লাইফস্টাইল
বিয়ের আগে জেনে নিন কিছু প্রশ্নের উত্তর
বিয়ে কিন্তু কোনও টি-২০ খেলা নয়। এটা একটি টেস্ট ম্যাচ। খেলতে হবে রয়ে সয়ে। এখানে প্রথম দিন ব্যাটে বল ভালো আসবে। কিন্তু ধীরে ধীরে পিচের চরিত্র বদলে যাবে। তখন বলের দোলাচল বুঝে ওঠা মুশকিল। তাই প্র্যাকটিস ঠিকমতো হওয়া চাই। এক্ষেত্রে বিয়ের আগেই তাই কয়েকটি বিষয় নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে নিতে বলেন বিশেষজ্ঞরা।
আমাদের দেশ এখনও পশ্চিমা সংস্কৃতিতে অভ্যস্ত হয়ে যায়নি। এ দেশের বেশিরভাগ মানুষ বিয়ে করেন সারাজীবন একসঙ্গে থাকবেন বলে। আর পুরোটা জীবন একসঙ্গে চলাটা কিন্তু সহজ কাজ নয়। বরং বহু জটিলতা পার করেই আপনাকে লক্ষ্যে পৌঁছাতে হবে।
কিন্তু বহু মানুষ নিজেদের ভুলেই দাম্পত্য এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেন না। তারা যদি আগেভাগে কয়েকটি বিষয় খেয়াল রাখতে পারতেন, তবে আর এ দিন দেখতে হতো না। তাই বিয়ের আগেই সঙ্গীকে কয়েকটি প্রশ্ন করতে হবে।
আর শুধু দেখেশুনে বিয়ে নয়, বহুদিন চুটিয়ে প্রেম করার পর বিয়ে করলেও এ প্রশ্নগুলি করা উচিত। তবেই সম্পর্ক আগামীদিনে সুস্থভাবে এগিয়ে যাবে। আসুন জানা যাক সেই প্রশ্নগুলি সম্পর্কে-
আমরা তৈরি তো?
বিয়ে কথার কথা নয়। এর আগে মানসিক ও অর্থনৈতিক প্রস্তুতি লাগে। তাই বিয়ের আগে সঙ্গীকে অবশ্যই এই প্রশ্নটি জিজ্ঞেস করা উচিত। দেখুন তার মনে কোনও সংশয় রয়েছে কিনা। থাকলে দু’জনে মিলে সেই সংশয় দূর করার চেষ্টা করুন। কারণ একবার বিয়ে হয়ে গেলে আপনি আর এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেও কিছু করতে পারবেন না।
ভবিষ্যতের পরিকল্পনা কী?
মনে রাখবেন, বিয়ের পর একসঙ্গে থাকতে হবে। পথে নানা জটিলতা আসবেই। তবে সেই সমস্যাকে পিছু ফেলে এগতে হবে। এক্ষেত্রে প্রতিটি মানুষের ভবিষ্যতের পরিকল্পনা থাকা উচিত। এ প্রশ্নটা তাই সবার আগে করতে হবে। নিজের পরিকল্পনা সম্পর্কেও বলুন সঙ্গীকে। তবেই এ আলোচনা হবে স্বার্থক। ভবিষ্যত জীবনে সুখী হবেন আপনারা।
চাকরি নিয়ে প্রশ্ন
কেরিয়ার নিয়ে নানা আকাঙ্খা থাকে। প্রতিটি মানুষ নিজেদের মতো করে এ বিষয়ে একটা পরিকল্পনা সাজিয়ে রাখেন। তবে বিবাহিত জীবনে এসে এ লক্ষ্যে পৌঁছানো কিন্তু কঠিন হতে পারে। তখন নানা বাধা সামনে এসে পড়ে। তাই বড় কিছু পরিকল্পনা থাকলে আগে থেকে বলে রাখুন। তারপরই সমস্যার সমাধান করা যাবে।
কোথায় থাকা হবে?
