এশিয়া
নরকে পরিণত কাবুল বিমানবন্দর
আফগানিস্তানে তালেবানের ভয়ে ভীত মানুষের চাপে রীতিমতো নরকে পরিণত হয়েছে কাবুল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে দেশ ছাড়তে বিমানে উঠতে বিমানবন্দরে ঠাঁই নিয়েছে লাখো মানুষ। তবে তাদের জীবন এখনো অনিশ্চয়তায় পড়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, কাবুল বিমান বন্দরের বাইরে জড়ো হয়ে আছে দেশ ছাড়তে মরিয়া আফগানরা। অসহায় আতঙ্কিত আফগানদের ঢল ঠেকাতে হিমশিম খাচ্ছে মার্কিন ও ব্রিটিশ নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। ভিড় ও নিরাপত্তা বেষ্টনি উপেক্ষা করেই সন্ত্রস্ত আফগানরা বিমানে ওঠার চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এমনকি আতঙ্কিত অনেক নারীকেই বিমানবন্দরের দেয়াল টপকে রানওয়েতে প্রবেশের চেষ্টা করতে দেখা গেছে। এসময় বিদেশি সেনারা তাদের সহায়তা করে।
বিমানবন্দরে ক্রমবর্ধমান মানুষের চাপ সামলাতে ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ফাঁকা গুলি করেছে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।
এদিকে, শঙ্কা জানিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, আফগানিস্তান থেকে মার্কিন নাগরিক এবং আফগান কর্মীদের সরিয়ে আনা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। যেকোনো মুহুর্তে বড় ধরণের হানাহানি বা যেকোনো দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। শেষ পর্যন্ত কী হবে তা জানেন না তিনি।
তবে এই দূর্যোগেও এখন পর্যন্ত কাবুল থেকে ১৩ হাজার মানুষকে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগে সরিয়ে নেওয়ার কথা জানান বাইডেন।
এ অবস্থায়, যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের আগে আফগান নাগরিকদের আশ্রয় দিতে রাজি হয়েছে ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য ও মধ্য এশিয়ার কয়েকটি দেশ।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানান, ট্রানজিট হিসেবে আফগানরা বাহরাইন, ডেনমার্ক, জার্মানি, ইতালি, কুয়েত, কাতার, ইউএইসহ কয়েকটি দেশ ব্যবহার করবে। এছাড়া আফগান নাগরিকদের অস্থায়ীভাবে স্থান দেওয়ার কথা জানিয়েছেন কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন, তালেবানরা বদলে গেছে, ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হবে না বলে বিশ্বাস করে তার দেশ। দেশটিতে নতুন করে কোনো গৃহযুদ্ধ বা মানবিক বিপর্যয় হতে দেওয়া যাবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এসএন
এশিয়া
জাপানে ৭.১ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প
জাপানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকায় রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ১ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ৪৩ মিনিটের দিকে পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রধান দ্বীপ কিয়ুশুর মিয়াজাকি অঞ্চলে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।
জাপানের আবহাওয়া সংস্থার (জেএমএ) বরাত দিয়ে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম এনএইচকে ওয়ার্ল্ড এ তথ্য জানিয়েছে।
খবরে বলা হয়েছে, ভূমিকম্পের পর দেশটিতে সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। মিয়াজাকিতে সমুদ্রের ঢেউ ইতোমধ্যে ৫০ সেন্টিমিটারে পৌঁছেছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতি কিংবা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে দেশটির মন্ত্রিপরিষদের মুখ্য সচিব ইয়োশিমাসা হায়াশি গণমাধ্যমকে বলেন, ভূমিকম্পের পর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্ল্যান্টগুলোতে কোনো ধরনের অস্বাভাবিক ঘটনা দেখা যায়নি। সরকার ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছে।
প্রসঙ্গত, জাপানে ভূমিকম্পের ঘটনা একেবারে সাধারণ। বিশ্বে ৬ বা তার চেয়ে বেশি মাত্রার ভূমিকম্পের প্রায় এক-পঞ্চমাংশই এদেশে ঘটে থাকে।
এর আগে, ২০১১ সালের ১১ মার্চ দেশটির উত্তর-পূর্ব উপকূলে ৯ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। যেটি ছিলো জাপানের ইতিহাসে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প। ওই সময় ভূমিকম্পের পর দেশটিতে বিশাল সুনামি আঘাত হানে।
সূত্র: রয়টার্স
জিএমএম/
এশিয়া
শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর যা বললেন পুতুল
ছাত্র-জনতার ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন শেখ হাসিনা। দেশে গঠিত হচ্ছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে মায়ের পদত্যাগ ও দেশত্যাগ নিয়ে এবার মুখ খুলেছেন মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল। জানিয়েছেন তার প্রতিক্রিয়া।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে যেতে বাধ্য হওয়ার পর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে এ বিষয়ে আবেগঘন পোস্ট দিয়েছেন মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল।
পোস্টে তিনি লিখেছেন, আমার দেশ বাংলাদেশ যাকে আমি ভালোবাসি, সেখানে প্রাণহানির ঘটনায় হৃদয় ভেঙে গেছে। আরও হৃদয়বিদারক যে, আমি এই কঠিন সময়ে আমার মাকে দেখতে ও আলিঙ্গন করতে পারিনি। আমি আরডি হিসেবে আমার দায়িত্ব পালনের বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রয়েছি।
প্রসঙ্গত, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল বর্তমানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে দায়িত্বপালন করছেন।
জিএমএম/
এশিয়া
ভারতীয় গণমাধ্যম বাংলাদেশ নিয়ে গুজব ছড়াচ্ছে: পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ
বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ভারতের স্থানীয় গণমাধ্যমে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। জানিয়েছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ। এ ব্যাপারে রাজ্যের বাসিন্দাদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ আহ্বান জানানো হয়।
পোস্টে বলা হয়, কিছু স্থানীয় টিভি চ্যানেলে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে যেভাবে রিপোর্টিং হচ্ছে, তা খুবই দৃষ্টিকটুভাবে সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক এবং ভারতের প্রেস কাউন্সিলের নিয়মাবলীর পরিপন্থী। দর্শকদের অনুরোধ, এই ধরনের কভারেজ দেখার সময় নিজস্ব বিচারবিবেচনা প্রয়োগ করুন এবং মাথায় রাখুন যে, চ্যানেলের দেখানো ফুটেজের সত্যতা কিন্তু কোনও নিরপেক্ষ তৃতীয় সংস্থা দিয়ে যাচাই করা নয়। একতরফা বিদ্বেষমূলক এবং বিভ্রান্তিকর প্রচারের ফাঁদে পা দেবেন না। শান্ত থাকুন, শান্তি বজায় রাখুন।
সোমবার (৫ আগস্ট) পদত্যাগ করে ভারত চলে যান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর থেকেই ভারতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে হিন্দুদের বাড়িঘরে হামলার মিথ্যা তথ্য ছড়ানো শুরু করে।
এমনকি বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের খেলোয়াড় লিটন দাসের বাড়িতে হামলা হয়েছে বলে খবর বের হয়। পরে জানা যায়, মাশরাফির বাড়িতে হামলার ভিডিও ব্যবহার করে সেটি লিটন দাসের বাড়ি বলে গুজব ছড়ানো হয়েছে।
জিএমএম/