আওয়ামী লীগ
বিএনপিই নিজেদের ভালো থাকার পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে: কাদের
নেতিবাচক রাজনৈতিক মানসিকতার কারণে বিএনপিই নিজেদের ভালো থাকার পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বলেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
আরও বলেন, ক্ষমতার মোহে অন্ধ, মিথ্যাচার আর বিষোদগারকে যারা রোজনামচায় পরিণত করেছে, তারা মানুষের ভালো থাকা পছন্দ করবে না এটাই স্বাভাবিক।
বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) সরকারি নিজ বাসভবনে ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের মানুষ ভালো আছে বলেই মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীররা ভালো নেই। এজন্যই বিএনপি মহাসচিব কাল্পনিক অভিযোগ করে বলছেন, দেশের মানুষ ভালো নেই। আসলে দেশের মানুষ করোনার অভিঘাত মোকাবিলা করে ভালো আছে বলেই বিএনপি নেতাদের কষ্ট হচ্ছে।
তিনি বলেন, করোনার অভিঘাত মোকাবিলা করে জীবন এখন স্বাভাবিক ছন্দে ফিরে আসতে শুরু করেছে। অন্যদিকে বিএনপি গৃহকোণে বসে নসিহত করছে। তাদের এমন আচরণ একদিকে মানুষের এগিয়ে চলার উদ্যমকে ক্ষতিগ্রস্ত করে অপরদিকে নিজেদের হতাশাকে জাতির সামনে স্পষ্ট করছে। সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরানোর ভাঙা রেকর্ড জনগণ গত তেরো বছর শুনে আসছে। ঘরে বসে বিএনপি কৃষক, শ্রমিক আর সাংবাদিকদের জন্য মায়াকান্না দেখায়।
কৃষক নাকি উৎপাদিত পণ্যের মূল্য পায় না, বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এদেশে কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নে বঙ্গবন্ধু যা করেছেন সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কৃষিবান্ধব সরকার হিসেবে শেখ হাসিনা উৎপাদন, পণ্যমূল্য, পণ্য বাজারজাতকরণ, উপকরণ সরবরাহ, ঋণ ও প্রণোদনা প্রদানের মাধ্যমে দেশে এক অনন্য উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন বলেও জানান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।
তিনি বলেন, বিএনপির শাসনামলে উৎপাদনের জন্য সার চেয়ে পায়নি কৃষকরা। বরং কৃষকদের বুকে গুলি চালিয়েছিল বিএনপি। আজ তারা কৃষকদের জন্য মেকি দরদ দেখাচ্ছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, জাতিসংঘের সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সল্যুশনস নেটওয়ার্ক (এসডিএসএন) দারিদ্র্য দূরীকরণ, পৃথিবীর সুরক্ষা ও সবার জন্য শান্তি-সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে বাংলাদেশকে সঠিক পথে এগিয়ে নেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এসডিজি অগ্রগতি পুরস্কারে ভূষিত করেছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যের (এমডিজি) নানা ক্ষেত্রে সফলতা অর্জনের পর টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে দ্রুত এগিয়ে চলার ক্ষেত্রে যুগান্তকারী সাফল্যের জন্য এই বিশ্ব স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে এই অনন্য অর্জন মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে।
তিনি জানান, অর্থনীতিবিদ জেফ্রি স্যাক্স বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারি চলাকালে ও এসডিজি অর্জনে শেখ হাসিনার ঐকান্তিক প্রচেষ্টার জন্য তার নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
বিশ্ব পর্যায়ে বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য আওয়ামী লীগসহ দেশের সব মানুষের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানান।
আওয়ামী লীগ
শেখ হাসিনাকে নিয়ে যে নতুন বার্তা দিলেন জয়
এবার শেখ হাসিনার দেশের ফেরা নিয়ে নতুন বার্তা দিলেন জয়। অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচন আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিলেই দেশে ফিরবেন শেখ হাসিনা। তবে ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি অংশগ্রহণ করবেন কিনা সে সম্পর্কে স্পষ্ট কোনো বার্তা দেননি সজিব ওয়াজেদ জয়।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসব কথা বলেন তিনি।
