আইন-বিচার
ঢাকা বার নির্বাচনে আওয়ামীলীগ সমর্থিত পরিষদ পূর্ণ প্যানেলে জয়ী
ঢাকা আইনজীবী সমিতির (ঢাকা বার) ২০২৩-২৪ বর্ষের কার্যকরী কমিটির নির্বাচনে আওয়ামীলীগ সমর্থিত বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ পূর্ণ প্যানেলে জয়ী হয়েছে।
ভোট গণনা শেষে শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে ফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও ঢাকার মহানগর পিপি অ্যাডভোকেট মো. আব্দুল্লাহ আবু।
নির্বাচনে সভাপতি পদে এডভোকেট মিজানুর রহমান মামুন ও সাধারণ সম্পাদক খন্দকার গোলাম কিবরিয়া জুবায়ের নির্বাচিত হন। বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ মনোনীত সাদা প্যানেলের প্রার্থীরা সব কয়টি পদেই জয়ী হয়েছেন।
অন্যান্য পদে বিজয়ীগণ হলেন- সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে রুমানা জামান রীতু, সহ-সভাপতি শ্রী প্রাণ নাথ, ট্রেজারার বিবি ফাতেমা (মুন্নী), সিনিয়র সহ-সাধারণ সম্পাদক ফাহিম শরীফ, সহ-সাধারণ সম্পাদক মো. মাহবুব হোসেন (জয়), লাইব্রেরি সম্পাদক মো. রেজাউল হক মিয়া (রিপন), সাংস্কৃতিক সম্পাদক শিখা ইসলাম, দফতর সম্পাদক মো. গোলাম কিবরিয়া (সুমন), ক্রীড়া সম্পাদক এস এম মিজানুর রহমান ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক পদে মো. আবুল হাসনাত (জিহাদ) জয় পেয়েছেন। এছাড়া সদস্য পদে গাজী ইমরুল, জহির উদ্দিন, আশিফুল ইসলাম (মুরাদ), আসলাম হোসেন, মো. কামাল হোসেন, তানজির হোসেন (রবিন), মোছা. ইসমত আরা শারমিন (রীমু), নাসির উদ্দিন, সঞ্জয় কুমার কর্মকার, শারমিন সুলতানা টুম্পা ও ইয়াসিন জাহান (নিশান) বিজয়ী হয়েছেন।
এর আগে বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ও বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে মাঝে এক ঘণ্টা বিরতি দিয়ে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলে। দুইদিনে মোট ১৯ হাজার ৬১৮ ভোটারের মধ্যে নয় হাজার ২৪৩ জন আইনজীবী ভোট দেন। শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আইনজীবী সমিতির কার্যালয়ে ভোট গণনা শুরু হয়।
নির্বাচনে ২৩টি পদের বিপরীতে প্রার্থী ছিলেন ৪৬ জন। আওয়ামী লীগ সমর্থিত বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ সমর্থিত সাদা প্যানেল এবং বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য নীল প্যানেল নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতা করে।
তবে কারচুপির অভিযোগ তুলে প্রথম দিনের ভোট গ্রহণ শেষে রাতে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন নীল প্যানেল।
সূত্র: বাসস
আইন-বিচার
নতুন অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান
রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান।
বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাকে এ নিয়োগ দেন।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, ‘রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয় আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামানকে পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত অ্যাটর্নি জেনারেল পদে নিয়োগ প্রদান করলেন।’
উল্লেখ্য, আ.লীগ সরকারের পতনের পর পদত্যাগ করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। বুধবার (০৭ আগস্ট) রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। তার স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন মো. আসাদুজ্জামান।
২০২০ সালের ৮ অক্টোবর রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এ এম আমিন উদ্দিনকে অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেন। এর আগে তিনি ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
এসি//
আইন-বিচার
পদত্যাগ করেছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর
পদত্যাগ করেছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর। বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন।
পদত্যাগ করার বিষয়টি এস এম মুনীর নিজেই গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও আরেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মো. মোরসেদ পদত্যাগ করেন।
২০২০ সালের ১ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক এবং জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম মুনীরকে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।
প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার চূড়ান্ত আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেশত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। গেলো ৫ আগস্ট দুপুর আড়াইটায় বঙ্গভবন থেকে একটি সামরিক হেলিকপ্টার তাকে নিয়ে ভারতের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। এ সময় তার সঙ্গে তার ছোট বোন শেখ রেহানা ছিলেন। ভারতে যাওয়ার আগে রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র দেন শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে বড় বড় পদে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। আবার অনেকেই স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করছেন।
এসি//
আইন-বিচার
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণের সেই ভাস্কর্যটি উপড়ে ফেলা হয়েছে
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে হাইকোর্ট এনেক্স ভবনের সামনে থাকা গ্রিক দেবী থেমিসের ভাস্কর্যটি ভাঙচুরের পর উপড়ে ফেলা হয়েছে।তবে কে বা কারা ভাস্কর্যটি ভেঙেছে তা জানা যায়নি।
বুধবার (৭ আগস্ট) দুপুরে ভাস্কর্যটি মাটিতে পরে থাকতে দেখা যায়। এর আগে,গেলো মঙ্গলবার সকালে ইস্পাতের তৈরি ভাস্কর্যটির হাত ও দাঁড়িপাল্লা ধরে থাকা হাত ভাঙা অবস্থায় দেখা গিয়েছিলো।
সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তা জানান, গ্রিক দেবী থেমিসের আদলে ন্যায়বিচারের প্রতীক হিসেবে গড়ে তোলা ভাস্কর্যটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। তবে কে বা কারা এটি করেছেন, তা তাদের জানা নেই।
এর আগে ২০১৬ সালের ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টে প্রবেশের মূল ফটকের বরাবর থাকা লিলি ফোয়ারায় প্রথমে ভাস্কর্যটি বসানো হয়। হেফাজতসহ কয়েকটি ইসলামি সংগঠনের দাবির মুখে ২০১৭ সালের মে মাসে ভাস্কর্যটি সরিয়ে এনেক্স ভবনের সামনে স্থাপন করা হয়।
আই/এ
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন