অন্যান্য
আল্পসে গলছে বরফ, চাদরে ঢেকে তাপরোধ করার চেষ্টা
জলবায়ু পরিবর্তনে মানুষের ভূমিকার কোনো জুড়ি নেই। তবে জলবায়ুর পরিবর্তন রোধে কাজ করার মানুষকে খুঁজে পাওয়া কঠিন। প্রতিদিন জলবায়ু পরিবর্তনের ভয়াবহতার সাক্ষী হচ্ছে পুরো পৃথিবীর মানুষ। কোথাও বন্যা, দাবানল, কোথাও খরা বা অতিবৃষ্টি, কোথাও আবার বরফ গলে পানি হয়ে যাচ্ছে। এসব বিপর্যয় একসঙ্গে আগে দেখেনি পৃথিবীবাসী। জলবায়ু পরিবর্তনের কাছে মানুষ নিতান্তই অসহায়, তা স্পষ্ট। অনেক আগেই জলবায়ু পরিবর্তনের রুঢ় বাস্তবতা টের পেয়েছে বিজ্ঞানীরা। মানুষকে নিজেদের মতো করেই সতর্ক করার চেষ্টা করছে তারা।
সুইজারল্যান্ডের আল্পস পর্বতমালা ইউরোপের সবচেয়ে উঁচু পবর্তমালা। ইউরোপের যেসব অঞ্চলজুড়ে এই বিশাল পর্বতমালা বিস্তৃত, তাকে আলপিন অঞ্চল বলা হয়। ওই অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত দেশগুলো হলো ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ড, মোনাকো, ইতালি, লিচটেনস্টাইন, অস্ট্রিয়া, জার্মানি আর স্লোভেনিয়া।
বরফে আচ্ছাদিত এই পর্বতমালা ১২০০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিস্তৃত। গ্রীষ্মে বরফে ঘেরা পর্বতমালার বরফ যাতে গলে না যায়, সেজন্য পুরো বরফ চাদর দিয়ে ঢেকে দিচ্ছে সেখানকার পর্যটনসংশ্লিষ্ট আর বিজ্ঞানীরা। মূলত সূর্যের আলো বরফের ওপর না পড়ার জন্যই এমন পদক্ষেপ নিয়েছে তারা।
সুইজারল্যান্ডের বরফ নিয়ে গবেষণা করা এক বিজ্ঞানী জানান, চাদর দিয়ে মোট এক লাখ বর্গ মিটার এলাকা ঢাকা হয়েছে। কয়েক বছর ধরেই এই কাজ করছে তারা। এবার অতিরিক্ত ৩০ হাজার বর্গ মিটার এলাকা চাদরে ঢাকা হয়েছে। এই বরফের অঞ্চল যাতে প্রাকৃতিক রক্ষক হিসেবে কাজ করে সেজন্য কম্বল দিয়ে ঢাকা হচ্ছে। গেল শীতে যে পরিমাণ বরফ জমেছে তা রক্ষা করতেই এ উদ্যোগ।
কয়েক দশকে সেখানকার তিন হাজার ২৩৮ মিটার উঁচু পর্বতের অনেক বেশি বরফ গলে গেছে। আগামী ৫০ বছরে পর্বতের সব বরফ গলে যাবে বলে আশঙ্কা করছে বিজ্ঞানীরা। যতই দিন যাচ্ছে, ততই বরফের চাদর কম্বল দিয়ে ঢেকে দেওয়ার প্রয়োজন পড়ছে। এই বরফের স্তর পলিস্টারের কম্বলে ঢেকে ফেলতে টানা ৫ থেকে ৬ সপ্তাহ কাজ করছে কর্মীরা। এতে করে শীতকালে জমা বরফ গ্রীষ্মকালেও গলছে না।
এখন এক লাখ বর্গ মিটার এলাকা চাদরে ঢাকা। যা ১৪টি ফুটবল মাঠের সমান। এই চাদর সূর্যের আলোকে প্রতিফলিত করে বায়ুমণ্ডলে পাঠিয়ে দেয়। সংগ্রহ করা বরফ আবার ভেঙে যাওয়া হিমবাহ পরিপূর্ণ করতে কাজে লাগাচ্ছে বিজ্ঞানীরা। ওই অঞ্চল একসময় পুরোটাই বরফে ঢাকা থাকত। গেল ৩০ বছরে আশঙ্কাজনক হারে কমেছে বরফ।
সংশ্লিষ্টরা বলছে, অনেক কষ্টে হিমবাহগুলো গলন থেকে বাঁচিয়ে রাখা হচ্ছে। তবে ২০৫০ সালে কোনো বরফের স্তর থাকবে না। ২০৬০ সাল নাগাদ পুরো এলাকাতেই কোনো হিমবাহ থাকবে না।
এসএন
অন্যান্য
জামায়াত নিষিদ্ধের প্রতিবাদ জানিয়েছে ১২ দলীয় জোট
সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ১৮/১ ধারায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ১২ দলীয় জোট।
বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
