জাতীয়
শনিবার ময়মনসিংহ যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
বঙ্গবন্ধু কন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ১১ মার্চ শনিবার ময়মনসিংহ যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে ঘিরে ময়মনসিংহ সেজেছে নবরূপে। শেখ হাসিনাকে স্বাগত জনাতে নগরীর প্রতিটি সড়ক ও মহাসড়কে তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে।
রঙিন ব্যানার, ফেস্টুন আর বিলবোর্ডে নতুন রুপে সেজেছে পুরো নগরী। প্রধান প্রধান সড়ক ও অলিগলিতে শোভা পাচ্ছে বঙ্গবন্ধু কন্যাকে স্বাগত জানিয়ে টানানো পোস্টার-ব্যানার। বর্ণিল আলোকসজ্জা ও রং-তুলির আঁচড়ে নগরী যেন নতুন সাজে সজ্জিত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ২০১৮ সালের ২ নভেম্বর সর্বশেষ ময়মনসিংহে এসেছিলেন এবং সার্কিট হাউজ মাঠে আয়োজিত জনসভায় ভাষণ দিয়েছিলেন।
মহুয়া মলুয়া চন্দ্রবতী, বঙ্গবিরঙ্গনা সখিনার পূণ্য স্মৃতিবিজড়িত শিক্ষা ও সংস্কৃতির নগরী ময়মনসিংহে প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে ঘিরে উচ্ছ্বাসের ঢেউ ছড়িয়ে পড়েছে বিভাগ জুড়ে।
আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বলছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে এই সফরে দলের তৃণমুলের নেতাকর্মীরা আরো উজ্জীবিত হবে। প্রধানমন্ত্রীর সফরকে ঘিরে ইতোমধ্যে একাধিক প্রস্তুতি সভা করেছে কেন্দ্রীয়, জেলা, মহানগর ও অঙ্গসংগঠনগুলোর নেতারা। পাশাপাশি প্রচার-প্রচারণার চালাচ্ছেন। তাদের প্রত্যাশা প্রধানমন্ত্রীর এই সমাবেশে দশ লক্ষাধিক লোকের সমাগম ঘটবে। দীর্ঘ প্রায় পাঁচবছর পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমনকে ঘিরে যেন বইছে অনেকটাই উৎসবের আমেজ।
প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে পুরোদমে প্রস্তুতি নিচ্ছে ময়মনসিংহ। নাগরিক সংগঠনগুলো জানাচ্ছে বিভিন্ন দাবীনামা। আইনশৃংখলা বাহিনীও পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে রাখছে। বিশেষ করে ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে চলছে সৌন্দর্য্যবর্ধণের কাজ। সড়কপথের পাশের দেয়াল গুলোতে রং এর কাজ, ফুটপাতে রং, ভাঙা সড়ক সংস্কার, পথের ধুলা বালি সরানোর কাজও চলছে জোরেশোরে। সৌন্দর্য্য বর্ধন করা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর জনসভাস্থল সার্কিট হাউস ও আশেপাশের এলাকা।
এদিকে, সার্কিট হাউজ মাঠে নৌকার আদলে বিশাল মঞ্চ তৈরীর কাজ প্রায় শেষ পযার্য়ে। সার্বিকভাবে প্রধানমন্ত্রীকে বরণ করতে প্রশাসনসহ দলীয় নেতাকর্মীরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন।
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ জানান, প্রধানমন্ত্রী সারাদেশে ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। গ্রামের রাস্তাঘাট নির্মাণ, অবকাঠামগত উন্নয়ন, কৃষিতে ভতুর্কি, বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতাসহ নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। ফলে নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষ ময়মনসিংহে প্রধানমন্ত্রীকে বরণ করে নিতে উদগ্রীব হয়ে আছে।
তিনি বলেন, এই সভাকে সফল করতে তার নির্বাচনী এলাকায় তৃণমূলে দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে কয়েকদফা সভা করে তাদেরকে ঐ সভায় যোগদানের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে সাকির্ট হাউজ মাঠে জনসভা এক ঐতিহাসিক জনসভায় রুপ নেবে।
ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে কর্মীদের মাঝে ব্যাপক প্রাণসঞ্চার হয়েছে। নেতার্মীরা জনসভা সফল করতে মাঠে কাজ করছেন। প্রধানমন্ত্রীর এই সফর মূলত নির্বাচনী সফর। ঐদিন জনসভা থেকে প্রধানমন্ত্রী যে নিদের্শনা দেবেন সেই অনুযায়ী আগামীতে দলীয় নেতাকর্মীরা কাজ করবে।
মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি মেয়র ইকরামুল হক টিটু বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে নগরীকে নতুনভাবে সাজানো হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত ময়মনসিংহ নগরী। এই সমাবেশকে ঘিরে বিভাগের নেতমীকর্মীদের এক মিলনমেলায় পরিণত হবে।
প্রধানমন্ত্রীর সফরকে ঘিরে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে পুরো ময়মনসিংহ নগরী। টহল এবং তল্লাশি কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে গোয়েন্দা তৎপরতা।
এ বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার মাছুম আহম্মেদ ভুঞা বলেন, নগরীর আইন শৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে কয়েক ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হযেছে। সাদা পোশাকে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। জনসভার দিন শহরজুড়ে তিন হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হবে।
জাতীয়
শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানালেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা
শপথ নেয়ার পরের দিন ভাষা শহীদদের স্মরণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ১৩ জন উপদেষ্টা নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এর আগে, সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ও অন্য উপদেষ্টারা।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি এক নতুন বাংলাদেশ উপহার দেওয়ার অঙ্গীকার করেন।
আই/এ
জাতীয়
উপদেষ্টা পরিষদকে অভিনন্দন জানালেন জাসদ
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল—জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুস এবং অন্য উপদেষ্টাদেরকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন
বৃহস্পতিবার ( ৮ আগস্ট ) রাতে দলের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ অভিনন্দন জানান তারা।
বিবৃতিতে জানানো হয়, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করার পর দেশে আর একটিও প্রাণহানি, হামলা ও সম্পদ ধ্বংসের ঘটনা যেন না ঘটে তা নিশ্চিত হবে।”
বিবৃতিতে আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্রীয় চার মূলনীতিসহ সংবিধানকে সমুন্নত রেখে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তির সাথে আলোচনা করে সরকারের কর্ম পরিকল্পনার রূপরেখা দ্রুত প্রকাশ করে বিদ্যমান অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা প্রশমিত করবেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রাথমিক ও প্রধান কাজ হিসেবে অনতিবিলম্বে দেশে আইনশৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে জনজীবনে স্বাভাবিকতা ও শান্তি ফিরিয়ে আনতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
জাসদ নেতৃবৃন্দ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ, সাংবাদিক পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
জাসদ জোর দাবি জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে পূর্ববর্তী সরকারের পদত্যাগের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে চলমান বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ পেশাজীবী ও হিন্দু ও আহমদীয়াসহ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও হত্যা করা, মন্দিরসহ ধর্মীয় স্থাপনায় হামলা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে ও নেতাকর্মীদের বাসাবাড়িতে হামলা-হত্যা-নির্যাতন, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও ঘরবাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ, সংসদ ভবন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও গণভবনসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন-বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে হামলা, লুটপাট, জ্বালিয়ে ছারখার, দেশের বিভিন্ন স্থানে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য, সাত বীরশ্রেষ্ঠর ভাস্কর্যসহ ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য ও ম্যুরাল ভেঙে ফেলা এবং কুমিল্লার বীরচন্দ্র পাঠাগার, সুনামগঞ্জের ঐতিহ্য জাদুঘর, কুড়িগ্রামের উত্তরবঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, ময়মনসিংহের ঐতিহাসিক শশীলজের ভেনাস ভাস্কর্য ভেঙে ফেলাসহ অগনিত শিল্পকর্ম ভেঙে ফেলার সব অপরাধ কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত দায়ী ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার।
জেডএস/
জাতীয়
তদবির থেকে বিরত থাকুন, দেশগঠনে পরামর্শ দিন : আসিফ মাহমুদ
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে ১৭ সদস্যের অন্তবর্তীকালীন সরকার। এ উপদেষ্টা পরিষদে স্থান পেয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুইজন প্রতিনিধি। এদের একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আসিফ মাহমুদ। তিনি উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেয়ার পর ঘনিষ্ঠজনদের নিজেদের সুবিধার জন্য কোনো আবদার কিংবা তদবির করতে বারণ করেছেন। বরং দেশগঠনে কোনো পরামর্শ থাকলে দেয়ার অনুরোধ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্ট করে এ অনুরোধ করেন।
পোস্টে এই তরুণ উপদেষ্টা লিখেছেন, ব্যক্তিগত লাভের আশায় আবদার, তদবির করা থেকে বিরত থাকুন। এতে করে আমার সাথে আপনার সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে। দেশগঠনে পরামর্শ থাকলে জানাবেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ১৭ জনকে নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়। প্রধান উপদেষ্টা ও অন্য উপদেষ্টাদের শপথ পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ঢাকার বাইরে থাকায় তিন উপদেষ্টা ফারুক-ই-আযম, বিধান রঞ্জন রায় এবং সুপ্রদীপ চাকমা শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি।
সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়া অন্যান্য উপদেষ্টারা হলেন- ১. সালেহ উদ্দিন আহমেদ ২. ড. আসিফ নজরুল ৩. আদিলুর রহমান খান ৪. হাসান আরিফ ৫. তৌহিদ হোসেন ৬. সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান ৭. মো. নাহিদ ইসলাম ৮. আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ৯. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন ১০. সুপ্রদীপ চাকমা ১১. ফরিদা আখতার ১২. বিধান রঞ্জন রায় ১৩. আ.ফ.ম খালিদ হাসান ১৪. নুরজাহান বেগম ১৫. শারমিন মুরশিদ ১৬. ফারুক-ই-আযম।
জেএইচ
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন