অপরাধ
নোয়াখালীতে ভাইরাল ভিডিও দেখে ৪ অস্ত্রধারীকে গ্রেপ্তার
নোয়াখালীর মাইজদী শহরে জেলা আওয়ামী লীগের তিনটি গ্রুপের সমাবেশকে কেন্দ্র করে দলীয় কর্মীদের অবৈধ অস্ত্রের মহড়া প্রদর্শনের ভিডিওর সূত্র ধরে অবৈধ অস্ত্র প্রদর্শনকারী ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- উপজেলার কাদির হানিফ ইউনিয়নের মৃত মিজানুর রহমানের ছেলে মো. রাফেজ (২৫), বেগমগঞ্জের চৌমুহনী পৌরসভার পৌর হাজীপুর এলাকার মৃত শাহজাহানের ছেলে মো.আবুল হায়াত রায়হান ওরফে খালাশী রায়হান (২৬), সদর উপজেলার পশ্চিম শুল্যকিয়া গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে মো. ইউনুছ (৪০), উপজেলার কাশিপুর গ্রামের মৃত নুর মোহাম্মদের ছেলে নুরুল আমিন (৩৯)।
তাদের বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার নোয়াখালীর দুটি উপজেলায় পৃথক অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়।
বৃহস্পতিবার দুপুর ২টায় সুধারাম থানার ওসি মো.সাহেদ উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
জেলা পুলিশ প্রশাসন জানায়, নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের ৩টি গ্রুপ একই স্থানে একই সময়ে কর্মসূচি ঘোষণা দেয়। ঘোষিত কর্মসূচি সফল করার জন্য বিকালে এমপি একরামুল করিম চৌধুরী গ্রুপ, মেয়র শহিদ উল্যা খান সোহেলের গ্রুপ এবং অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহিনের গ্রুপের মধ্যে ত্রিমুখী ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য শটগান দিয়ে গুলি করে।
এ সময় অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহিনের অনুসারী এক কর্মী প্রকাশ্যে পিস্তল উঁচিয়ে প্রদর্শন করে। যার ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। পরে এ ঘটনায় সুধারাম থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক কামাল উদ্দিন বাদী হয়ে সুধারাম থানার একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে উক্ত ভিডিও ক্লিপ সংগ্রহ করে। ভিডিও ক্লিপ পর্যালোচনা করে অবৈধ অস্ত্র প্রদর্শনকারী ৬ মামলার আসামি মো. রাফেজকে শনাক্ত করে। পরবর্তীতে অভিযান চালিয়ে পুলিশ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করে।
এমএম/
অপরাধ
রাজধানীতে বস্তা ভর্তি টাকাসহ একটি গাড়ি আটক করলেন শিক্ষার্থীরা
রাজধানীর উত্তরায় একটি প্রাইভেটকার থেকে এক বস্তা টাকাসহ একটি শটগান উদ্ধার করেছেন শিক্ষার্থীরা। এই ঘটনায় তিনজনকে হেফাজতে নিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।
বুধবার (৭ আগস্ট) এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা গণমাধ্যমে জানান, রাজধানীর উত্তরার একটি বাসার গ্যারেজ থেকে গাড়িটি জব্দ করা হয়। এ সময় তিনজনকে হেফাজতে নেয় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। পরে গাড়ি থেকে এক বস্তা টাকা উদ্ধার করে হেফাজতে নেন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। এ সময় স্থানীয় জনতা ও শিক্ষার্থীরা উল্লাস করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান, আওয়ামী লীগ ঘরোয়ানার একটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের এমডির গাড়ি থেকে এ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। গাড়ি থেকে এক বস্তা টাকাসহ একটি শটগান উদ্ধার করে উত্তরা টাউন কলেজের শিক্ষার্থীসহ অনান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
এএম/
অপরাধ
কাশিমপুর কারাগার থেকে পালিয়েছে ২০৯ বন্দি, নিহত ৬
গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ২০৯ জন বন্দি পালিয়েছেন। পালিয়ে যাওয়ার সময় নিরাপত্তাকর্মীদের গুলিতে ছয়জন বন্দি নিহত হয়েছেন।
বুধবার (৭ আগস্ট) বিকেলে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান,গেলো মঙ্গলবার বিকেলে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের বন্দিরা কারাগার ভেঙে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কারারক্ষীরা তাদের নিভৃত করার চেষ্টা করলে বন্দিরা কারারক্ষীদের ওপর চড়াও হয়। বন্দিদের কেউ দেয়াল ভেঙে, কেউ দেয়াল টপকে, আবার কেউ দেয়ালের সঙ্গে বিদ্যুতের পাইপ লাগিয়ে কারারক্ষীদের মারধর করে পালিয়ে যেতে চান।
একপর্যায়ে সেনাবাহিনীকে খবর দিলে তারা কমান্ডো অভিযান চালিয়ে বিদ্রোহ দমন করেন।এসময়ে বন্দিদের মধ্যে ২০৯ জন দেয়াল টপকে পালিয়ে গেছে।বন্দিদের ঠেকাতে নিরাপত্তাকর্মীদের গুলিতে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, নিহতদের নাম পরিচয় পরে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন সিনিয়র জেল সুপার।
আই/এ
অপরাধ
কাশিমপুর কারাগারে তীব্র উত্তেজনা, সেনাবাহিনীর শক্ত অবস্থান
গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে বন্দিরা মুক্তির দাবিতে উত্তেজনা শুরু করেছেন। কারারক্ষীদের জিম্মি করে অনেকে দলবদ্ধভাবে বের হয়ে আসার চেষ্টা করছেন। খবর পেয়ে সেনা সদস্যরা এসে প্রাথমিকভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) দুপুরের দিকে এ পরিস্থিতি দেখা গেছে। এসময়ে ওই এলাকার আকাশে হেলিকপ্টার চক্কর দিতে দেখা যায়।
কারা কর্তৃপক্ষ জানান, কাশিমপুর কারা কমপ্লেক্সে পৃথক চারটি কারাগার রয়েছে। এর মধ্যে বিডিআর বিদ্রোহ মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি, ফাঁসি ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত দুর্ধর্ষ জঙ্গি বন্দিরা রয়েছে। এছাড়া রাজনৈতিক মামলায় গ্রেপ্তার অনেক নেতাকর্মীও ওই কারাগারে রয়েছে।
জানা যায়, বেলা ১১টার দিকে কিছু বন্দি কারাগারের অভ্যন্তরে থাকা কারারক্ষীদের জিম্মি করে মুক্তির দাবিতে বিদ্রোহ শুরু করে। এসময়ে কারারক্ষীরা তাদের শান্ত করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। আগে থেকেই সেখানে অল্প সংখ্যক সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাদের নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেন। উত্তেজনা আরও বেড়ে গেলে দুপুর দেড়টার দিকে অতিরিক্ত সেনা সদস্য হেলিকপ্টার যোগে কারা অভ্যন্তরে এসে বন্দিদের নিয়ন্ত্রণ করেন।
প্রসঙ্গত, কারা অভ্যন্তরে বিদ্রোহের খবর পেয়ে বন্দিদের স্বজনরা সকাল থেকেই কারাগারের সামনে অবস্থান করেন। এ সময় তাদের সঙ্গে আন্দোলনকারীরা যোগ দিয়ে বিক্ষোভ করে। কারাগারের বাইরে একটি ঝুট গুদামে অগ্নিসংযোগ করা হয়। পরে সেনা সদস্যরা বাইরের বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া করে ছত্রভঙ্গ করে দেন।
আই/এ