দুর্ঘটনা
ঘুরতে বের হয়ে লাশ হয়ে ফিরলেন তিন বন্ধুসহ ৪ জন
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরতে বের হয়ে তিন বন্ধুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। এদিকে সদর উপজেলার মুক্তারপুর ব্রিজের ওপর আরেক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। এ সময় আরেকজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (০৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় সিরাজদিখান উপজেলার ইমামগঞ্জ ব্রিজে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে অটোরিকশাকে ধাক্কা দিলে তিন বন্ধু গুরুতর আহত হন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে অপর বন্ধু চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
নিহতরা হলেন- উপজেলার রশুনিয়া গ্রামের মো. জাকির হোসেনের ছেলে হাফিজুর রহমান আকাশ (১৯), ডাকাতিয়াপাড়া গ্রামের মো. মিনু খানের ছেলে ইয়ামিন (১৮) এবং ঢাকার মিরপুরের মো. মোস্তফা সিকদারের ছেলে রায়হান (২০)।
নিহত আকাশের ভাই জাকির হোসেন বলেন, ওরা তিন বন্ধু মিলে মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরতে বের হয়েছিল। ইমামগঞ্জ ব্রিজ এলাকায় গেলে ওদের মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি অটোরিকশাকে ধাক্কা দেয়। এ সময় তিনজনই গুরুতর আহত হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন।
সিরাজদিখান থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নয়ন মিয়া বলেন, মোটরসাইকেলটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে অটোরিকশার সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে ব্রিজের রেলিংয়ে আছড়ে পড়ে। এতে তিনজন গুরুতর আহত হন। এ সময় স্থানীয় জনতা ও পুলিশ তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। পথে দুজন মারা যান এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে আরেকজন মারা গেছেন বলে জানা গেছে।
এদিকে মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার মুক্তারপুর-ধলেশ্বরী সেতুতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় একজন নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (০৯ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টার দিকে মুক্তারপুর-ধলেশ্বরী সেতুর এলাইড কোল্ড স্টোর সাইডে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার কিছুক্ষণ পর চরমুক্তারপুর এলাকার দিদার নামে এক ব্যক্তি আহত দুইজনকে পুলিশের সহযোগিতায় মুন্সিগঞ্জ সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন।
দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন ফতুল্লা থানার গোপচর এলাকার কুরেরপার গ্রামের খোরশেদ মিয়ার ছেলে আব্দুল্লাহ এবং একই এলাকার আব্দুল আজিজের ছেলে মালেক। আহত আব্দুল্লাহ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। মালেককে গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে মুন্সিগঞ্জ ট্রাফিক পুলিশের টিআই বজলুর রহমান জানান, মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় দুই আরোহী আহত হওয়ার খবর শুনেছি। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
মুক্তা মাহমুদ
চট্টগ্রাম
কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় প্রাণ হারালেন দুই সাইকেল আরোহী
কর্ণফুলীতে পণ্যবাহী কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় দুই সাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। কাভার্ডভ্যানটি আটক করা হয়েছে।
বুধবার (৭ আগস্ট) বেলা একটার দিকে চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের ইছানগর বাংলাবাজার এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলার নন্দনালী গ্রামের কামাল মণ্ডলের ছেলে চঞ্চল মণ্ডল (১৮) ও রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার ছোট পাগলা গ্রামের মোহাম্মদ আবদুল জলিলের ছেলে জাহিদুল ইসলাম (১৬)। তারা কর্ণফুলী উপজেলার ইছানগর গ্রামে ভাড়া বাসায় থাকতেন।
চরপাথরঘাটার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আবু তাহের গণমাধ্যমকে বলেন, দুপুরে তারা তিনজন সাইকেল চালিয়ে কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন। এ সময় কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই দুজন নিহত হয়। অপরজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে পাঠানো হয়। কাভার্ডভ্যানটি আটক করা হয়েছে।
এএম/
ঢাকা
মেঘনায় নিখোঁজ ৩ জনের মধ্যে ২ জনের লাশ উদ্ধার
শরীয়তপুরের মেঘনা নদীতে বরযাত্রীবাহী একটি ট্রলারডুবির ঘটনায় নিখোঁজ তিন জনের মধ্যে দুই জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিখোঁজের মধ্যে ছিলেন বর সানজুসহ তার ভাই শাওন ও বন্ধু হৃদয়। এর মধ্যে জেলেদের জালে বরের ভাই শাওন ও বন্ধু হৃদয় বেপারীর মরদেহ উদ্ধার হলেও এখনও নিখোঁজ রয়েছেন বর সানজু।
শনিবার (৩ আগস্ট) বেলা ১১টার সময় গোসাইরহাট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পুষ্পেন দেবনাথ বিষয়টি গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন।
উদ্ধার হওয়া শাওন পুরান ঢাকার ধোলাইখালের শাহজাহান বেপারীর ছেলে ও হৃদয় একই এলাকার বলু বেপারীর ছেলে। এ নিয়ে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত একই পরিবারের ৩জন সহ ৪ জনের মরদেহ উদ্ধার হলো। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন আরও ১ জন।
গেলো শুক্রবার বিয়ের জন্য মেয়ে দেখতে এসে ট্রলারডুবির ঘটনায় নিহত হন বরের মা, বোন, ভাই ও বন্ধু। এর আগে সকাল ১০টায় কোদালপুর লঞ্চ ঘাট থেকে মাঝেরচর যাওয়ার সময় মেঘনায় দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় (স্রোতের) ডুবে ট্রলারটি। এসময়ে ট্রলারটিতে ১১ জন যাত্রী ছিলো বলে জানা যায়।
উল্লেখ্য, আহত অবস্থায় উদ্ধার হওয়া ৫ জন বর্তমানে গোসাইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
এএম/
দুর্ঘটনা
বাস-ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে রাজবাড়ীতে নিহত ২
রাজবাড়ীতে যাত্রীবাহী বাস ও সিমেন্ট বোঝাই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন। দুর্ঘটনায় আরও কয়েজন আহত হয়েছেন। তবে তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি।
শুক্রবার (২ আগস্ট) সকাল ৮টায় রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের আহলাদিপুর টিটিসি ভবনের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। রাজবাড়ী আহলাদিপুর হাইওয়ে থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) জুয়েল রানা বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, আজ সকাল ৮ টার দিকে কুষ্টিয়া থেকে ফরিদপুরগামী লোকাল আমানত শাহ নামের একটি বাস সদর উপজেলার রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের আহলাদিপুর টিটিসি ভবনের সামনে এলে, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা কুষ্টিয়াগামী সিমেন্ট বোঝাই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় ঘটনাস্থলেই একজন নিহত হন। আহত হন আরও ৪-৫ জন। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন।
হাইওয়ে থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) জুয়েল রানা বলেন, আহতদের রাজবাড়ী সদর হাসপাতাল ও ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। চালক ও হেলপাররা পলাতক রয়েছে ।
রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের নার্সিং সুপারভাইজার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, মৃত অবস্থায় হাসপাতালে একজনকে নিয়ে আসা হয়। আহত অবস্থায় ছয়জনকে হাসপাতালে আনলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও একজনের মৃত্যু ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় দুইজনকে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মেডিকেল হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। তিনজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি চলে গেছেন।
জেডএস/