ফুটবল
ইউরোজয়ী ইতালির মুখোমুখি হবে কোপাজয়ী আর্জেন্টিনা
চলতি বছরের জুনে দুই মহাদেশীয় লড়াইয়ে মেতেছিল ফুটবলবিশ্ব। ইউরোপের ইউরো ২০২০ আর লাতিন আমেরিকার কোপা আমেরিকা ২০২১। যেখানে ইউরোপ সেরার মুকুট পরে ইতালি আর লাতিন আমেরিকার আর্জেন্টিনা। তবে এই দুই মহাদেশ সেরার মধ্যে কে সেরা? উত্তরটা বহুল কাঙ্ক্ষিত ফুটবলপ্রেমীদের মাঝে।
ফুটবলপ্রেমীদের কৌতুহল মিটতে যাচ্ছে। কোপা আমেরিকা ও ইউরো চ্যাম্পিয়নশীপে মহারণের পরই দুই মহাদেশের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা কনমেবল ও উয়েফা নিজেদের চ্যাম্পিয়নদের মধ্যে একটি বড় ম্যাচ আয়োজন করতে যাচ্ছে। মূলত দুই পক্ষের মধ্যে সার্বিক সম্পর্ক বৃদ্ধির লক্ষ্যেই এই ম্যাচটি আয়োজন করতে চাচ্ছে সংস্থা দুটি।
এতদিন গুঞ্জন থাকলেও আজ আনুষ্ঠানিকভাবে এই ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী বছর জুনেই ইউরোপ ও লাতিন আমেরিকার সেরা দুই দলে মধ্যে লড়াই হচ্ছে বলে জানিয়েছে উয়েফা। দুই মহাদেশীয় সেরার মাঝে এই লড়াইয়ের নাম রাখা হয়েছে 'কোপা ইউরোআমেরিকা'।
নিজেদের ওয়েবসাইটে দেয়া এক বিবৃতিতে উয়েফা জানিয়েছে, 'উয়েফা এবং কনমেবল তাদের বিদ্যমান সম্পর্ক সম্প্রসারণের পাশাপাশি ঘোষণা করছে যে, ইউরো ২০২০ জয়ী দল ইতালি এবং কোপা আমেরিকা ২০২১ জয়ী দল আর্জেন্টিনার একটি ম্যাচ আয়োজন করা হবে। ২০২২ এর জুনে আন্তর্জাতিক ম্যাচ বিরতির সময়ে এই ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। ম্যাচের ভেন্যু পরে নির্ধারণ করা হবে।'
উয়েফা দুই চ্যাম্পিয়ন দলের এই লড়াই নিরেপক্ষ ভেন্যু হিসেবে ইতালির নাপোলির কথা চিন্তা করছে। মূলত আর্জেন্টিনা প্রয়াত বিশ্বকাপজয়ী কিংবদন্তি ফুটবলার দিয়েগো ম্যারাডোনাকে সম্মান জানিয়েই মহাদেশীয় নতুন এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে চায় সংস্থা দুটি।
ইউরোপ চ্যাম্পিয়ন ও লাতিন আমেরিকা সেরা দলের মধ্যে ম্যাচের ঘটনা এবারই প্রথম নয়। এর আগেও দুই মহাদেশের সেরা দল দুটি নিয়ে আর্তেমিও ফ্রান্সি ট্রফি আয়োজন করা হয়েছিল। যদিও টুর্নামেন্টটি কেবল দুবারই আয়োজন করা হয়। এর মধ্যে প্রথমবার শিরোপা জেতে ফ্রান্স, আর দ্বিতীয়বার আর্জেন্টিনা।
এস
ফুটবল
ফুটবলকে বিদায় জানালেন পেপে
সব ধরনের ফুটবল থেকে বিদায় নিলেন পর্তুগালের ডিফেন্ডার পেপে। বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি।
সর্বশেষ ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে পর্তুগালের ম্যাচটাই হয়ে রইল ৪১ বছর বয়সী এই ফুটবলারের ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ।
সে ম্যাচে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিয়েছিল পর্তুগাল। ইউরোর মূলপর্বে সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামার রেকর্ডও গড়েন তিনি।
পর্তুগালের হয়ে ১৪১ ম্যাচ খেলেছেন পেপে। জিতেছেন ২০১৬ ইউরো।
ফুটবল
বাফুফে থেকে পদত্যাগ করলেন সালাম মুর্শেদী
পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী। তিনি ২০০৮ সাল থেকে পদটিতে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এছাড়াও সালাম মুর্শেদী বাফুফের অর্থ কমিটি ও রেফারিজ কমিটির প্রধানও ছিলেন। এই দুটি পদ থেকেও তিনি পদত্যাগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সালাম মুর্শেদীর পদত্যাগের কথা জানায় বাফুফে। সালাম মুর্শেদী খুলনা–৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন।
ফুটবল
চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সংগঠক সাইদুর রহমান প্যাটেল
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অন্যতম সংগঠক ও উদ্যেক্তা সাইদুর রহমান প্যাটেল মারা গেছেন। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ছিলেন। হাসপাতালে থাকাকালীন সেসব ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করতেন তিনি। অবশেষে ৭৩ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন সাইদুর রহমান। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) শোক জানিয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সাইদুর রহমানের অবদান ছিল অনস্বীকার্য। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন স্থানে তহবিল তুলতেন সাইদুর রহমানরা। তারা ভারতে ঘুরে ঘুরে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের হয়ে প্রীতি ম্যাচ খেলতেন। সেখান থেকেও তহবিল সংগ্রহ করতো এই দলটি।
একজন ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রাখার লক্ষ্য নিয়েই স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠন করার উদ্যেগ নিয়েছিলেন সাইদুর রহমান প্যাটেলরা। এখানে খেলে যে অর্থ উত্তোলন হবে, তা মুক্তিযুদ্ধের জন্য গঠিত তহবিলে প্রদান করা হবে; এমনই ছিল স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সেসময়ের ভাবনা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ইচ্ছা ছিল সাইদুর রহমানের। সবশেষ সাধারণ নির্বাচনের আগেই অবশ্য চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাতে হয় তাকে। সেখানে লম্বা সময় ধরে চিকিৎসা নেওয়ার পর আর দেশে ফিরতে পারলেন না তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতেই নিজের জীবনের শেষ সময়টুকু কাটালেন।
সাইদুর রহমানের জন্ম ১৯৫১ সালের ৭ অক্টোবর। তিনি ঢাকার কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। পরে অবশ্য গেন্ডারিয়ায় চলে যায় তার পরিবার। গেন্ডারিয়াতেই বেড়ে উঠেছেন, স্থানীয় পর্যায়ে ফুটবল খেলতে খেলতে শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলেও নিজের জায়গা করে নেন। তিনি ঢাকার ইস্টএন্ডের হয়ে ফুটবল খেলেছেন। দ্বিতীয় বিভাগে ফরাশগঞ্জের হয়ে, প্রথম বিভাগে পিডব্লুডি’র হয়ে খেলেছেন সাইদুর রহমান প্যাটেল।
এম এইচ//