ফুটবল
গ্যালারিতে বসে পিএসজির পয়েন্ট হারানো দেখলেন খেলাইফি
১.১০ বিলিয়ন ডলারের দল প্যারিস সেইন্ট জার্মেইন (পিএসজি)। ট্রান্সফার মার্কেটে ওলটপালট করা দলটিতে তারকার ছড়াছড়ি। প্রতিপক্ষ বেলজিয়ান ক্লাব ব্রুজেস। সর্বসাকুল্যে তাদের দলটির মূল্য ১৬৫ মিলিয়নের কিছু বেশি। কিন্তু অর্থ আর তারকার সমাহারই যে সাফল্যের দেখা পেতে যথেষ্ট নয় তার প্রমাণ ফরাসি ক্লাবটি। প্রতিপক্ষের মাঠ থেকে ফিরতে হয়েছে ড্র করে। যেখানে ম্যাচ শেষে টাকার অঙ্কে পিছিয়ে থাকা তারকাবিহীন ক্লাব ব্রুজেস পারফর্মেন্সের বিচারে যোজন-যোজন এগিয়ে।
কাকতালীয়ভাবে সতের বছর আগে এই চ্যাম্পিয়ন্স লিগেই নাম্বার থার্টি জার্সিতে শুরু হয়েছিলো মেসির। এদিনও ১৫০তম ম্যাচ খেলতে নামলেন সেই ত্রিশ নম্বর জার্সিতে। খালি দলটাই বদলেছে। বার্সেলোনার হয়ে ১৪৯ ম্যাচ খেলা আর্জেন্টাইন তারকার পিএসজির হয়ে প্রথম ম্যাচ। পুরো ম্যাচে মেসি সেভাবে জ্বলে উঠতে পারেননি। একটা শটে বাধা ক্রসবার। বল হারিয়েছেন ২৩ বার। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ অভিষেকটা আরও মলিন হয়েছে দ্বিতীয়ার্ধে ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখার কারণে।
তবে ফুটবলপ্রেমীদের প্রত্যাশা ছিলো অন্যকিছু। প্রথমবারের মতো একসঙ্গে শুরু করা মেসি-নেইমার-এম্বাপ্পে ত্রয়ীর সামনে প্রতিপক্ষ যে গোলের বন্যায় ভেসে যাবে তাই ছিলো সবার ধারণায়। হিসেব বদলে যায় মাঠের খেলায়। যদিও ব্রুজেসের মাঠে খেলার ১৫তম মিনিটেই কিলিয়ান এমবাপ্পের ক্রস থেকে আন্দের হেরেরা এগিয়ে দেন পিএসজিকে।
সেই লিড অবশ্য বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। মাত্র ১২ মিনিটের মধ্যে সমতা ফেরান ব্রুজেসের অধিনায়ক, বেলজিয়ান মিডফিল্ডার হান্স ভানাকেন। গর্জে ওঠে ২৯ হাজার স্বাগতিক দর্শক। এরপর থেকে স্বাগতিকদের প্রেসিং ফুটবল ভালই ভুগিয়েছে পিএসজিকে। একের পর এক আক্রমণে ব্যস্ত সময় পার করতে হয়েছে পিএসজি গোলরক্ষক কাইলর নাভাসকে। প্রথামার্ধে অবশ্য ফলাফল পরিবর্তন হয়নি। সমতায় থেকেই বিরতিতে যায় দুই দল।
দ্বিতীয়ার্ধের ৫১তম মিনিটে এমবাপ্পেকে তুলে নিয়ে কিছুটা কৌশলের পরিবর্তন আনার চেষ্টা করেন পচেত্তিনো। সাফল্যও অবশ্য পায়। আগের থেকে আক্রমণের ধার বাড়ালেও তা যথেষ্ট ছিলো না। ২০১৫ তে জুটি হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতা মেসি-নেইমারও শেষভাগে জ্বলে উঠতে শুরু করেছিলেন। কিন্তু ব্রুজেসের রক্ষণ দেয়াল ভাঙ্গতে পারেননি।
তারকাবহুল লাইনআপ নিয়েও প্রতিপক্ষের গোলমুখে মাত্র ৯টি শট নিতে পেরেছেন নেইমার-মেসিরা। অন্যদিকে ব্রুজেসের নেয়া শটের সংখ্যা ১৫টি! যার মধ্যে পাঁচটাই ছিলো অন টার্গেট। আর এমন পরিসংখ্যানে মেসি-নেইমার-এমবাপ্পেদের ছাপিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন ব্রুজেসের আনকোরা ডাচ উইঙ্গার নোয়া লাং! ড্র দিয়ে শুরু করায় এক প্রকার চাপেই পড়ে গেল পিএসজি। কারণ গ্রুপ 'এ' তে তাঁদের অন্য দুই প্রতিপক্ষের নাম যে বর্তমান ইপিএল চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটি ও বুন্দেসলিগা রানার্স আপ লাইপজিগ।
এস
ফুটবল
ফুটবলকে বিদায় জানালেন পেপে
সব ধরনের ফুটবল থেকে বিদায় নিলেন পর্তুগালের ডিফেন্ডার পেপে। বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি।