এ প্রশ্নটাও এখন করা উচিত। অনেক সময়ই মেয়েরা স্বামীর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে থাকতে চান না। তারা আলাদা থাকতে চান। এক্ষেত্রে স্বামীর আবার বিষয়টি খারাপ লাগতে পারে। তখন দুজনের মধ্যে বিরাট ঝামেলা বাধতে পারে। তাই এ জটিলতা যাতে তৈরি না হয়, এখনই প্রশ্নটা সেরে রাখুন। এর উত্তরের উপর অনেক কিছু নির্ভর করছে।
বাড়ির কাজ
মনে রাখবেন, এখন মেয়েরাও চাকরি করেন। তাই বাড়ির সব কাজ করা তাদের দ্বারা সম্ভব হবে না। তবে পুরনো ধ্যান ধারণা পরিবারে থাকলে এই নিয়ে ঝামেলা হতে পারে। তাই এ বিষয়টি সম্পর্কে মহিলারা তার হবু স্বামীকে জিজ্ঞেস করুন। কী পারবেন, আর কী নয়, তা আগেভাগে বলে রাখুন। দেখুন তিনি কী বলছেন। সেই অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করুন।
পরামর্শ
মুখে ঘা দূর করতে মেনে চলুন ৫ উপায়
খাওয়া দাওয়ার সময় বা কথা বলার সময়ে মুখে ঘা হলে বেশ সমস্যায় পড়তে হয়। এই সমস্যা দীর্ঘদিন সহ্য না করাই উত্তম। এই সমস্যা কিন্তু একসময় মুখে আলসারেরও লক্ষণ হতে পারে। মুখের আলসারকে সামান্য ঘা ভেবে অবহেলা করলেই বিপদে পড়বেন। কোষ্ঠকাঠিন্য, হরমোন জনিত সমস্যার কারণে মুখের ভিতরে আলসার হতে পারে। অনেকে আবার ব্রেসেস পড়েন, তাঁদেরও মাঝেমাঝে এই সমস্যা হয়। শরীরে ভিটামিন সি ও ভিটামিন বি, আয়রন, জিঙ্ক, ফোলেটের ঘাটতির কারণেও মুখের ঘা থেকে আলসার হতে পারে।
মুখে ঘা হলে কিছুদিনের জন্য ঝাল, টক জাতীয় খাবার এড়িয়ে যাওয়াই ভাল। না হলে মুখে জ্বালা অনুভূত হবে। মুখে ঘা হলে মুক্তি পেতে পারেন ৫ উপায়ে ।
১) মুখের ঘা কমাতে হালকা গরম পানিতে সামান্য লবন মিশিয়ে কুলকুচি করুন। এতে আরাম পাবেন। দিনে তিন থেকে চার বার করলে ব্যথা ও ঘা দুটোই কমে আসবে।
২) ঘায়ের জায়গায় সামান্য মধু লাগিয়ে রাখতে পারেন, ভালো উপকার পাবেন। কয়েক ঘণ্টা অন্তর অন্তর মধু লাগালে সুফল পাবেন।
৩) ঘায়ের জায়গায় বিশুদ্ধ নারিকেল তেল লাগিয়ে রাখলেও বেশ আরাম পাবেন।
৪) যে কোনও ঘায়ের জন্য ভালো প্রাকৃতিক ঔষধ হতে পারে হলুদ। মুখে যে জায়গায় ঘা হয়েছে, সেই স্থানে হলুদ বাটা লাগিয়ে রাখতে পারেন। কিছু দিন ব্যবহার করলেই ঘায়ের তীব্র জ্বালা-যন্ত্রণা কমে আসবে।
৫) বেকিং সোডা ঘা সারাতে দারুণ উপকারী একটি জিনিস। এক কাপ পানিতে এক চা চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে কুলকুচি করলে ঘা কমে যাবে। এছাড়া বেকিং সোডার সঙ্গে সামান্য পানি মিশিয়ে একটা ঘন পেস্ট তৈরি করে নিতে পারেন। সেই পেস্ট ক্ষতস্থানে লাগিয়ে রাখলেও বেশ উপকার পেতে পারেন।
জেডএস/
লাইফস্টাইল
জুতো-মোজার দুর্গন্ধ দূর হবে যেভাবে
এসে গেছে বৃষ্টির দিন। দিনভর ঘ্যানঘ্যানে বৃষ্টিতে বাড়ি থেকে বের হওয়াই সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ। বাড়ি থেকে বেরিয়েই কাকভেজাহয়ে অফিসে যাচ্ছে মানুষ। জুতো থেকে মোজা, সব ভিজে একেবারে চুপচুপে। সেই জুতো-মোজা পরেই সারাদিন কাটিয়ে দেয়া।
সবশেষে ঘরে পৌছে জুতো খুলতেই বিকট গন্ধ! এই পরিস্থিতির সম্মুখীন অনেকেই হচ্ছেন নিশ্চয়ই? এই সমস্যা দূর করতে ঘরোয়া কিছু টিপসে খুব সহজেই দূর করতে পারবেন জুতো, মোজার এই বাজে গন্ধ।
আসুন জেনে নেই তাহলে –
