Connect with us

ময়মনসিংহ

বিকেলে ময়মনসিংহে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা

Avatar of author

Published

on

ময়মনসিংহ নগরীর প্রধান প্রধান সড়কে এখন ব্যানার, ফেস্টুন আর ডিজিটাল ডিসপ্লে। এর সবকিছুতে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে দেয়া বার্তা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষেও নেয়া হয়েছে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা। সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে ময়মনসিংহ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগও।

চার বছর পর শনিবার (১১ মার্চ) দুপুরে সফরে এ নগরে পৌঁছাবেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি এখানে শতাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন।

বিকেলে নগরীর সার্কিট হাউজ মাঠে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় ভাষণ দেবেন দলীয় সভাপতি। ১০ লক্ষাধিক মানুষের সমাগম ঘটিয়ে স্মরণকালের বৃহৎ জনসভা করা হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় নেতারা।

জাতীয় নির্বাচনের আগে ময়মনসিংহে তার সফর কেন্দ্র করে উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি ও দিকনির্দেশনার প্রতীক্ষায় দলের নেতা-কর্মীরা। বিশাল জনসভায় জমায়েতকে কেন্দ্র করে কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনীর জন্য প্রস্তুত রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। প্রধানমন্ত্রীর সফরকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন দাবি উত্থাপন করেছেন স্থানীয় সংগঠন জনউদ্যোগ ও নাগরিক আন্দোলনের নেতারা।

দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- বিমানবন্দর, আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়াম নির্মাণ, ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজকে মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করা, হাসপাতালটিকে তিন হাজার শয্যার হাসপাতাল করা, ময়মনসিংহ নগরীর সবচেয়ে বড় দুর্ভোগ যানজট নিরসন ও অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজকে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় করা।

Advertisement

রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফর উপলক্ষে ময়মনসিংহ থেকে আটটি রুটে বিশেষ ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। এসব ট্রেনে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকজন সমাবেশস্থলে আসবেন।

ময়মনসিংহ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. ইকরামুল হক টিটু জানান, ‘প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে সফল করতে ১০ লক্ষাধিক লোকের সমাগম ঘটানোর প্রস্তুতি নিয়েছি। ইতোমধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ হয়েছে।’

স্থানীয় সংগঠন জনউদ্যোগের আহ্বায়ক আইনজীবী নজরুল ইসলাম চুন্নু বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরকে ঘিরে আমরা উচ্ছ্বসিত আনন্দিত। জনউদ্যোগের পক্ষ থেকে বিমানবন্দর ও আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়াম নির্মাণসহ ১৮ দফা দাবি উত্থাপন করা হয়েছে। আশা করছি, নেত্রী আমাদের দাবি পূরণ করবেন।’

ময়মনসিংহ র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-১৪ (র‌্যাব) সদর দপ্তরের অধিনায়ক মো. মহিবুল ইসলাম খান বলেন, ‘পুলিশ ও সরকারের বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনীর পাশাপাশি র‌্যাবের বিভিন্ন টিম নগরীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে টহলরত অবস্থায় থাকবেন। ইতোমধ্যেই সমাবেশস্থলসহ বিভিন্ন পয়েন্টে টহল শুরু করে দিয়েছে র‌্যাবের টিম।’

রেলওয়ে ময়মনসিংহের সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী নারায়ণ প্রসাদ সরকার জানান, শনিবার ময়মনসিংহ জেলায় যাতায়াতের জন্য গফরগাঁও-ময়মনসিংহ, নান্দাইল-ময়মনসিংহ, দেওয়ানগঞ্জ বাজার-জামালপুর-ময়মনসিংহ, নেত্রকোণা-ময়মনসিংহ, অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান-ময়মনসিংহ, গৌরীপুর-ময়মনসিংহ, ঈশ্বরগঞ্জ-ময়মনসিংহ, জারিয়া-ঝাঞ্জাইল-ময়মনসিংহ রুটে আটটি স্পেশাল ট্রেন চালানো হবে।

Advertisement

তিনি জানান, এসব ট্রেনে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ১০টার মধ্যে সব স্টেশন থেকে ময়মনসিংহের উদ্দেশে ছেড়ে আসবে।

এর আগে ২০১৫ সালের ১৩ অক্টোবর ময়মনসিংহ বিভাগ ঘোষণার পর ২০১৮ সালের ২ নভেম্বর সার্কিট হাউজের জনসভায় ১০৩টি প্রকল্পের উদ্বোধন ও ৯৩টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দীর্ঘ চার বছর পর আবারও এই নগরীতে আসছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা।

Advertisement
মন্তব্য করতে ক্লিক রুন

মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন

রিপ্লাই দিন

ময়মনসিংহ

বন্ধুদের নিয়ে নববধূকে ধর্ষণ,স্বামীসহ গ্রেপ্তার ২

Published

on

টাঙ্গাইলে  স্বামীর সহযোগিতায় বাসর রাতে বন্ধুদের নিয়ে নববধূকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামী আব্দুল বাছেদ (২৫) ও বন্ধু জহুরুল ইসলামকে (২৮) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অপর বন্ধুকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

