অপরাধ
বেরোবির শিক্ষক-শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাতে আহত করার প্রধান আসামী গ্রেপ্তার
রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর উপর হামলা চালিয়ে কুপিয়ে গুরতর আহত করে নগদ অর্থ ও দুটি মোবাইল ফোন ছিনতাই করার ঘটনার প্রধান আসামী রিফাত হোসেন ওরফে আলিফকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সেইসাথে উদ্ধার করা হয়েছে ছিনতাই কাজে ব্যাবহৃত চাপাতি, দুটি মোবাইল ফোন ও ছিনতাই করা টাকার ভাগ পাওয়া ৭শ টাকা।
শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রংপুর নগরীর পায়রা চত্বরে অবস্থিত উপ পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান উপ পুলিশ কমিশনার মারুফুল ইসলাম । এ সময় পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশ জানান, শুক্রবার রাত আড়াইটার দিকে রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের জেন্ডার এন্ড ষ্টাটিজ বিভাগের দশম ব্যাচের শিক্ষার্থী পরাগ মাহমুদ তার রুমে গেষ্ট আসায় বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন একটি প্রাইভেট মেসে থাকার জন্য যাবার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান গেট সংলগ্ন পার্কের মোড় এলাকায় পৌছলে একদল সন্ত্রাসী তার পথ রোধ করে চাপাতি দিয়ে তাকে উপর্যুপরি কুপিয়ে গুরতর আহত করে। তার কাছে থাকা নগদ অর্থ ও মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। এদিকে ভোরে ফজরের নামাজ পড়ে মনিং ওর্য়াক করতে যাবার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস প্রত্নতত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মনিরুজ্জামান বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন লালবাগ এলাকায় একদল সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে তাকে উপর্যুরি কুপিয়ে গুরতর আহত করে। তার কাছে থাকা নগদ অর্থ ও মোবাইল ফোন ছিনতাই করে নিয়ে যায়। গুরতর আহত শিক্ষক ও শিক্ষার্থীকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে শুক্রবার বিকেলে শিক্ষার্থী পরাগ মাহমুদকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়। এ ঘটনায় তাজহাট থানায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়।
পুলিশ জানান, এ ঘটনার পর পরেই পুলিশ নগরীর বিভিন্ন স্থানে অভি।যান চালায়। পরে বিকেলে ঘটনার প্রধান আসামী রিফাত হোসেন ওরফে আলিফকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার কাছ থেকে লুন্ঠিত মোবাইল ফোন ছিনতাই কাজে ব্যাবহৃত চাপাতি ও নগদ ৭শ টাকা উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আলিফ ঘটনরার নেতত্ব দেবার কথা এবং সরাসরি জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।
পুলিশ জানান, ঘটনার সাথে জড়িত অপর আসামীদের গ্রেপ্তার করার জন্য অভিযান চলছে।
রংপুর মেট্রোপলিটান পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার মারুফুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।
মুনিয়া
অপরাধ
রাজধানীতে বস্তা ভর্তি টাকাসহ একটি গাড়ি আটক করলেন শিক্ষার্থীরা
রাজধানীর উত্তরায় একটি প্রাইভেটকার থেকে এক বস্তা টাকাসহ একটি শটগান উদ্ধার করেছেন শিক্ষার্থীরা। এই ঘটনায় তিনজনকে হেফাজতে নিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।
