আওয়ামী লীগ
উন্নয়নের ছোঁয়া শুধু শহরে নয় গ্রামে পৌঁছে গেছে: তথ্যমন্ত্রী
বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাড়ে ১৩ বছরে বাংলাদেশকে বদলে দিয়েছেন। উন্নয়নের ছোঁয়া শুধু শহরে নয় গ্রামে পৌঁছে গেছে। বলেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, গ্রামগুলোও এখন শহরে পরিণত হয়েছে। গ্রামে এখন আর কাউকে খালি পায়ে দেখা যায় না। গ্রামের মানুষ এখন আর বাসি পান্তা ভাত খায় না। এটাই হচ্ছে শেখ হাসিনার বদলে দেওয়া বাংলাদেশ।
শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার ব্রজগোপাল টাউন হলে সাবেক এমপি মরহুম অধ্যক্ষ এম এম নজরুল ইসলামের ২৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, গ্রামে বসে এখন সারা বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়। মোবাইলের মাধ্যমে ঘরে বসেই টাকা লেনদেন করতে পারে সাধারণ মানুষ। ঘরে বসেই স্কুল-বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদন করতে পারছে মানুষ। এটাই হচ্ছে শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপির সিরিজ বৈঠক করছে। বিএনপি বলে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে না, কিন্তু কোনো সরকারের অধীনে কখনই নির্বাচন হয় না। নির্বাচন হয় নির্বাচন কমিশনের অধীনে। রাত ১২টার যারা টেলিভিশনে বড় বড় কথা বলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের স্বপ্ন দেখে সেটি কোনো দিন বাস্তবায়ন হবে না। সংবিধান অনুযায়ী আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনেই আগামী সংসদ নির্বাচন হবে।
তিনি আরও বলেন, চরফ্যাশন উপজেলার প্রকৃতিক সৌন্দর্য দেখে আমি মুগ্ধ। এখানে সারাদেশ থেকে পর্যটকরা আসেন। দেশের অন্যান্য অঞ্চলের মত চরফ্যাশনেও উন্নয়ন হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ হওয়ার কারণে সব কিছুই এখন হাতের নাগালে। এখন সুদূর কুকরি-মুকরি থেকেও অনলাইনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদন করা যায়। কৃষকরা ক্ষেতে বসেই কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে সমাধান পাচ্ছেন।
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ভোলা-৪ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব। এ সময় ভোলার জেলা প্রশাসক মো. তৌফিক-ই-লাহী চৌধুরী, পুলিশ সুপার সরকার মুহাম্মদ কায়সার, জেলা তথ্য কর্মকর্তা নুরুল আমিন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল-নোমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে তথ্যমন্ত্রী ভোলার সাবেক এমপি মরহুম অধ্যক্ষ এম এম নজরুল ইসলামের কবর জিয়ারত শেষে সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিদর্শন করেন। পাশাপাশি দৃষ্টিনন্দন শেখ রাসেল শিশু ও বিনোদন পার্ক, জ্যাকব টাওয়ার ও ফ্যাশন স্কয়ার পরিদর্শন করেন। এছাড়াও ভোলা ও চরফ্যাশন উপজেলার সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
আওয়ামী লীগ
শেখ হাসিনাকে নিয়ে যে নতুন বার্তা দিলেন জয়
এবার শেখ হাসিনার দেশের ফেরা নিয়ে নতুন বার্তা দিলেন জয়। অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচন আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিলেই দেশে ফিরবেন শেখ হাসিনা। তবে ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি অংশগ্রহণ করবেন কিনা সে সম্পর্কে স্পষ্ট কোনো বার্তা দেননি সজিব ওয়াজেদ জয়।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসব কথা বলেন তিনি।
জয় বলেন, রাজনীতি নিয়ে তার কখনওই উচ্চ আকাঙ্ক্ষা ছিল না। কিন্তু চলমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে নেতৃত্বের সংকট দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় দলের প্রয়োজনে তাকে সক্রিয় হতে হবে এবং সামনের সারিতে থেকেই কাজ করবেন।
এর আগে ছাত্র-জনতার গণ আন্দোলনের মুখে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে তার ছেলে জয় বিবিসিকে জানিয়েছিলেন “ মা আর দেশে ফিরবে না এবং রাজনীতি করবেন না”।
প্রসঙ্গত, শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর দেশের চলমান সংকট সমাধানে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আই/এ
আওয়ামী লীগ
আওয়ামী লীগকে শেষ করা সম্ভব নয় : জয়
আওয়ামী লীগ দেশের সবচেয়ে পুরোনো এবং বড় গণতান্ত্রিক দল। আওয়ামী লীগ কিন্তু মরে যায়নি। আওয়ামী লীগ এই দেশকে স্বাধীন করেছে। আওয়ামী লীগকে শেষ করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়।
বুধবার (৭ আগস্ট) নিজের ফেসবুক আইডিতে এক ভিডিও বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশে এখন একটি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি চলছে উল্ল্যেখ করে জয় বলেন, সারা দেশে ভাঙচুর হচ্ছে, লুটপাট হচ্ছে। শহরের বাইরে আমাদের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপর হামলা চলছে। অনেককে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, “আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর যেভাবে হামলা হচ্ছে, এই পরিস্থিতিতে আমরা হাল ছেড়ে দিতে পারি না। বাংলাদেশে যদি গণতন্ত্রের নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হয়, আওয়ামী লীগ ছাড়া সম্ভব নয়। আওয়ামী লীগ হচ্ছে সবচেয়ে বড় দল। আওয়ামী লীগ কোথাও যাবে না।”
আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে সজীব ওয়াজেদ বলেন, ‘আমি সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছি। আপনারা সবাই সাহস নিয়ে দাঁড়ান, আমরা আছি। বঙ্গবন্ধুর পরিবার কোথাও যায়নি। আমরা আপনাদের সঙ্গে আছি। দেশকে, আমাদের নেতা-কর্মীদের এবং আওয়ামী লীগকে রক্ষা করার জন্য যা প্রয়োজন আমরা করতে প্রস্তুত।’
বর্তমানে ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এই যে আমাদের বর্তমানে যারাই আছেন ক্ষমতায় তাঁদের আমি বলব, আমরাও একটি গণতান্ত্রিক, সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ দেশ চাই, জঙ্গিবাদ মুক্ত। তার জন্য আমরা সবার সঙ্গে আলোচনা করতে প্রস্তুত। শুধু তারা যদি জঙ্গিবাদ, ভায়োলেন্স (সহিংসতা) বাদ দেন। শেখ হাসিনা মরে যাননি। আমরা কোথাও যাইনি। বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ ছাড়া গণতন্ত্র, নির্বাচন সম্ভব না।’
আই/এ
আওয়ামী লীগ
ধৈর্য্য, সহনশীলতা মানে দুর্বলতা নয় : নানক
সরকার পতনের নামে বিএনপি-জামায়াত দেশে হত্যা ও ধ্বংস চালাতে চায় এবং দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিতে চায়। আওয়ামী লীগ ধৈর্যের শেষ সীমা পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। বলেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ঢাকা-১৩ আসনের সংসদ সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।
রোববার (৪ আগস্ট) বিকেল পৌনে ৫টায় ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, এই বিএনপি, জামায়াত-শিবির জঙ্গির উদ্দেশ্যে বলতে চাই, এই দেশমাতৃকাকে ভালোবেসে আমরা ধৈর্যের শেষ সীমা পর্যন্ত পৌঁছে গেছি। ধৈর্য, সহনশীলতা মানে দুর্বলতা নয়।
তিনি আরও বলেন, আমরা এই জঙ্গিগোষ্ঠীকে প্রতিরোধ করার জন্য দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি৷
নানক বলেন, রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিনষ্ট করবেন না। আমরা সংঘাত চাই না। শান্তি চাই। সকলকে দ্বায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে৷
তিনি বলেন, আমরা মোকাবিলা করব। এখন আর ঘরে বসে থাকার সময় নেই। যে যেখানে আছেন, দেশবিরোধী জামায়াত-শিবিরকে নির্মূল করতে হবে। আমাদের শরীরে শেষ রক্তবিন্দু থাকা পর্যন্ত এই আস্ফালন সহ্য করব না। গণতন্ত্র সংবিধান রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
এএম/