গেলো বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) অভিযুক্ত দু আসামিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন কালিহাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ফারুক।

মামলা সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি বিয়ে করে ওই নববধূকে নিজের বাড়িতে তোলেন আব্দুল বাছেদ। বাসর রাতে প্রবেশের পর বাছেদের সহযোগিতায় তার দুই বন্ধু কৌশলে ভুক্তভোগী নববধূকে ধর্ষণ করেন। পরে ভুক্তভোগী ভূঞাপুর উপজেলার নিকলা পাড়া গ্রামে বাবার বাড়িতে  গিয়ে বিষয়টি জানান।

পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় গেলো ২৭ জুলাই ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে কালিহাতী থানায় গ্রেপাত দুই আসামিসহ বর্তময়ানে পলাতক রবিন মিয়াকে (২৬) আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ অভিযুক্ত স্বামী ও তার বন্ধুকে টাঙ্গাইল আদালতে পাঠিয়েছে।

প্রসঙ্গত, এ ঘটনায় নববধূর শারীরিক পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

Advertisement

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জনদুর্ভোগ

বন্যার পানিতে গোসলে নেমে ৪ জনের মৃত্যু

Published

on

জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার শ্যামপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ বালুচর এলাকায় বন্যার পানিতে গোসল করতে নেমে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। খবর পেয়ে লোকজন গিয়ে দেখেন মরদেহ পানিতে ভেসে উঠেছে। এ সময় বেঁচে ফেরেন মারিয়া (১২) নামের এক শিশু।

রোববার (১৪ জুলাই) বিকেল ৫টায় এ ঘটনা ঘটে। মেলান্দহ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

নিহতরা হলেন- দক্ষিণ বালুচর এলাকার দিশা আক্তার (১৭), সাদিয়া (১০), খাদিজা (১০) ও রোকশানা (২৫)।

স্থানীয়রা জানান, রোববার বিকেলে দক্ষিণ বালুচর এলাকার পাশাপাশি বাড়ির তিন শিশু, এক কিশোরী ও এক গৃহবধূ ফসলি জমিতে বন্যার পানিতে গোসল করতে যান। গোসল করার একপর্যায়ে হঠাৎ করেই চারজন পানিতে তলিয়ে যেতে থাকেন। এ সময় দূরে থাকা এক কিশোরী তাদের তলিয়ে যাওয়া দেখে দৌড়ে বাড়িতে এসে খবর দেন।

স্থানীয়দের বরাতে (ওসি) রাজু বলেন, এলাকার লোকজন বলছেন, অল্প পানিতেই সবাই গোসল করতে গিয়েছিল। এই পানিতে ডুবে মারা যাওয়ার ঘটনাতে সবাই হতবাক। এর মধ্যে আগামী শুক্রবার দিশার বিয়ে হওয়ার কথা ছিল।

Advertisement

এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য আজাদ আলী বলেন, দুপুরে এমন খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যাই। এমন ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ময়মনসিংহ

বন্যায় টাঙ্গাইলে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি

Published

on

টাঙ্গাইলে যমুনা নদীর পানি কমলেও এখনো বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে কিছু এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত থাকলেও, কিছু এলাকায়  পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।  যমুনা নদীর পানি লোকালয়ে প্রবেশ করায় অনেক নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে।এর ফলে প্রায় ছয়টি উপজেলার ১১ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। পানিবন্দি হওয়ার পাশাপাশি কৃষিজমি তলিয়ে যাওয়ায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।

মঙ্গলবার (৯ জুলাই)টাঙ্গাইলে যমুনা নদীর পানি ৯ সেন্টিমিটার কমে  বিপৎসীমার ২৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানায় জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানান, বন্যার পানিতে জেলার বিভিন্ন উপজেলার প্রায়  ৪০ হাজার ৬৬ হেক্টর জমির ফসল পানিতে ডুবে রয়েছে। তবে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করায় নতুন এলাকার ফসলি জমি বন্যাকবলিত হচ্ছে।

জেলা প্রশাসন জানায়, জেলার ভূঞাপুর, নাগরপুর, কালিহাতী, টাঙ্গাইল সদর, গোপালপুর, বাসাইল উপজেলার ৪৭ হাজার মানুষ পানিবন্দি রয়েছে। এতে তারা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এ ছাড়া যমুনাসহ তিনটি নদীর পানি কমতে শুরু করলেও নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের পানিবন্দি মানুষদের দুর্ভোগ কমেনি। বর্তমানে বিশুদ্ধ খাবার পানি ও গোখাদ্যের অভাব দেখা দিয়েছে।

প্রসঙ্গত,  এ বছর বন্যায় যেসকল মানুষ পানিবন্দি রয়েছেন তাদের জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো. কায়ছারুল ইসলাম।

Advertisement

জেড/এস

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

প্রধান সম্পাদক : সৈয়দ আশিক রহমান

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: বেঙ্গল টেলিভিশন লিমিটেড , ৪৩৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২১৫
ফোন : 01878-184154, ই-মেইল : contact.bayannotv@gmail.com
© 2023 bayanno.tv

কারিগরি সহায়তায় Build it