সর্বশেষ ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে পর্তুগালের ম্যাচটাই হয়ে রইল ৪১ বছর বয়সী এই ফুটবলারের ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ।
সে ম্যাচে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিয়েছিল পর্তুগাল। ইউরোর মূলপর্বে সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামার রেকর্ডও গড়েন তিনি।
পর্তুগালের হয়ে ১৪১ ম্যাচ খেলেছেন পেপে। জিতেছেন ২০১৬ ইউরো।
ফুটবল
বাফুফে থেকে পদত্যাগ করলেন সালাম মুর্শেদী
পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী। তিনি ২০০৮ সাল থেকে পদটিতে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এছাড়াও সালাম মুর্শেদী বাফুফের অর্থ কমিটি ও রেফারিজ কমিটির প্রধানও ছিলেন। এই দুটি পদ থেকেও তিনি পদত্যাগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সালাম মুর্শেদীর পদত্যাগের কথা জানায় বাফুফে। সালাম মুর্শেদী খুলনা–৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন।
ফুটবল
চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সংগঠক সাইদুর রহমান প্যাটেল
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অন্যতম সংগঠক ও উদ্যেক্তা সাইদুর রহমান প্যাটেল মারা গেছেন। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ছিলেন। হাসপাতালে থাকাকালীন সেসব ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করতেন তিনি। অবশেষে ৭৩ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন সাইদুর রহমান। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) শোক জানিয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সাইদুর রহমানের অবদান ছিল অনস্বীকার্য। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন স্থানে তহবিল তুলতেন সাইদুর রহমানরা। তারা ভারতে ঘুরে ঘুরে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের হয়ে প্রীতি ম্যাচ খেলতেন। সেখান থেকেও তহবিল সংগ্রহ করতো এই দলটি।
একজন ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রাখার লক্ষ্য নিয়েই স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠন করার উদ্যেগ নিয়েছিলেন সাইদুর রহমান প্যাটেলরা। এখানে খেলে যে অর্থ উত্তোলন হবে, তা মুক্তিযুদ্ধের জন্য গঠিত তহবিলে প্রদান করা হবে; এমনই ছিল স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সেসময়ের ভাবনা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ইচ্ছা ছিল সাইদুর রহমানের। সবশেষ সাধারণ নির্বাচনের আগেই অবশ্য চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাতে হয় তাকে। সেখানে লম্বা সময় ধরে চিকিৎসা নেওয়ার পর আর দেশে ফিরতে পারলেন না তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতেই নিজের জীবনের শেষ সময়টুকু কাটালেন।
সাইদুর রহমানের জন্ম ১৯৫১ সালের ৭ অক্টোবর। তিনি ঢাকার কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। পরে অবশ্য গেন্ডারিয়ায় চলে যায় তার পরিবার। গেন্ডারিয়াতেই বেড়ে উঠেছেন, স্থানীয় পর্যায়ে ফুটবল খেলতে খেলতে শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলেও নিজের জায়গা করে নেন। তিনি ঢাকার ইস্টএন্ডের হয়ে ফুটবল খেলেছেন। দ্বিতীয় বিভাগে ফরাশগঞ্জের হয়ে, প্রথম বিভাগে পিডব্লুডি’র হয়ে খেলেছেন সাইদুর রহমান প্যাটেল।
এম এইচ//