ফুটবল
এমিলিয়ানো মার্তিনেজের আত্মঘাতী গোলে জয় পেল আর্সেনাল!
খেলার নির্ধারিত ৯০ মিনিট শেষে খেলার ফলাফল ২-২ সমতা। যোগ করা সময়ে ডি–বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শট নেন জর্জিনিও। তাঁর সে শট পোস্টে লেগে ফিরে এসে লাগে আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক মার্তিনেজের মাথায়। তাঁর মাথা ছুঁয়ে বল গড়িয়ে যায় জালে। গানাদের শুরু হয় বুনো উল্লাস। কারণ টাইটেল রেসে এই ম্যাচের জয়টা ছিল গুরুত্বপূর্ণ।
গেল ম্যাচে ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে হেরে পয়েন্ট টেবিলের দুই নম্বরে চলে আসে আর্সেনাল। তাই আবার পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠার লড়াইয়ে অ্যাস্টন ভিলার বিপক্ষে জয়ের বিকল্প ছিল না মিকেল আরতেতার দলের।
শনিবার ভিলা পার্কে এমন মহা গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে শুরুতেই এগিয়ে যায় ভিলা। ম্যাচের ৬ মিনিটেই গোল করে দলকে এগিয়ে দেন ওলি ওয়াটকিন্স। ম্যাটি ক্যাশের নিজের অর্ধ থেকে দেওয়া লম্বা পাস কাজ লাগিয়ে গোল করেন এই ইংলিশ ফরোয়ার্ড।
গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে শুরুতেই গোল খেয়ে যে কিছুটা ভড়কে গিয়েছিল আর্সেনাল, কিন্তু ১৬ মিনিটের মাথায় দলকে সমতায় ফেরান সাকা।
আর্সেনাল ডিফেন্ডার বেন হোয়াইট ভিলার ডি–বক্সে ক্রস বিপদমুক্ত করতে ব্যর্থ হন ভিলার ডিফেন্ডার টাইরন মিংস। তাঁর হেড করা বল গিয়ে পড়ে সাকার সামনে। বাঁ পায়ের জোরালো শটে সমতায় ফেরে দল। ৩১ মিনিটে রক্ষণের ভুলে খেসারত দিতে হয়েছে আর্সেনালকে। ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার কুতিনিও গোল করে আবার এগিয়ে দেন উনাই এমেরির দল ভিলাকে।
২-১ গোল পিছিয়ে থাকা আর্সেনাল বিরতি থেকে ফিরে গোল পরিশোধের নেশায় মরিয়া হয়ে ওঠে। দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম ২৫ মিনিটেই অ্যাস্টন ভিলার গোলমুখে ১০ টি শট নেয় আর্সেনাল। ম্যাচের ৬১ মিনিটে সমতায় ফেরে আর্সেনাল। ওডেগার্ড বাড়ানো বল জিনচেঙ্কো পেয়ে দূরপাল্লার শটে আর্সেনালকে সমতায় ফেরান। গানাদের জার্সি গায়ে প্রথম গোল পেলেন জিনচেঙ্কো।
সমতায় ফেরার পর সহজ সুযোগ মিস করেন ওডেগার্ড। গোলপোস্ট অনেকটা ফাঁকা পেয়েও বল পাঠিয়ে দেন বাইরে। সমতায় থাকা ম্যাচে আর্সেনালকে জয়সূচক গোলটা আসে ভিলা গোলকিপার মার্তিনেজের আত্মঘাতী গোল থেকে। শেষ সময়ে এসে কর্নার পায় ভিলা, সেখানে এগিয়ে যান এমি। গোলপোস্ট ফাকা পেয়ে আর্সেনালের হয়ে শেষ গোলটা করেন গ্যাব্রিয়েল মার্তিনেল্লি।
ফুটবল
ফুটবলকে বিদায় জানালেন পেপে
সব ধরনের ফুটবল থেকে বিদায় নিলেন পর্তুগালের ডিফেন্ডার পেপে। বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি।
সর্বশেষ ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে পর্তুগালের ম্যাচটাই হয়ে রইল ৪১ বছর বয়সী এই ফুটবলারের ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ।
সে ম্যাচে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিয়েছিল পর্তুগাল। ইউরোর মূলপর্বে সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামার রেকর্ডও গড়েন তিনি।
পর্তুগালের হয়ে ১৪১ ম্যাচ খেলেছেন পেপে। জিতেছেন ২০১৬ ইউরো।
ফুটবল
বাফুফে থেকে পদত্যাগ করলেন সালাম মুর্শেদী
পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী। তিনি ২০০৮ সাল থেকে পদটিতে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এছাড়াও সালাম মুর্শেদী বাফুফের অর্থ কমিটি ও রেফারিজ কমিটির প্রধানও ছিলেন। এই দুটি পদ থেকেও তিনি পদত্যাগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সালাম মুর্শেদীর পদত্যাগের কথা জানায় বাফুফে। সালাম মুর্শেদী খুলনা–৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন।
ফুটবল
চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সংগঠক সাইদুর রহমান প্যাটেল
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অন্যতম সংগঠক ও উদ্যেক্তা সাইদুর রহমান প্যাটেল মারা গেছেন। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ছিলেন। হাসপাতালে থাকাকালীন সেসব ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করতেন তিনি। অবশেষে ৭৩ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন সাইদুর রহমান। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) শোক জানিয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সাইদুর রহমানের অবদান ছিল অনস্বীকার্য। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন স্থানে তহবিল তুলতেন সাইদুর রহমানরা। তারা ভারতে ঘুরে ঘুরে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের হয়ে প্রীতি ম্যাচ খেলতেন। সেখান থেকেও তহবিল সংগ্রহ করতো এই দলটি।
একজন ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রাখার লক্ষ্য নিয়েই স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠন করার উদ্যেগ নিয়েছিলেন সাইদুর রহমান প্যাটেলরা। এখানে খেলে যে অর্থ উত্তোলন হবে, তা মুক্তিযুদ্ধের জন্য গঠিত তহবিলে প্রদান করা হবে; এমনই ছিল স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সেসময়ের ভাবনা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ইচ্ছা ছিল সাইদুর রহমানের। সবশেষ সাধারণ নির্বাচনের আগেই অবশ্য চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাতে হয় তাকে। সেখানে লম্বা সময় ধরে চিকিৎসা নেওয়ার পর আর দেশে ফিরতে পারলেন না তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতেই নিজের জীবনের শেষ সময়টুকু কাটালেন।
সাইদুর রহমানের জন্ম ১৯৫১ সালের ৭ অক্টোবর। তিনি ঢাকার কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। পরে অবশ্য গেন্ডারিয়ায় চলে যায় তার পরিবার। গেন্ডারিয়াতেই বেড়ে উঠেছেন, স্থানীয় পর্যায়ে ফুটবল খেলতে খেলতে শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলেও নিজের জায়গা করে নেন। তিনি ঢাকার ইস্টএন্ডের হয়ে ফুটবল খেলেছেন। দ্বিতীয় বিভাগে ফরাশগঞ্জের হয়ে, প্রথম বিভাগে পিডব্লুডি’র হয়ে খেলেছেন সাইদুর রহমান প্যাটেল।
এম এইচ//
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন