক্লাবটির সর্বকালের সেরা ফুটবলারকে বিদায় জানাতে বাধ্য হয়েছে স্প্যানিশ জায়ান্টরা।
বার্সায় থাকার জন্য নিজের বেতন অর্ধেক কমাতেও রাজি হয়েছিলেন মেসি (গুঞ্জন অনুযায়ী)। তবুও তা যথেষ্ট ছিলো না। মেসিকে ক্লাবে ধরে রাখতে হলে বেতন কমাতে হতো অন্য ফুটবলারদের। যা কিনা সম্ভব ছিল না স্প্যানিশ ক্লাবটির পক্ষে।
লাপোর্তা বলেন, '২৫ মিলিয়ন ইউরো বেতন প্রস্তাব দেওয়ার জন্য আমাদেরকে কমাতে হতো ১০০ মিলিয়ন ইউরোর বেতন! আমরা মেসিকে নতুন চুক্তি দিতে হলে বেতন কমাতে হতো অন্য খেলোয়াড়দের। কিন্তু আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলেছিলাম, এটা সহজ নয় কারণ তাদের সঙ্গে আমাদের চুক্তি স্বাক্ষর করা আছে!'
বাস্তবতাকে সামনে রেখে ক্লাব সমর্থকদের আর মিথ্যে আশা দেখাতে রাজি নন লাপোর্তা। তাই মেসিকে ধন্যবাদ জানিয়ে নিজের হতাশার কথাও ব্যক্ত করেছেন তিনি।
বার্সা সভাপতি বলেন, 'আমি মেসিকে ধন্যবাদ দিতে চাই এবং সকল মানুষকে যারা দুই পক্ষের সমঝোতায় ভূমিকা রেখেছেন, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত লা লিগার রুলসের কারণে আমরা তাকে সাইন করাতে পারিনি। আমি খুবই মর্মাহত কারণ আমরা সবকিছুই করেছিলাম মেসিকে রাখার এবং সেও বার্সায় থাকার প্রস্তুতি নিয়েছিল।'
মেসির ক্লাব ত্যাগকে বার্সেলোনার একটি অধ্যায়ের সমাপ্তি বলে আখ্যায়িত করেছেন লাপোর্তা। এই আর্জেন্টাইন ক্ষুদে জাদুকরকে ছাড়া তাই নতুন যুগ শুরুর ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। লাপোর্তা বলেন, মেসিকে ছাড়াই বার্সেলোনার নতুন যুগ শুরু হচ্ছে আজ থেকে। আমরা মেসিকে ধন্যবাদ জানাই। আমাদের মেসির সঙ্গে ৫ বছরের চুক্তি হয়েছিল এবং তাকে আমরা ২ বছরের বেতন দিয়ে দিচ্ছিলাম।'
এএ
ফুটবল
ফুটবলকে বিদায় জানালেন পেপে
সব ধরনের ফুটবল থেকে বিদায় নিলেন পর্তুগালের ডিফেন্ডার পেপে। বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি।
সর্বশেষ ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে পর্তুগালের ম্যাচটাই হয়ে রইল ৪১ বছর বয়সী এই ফুটবলারের ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ।
সে ম্যাচে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিয়েছিল পর্তুগাল। ইউরোর মূলপর্বে সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামার রেকর্ডও গড়েন তিনি।
পর্তুগালের হয়ে ১৪১ ম্যাচ খেলেছেন পেপে। জিতেছেন ২০১৬ ইউরো।
ফুটবল
বাফুফে থেকে পদত্যাগ করলেন সালাম মুর্শেদী
পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী। তিনি ২০০৮ সাল থেকে পদটিতে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এছাড়াও সালাম মুর্শেদী বাফুফের অর্থ কমিটি ও রেফারিজ কমিটির প্রধানও ছিলেন। এই দুটি পদ থেকেও তিনি পদত্যাগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সালাম মুর্শেদীর পদত্যাগের কথা জানায় বাফুফে। সালাম মুর্শেদী খুলনা–৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন।
ফুটবল
চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সংগঠক সাইদুর রহমান প্যাটেল
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অন্যতম সংগঠক ও উদ্যেক্তা সাইদুর রহমান প্যাটেল মারা গেছেন। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ছিলেন। হাসপাতালে থাকাকালীন সেসব ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করতেন তিনি। অবশেষে ৭৩ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন সাইদুর রহমান। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) শোক জানিয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সাইদুর রহমানের অবদান ছিল অনস্বীকার্য। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন স্থানে তহবিল তুলতেন সাইদুর রহমানরা। তারা ভারতে ঘুরে ঘুরে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের হয়ে প্রীতি ম্যাচ খেলতেন। সেখান থেকেও তহবিল সংগ্রহ করতো এই দলটি।
একজন ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রাখার লক্ষ্য নিয়েই স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠন করার উদ্যেগ নিয়েছিলেন সাইদুর রহমান প্যাটেলরা। এখানে খেলে যে অর্থ উত্তোলন হবে, তা মুক্তিযুদ্ধের জন্য গঠিত তহবিলে প্রদান করা হবে; এমনই ছিল স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সেসময়ের ভাবনা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ইচ্ছা ছিল সাইদুর রহমানের। সবশেষ সাধারণ নির্বাচনের আগেই অবশ্য চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাতে হয় তাকে। সেখানে লম্বা সময় ধরে চিকিৎসা নেওয়ার পর আর দেশে ফিরতে পারলেন না তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতেই নিজের জীবনের শেষ সময়টুকু কাটালেন।
সাইদুর রহমানের জন্ম ১৯৫১ সালের ৭ অক্টোবর। তিনি ঢাকার কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। পরে অবশ্য গেন্ডারিয়ায় চলে যায় তার পরিবার। গেন্ডারিয়াতেই বেড়ে উঠেছেন, স্থানীয় পর্যায়ে ফুটবল খেলতে খেলতে শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলেও নিজের জায়গা করে নেন। তিনি ঢাকার ইস্টএন্ডের হয়ে ফুটবল খেলেছেন। দ্বিতীয় বিভাগে ফরাশগঞ্জের হয়ে, প্রথম বিভাগে পিডব্লুডি’র হয়ে খেলেছেন সাইদুর রহমান প্যাটেল।
এম এইচ//