বুধবার (৭ আগস্ট) এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা গণমাধ্যমে জানান, রাজধানীর উত্তরার একটি বাসার গ্যারেজ থেকে গাড়িটি জব্দ করা হয়। এ সময় তিনজনকে হেফাজতে নেয় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। পরে গাড়ি থেকে এক বস্তা টাকা উদ্ধার করে হেফাজতে নেন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। এ সময় স্থানীয় জনতা ও শিক্ষার্থীরা উল্লাস করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান, আওয়ামী লীগ ঘরোয়ানার একটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের এমডির গাড়ি থেকে এ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। গাড়ি থেকে এক বস্তা টাকাসহ একটি শটগান উদ্ধার করে উত্তরা টাউন কলেজের শিক্ষার্থীসহ অনান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
এএম/
অপরাধ
কাশিমপুর কারাগার থেকে পালিয়েছে ২০৯ বন্দি, নিহত ৬
গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ২০৯ জন বন্দি পালিয়েছেন। পালিয়ে যাওয়ার সময় নিরাপত্তাকর্মীদের গুলিতে ছয়জন বন্দি নিহত হয়েছেন।
বুধবার (৭ আগস্ট) বিকেলে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান,গেলো মঙ্গলবার বিকেলে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের বন্দিরা কারাগার ভেঙে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কারারক্ষীরা তাদের নিভৃত করার চেষ্টা করলে বন্দিরা কারারক্ষীদের ওপর চড়াও হয়। বন্দিদের কেউ দেয়াল ভেঙে, কেউ দেয়াল টপকে, আবার কেউ দেয়ালের সঙ্গে বিদ্যুতের পাইপ লাগিয়ে কারারক্ষীদের মারধর করে পালিয়ে যেতে চান।
একপর্যায়ে সেনাবাহিনীকে খবর দিলে তারা কমান্ডো অভিযান চালিয়ে বিদ্রোহ দমন করেন।এসময়ে বন্দিদের মধ্যে ২০৯ জন দেয়াল টপকে পালিয়ে গেছে।বন্দিদের ঠেকাতে নিরাপত্তাকর্মীদের গুলিতে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, নিহতদের নাম পরিচয় পরে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন সিনিয়র জেল সুপার।
আই/এ
অপরাধ
কাশিমপুর কারাগারে তীব্র উত্তেজনা, সেনাবাহিনীর শক্ত অবস্থান
গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে বন্দিরা মুক্তির দাবিতে উত্তেজনা শুরু করেছেন। কারারক্ষীদের জিম্মি করে অনেকে দলবদ্ধভাবে বের হয়ে আসার চেষ্টা করছেন। খবর পেয়ে সেনা সদস্যরা এসে প্রাথমিকভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) দুপুরের দিকে এ পরিস্থিতি দেখা গেছে। এসময়ে ওই এলাকার আকাশে হেলিকপ্টার চক্কর দিতে দেখা যায়।
কারা কর্তৃপক্ষ জানান, কাশিমপুর কারা কমপ্লেক্সে পৃথক চারটি কারাগার রয়েছে। এর মধ্যে বিডিআর বিদ্রোহ মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি, ফাঁসি ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত দুর্ধর্ষ জঙ্গি বন্দিরা রয়েছে। এছাড়া রাজনৈতিক মামলায় গ্রেপ্তার অনেক নেতাকর্মীও ওই কারাগারে রয়েছে।
জানা যায়, বেলা ১১টার দিকে কিছু বন্দি কারাগারের অভ্যন্তরে থাকা কারারক্ষীদের জিম্মি করে মুক্তির দাবিতে বিদ্রোহ শুরু করে। এসময়ে কারারক্ষীরা তাদের শান্ত করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। আগে থেকেই সেখানে অল্প সংখ্যক সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাদের নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেন। উত্তেজনা আরও বেড়ে গেলে দুপুর দেড়টার দিকে অতিরিক্ত সেনা সদস্য হেলিকপ্টার যোগে কারা অভ্যন্তরে এসে বন্দিদের নিয়ন্ত্রণ করেন।
প্রসঙ্গত, কারা অভ্যন্তরে বিদ্রোহের খবর পেয়ে বন্দিদের স্বজনরা সকাল থেকেই কারাগারের সামনে অবস্থান করেন। এ সময় তাদের সঙ্গে আন্দোলনকারীরা যোগ দিয়ে বিক্ষোভ করে। কারাগারের বাইরে একটি ঝুট গুদামে অগ্নিসংযোগ করা হয়। পরে সেনা সদস্যরা বাইরের বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া করে ছত্রভঙ্গ করে দেন।
আই/এ