ক্রিকেট
বাবরের ব্যাটে করাচির শিরোপা উদযাপন
পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) ফাইনালে করাচি কিংসের কাছে হেরে শিরোপা বঞ্চিত হয়েছে তামিম ইকবালের লাহোর কালান্দার্স। করাচির ব্যাটসম্যান বাবর আজমের দুর্দান্ত হাফসেঞ্চুরিতে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে তামিমদের।
দুই দলই প্রথমবারের মত পিএসএলের ফাইনাল খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে। ফলে প্রথম শিরোপা জয়ের লড়াইয়ে মাঠে নামে দুই দল। শিরোপার এ লড়াইয়ে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় তামিম ইকবালের লাহোর।
তাই লাহোরের হয়ে ইনিংস সূচনা করবেন তামিম ইকবাল ও ফখর জামান। উদ্বোধনী জুটিতে এ দুই ব্যাটসম্যান গড়ে তোলেন ৬৮ রানের জুটি। বুড় জুটি গড়লেও টি-টুয়েন্টি সুলভ ব্যাটিং করতে পারেননি তামিম। ৩৮ বলে ৩৫ রান করে আউট হন এ ব্যাটসম্যান। তার এ ইনিংসে ছিল ৪টি চার ও একটি ছয়ের মার। অন্যদিকে ২৪ বলে ২৭ রান করেন ফখর।
মূলত তামিম আউট হওয়ার পরেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে লাহোর। বাকিদের মধ্যে আর কেউই বড় জুটি গড়তে পারেনি। ফলে ২০ ওভারে ৭ উইকেটে স্কোরবোর্ডে মাত্র ১৩৪ রান তোলে দলটি।
করাচির পক্ষে ওয়াকাস মাকসুদ ও উমাইদ আসিফ দুইজনই ৪ ওভারে ১৮ রানের বিনিময়ে শিকার করেন ২টি করে উইকেট। এছাড়া আরশাদ ইকবাল ৪ ওভারে ২৬ রানে নেন ২ উইকেট।
জবাবে ব্যাট করতে নামা করাচির শুরুটা ভালো হয়নি। দলীয় ২৩ রানেই ওপেনার শারজিল খানকে হারায় তারা। এরপর ৪৯ রানে ফিরে যান অ্যালেক্স হেলসও। এ দুইজন আউট হলেও একপাশ আগলে রাখেন আরেক ওপেনার বাবর আজম। তৃতীয় উইকেটে চ্যাডউইক ওয়াল্টনের সঙ্গে ৬১ রানের জুটি গড়ে জয়ের পথ সহজ করেন তিনি। দলীয় ১১০ রানে ২৭ বলে ২২ রান করা ওয়াল্টন আউট হন। এরপর ইফতিখার ও রদারফোর্ডও দ্রুত ফিরে যান। তবে ইমাদ ওয়াসিমকে সঙ্গে নিয়ে দলকে শিরোপা উপহার দিয়েই মাঠ ছাড়েন বাবর। ৪৯ বলে ৭ চারে ৬৩ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন তিনি।
পাকিস্তান সুপার লিগের পঞ্চম আসর শেষ হওয়ার কথা ছিল গত মার্চে। করোনার আতঙ্কে লিগ পর্ব শেষেই টুর্নামেন্ট স্থগিতাদেশ পায়। লিগ পর্বে বাংলাদেশের কোনো ক্রিকেটার না থাকলেও প্লে-অফের জন্য তামিমকে দলে ভেড়ায় লাহোর কালান্দার্স। প্রথম এলিমিনেটরে ১০ বলে ১৮ ও দ্বিতীয় এলিমিনেটরে ২০ বলে ৩০ রান করে দলকে ফাইনালে তুলতে ভূমিকা রাখেন তামিম।
এস
ক্রিকেট
ক্রিকেট বোর্ডে পরিবর্তন প্রসঙ্গে যা বললেন বিজয়
পাকিস্তান ‘এ’ দলের বিপক্ষে সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। এছাড়াও বাংলাদেশ জাতীয় দলের সফর আছে একই সময়ে। বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) গণমাধ্যমের সাথে কথা বলেছেন এনামুল হক বিজয়।
বিজয় বাংলাদেশ ‘এ’ দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করবেন। বর্তমানে দেশের পরিস্থিতি কিছুটা অস্থির। সোমবার (৫ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। এরপর থেকে দেশের বিভিন্ন স্তরে পরিবর্তনের হাওয়া লেগেছে, কিছু জায়গায় পরিবর্তনের জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে।
বিসিবির বিভিন্ন জায়গায় পরিবর্তনের দাবিও তোলা হয়েছে। এমনকি ক্রিকেটারদের মধ্যে ইমরুল কায়েস ও রুবেল হোসেনও এই প্রসঙ্গে ফেসবুকে পোস্ট করেছেন। দলে সুযোগ পাওয়া বা না পাওয়া নিয়ে এনামুল হক বলেন, ‘এটা তো হতেই থাকবে। এটা আপনিও কখনো বলতে পারবেন না যে আপনার সঙ্গে হয়নি। এটা হতেই থাকে। তারপরও এটা সামনে যত কম হয় সেই আশা আমরা করবো।’
