আওয়ামী লীগ
বঙ্গবন্ধুর ছায়াকেও ভয় পেত খুনিরা : তথ্যমন্ত্রী
খুনি চক্র বঙ্গবন্ধুর ছায়াকেও ভয় পেত। যে কারণে পরিবারের সদস্যদের হত্যা করেছিল। এমন মন্তব্য করেছেন, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
‘সংকটে সংগ্রামে নির্ভীক সহযাত্রী’-এ স্লোগানে রোববার (৮ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর তথ্য ভবন মিলনায়তনে, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও চলচ্চিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে এ সব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যার পৃষ্ঠপোষকরা দেশে আস্ফালন করছে। যেকোনো মানুষের সাফল্যের পেছনে জীবনসাথীর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকে। বঙ্গবন্ধুর ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম হয়নি। বঙ্গবন্ধুর জীবনে বঙ্গমাতার অবদান অনস্বীকার্য। বঙ্গমাতা শুধু সংসার সামলাননি, বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে তিনি দলকেও সামলেছেন। তিনি আজীবন বঙ্গবন্ধুর পাশে থেকে সাহস যুগিয়েছিলেন। মরণেও বঙ্গবন্ধুর সঙ্গী হয়েছেন তিনি। বঙ্গমাতা অনেক ধৈর্যশীল ছিলেন, বিপদে কখনো হতাশ হননি। বিচক্ষণতার সাথে সব কিছু সামলেছেন তিনি।
এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, অভিনয় বা মডেলিংয়ের আড়ালে কেউ যদি অনৈতিক কাজে জড়িত থাকে তার দায় তার একান্তই ব্যক্তিগত। এর জন্য পুরো অঙ্গনকে দায়ী করা যাবে না। অভিযুক্ত কয়েকজনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
হাছান মাহমুদ বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে বলেন, বিএনপি মহাসচিব টিকা কর্মসূচির শুরু থেকে বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য দিয়ে আসছেন। তারা সব সময় অপপ্রচার চালিয়েছেন। এখন তারা নিজেরাই টিকা গ্রহণ করছেন। গণটিকা শুরু হওয়ায় তারা হিতাহিত জ্ঞান হারিয়েছে। তারা মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন।
আলোচনা সভায় তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের স্মৃতিচারণ করে বলেন, বঙ্গমাতা বাঙালির ইতিহাসে এক হার না মানা সহযোদ্ধা গেরিলা। বাঙালির অনুভূতির নাম ফজিলাতুন নেছা মুজিব। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে বর্বর জঘন্যতম হত্যাকাণ্ডের শিকার হন তিনি।
এ সময় তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর পরিবারের ইতিহাস মুছে ফেরার ক্ষমতা কারোর নেই।
তথ্য প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু, বঙ্গবন্ধু হতে পারতেন না যদি না বঙ্গমাতার সাপোর্ট না পেতেন। বঙ্গবন্ধু পরিবারের প্রত্যেকটি মানুষ এক একটি ইতিহাস বলেও মন্তব্য করেন তিনি। দেশের ইতিহাসে বঙ্গবন্ধুর পরিবারের প্রত্যেকটি সদস্যের অবদান আছে।
আওয়ামী লীগ
শেখ হাসিনাকে নিয়ে যে নতুন বার্তা দিলেন জয়
এবার শেখ হাসিনার দেশের ফেরা নিয়ে নতুন বার্তা দিলেন জয়। অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচন আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিলেই দেশে ফিরবেন শেখ হাসিনা। তবে ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি অংশগ্রহণ করবেন কিনা সে সম্পর্কে স্পষ্ট কোনো বার্তা দেননি সজিব ওয়াজেদ জয়।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসব কথা বলেন তিনি।
জয় বলেন, রাজনীতি নিয়ে তার কখনওই উচ্চ আকাঙ্ক্ষা ছিল না। কিন্তু চলমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে নেতৃত্বের সংকট দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় দলের প্রয়োজনে তাকে সক্রিয় হতে হবে এবং সামনের সারিতে থেকেই কাজ করবেন।
এর আগে ছাত্র-জনতার গণ আন্দোলনের মুখে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে তার ছেলে জয় বিবিসিকে জানিয়েছিলেন “ মা আর দেশে ফিরবে না এবং রাজনীতি করবেন না”।