১২ দলীয় জোটের প্রধান ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবির নিষিদ্ধের সরকারি প্রজ্ঞাপন প্রমাণ করেছে এই দেশে এখন আর কোনো গণতন্ত্রের চর্চা নাই। আমরা ১২ দলীয় জোটের পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
তিনি বলেন, সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ১৮/১ ধারায় কোনো রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করতে হলে সবার আগে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। কারণ আওয়ামী লীগ এই দেশে প্রকাশ্যে সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করে। ফ্যাসিস্ট সরকারের এই সিদ্ধান্ত ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধের পথ উন্মুক্ত করে দিয়েছে।
মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, ১৪ দলের বৈঠকে আওয়ামী লীগ কোন নিয়মে জামায়াতকে নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে তা আমাদের কাছে বিস্ময়ের। তাদের সিদ্ধান্তের আলোকে বিনাভোটের অগণতান্ত্রিক সরকার আরো একটি অগণতান্ত্রিক সিদ্ধান্তের কালো অধ্যায় রচিত করলো। জাতির সামনে প্রশ্ন, বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক রাজনীতি করার জন্য আওয়ামী লীগের থেকে অনুমতি নিতে হবে?
তিনি বলেন, সরকার সম্পূর্ণ বিনা কারণে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করেছে। তারা আগামীতে বিএনপিসহ সব গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলকেও একই পন্থায় নিষিদ্ধ করতে পারে। আওয়ামী লীগ তাদের গোলামদের সঙ্গে নিয়ে এক দলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম করতে চায়। আমরা সরকারের এই অগণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারি না। অবিলম্বে এই সিদ্ধান্ত বাতিলের জোর দাবি জানাচ্ছি।
এএম/
অন্যান্য
রাজকীয় অভ্যর্থনা বলে কথা! প্রেমিকাকে হাঁটালেন টাকার কার্পেটে
নিজের প্রিয়জন বলে কথা। প্রিয় মানুষের মন জোগাতে কত কিছুই না করে থাকেন প্রেমিক পুরুষরা। আর বিত্তশালী প্রেমিক হলেতো কথাই নেই। নিজের মনের মানুষকে স্বর্গীয় সুখের ভেলায় ভাসাতে বিলাসিতা আর শখের বসে বিচিত্র কাণ্ড করে বসেন।
এমনই এক কাণ্ড ঘটিয়ে নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হয়েছেন রাশিয়ার এক ধনকুবের উদ্যোক্তা কাম কন্টেন্ট ক্রিয়েটর। নিজের প্রেমিকাকে রাজকীয় অভ্যর্থনা জানাতে তাকে হেলিকপ্টার থেকে নামিয়ে টাকার কার্পেটের ওপর দিয়ে হাঁটিয়েছেন ওই ধনকুবের। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে এমন দৃশ্য দেখা যাচ্ছে।
এনডিটিভি, হিন্দুস্তান টাইমসসহ একাধিক ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি বেশ পুরোনো।সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইভিত্তিক এই রুশ ব্যবসায়ী- উদ্যোক্তার এ ভিডিও ছড়িয়ে পড়ায় বিষয়টি নিয়ে তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। নেটিজেনরা রুশ ইনফ্লুয়েন্সারদের এমন ভিডিওর ব্যাপক সমালোচনা করেছেন। তারা এটিকে ‘জঘন্য’ বলেও মন্তব্য করেছেন।
