অপরাধ
তালাক দেওয়ায় স্বামীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে স্ত্রী
গেল ২০ জুলাই ফেনী শহরের দুবাই প্রবাসী সোহেলের পরকীয়ার প্রতিবাদ করায় তার মুখে তালাকের কথা শুনেই স্ত্রী শিউলী আক্তার রাগে তাকে বঁটি দিয়ে কুপিয়ে একাই হত্যা করে। শিউলীকে গ্রেপ্তারের পর র্যাব-৭-এর ফেনী কোম্পানি অধিনায়ক স্কোয়াড্রন লিডার আবদুল্লাহ্ আল জাবের ইমরান প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন।
রোববার (২২ আগস্ট) সকালে ফেনী র্যাব ক্যাম্পে প্রেস ব্রিফিংয়ের সময় জানানো হয়, ফেনী শহরের দুবাই প্রবাসী সোহেলকে হত্যার পরপরই আসামি শিউলী ট্রেনযোগে চট্টগ্রাম গিয়ে অবস্থান করে। সকালে ফটিকছড়িতে পৌঁছায়। সারা দিন সেখান থেকে রাত ৮টার দিকে কুমিল্লার উদ্দেশে রওনা হয়ে ভোর সাড়ে ৩টায় কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম এলাকায় চাচার বাসায় আত্মগোপন করে ছিল শিউলী। গোপন খবরে র্যাব তাকে রোববার সন্ধ্যায় সেখান থেকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় শিউলির দুই সন্তান রিহান (৭) ও জান্নাতকে (৪) মায়ের সঙ্গে নিয়ে আসা হয়।
পরে শিউলীর দেখানো মতে তাদের শহরের সুফি ছদর উদ্দিন সড়কের বাসার পাশে ডোবা থেকে হত্যাকাণ্ডের সময় ব্যবহার করা বঁটি উদ্ধার করা হয়। শিউলীর ব্যবহার করা দুটি মোবাইল ফোন পর্যালোচনা করে তার পরকীয়ার কোনো প্রমাণ পায়নি র্যাব।
স্কোয়াড্রন লিডার আবদুল্লাহ্ আল জাবের ইমরান জানান, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে স্বামী সোহেলের পরকীয়া নিয়ে শিউলীর তুমুল ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে সোহেল শিউলীকে মৌখিকভাবে তালাক দেয়। এতে শিউলী চরমভাবে ক্ষিপ্ত হয়। সোহেল যখন বিছানায় বসে মোবাইল ফোনে ব্যস্ত এ অবস্থায় শিউলী রান্নাঘর থেকে বঁটি এনে সোহেলের ঘাড়ে কোপ মারে। পরে মৃত্যু নিশ্চিত করতে আর কয়েকটি কোপ মারে। এ সময় তাদের সন্তানরা ঘুমে ছিল। পরে বঁটি জানালা দিয়ে পাশের ডোবায় ফেলে দেয়। একপর্যায়ে শিউলী তার দুই সন্তানকে নিয়ে বাড়ির কেয়ারটেকারকে তার বাবা মারা যাওয়ার কথা বলেই রাতে পালিয়ে যায়।
এদিকে শুক্রবার ফেনী শহরের সুফি ছদর উদ্দিন সড়কের সোহেল হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তার মা নিরলা বেগম বাদী হয়ে সোহেলের স্ত্রী শিউলী বেগমকে একমাত্র আসামি করে ফেনী মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
বৃহস্পতিবার রাতে ফেনী শহরের সুফি ছদর উদ্দিন সড়কে দুবাই প্রবাসী স্বামীকে কুপিয়ে হত্যার পর স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে গভীর রাতে পালিয়ে যায়। শুক্রবার সকালে ঘটনাটি জানাজানি হলে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে নিহতের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করে। এদিকে প্রেস ব্রিফিং শেষে আলামত ও দুই সন্তানসহ শিউলীকে ফেনী মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়।
মুক্তা মাহমুদ
অপরাধ
রাজধানীতে বস্তা ভর্তি টাকাসহ একটি গাড়ি আটক করলেন শিক্ষার্থীরা
রাজধানীর উত্তরায় একটি প্রাইভেটকার থেকে এক বস্তা টাকাসহ একটি শটগান উদ্ধার করেছেন শিক্ষার্থীরা। এই ঘটনায় তিনজনকে হেফাজতে নিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।
