আইন-বিচার
বিএফইউজের নির্বাচন স্থগিতের নির্দেশ
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) নির্বাচন আগামী দুই মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে রুল জারি করে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. হাসান ফেরদৌসের নাম কেন ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে না, তা জানতে চেয়েছেন আদালত।
আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রিটকারীর আইনজীবী ব্যারিস্টার তীর্থ সলিল পাল।
ভোটার তালিকায় একজনের নাম না ওঠায় তার নাম তালিকাভুক্ত করার দাবিতে করা রিটের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আগামী ২৩ অক্টোবর এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। এর ফলে ওইদিন আর ভোট গ্রহণ কার যাবে না। আদালতে আজ রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার তীর্থ সলিল পাল। তার সঙ্গে ছিলেন মো. নুরুল করিম।
ব্যারিস্টার তীর্থ সলিল পাল আরও জানান, ‘আগামী ২৩ অক্টোবর বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) নির্বাচন অনুষ্ঠান হওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু ওই নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত ভোটার তালিকায় চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. হাসান ফেরদৌস তার নাম না পাওয়ায় রিট আবেদন করেন। যদিও তিনি সিউজের রেগুলার মেম্বার এবং সাবেক সেক্রেটারি। সিউজের লিস্টে ওনার নাম থাকলেও বিএফইউজের ভোটার লিস্টে নাম না থাকায় সংক্ষুব্ধ হয়ে রিট আবেদেন করেন’।
তিনি বলেন, ‘রিটে তার পক্ষে আমরা ভোটার তালিকায় তার নাম অন্তর্ভুক্ত করা এবং নাম তালিকাভুক্ত না করা পর্যন্ত নির্বাচন স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছিলাম। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব, শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি), রেজিস্ট্রার ট্রেড অর্গানাইজেশন ও বিএফইউজেকে রিটে বিবাদী করা হয়’।
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) নির্বাচনের বিভিন্ন পদে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীদের তালিকা গত ২৫ সেপ্টেম্বর প্রকাশ করা হয়। যেখানে ৩৪টি মনোনয়নপত্র জমা পড়ে। এর মধ্যে ১টি মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়ায় ৩৩ জন প্রার্থীর খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হয়।
এমএম/
আইন-বিচার
নতুন অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান
রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান।
বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাকে এ নিয়োগ দেন।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, ‘রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয় আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামানকে পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত অ্যাটর্নি জেনারেল পদে নিয়োগ প্রদান করলেন।’
উল্লেখ্য, আ.লীগ সরকারের পতনের পর পদত্যাগ করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। বুধবার (০৭ আগস্ট) রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। তার স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন মো. আসাদুজ্জামান।
২০২০ সালের ৮ অক্টোবর রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এ এম আমিন উদ্দিনকে অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেন। এর আগে তিনি ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
এসি//
আইন-বিচার
পদত্যাগ করেছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর
পদত্যাগ করেছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর। বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন।
পদত্যাগ করার বিষয়টি এস এম মুনীর নিজেই গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও আরেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মো. মোরসেদ পদত্যাগ করেন।
২০২০ সালের ১ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক এবং জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম মুনীরকে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।
প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার চূড়ান্ত আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেশত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। গেলো ৫ আগস্ট দুপুর আড়াইটায় বঙ্গভবন থেকে একটি সামরিক হেলিকপ্টার তাকে নিয়ে ভারতের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। এ সময় তার সঙ্গে তার ছোট বোন শেখ রেহানা ছিলেন। ভারতে যাওয়ার আগে রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র দেন শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে বড় বড় পদে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। আবার অনেকেই স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করছেন।
এসি//
আইন-বিচার
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণের সেই ভাস্কর্যটি উপড়ে ফেলা হয়েছে
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে হাইকোর্ট এনেক্স ভবনের সামনে থাকা গ্রিক দেবী থেমিসের ভাস্কর্যটি ভাঙচুরের পর উপড়ে ফেলা হয়েছে।তবে কে বা কারা ভাস্কর্যটি ভেঙেছে তা জানা যায়নি।
বুধবার (৭ আগস্ট) দুপুরে ভাস্কর্যটি মাটিতে পরে থাকতে দেখা যায়। এর আগে,গেলো মঙ্গলবার সকালে ইস্পাতের তৈরি ভাস্কর্যটির হাত ও দাঁড়িপাল্লা ধরে থাকা হাত ভাঙা অবস্থায় দেখা গিয়েছিলো।
সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তা জানান, গ্রিক দেবী থেমিসের আদলে ন্যায়বিচারের প্রতীক হিসেবে গড়ে তোলা ভাস্কর্যটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। তবে কে বা কারা এটি করেছেন, তা তাদের জানা নেই।
এর আগে ২০১৬ সালের ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টে প্রবেশের মূল ফটকের বরাবর থাকা লিলি ফোয়ারায় প্রথমে ভাস্কর্যটি বসানো হয়। হেফাজতসহ কয়েকটি ইসলামি সংগঠনের দাবির মুখে ২০১৭ সালের মে মাসে ভাস্কর্যটি সরিয়ে এনেক্স ভবনের সামনে স্থাপন করা হয়।
আই/এ