প্রসঙ্গত, শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর দেশের চলমান সংকট সমাধানে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আই/এ
আওয়ামী লীগ
আওয়ামী লীগকে শেষ করা সম্ভব নয় : জয়
আওয়ামী লীগ দেশের সবচেয়ে পুরোনো এবং বড় গণতান্ত্রিক দল। আওয়ামী লীগ কিন্তু মরে যায়নি। আওয়ামী লীগ এই দেশকে স্বাধীন করেছে। আওয়ামী লীগকে শেষ করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়।
বুধবার (৭ আগস্ট) নিজের ফেসবুক আইডিতে এক ভিডিও বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশে এখন একটি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি চলছে উল্ল্যেখ করে জয় বলেন, সারা দেশে ভাঙচুর হচ্ছে, লুটপাট হচ্ছে। শহরের বাইরে আমাদের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপর হামলা চলছে। অনেককে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, “আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর যেভাবে হামলা হচ্ছে, এই পরিস্থিতিতে আমরা হাল ছেড়ে দিতে পারি না। বাংলাদেশে যদি গণতন্ত্রের নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হয়, আওয়ামী লীগ ছাড়া সম্ভব নয়। আওয়ামী লীগ হচ্ছে সবচেয়ে বড় দল। আওয়ামী লীগ কোথাও যাবে না।”
আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে সজীব ওয়াজেদ বলেন, ‘আমি সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছি। আপনারা সবাই সাহস নিয়ে দাঁড়ান, আমরা আছি। বঙ্গবন্ধুর পরিবার কোথাও যায়নি। আমরা আপনাদের সঙ্গে আছি। দেশকে, আমাদের নেতা-কর্মীদের এবং আওয়ামী লীগকে রক্ষা করার জন্য যা প্রয়োজন আমরা করতে প্রস্তুত।’
বর্তমানে ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এই যে আমাদের বর্তমানে যারাই আছেন ক্ষমতায় তাঁদের আমি বলব, আমরাও একটি গণতান্ত্রিক, সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ দেশ চাই, জঙ্গিবাদ মুক্ত। তার জন্য আমরা সবার সঙ্গে আলোচনা করতে প্রস্তুত। শুধু তারা যদি জঙ্গিবাদ, ভায়োলেন্স (সহিংসতা) বাদ দেন। শেখ হাসিনা মরে যাননি। আমরা কোথাও যাইনি। বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ ছাড়া গণতন্ত্র, নির্বাচন সম্ভব না।’
আই/এ
আওয়ামী লীগ
ধৈর্য্য, সহনশীলতা মানে দুর্বলতা নয় : নানক
সরকার পতনের নামে বিএনপি-জামায়াত দেশে হত্যা ও ধ্বংস চালাতে চায় এবং দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিতে চায়। আওয়ামী লীগ ধৈর্যের শেষ সীমা পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। বলেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ঢাকা-১৩ আসনের সংসদ সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।
রোববার (৪ আগস্ট) বিকেল পৌনে ৫টায় ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, এই বিএনপি, জামায়াত-শিবির জঙ্গির উদ্দেশ্যে বলতে চাই, এই দেশমাতৃকাকে ভালোবেসে আমরা ধৈর্যের শেষ সীমা পর্যন্ত পৌঁছে গেছি। ধৈর্য, সহনশীলতা মানে দুর্বলতা নয়।
তিনি আরও বলেন, আমরা এই জঙ্গিগোষ্ঠীকে প্রতিরোধ করার জন্য দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি৷
নানক বলেন, রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিনষ্ট করবেন না। আমরা সংঘাত চাই না। শান্তি চাই। সকলকে দ্বায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে৷
তিনি বলেন, আমরা মোকাবিলা করব। এখন আর ঘরে বসে থাকার সময় নেই। যে যেখানে আছেন, দেশবিরোধী জামায়াত-শিবিরকে নির্মূল করতে হবে। আমাদের শরীরে শেষ রক্তবিন্দু থাকা পর্যন্ত এই আস্ফালন সহ্য করব না। গণতন্ত্র সংবিধান রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
এএম/