সোশ্যাল মিডিয়া ইনস্টাগ্রামে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটি শেয়ার করেছেন বর্তমানে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে বসবাসরত রুশ উদ্যোক্তা ও সোশ্যাল মিডিয়া ব্যক্তিত্ব সের্গেই কোসেনকো। তিনি ‘‘মিস্টার থ্যাংক ইউ’’ নামেও পরিচিত। নিজের প্রেমিকাকে রাজকীয় অভ্যর্থনা জানাতে টাকার বান্ডিল দিয়ে সাজানো কার্পেটের ওপর দিয়ে হাঁটিয়েছেন।
ভিডিওতে দেখা যায়, রুশ ওই ইনফ্লুয়েন্সারের প্রেমিকা হেলিকপ্টার থেকে নামেন। এরপর তার হাত ধরে তিনি নগদ টাকার স্তূপের তৈরি কার্পেটের ওপর দিয়ে হেঁটে যান। ভিডিওর ক্যাপশনে ভালোবাসার ইমোজি দেওয়া হয়েছে।
পুরোনো এ ভিডিওটি নতুন করে ছড়িয়ে পড়ার পর নেটিজেনরা টাকার কার্পেট ব্যবহারে বিরক্তি জানিয়েছেন। কেউ কেউ বলছেন, ‘সম্পদের কুৎসিত প্রদর্শন করেছেন ওই জুটি।’
নেটিজেনদের অনেকে বলছেন, ‘ভিডিওতে ব্যবহার করা নোটগুলো জাল ছিল। তবে আসলে এগুলো জাল কি না তা স্পষ্ট জানা যায়নি।’
নেটিজেনদের একজন লিখেছেন, ‘টাকার মূল্য বুঝতে চেষ্টা করুন। তুমি ধনকুবের হতে পারো কিন্তু তার মানে এই নয় যে, তুমি এভঅবে অর্থ খরচ বা অপচয় করবে। এর পরিবের্তে তুমি শতশত পরিবারের ভাগ্য বদলাতে সহায়তা করতে পারো। অথবা হাজারো ক্ষধার্তর মুখে খাবার তুলে দিতে পারো।’
শেয়ার করা ভিডিওতে ওই রুশ তরুণ ইনস্টাগ্রামে নিজেকে একজন গায়ক, উদ্যোক্তা ও ক্রিয়েটর হিসেবে বর্ণনা করেছেন। ইনস্টাগ্রামে তার চার কোটিরও বেশি ফলোয়ার রয়েছে।
এমআর//
অন্যান্য
স্ত্রীকে গিলে খেলো অজগর, পেট কেটে বের করলেন স্বামী
গহীন জঙ্গলের ভেতর দিয়ে বাজারে যাওয়ার সময় ফরিদা নামে এক নারীকে জীবন্ত গিলে খেয়েছে একটি অজগর সাপ। পরে ওই অজগর সাপটিকে ধরে তার পেট কেটে ওই নারীর মরদেহ বের করা হয়। বৃহস্পতিবার (৬ জুন) ইন্দোনেশিয়ার কালেম্পাংয়ে এই ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইলের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বৃহস্পতিবার(৬ জুন) বাজারের উদ্দেশে বের হন ফরিদা নামে এক নারী । তবে সন্ধ্যা হয়ে গেলেও বাড়ি না ফেরায় বিষয়টি প্রতিবেশিদের জানান ফরিদার স্বামী ননি। এরপরই চার সন্তানের মা ফরিদার খোঁজে পরিবারের অন্যসদস্যসহ প্রতিবেশিরা বেরিয়ে পড়েন।
খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে শুক্রবার ফরিদার স্বামী ননি বনের মধ্যে একটি গাছের নিচে ২০ ফুট লম্বা একটি অজগর সাপ দেখতে পান। এটির পেট অতিরিক্ত ফোলা থাকায় ননির মনে সন্দেহ হয় সাপটি ফরিদাকে জীবন্ত গিলে খেয়ে থাকতে পারে। পরে প্রেতিবেশিরা সাপের পেট কেটে ওই নারীর মরদেহ বের করে আনেন।
ননি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘ ওকে আমি একা বাইরে যেতে দিয়েছি-এটাই আমার আজীবনের দুঃখ। আমি ওর সাথে থাকলে সাপটা হামলা করার সাহস পেত না।
গ্রামপ্রধান সুয়ার্দি রোসি ডেইলি মেইলকে বলেন, ওই দিন ফরিদা বাজারের উদ্দেশ্যে বের হয়ে বাড়ি না ফেরায় গ্রামের সবাই তার খোঁজ করতে থাকেন। ফরিদার স্বামী জঙ্গলে খোঁজ করার সময় একটি অজগর সাপ দেখতে পান। ওই সাপটির পেট অস্বাভাবিক ফোলা থাকায় তার মনে সন্দেহ হয়-সাপটি তার স্ত্রীকে হয়তো জীবন্ত খেয়ে ফেলেছে। তার সন্দেহের কথা জানালে সবাই মিলে ওই সাপটিকে ধরা হয় এবং চাপাতি দিয়ে সাপটির পেট কেটে ফরিদার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে ফরিদার মরদেহ বাড়ি নিয়ে কবর দেওয়া হয়।
এমআর//