বোর্ডের বিভিন্ন স্তরে পরিবর্তনের কথা অনেকেই উচ্চারণ করেছেন শেখ হাসিনা চলে যাওয়ার পরপর। এই পরিবর্তন প্রসঙ্গে এনামুল হক বলেন,
‘আমার কাছে মনে হয় এটার (ক্রিকেট বোর্ড) বড় আলোচনা জরুরী। দুজন একজনের কথায় আসলে এটা হবে না। ব্যক্তিগতভাবে বললে, আমি চাই বড় গ্রুপ যারা আমরা সবাই ক্রিকেট নিয়ে কাজ করি তারা একত্রে বসে আলোচনা করে এটা করা। যারা ক্রিকেট খেলেছি, কেউ খেলেছে বা সামনে কেউ খেলবে। বড় ধরনের আলোচনা দরকার। যার যেটা প্রয়োজন সেটা তারা বলবে। যেখানে যে আছে।’
এম এইচ//
ক্রিকেট
পাকিস্তানের টেস্ট দলে এইচপি কোচ হলেন টিম নিলসন
টিম নিলসনকে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) নতুন হাই পারফরম্যান্স (এইচপি) কোচ হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে। বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ সামনে রেখে এই নিয়োগ দিয়েছে পাকিস্তান বোর্ড।
পাকিস্তানের লাল বলের ক্রিকেটে দায়িত্বে আছেন জেসন গিলেস্পি। যার কোচিং স্টাফে যুক্ত হতে যাচ্ছেন টিম নিলসন। ইতোমধ্যে এই দুই কোচ পাকিস্তান শাহীন’স এ দলের ট্রেনিং ক্যাম্প পর্যবেক্ষণ করেছেন।
বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ সামনে রেখে আগস্টের ১১ তারিখ থেকে শুরু হতে যাচ্ছে পাকিস্তানের ট্রেনিং ক্যাম্প। রাওয়ালপিন্ডিতে দুই দল প্রথম ম্যাচটি খেলবে আগস্টের ২১ থেকে ২৫ তারিখ। আর দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচটি দুই দল খেলবে আগস্টের ৩০ থেকে সেপ্টেম্বরের ৩ তারিখ পর্যন্ত।
সাউথ অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটে গিলেস্পির সাথে কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে নিলসনের। সবমিলিয়ে তার অভিজ্ঞতার ঝুলি বেশ ভারী।
সম্প্রতি পিসিবি বাংলাদেশ সিরিজের জন্য স্কোয়াড ঘোষণা করেছে। অন্যদিকে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের বিপক্ষে খেলার জন্যেও দল ঘোষণা করেছে পাকিস্তান শাহীন’স।
এম এইচ//
ক্রিকেট
দুই মাসের ছুটি চান অলরাউন্ডার সাইফউদ্দিন
বাংলাদেশ ‘এ’ দলের পাকিস্তান সফর থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। মানসিকভাবে বেশ ভেঙে পড়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। এই প্রেক্ষিতে সকল ধরনের ক্রিকেট থেকে ২ মাসের ছুটি চেয়েছেন তিনি।
পাকিস্তান ‘এ’ দলের বিপক্ষে চারদিনের দুই ম্যাচের সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ, পাশাপাশি ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের দলে ছিলেন সাইফউদ্দিন। এই মাসের শুরুতে একজন নির্বাচক ইমেইল করেন এই অলরাউন্ডার। এরপর জানিয়ে দেন, তিনি ক্রিকেট থেকে আপাতত বিরতি নিতে চান এবং তা দুই মাসের জন্য।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের একজন কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
জুনে অনুষ্ঠিত আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে যুক্ত হতে না পারা এবং গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি খেলতে কানাডায় যেতে না পারা- সাইফউদ্দিনের জন্য বেশ হতাশার ছিল। এসব কারণেই তিনি আগামী ২ মাস সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিজেকে দূরে রাখতে চান। এই সিদ্ধান্তকে ইতিবাচকভাবে দেখার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
গত মে মাসে, বাংলাদেশের হয়ে সবশেষ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলেছিলেন সাইফউদ্দিন।
এম এইচ//