বুধবার (৭ আগস্ট) এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা গণমাধ্যমে জানান, রাজধানীর উত্তরার একটি বাসার গ্যারেজ থেকে গাড়িটি জব্দ করা হয়। এ সময় তিনজনকে হেফাজতে নেয় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। পরে গাড়ি থেকে এক বস্তা টাকা উদ্ধার করে হেফাজতে নেন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। এ সময় স্থানীয় জনতা ও শিক্ষার্থীরা উল্লাস করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান, আওয়ামী লীগ ঘরোয়ানার একটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের এমডির গাড়ি থেকে এ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। গাড়ি থেকে এক বস্তা টাকাসহ একটি শটগান উদ্ধার করে উত্তরা টাউন কলেজের শিক্ষার্থীসহ অনান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
এএম/
অপরাধ
কাশিমপুর কারাগার থেকে পালিয়েছে ২০৯ বন্দি, নিহত ৬
গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ২০৯ জন বন্দি পালিয়েছেন। পালিয়ে যাওয়ার সময় নিরাপত্তাকর্মীদের গুলিতে ছয়জন বন্দি নিহত হয়েছেন।
বুধবার (৭ আগস্ট) বিকেলে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান,গেলো মঙ্গলবার বিকেলে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের বন্দিরা কারাগার ভেঙে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কারারক্ষীরা তাদের নিভৃত করার চেষ্টা করলে বন্দিরা কারারক্ষীদের ওপর চড়াও হয়। বন্দিদের কেউ দেয়াল ভেঙে, কেউ দেয়াল টপকে, আবার কেউ দেয়ালের সঙ্গে বিদ্যুতের পাইপ লাগিয়ে কারারক্ষীদের মারধর করে পালিয়ে যেতে চান।
একপর্যায়ে সেনাবাহিনীকে খবর দিলে তারা কমান্ডো অভিযান চালিয়ে বিদ্রোহ দমন করেন।এসময়ে বন্দিদের মধ্যে ২০৯ জন দেয়াল টপকে পালিয়ে গেছে।বন্দিদের ঠেকাতে নিরাপত্তাকর্মীদের গুলিতে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, নিহতদের নাম পরিচয় পরে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন সিনিয়র জেল সুপার।
আই/এ
অপরাধ
কাশিমপুর কারাগারে তীব্র উত্তেজনা, সেনাবাহিনীর শক্ত অবস্থান
গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে বন্দিরা মুক্তির দাবিতে উত্তেজনা শুরু করেছেন। কারারক্ষীদের জিম্মি করে অনেকে দলবদ্ধভাবে বের হয়ে আসার চেষ্টা করছেন। খবর পেয়ে সেনা সদস্যরা এসে প্রাথমিকভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) দুপুরের দিকে এ পরিস্থিতি দেখা গেছে। এসময়ে ওই এলাকার আকাশে হেলিকপ্টার চক্কর দিতে দেখা যায়।
কারা কর্তৃপক্ষ জানান, কাশিমপুর কারা কমপ্লেক্সে পৃথক চারটি কারাগার রয়েছে। এর মধ্যে বিডিআর বিদ্রোহ মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি, ফাঁসি ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত দুর্ধর্ষ জঙ্গি বন্দিরা রয়েছে। এছাড়া রাজনৈতিক মামলায় গ্রেপ্তার অনেক নেতাকর্মীও ওই কারাগারে রয়েছে।
জানা যায়, বেলা ১১টার দিকে কিছু বন্দি কারাগারের অভ্যন্তরে থাকা কারারক্ষীদের জিম্মি করে মুক্তির দাবিতে বিদ্রোহ শুরু করে। এসময়ে কারারক্ষীরা তাদের শান্ত করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। আগে থেকেই সেখানে অল্প সংখ্যক সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাদের নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেন। উত্তেজনা আরও বেড়ে গেলে দুপুর দেড়টার দিকে অতিরিক্ত সেনা সদস্য হেলিকপ্টার যোগে কারা অভ্যন্তরে এসে বন্দিদের নিয়ন্ত্রণ করেন।
প্রসঙ্গত, কারা অভ্যন্তরে বিদ্রোহের খবর পেয়ে বন্দিদের স্বজনরা সকাল থেকেই কারাগারের সামনে অবস্থান করেন। এ সময় তাদের সঙ্গে আন্দোলনকারীরা যোগ দিয়ে বিক্ষোভ করে। কারাগারের বাইরে একটি ঝুট গুদামে অগ্নিসংযোগ করা হয়। পরে সেনা সদস্যরা বাইরের বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া করে ছত্রভঙ্গ করে দেন।
আই/এ