Connect with us

দক্ষিণ আমেরিকা

নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই আফগানিস্তান ছাড়তে চায় যুক্তরাষ্ট্র

Published

on

মিত্র দেশগুলোর আহ্বান সত্ত্বেও তালেবানের বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যেই আফগানিস্তান থেকে মার্কিন নাগরিক ও সহযোগী আফগানদের ফিরিয়ে নিয়ে প্রত্যাহার প্রক্রিয়ার ইতি টানতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। আগামী ৩১ আগস্টের মধ্যেই তাদের ফিরিয়ে নেওয়ার কথা জানিয়েছে মার্কিন প্রতিরক্ষা সদরদপ্তর পেন্টাগন। যদিও এই সময়সীমা বাড়ানোর পক্ষে মিত্র দেশগুলো। আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যেই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, তালেবান-নিয়ন্ত্রিত আফগানিস্তান থেকে ৩১ আগস্টের সময়সীমা পরিবর্তনের জন্য আসন্ন জি-সেভেন ভার্চুয়াল সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রকে চাপ দেবে ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানি।

তবে, তালেবানের সতর্কতার উদ্বৃতি দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের বেঁধে দেওয়া সময়সীমা বাড়ানোর যেকোন সিদ্ধান্তই হবে চুক্তি লঙ্ঘনের সামিল। সময়সীমা শেষ হওয়ার পরও বাণিজ্যিক ফ্লাইটে নাগরিকরা দেশত্যাগ করতে পারবে বলে জানিয়েছে সংগঠনটি। তবে আফগানিস্তানে কতজন মার্কিনি আটকা পড়ে আছে তা এখনও অস্পষ্ট।

আফগানিস্তান থেকে হাজার হাজার মানুষ সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তবু এখনও দেশত্যাগের জন্য কাবুল বিমানবন্দরের ভেতর বা আশপাশে ভিড় জমাচ্ছে বহু মানুষ।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা সরিয়ে নেওয়ার সময়সীমা বাড়ানো হবে কি না, এ নিয়ে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সিদ্ধান্ত নেবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

Advertisement

মার্কিন সংবাদমাধ্যম ভয়েস অব অ্যামেরিকা জানিয়েছে, গেল ২৪ ঘণ্টায় আফগানিস্তান থেকে মানুষ সরিয়ে নেওয়ার সংখ্যা দ্বিগুণ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ৩১ আগস্টের যে সময়সীমা বাইডেন বেঁধে দিয়েছেন তা সম্পন্ন করতেই এটি ত্বরান্বিত করা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা বলেছে, গেল রোববার থেকে গতকাল সোমবার পর্যন্ত কাবুলের হামিদ কারজাই আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দর থেকে ৯০টি সামরিক ও বাণিজ্যিক উড়োজাহাজে মোট ১৬ হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রায় ১১ হাজার মানুষকে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ফ্লাইটে করে সরিয়ে নেওয়া হয়।

গতকাল সোমবার সাংবাদিকদের পেন্টাগনের প্রেস সেক্রেটারি জন কার্বি বলেন, সামরিক বাহিনীর লক্ষ্য হচ্ছে প্রতিদিন পাঁচ হাজার থেকে নয় হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়া। তবে তিনি বলেন, কোনো কিছুই নিশ্চিতভাবে ধরে নিচ্ছে না তারা।

এর আগে গতকাল সোমবার হোয়াইট হাউস জানিয়েছিল, তালেবান আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর থেকে মোট প্রায় ৩৭ হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। গেল ১৫ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত সরকারের পতনের পর আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেয় তালেবান।

হোয়াইট হাউস আরো জানিয়েছে, চলতি মাসের মাঝামাঝি প্রত্যাহার শুরুর এখন পর্যন্ত ৪৮ হাজারের বেশি মানুষকে দেশটি থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। কাবুল বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় থাকা প্রায় ছয় হাজার সেনার সঙ্গে আর কাউকে যোগ করার পরিকল্পনা না থাকার কথা জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।

Advertisement

 

