রাজশাহী
রাসিক ও গোদাগাড়ী পৌর সভায় আ.লীগ প্রার্থীর জয়
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) ৯ নম্বর ওয়ার্ড ও গোদাগাড়ী পৌরসভার উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা জয় পেয়েছেন।
বৃহস্পতিবার ( ৭ অক্টোবর) সকাল ৮টায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়, চলে বিকেল চারটা পর্যন্ত।
রাসিকের ৯নং ওয়ার্ড ও গোদাগাড়ী পৌরসভায় ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট নেয়া হয়েছে। রাসিক ও গোদাগাড়ীতে কোনও ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই ভোটগ্রহণ শেষ হয়।
তবে ভোট গ্রহণ শুরুর পর দুপুরে ভোট বর্জন করেন গোদাগাড়ীর স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী জান্নতুল ফেরদাউস। তিনি নারিকেল গাছ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলেন।
ভোটগ্রহণ শেষে বিকেল ৫টায় নির্বাচন কমিশন থেকে বেসরকারীভাবে রাসিকের ৯নং ওয়ার্ডে রাসেল জামানকে কাউন্সিলর ও গোদাগাড়ী পৌর সভায় আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী অয়েজ উদ্দিনকে পৌর মেয়র ঘোষণা করেন।
রাজশাহী আঞ্চলিক নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা জানান, রাসিকের ৯নং ওয়ার্ডের উপ-নির্বাচনে মোট ৫জন কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এরমধ্যে নগর আওয়ামী লীগের (বোয়ালিয়া পশ্চিম) সাংগঠনিক সম্পাদক রাসেল জামান টিফিন ক্যারিয়ার প্রতীক নিয়ে ৩ হাজার ৭১৯ ভোট পেয়ে বেসরকারী ভাবে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কেএম রাশেদুল হাসান টুলু ঠেলাগাড়ি প্রতীক নিয়ে ভোট পেয়েছেন ১৫৫১টি । এছাড়াও শামিমুল রহমান রেডিও প্রতীক নিয়ে ভোট পেয়েছেন ৯১১, সাইফুল্লাহ শান্ত করাত প্রতিক নিয়ে ভোট পেয়েছেন ৪৭টি, সোয়েব হোসেন বাবু ঘুড়ি প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩৬টি ভোট।
এদিকে, রাজশাহীর গোদাগাড়ী পৌরসভার উপ-নির্বাচনে চারজন প্রার্থী মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। আওয়ামী লীগ থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন নৌকা প্রতীক নিয়ে অয়েজউদ্দীন বিশ্বাস ও স্বতন্ত্র মেয়রপ্রার্থী ছিলেন এ পৌরসভার সাবেক মেয়র মনিরুল ইসলাম বাবুর স্ত্রী জান্নতুল ফেরদাউস, আমিনুল ইসলাম ও গোলাম কিবরিয়া রুলু। ভোটগ্রহণ শেষে নির্বাচন কমিশন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী অয়েজউদ্দীন বিশ্বাসকে বেসরকারীভাবে মেয়র ঘোষণা করেন। তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে ভোট পেয়েছেন ৬ হাজার ২৮৫। এছাড়াও স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী জান্নতুল ফেরদাউস নারিকেল গাছ প্রতীক নিয়ে ভোট পেয়েছেন ৬১৬, গোলাম কিবরিয়া রুলু মোবাইল ফোন প্রতিকে ২৭৬ ও আমিনুল ইসলাম ৩০ ভোট পেয়েছেন। গোদাগাড়ী পৌরসভায় ভোটার ৩২ হাজার ৯০২ ভোট। উপ নির্বাচনে ২১দশমিক ৯ ভাগ ভোট পড়েছে বলে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মশিউর রহমান জানান।
রাজশাহী
সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে পাবনায় সচেতনতামূলক সমাবেশ
সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সকল প্রকার সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে পাবনায় সচেতনতামূলক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) দুপুরে পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ বৈষম বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আয়োজনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় দেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সচেতনতামূলক বক্তব্য দেন এবং সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করার আহ্বান ও জানান। যাতে কোন অপশক্তি আবারও দেশটাকে অস্থিতিশীল তৈরি করতে না পারে তারও আহ্বান জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, এডওয়ার্ড কলেজের উপাধ্যক্ষ আব্দুল আউয়াল, বাংলা বিভাগের শিক্ষক মাহবুব, এডওয়ার্ড কলেজের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক বরকাতুল্লাহ ফাহাদ,স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক সিরাজুল মনিরা,রাব্বি রুহান ও এম এইচ অনিক।
এএম/
অপরাধ
এনায়েতপুর থানায় হামলা, ১৩ পুলিশ সদস্য নিহত
সিরাগঞ্জের এনায়েতপুরে থানায় হামলা চালিয়ে ১৩ পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
রোববার (৪ আগস্ট) পুলিশ সদর দপ্তর এবং রাজশাহী বিভাগের অতিরিক্ত ডিআইজি বিজয় বসাক গণমাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো বার্তায় বলা হয়, সন্ত্রাসী হামলায় সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানার ১৩ জন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। এছাড়া কুমিল্লার ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে থানায় হামলায় এক পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন।
এদিকে, সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা অসহযোগ কর্মসূচির প্রথম দিনে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সংঘর্ষে বিভিন্ন জেলায় ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন সহস্রাধিক।
এর মধ্যে নরসিংদীতে ৬ জন, রংপুরে ৫ জন, ফেনীতে ৫ জন, ঢাকায় ৪ জন, সিরাজগঞ্জে ৪ জন, পাবনায় ৩ জন, বগুড়ায় ৩ জন, কিশোরগঞ্জে ৩ জন, ভোলায় ৩ জন, লক্ষ্মীপুরে ৩ জন, মুন্সীগঞ্জে ৩ জন, মাগুরায় ২ জন, সিলেটে ২ জন, ঢাকার আশুলিয়ায় একজন, বরিশালে একজন, জয়পুরহাটে একজন ও কুমিল্লায় একজন মারা গেছেন।
দেশজুড়ে
রাজশাহীতে থানা ও ভূমি অফিসে হামলা-অগ্নিসংযোগ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চলমান অসহযোগ কর্মসূচিতে রাজশাহী নগরীর মোহনপুর থানা, আওয়ামী লীগের অফিস, ভূমি অফিস ও একটি মার্কেটে আগুন দিয়েছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
তেমন কোনো অপ্রিতিকর ঘটনা না থাকলেও জেলার মোহনপুরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আজ রোববার রোববার (৪ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মোহনপুর উপজেলা সদরে এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে মোহরপুর পুরো উপজেলা নিয়ন্ত্রণ নেন। এসময় বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ চালায়। এতে ওই এলাকায় চরম আতঙ্ক দেখা যায়। পরে প্রায় দেড় ঘণ্টা পর পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মোহনপুর থানায় হামলা করার পর পাশেই উপজেলা ভুমি অফিসে হামলা চালায়। এসময় সহকারী কমিশনারের (ভুমি) গাড়ি ভাংচুর করা হয়। এছাড়াও ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয় থানার সামনের মার্কেটেও। বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছে থানা পুলিশ।
আই/এ