জয় বলেন, রাজনীতি নিয়ে তার কখনওই উচ্চ আকাঙ্ক্ষা ছিল না। কিন্তু চলমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে নেতৃত্বের সংকট দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় দলের প্রয়োজনে তাকে সক্রিয় হতে হবে এবং সামনের সারিতে থেকেই কাজ করবেন।
এর আগে ছাত্র-জনতার গণ আন্দোলনের মুখে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে তার ছেলে জয় বিবিসিকে জানিয়েছিলেন “ মা আর দেশে ফিরবে না এবং রাজনীতি করবেন না”।
প্রসঙ্গত, শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর দেশের চলমান সংকট সমাধানে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আই/এ
আওয়ামী লীগ
আওয়ামী লীগকে শেষ করা সম্ভব নয় : জয়
আওয়ামী লীগ দেশের সবচেয়ে পুরোনো এবং বড় গণতান্ত্রিক দল। আওয়ামী লীগ কিন্তু মরে যায়নি। আওয়ামী লীগ এই দেশকে স্বাধীন করেছে। আওয়ামী লীগকে শেষ করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়।
বুধবার (৭ আগস্ট) নিজের ফেসবুক আইডিতে এক ভিডিও বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশে এখন একটি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি চলছে উল্ল্যেখ করে জয় বলেন, সারা দেশে ভাঙচুর হচ্ছে, লুটপাট হচ্ছে। শহরের বাইরে আমাদের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপর হামলা চলছে। অনেককে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, “আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর যেভাবে হামলা হচ্ছে, এই পরিস্থিতিতে আমরা হাল ছেড়ে দিতে পারি না। বাংলাদেশে যদি গণতন্ত্রের নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হয়, আওয়ামী লীগ ছাড়া সম্ভব নয়। আওয়ামী লীগ হচ্ছে সবচেয়ে বড় দল। আওয়ামী লীগ কোথাও যাবে না।”
আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে সজীব ওয়াজেদ বলেন, ‘আমি সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছি। আপনারা সবাই সাহস নিয়ে দাঁড়ান, আমরা আছি। বঙ্গবন্ধুর পরিবার কোথাও যায়নি। আমরা আপনাদের সঙ্গে আছি। দেশকে, আমাদের নেতা-কর্মীদের এবং আওয়ামী লীগকে রক্ষা করার জন্য যা প্রয়োজন আমরা করতে প্রস্তুত।’
বর্তমানে ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এই যে আমাদের বর্তমানে যারাই আছেন ক্ষমতায় তাঁদের আমি বলব, আমরাও একটি গণতান্ত্রিক, সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ দেশ চাই, জঙ্গিবাদ মুক্ত। তার জন্য আমরা সবার সঙ্গে আলোচনা করতে প্রস্তুত। শুধু তারা যদি জঙ্গিবাদ, ভায়োলেন্স (সহিংসতা) বাদ দেন। শেখ হাসিনা মরে যাননি। আমরা কোথাও যাইনি। বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ ছাড়া গণতন্ত্র, নির্বাচন সম্ভব না।’
আই/এ
আওয়ামী লীগ
ধৈর্য্য, সহনশীলতা মানে দুর্বলতা নয় : নানক
সরকার পতনের নামে বিএনপি-জামায়াত দেশে হত্যা ও ধ্বংস চালাতে চায় এবং দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিতে চায়। আওয়ামী লীগ ধৈর্যের শেষ সীমা পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। বলেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ঢাকা-১৩ আসনের সংসদ সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।
রোববার (৪ আগস্ট) বিকেল পৌনে ৫টায় ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, এই বিএনপি, জামায়াত-শিবির জঙ্গির উদ্দেশ্যে বলতে চাই, এই দেশমাতৃকাকে ভালোবেসে আমরা ধৈর্যের শেষ সীমা পর্যন্ত পৌঁছে গেছি। ধৈর্য, সহনশীলতা মানে দুর্বলতা নয়।
তিনি আরও বলেন, আমরা এই জঙ্গিগোষ্ঠীকে প্রতিরোধ করার জন্য দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি৷
নানক বলেন, রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিনষ্ট করবেন না। আমরা সংঘাত চাই না। শান্তি চাই। সকলকে দ্বায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে৷
তিনি বলেন, আমরা মোকাবিলা করব। এখন আর ঘরে বসে থাকার সময় নেই। যে যেখানে আছেন, দেশবিরোধী জামায়াত-শিবিরকে নির্মূল করতে হবে। আমাদের শরীরে শেষ রক্তবিন্দু থাকা পর্যন্ত এই আস্ফালন সহ্য করব না। গণতন্ত্র সংবিধান রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
এএম/