এসএন

Advertisement

দক্ষিণ আমেরিকা

ভেনেজুয়েলার ‘বিতর্কিত নির্বাচনে’ মাদুরো জয়ী

Published

on

ভেনেজুয়েলার ‘বিতর্কিত’ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন সমাজতান্ত্রিক পিএসইউভি পার্টির নেতা নিকোলাস মাদুরো।

দেশটির ন্যাশনাল ইলেক্টোরাল কাউন্সিলের (সিএনই) প্রধান ও মাদুরোর ঘনিষ্ঠ মিত্র এলভিস আমরোসো জানিয়েছেন, ৮০ শতাংশ ভোট গণনার পর দেখা গেছে- মাদুরো ৫১ দশমিক ২ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী বিরোধী জোটের প্রার্থী এডমান্ডো গঞ্জালেজ উরুতিয়া পেয়েছেন ৪৪ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ ভোট।

এদিকে, ভোট গণনায় ব্যাপক জালিয়াতির অভিযোগ এনে ফলাফলকে চ্যালেঞ্জ করার কথা জানিয়েছে মাদুরোর মূল প্রতিদ্বন্দী অ্যাডমুন্ড গঞ্জালেজ।

নির্বাচনের আগে হওয়া প্রায় সব জনমত জরিপে এগিয়ে ছিলেন গঞ্জালেজ। তবে যে কোনো উপায়ে মাদুরো ক্ষমতা ধরে রাখবেন বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন মাদুরো।

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে গতকাল রোববার লাতিন আমেরিকার দেশটিতে ভোট হয়। দেশটিতে গেলো ১১ বছর ধরে ক্ষমতায় আছেন মাদুরো। গতকালের নির্বাচনে জয়ী হওয়ায় তিনি তৃতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছেন।

Advertisement

২৫ বছর ধরে দেশটির ক্ষমতায় রয়েছে মাদুরোর দল। তার মধ্যে টানা ১১ বছর ধরে প্রেসিডেন্ট হিসেবে রয়েছেন মাদুরো। বলা হচ্ছিল এবারের নির্বাচনে তিনি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বেন। কারণ তার মূল প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাডমুন্ড গঞ্জালেজ এবার ব্যাপক সমর্থন টানতে পেরেছিলেন।

ভোট গণনা উপলক্ষে বিরোধী জোট কেন্দ্রগুলোতে হাজারো পর্যবেক্ষক নিয়োগ করে। জোটের এক মুখপাত্র অভিযোগ করে বলেন, অনেক ভোটকেন্দ্র থেকে তাঁদের পর্যবেক্ষকদের বের করে দেয়া হয়েছে।

সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ না হওয়ার অভিযোগে ২০১৮ সালের নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছিল বিরোধীরা। এবারের নির্বাচনেও ব্যাপক কারচুপির আশঙ্কা করে আসছিল তারা।

জেএইচ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

দক্ষিণ আমেরিকা

আমেরিকায় এ ধরনের সহিংসতার কোনো স্থান নেই : বাইডেন

Published

on

প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমাবেশে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে সাবেক এই রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট কানে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এরপরই এই হামলার বিষয়ে কঠোর নিন্দা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

তিনি বলেছেন, আমেরিকায় এ ধরনের সহিংসতার কোনো স্থান নেই। এমনকি এই ধরনের হামলা ক্ষমা করা করা যায় না বলেও জানিয়েছেন তিনি।

রোববার (১৪ জুলাই) এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

শনিবার (১৩ জুলাই) পিটসবার্গ থেকে প্রায় ৩০ মাইল (৫০ কিলোমিটার) উত্তরে পেনসিলভানিয়ার বাটলারে নির্বাচনী প্রচারণার সমাবেশে গুলিবিদ্ধ হন রিপাবলিকানের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই ঘটনায় সন্দেহভাজন হামলাকারী ও ট্রাম্পের এক সমর্থক নিহত হয়েছেন।

একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেছেন, ট্রাম্প মঞ্চে ওঠার কিছুক্ষণ পরেই পাশের একটি ভবনের ছাদে ওঠেন সন্দেহভাজন হামলাকারী। তার হাতে একটি রাইফেল ছিল।

Advertisement

প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, ‘আমেরিকাতে এই ধরনের সহিংসতার কোনো স্থান নেই। এটি অসুস্থ, এটি অসুস্থ (হামলা)।’

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘পেনসিলভেনিয়ায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমাবেশে গুলি চালানোর বিষয়ে আমাকে ব্রিফ করা হয়েছে। আমি কৃতজ্ঞ যে তিনি নিরাপদে ও ভালো আছেন।’

জো বাইডেন বলেন, ‘আমি তার (ট্রাম্প) জন্য এবং তার পরিবারের জন্য ও সমাবেশে যারা ছিলেন তাদের জন্য প্রার্থনা করছি। আমরা আরও তথ্যের জন্য অপেক্ষা করছি।

তিনি বলেন, আমি নিশ্চিত করতে চাই, আমাদের কাছে সমস্ত তথ্য আছে। যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল এজেন্সিগুলো গুলিবর্ষণের এই ঘটনায় তদন্তে কাজ করছে।

বাইডেন বলেন, পেনসিলভেনিয়ায় সহিংস এই হামলার ঘটনায় ‘সবাইকে নিন্দা করতে হবে।’

Advertisement

গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ট্রাম্পকে লক্ষ্য করেই এ হামলা চালানো হয়েছিল এবং এটি ছিল গুপ্তহত্যার প্রচেষ্টা।

জেএইচ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

দক্ষিণ আমেরিকা

নির্বাচনী জনসভায় সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গুলিবিদ্ধ

Published

on

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে। পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের বাটলারে এক নির্বাচনী জনসভায় বক্তৃতা দেয়ার সময় হামলার শিকার হন তিনি। একেবারে তার কানে গুলি লেগেছে। তবে এতে অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেছেন এই রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট। খবর বিবিসির।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, স্থানীয় সময় শনিবার একটি সমাবেশে ট্রাম্পকে লক্ষ্য করে এই হামলা হয়। ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তাকে লক্ষ্য করে ‘একটি গুলি করা হয়েছে যা আমার ডান কানের ওপরের অংশে বিদ্ধ হয়েছে।’

রোববার (১৪ জুলাই) এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমটি।

এরপরই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, আমাদের দেশে যে এমন হামলার ঘটনা ঘটতে পারে তা অবিশ্বাস্য।

সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেয়া এক পোস্টে ট্রাম্প জানান, ‘এটা অবিশ্বাস্য যে আমাদের দেশে এ রকম একটি ঘটনা ঘটেছে। হামলাকারী সম্পর্কে এখনো কিছু জানা যায়নি। হামলাকারী নিহত হয়েছেন।’ পোস্টের শেষে ট্রাম্প বলেন, ‘ঈশ্বর আমেরিকার মঙ্গল করুন!’

Advertisement

হামলার পরপরই তিনি মাটিতে পড়ে যান। এসময় তার মুখমণ্ডলে রক্ত দেখা গেছে। এই ঘটনার পর পরই সিক্রেট সার্ভিসের সদস্যরা হামলাকারীকে গুলি করলে তিনি নিহত হন। এছাড়া আরও দুজন এই ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন বলে সিক্রেট সার্ভিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

র‌্যালিতে উপস্থিত একজন প্রত্যক্ষদর্শী বিবিসিকে বলেন, গুলির শব্দ শোনার পর তারা একজন রাইফেলধারীকে ছাদে হামাগুড়ি দিতে দেখেছেন।

স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিটের দিকে ট্রাম্পের ওপর হামলা হয়। পেনসিলভানিয়ায় এক নির্বাচনী প্রচারে এ ঘটনা ঘটে। হামলাকারীর গুলিতে আহত হয়েছেন ট্রাম্প। তবে তা গুরুতর নয়।

জেএইচ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

প্রধান সম্পাদক : সৈয়দ আশিক রহমান

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: বেঙ্গল টেলিভিশন লিমিটেড , ৪৩৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২১৫
ফোন : 01878-184154, ই-মেইল : contact.bayannotv@gmail.com
© 2023 bayanno.tv

কারিগরি সহায়তায় Build it