১. ছোট্ট একটি কাপড়ে অল্প পরিমাণ বেকিং সোডা নিয়ে ছোট পুটলি বানিয়ে মোজার মধ্যে রেখে দিন। দেখবেন মোজা থেকে দুর্গন্ধ দূর হবে।
২. ন্যাপথোলিন গুঁড়ো করে নিয়ে ট্যালকম পাউডারের সঙ্গে তা মিশিয়ে জুতোর মধ্যে ছড়িয়ে দিন। দেখবেন জুতোয় আর দুর্গন্ধ হচ্ছে না।
৩. বাড়িতে ফিরেই ভিজে জুতো ভালো করে শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে নিন। তারপর জুতোর মধ্যে কিছু পরিমাণ বেকিং সোডা ছিটিয়ে দিন।
পরের দিন জুতোর ভিতর ভালো করে মুছে ফেলুন। দেখবেন গন্ধ দূর হয়েছে।
৪. জুতোর মধ্যে এক টুকরো ফেব্রিক সফটনার সিট রেখে দিন রাতে। পরদিন সেটি বের করে জুতো পরুন। বাজে গন্ধ একেবারে দূর হয়ে যাবে।
৫. বাড়িতে ফিরে জুতো ধুয়ে হেয়ার ড্রায়ার চালিয়ে হালকা শুকিয়ে নিন। এবার এক টুকরো কাপড় বা তুলো লবঙ্গ তেলে ভিজিয়ে জুতোর মধ্যে রেখে দিন সারারাত। জুতোর দুর্গন্ধ দূর হবে।
৬. ফুটন্ত জলে টি ব্যাগ ফেলে রাখুন ২ মিনিট। টি ব্যাগ ঠাণ্ডা হলে জুতোর মধ্যে রেখে দিন। এক ঘণ্টা পর তা সরিয়ে জুতোর ভেতরের অংশ ভাল করে মুছে নিন। দুর্গন্ধের পাশাপাশি দূর হবে তাতে থাকা ব্যাকটেরিয়াও।
জেডএস//
রেসিপি
ম্যাংগো পুডিং তৈরির রেসিপি
আমের সিজনে অনেকেই আমের পাল্প ডিপ ফ্রিজে সংরক্ষণ করেন। সেই ম্যাংগো পাল্প দিয়েই ম্যাংগো পুডিং বানানো যাবে। আর আমের সিজনে তো ফ্রেশ আমই ব্যবহার করতে পারবেন। ছোট বাচ্চাদের জন্য এটি বেশ হেলদি একটি ডেজার্ট আইটেম। মাত্র ৪টি উপাদান দিয়েই ইয়াম্মি ইয়াম্মি ম্যাংগো পুডিং বানিয়ে নেয়া যায়। চলুন দেরি না করে রেসিপিটি জেনে নেই এখনই।
উপকরণ
ঘন দুধ- ১ কাপ
চিনি- স্বাদ অনুযায়ী ( আমি হাফ কাপ দেই )
আম- ২টি
ডিম- ২টি
ম্যাংগো পুডিং তৈরির পুরো প্রণালী
১. প্রথমে আম ছোট ছোট করে কেটে নিন। দুধ জ্বাল দিয়ে ঘন করুন এবং ঠাণ্ডা করে নিন।
২. এবার ব্লেন্ডার জগে আম, চিনি, দুধ ও ডিম সবকিছু দিয়ে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিন।
৩) মিশ্রণটি মোটামুটি ঘন ও থকথকে হবে। যদি বেশি ঘন হয়ে যায়, লিকুইড দুধ মিশিয়ে নিতে হবে।
৪. এবার একটি স্টিলের টিফিন বক্সে পুডিংয়ের মিশ্রণ ঢেলে নিতে হবে।
৫. বড় সসপ্যানে পানি ফুটতে দিন। এবার একটি স্ট্যান্ড প্যানে সেট করে তার উপর স্টিলের টিফিন বক্সটি রাখুন।
৬. বাটির ঢাকনা ভালোভাবে আটকাবেন এবং পানি যেন ভেতরে না যেতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখবেন।
৭. চুলার আঁচ মিডিয়াম রাখুন, ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করে চেক করুন পুডিং জমেছে কি না।
৮. পুডিং জমে গেলে চুলা নিভিয়ে দিন। এরপর রুম টেম্পারেচারে ঠাণ্ডা করে নিতে হবে।
ব্যস, আমের পুডিং বানানো হয় গেলো! চাইলে ফ্রিজে রেখে ম্যাংগো পুডিং ভালোভাবে সেট করে নিতে পারেন। সেট হয়ে গেলে টিফিন বক্স থেকে পুডিংটি একটি প্লেটে সাবধানে উল্টিয়ে ঢেলে নিন। এবার ছুরি দিয়ে পিস পিস করে কেটে সার্ভ করুন। আর এটি ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা খেতে কিন্তু বেশি মজা লাগে। সব উপকরণগুলো বাসাতে থাকলে আজই বানিয়ে নিন দারুন মজাদার ডেজার্টটি।
জেএইচ
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন