লাইফস্টাইল
অস্কারের মঞ্চে দীপিকার সাজ কেমন হতে পারে
৯৫তম অ্যাকাডেমি পুরস্কার ঘোষিত হতে চলেছে ১২ মার্চ। ভারতে অনুষ্ঠানটি সম্প্রচারিত হবে ১৩ মার্চ, বিকেল সাড়ে ৫টায়। মনোনীত সব ছবি এবং কলাকুশলীদের পুরস্কৃত করার জন্য অস্কার মঞ্চে উপস্থিত থাকবেন দেশ-বিদেশের তারকারা। কিছু দিন আগেই প্রকাশিত হয়েছে ২০২৩ সালের অস্কার উপস্থাপকদের নাম। সেই তালিকায় এ বছর একমাত্র ভারতীয় হিসাবে উপস্থিত থাকছেন দীপিকা পাড়ুকোন।
হলিউডের ছবিতে আগেই অভিষেক হয়েছে দীপিকার। প্রথম ভারতীয় হিসাবে কয়েক মাস আগেই ফিফা বিশ্বকাপের ট্রফি উদ্বোধন করেছিলেন তিনি। এবার পাড়ি দিবেন অস্কারের মঞ্চ আলোকিত করতে। লস অ্যাঞ্জেলেসে অস্কারের সন্ধ্যায় লাল গালিচায় কী পোশাক পরে হেঁটে আসবেন দীপিকা, সে অপেক্ষাতেই রয়েছেন তার ভক্ত-অনুরাগীরা।
ভারতীয় পোশাকেই নিজেকে সাজাবেন, না কি সকলের নজর কাড়তে ভরসা রাখবেন পশ্চিমি পোশাকে, তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। দীপিকা নিজেও অবশ্য মুখ খোলেনি এ ব্যাপারে। বোঝাই যাচ্ছে, অনুষ্ঠানের আগে পুরোটাই আড়ালে রাখতে চাইছেন তিনি। প্যারিস ফ্যাশন উইক হোক কিংবা কান- এর আগে লাল কার্পেটে তো কম হাঁটেননি অভিনেত্রী। তবে এমন বিশেষ দিনে ঠিক কোন পোশাকে নিজেকে সাজাবেন, তা জানা না গেলেও একটা ধারণা করা যেতে পারে।
১) গেলো বছর কান চলচ্চিত্র উৎসবের রেড কার্পেটে সব্যসাচী মুখোপাধ্যায়ের নকশা করা শাড়ি পরে হেঁটেছিলেন তিনি। কালো এবং সোনালি কাজ করা জর্জেটের শাড়ির সঙ্গে হল্টার নেক ব্লাউজে ‘রেট্রো লুকে’ নজর কেড়েছিলেন সকলের।
অস্কারের মঞ্চেও কি সব্যসাচীর শাড়িই পরনে থাকবে দীপিকার, না কি অন্য কোনও শিল্পীর তৈরি পোশাকে সাজবেন, তা জানার জন্য অবশ্য খানিক অপেক্ষা করতে হবে।
২) কিছু দিন আগে দীপিকাকে দেখা গিয়েছিল ‘প্যারিস ফ্যাশন উইক’-এর লাল গালিচায়। সে অনুষ্ঠানে একেবারে অন্য রকম একটি সাজ বেছে নিয়েছিলেন তিনি। দীপিকা ফরাসি ফ্যাশন সংস্থা ‘লুই ভিঁতো’-র ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর। তাই ওই সংস্থার পোশাকই পরনে ছিল তাঁর। ঊরু পর্যন্ত ঝুলের কালো রঙের লেদার জ্যাকেট।
পায়ে নেটের কালো স্টকিংস। হাঁটু পর্যন্ত বুট। খোলা চুল। অস্কারের মঞ্চে দীপিকা লুই ভিঁতোর পোশাক পরতে পারেন বলেও মনে করছেন অনেকে।
৩) গেলো বছর কান চলচ্চিত্র উৎসবের সমাপ্তি অনুষ্ঠানে সাদা শাড়িতে পরির মতো সেজে এসেছিলেন দীপিকা। সন্দীপ খোসলার নকশা করা সাদা শিফন শাড়ি আর মুক্তোর সাজে দীপিকাকে যে মোহময়ী লাগছিল, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।
অস্কারের দিনও কি শাড়ি পরবেন তিনি? পরলেও কোন পোশাকশিল্পীর উপর ভরসা রাখবেন? এমন কিছু প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে তাঁর অনুরাগীদের মনে।
৪) ২০২২ সালে, ‘ইএলএলই বিউটি অ্যাওয়ার্ড’-এর মঞ্চে এমন দুধসাদা গাউনে নিজেকে সাজিয়েছিলেন অভিনেত্রী। সাদা যে তাকে দারুণ মানায়, এত দিনে বোঝা হয়ে গিয়েছে। গেলো বছরের শেষের দিকের বেশ কিছু অনুষ্ঠানে শাড়ি কিংবা গাউন- সাদা রং বেছে নিয়েছিলেন দীপিকা।
অ্যাকাডেমি পুরস্কারের মঞ্চেও কি তবে সাদা কোনও পোশাক পরতে চলেছেন নায়িকা? এ প্রশ্নের উত্তর পেতে অপেক্ষা করা ছাড়া অবশ্য উপায় নেই।
পরামর্শ
মুখে ঘা দূর করতে মেনে চলুন ৫ উপায়
খাওয়া দাওয়ার সময় বা কথা বলার সময়ে মুখে ঘা হলে বেশ সমস্যায় পড়তে হয়। এই সমস্যা দীর্ঘদিন সহ্য না করাই উত্তম। এই সমস্যা কিন্তু একসময় মুখে আলসারেরও লক্ষণ হতে পারে। মুখের আলসারকে সামান্য ঘা ভেবে অবহেলা করলেই বিপদে পড়বেন। কোষ্ঠকাঠিন্য, হরমোন জনিত সমস্যার কারণে মুখের ভিতরে আলসার হতে পারে। অনেকে আবার ব্রেসেস পড়েন, তাঁদেরও মাঝেমাঝে এই সমস্যা হয়। শরীরে ভিটামিন সি ও ভিটামিন বি, আয়রন, জিঙ্ক, ফোলেটের ঘাটতির কারণেও মুখের ঘা থেকে আলসার হতে পারে।
মুখে ঘা হলে কিছুদিনের জন্য ঝাল, টক জাতীয় খাবার এড়িয়ে যাওয়াই ভাল। না হলে মুখে জ্বালা অনুভূত হবে। মুখে ঘা হলে মুক্তি পেতে পারেন ৫ উপায়ে ।
১) মুখের ঘা কমাতে হালকা গরম পানিতে সামান্য লবন মিশিয়ে কুলকুচি করুন। এতে আরাম পাবেন। দিনে তিন থেকে চার বার করলে ব্যথা ও ঘা দুটোই কমে আসবে।
২) ঘায়ের জায়গায় সামান্য মধু লাগিয়ে রাখতে পারেন, ভালো উপকার পাবেন। কয়েক ঘণ্টা অন্তর অন্তর মধু লাগালে সুফল পাবেন।
৩) ঘায়ের জায়গায় বিশুদ্ধ নারিকেল তেল লাগিয়ে রাখলেও বেশ আরাম পাবেন।
৪) যে কোনও ঘায়ের জন্য ভালো প্রাকৃতিক ঔষধ হতে পারে হলুদ। মুখে যে জায়গায় ঘা হয়েছে, সেই স্থানে হলুদ বাটা লাগিয়ে রাখতে পারেন। কিছু দিন ব্যবহার করলেই ঘায়ের তীব্র জ্বালা-যন্ত্রণা কমে আসবে।
৫) বেকিং সোডা ঘা সারাতে দারুণ উপকারী একটি জিনিস। এক কাপ পানিতে এক চা চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে কুলকুচি করলে ঘা কমে যাবে। এছাড়া বেকিং সোডার সঙ্গে সামান্য পানি মিশিয়ে একটা ঘন পেস্ট তৈরি করে নিতে পারেন। সেই পেস্ট ক্ষতস্থানে লাগিয়ে রাখলেও বেশ উপকার পেতে পারেন।
জেডএস/
লাইফস্টাইল
জুতো-মোজার দুর্গন্ধ দূর হবে যেভাবে
এসে গেছে বৃষ্টির দিন। দিনভর ঘ্যানঘ্যানে বৃষ্টিতে বাড়ি থেকে বের হওয়াই সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ। বাড়ি থেকে বেরিয়েই কাকভেজাহয়ে অফিসে যাচ্ছে মানুষ। জুতো থেকে মোজা, সব ভিজে একেবারে চুপচুপে। সেই জুতো-মোজা পরেই সারাদিন কাটিয়ে দেয়া।
সবশেষে ঘরে পৌছে জুতো খুলতেই বিকট গন্ধ! এই পরিস্থিতির সম্মুখীন অনেকেই হচ্ছেন নিশ্চয়ই? এই সমস্যা দূর করতে ঘরোয়া কিছু টিপসে খুব সহজেই দূর করতে পারবেন জুতো, মোজার এই বাজে গন্ধ।
আসুন জেনে নেই তাহলে –
১. ছোট্ট একটি কাপড়ে অল্প পরিমাণ বেকিং সোডা নিয়ে ছোট পুটলি বানিয়ে মোজার মধ্যে রেখে দিন। দেখবেন মোজা থেকে দুর্গন্ধ দূর হবে।
২. ন্যাপথোলিন গুঁড়ো করে নিয়ে ট্যালকম পাউডারের সঙ্গে তা মিশিয়ে জুতোর মধ্যে ছড়িয়ে দিন। দেখবেন জুতোয় আর দুর্গন্ধ হচ্ছে না।
৩. বাড়িতে ফিরেই ভিজে জুতো ভালো করে শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে নিন। তারপর জুতোর মধ্যে কিছু পরিমাণ বেকিং সোডা ছিটিয়ে দিন।
পরের দিন জুতোর ভিতর ভালো করে মুছে ফেলুন। দেখবেন গন্ধ দূর হয়েছে।
৪. জুতোর মধ্যে এক টুকরো ফেব্রিক সফটনার সিট রেখে দিন রাতে। পরদিন সেটি বের করে জুতো পরুন। বাজে গন্ধ একেবারে দূর হয়ে যাবে।
৫. বাড়িতে ফিরে জুতো ধুয়ে হেয়ার ড্রায়ার চালিয়ে হালকা শুকিয়ে নিন। এবার এক টুকরো কাপড় বা তুলো লবঙ্গ তেলে ভিজিয়ে জুতোর মধ্যে রেখে দিন সারারাত। জুতোর দুর্গন্ধ দূর হবে।
৬. ফুটন্ত জলে টি ব্যাগ ফেলে রাখুন ২ মিনিট। টি ব্যাগ ঠাণ্ডা হলে জুতোর মধ্যে রেখে দিন। এক ঘণ্টা পর তা সরিয়ে জুতোর ভেতরের অংশ ভাল করে মুছে নিন। দুর্গন্ধের পাশাপাশি দূর হবে তাতে থাকা ব্যাকটেরিয়াও।
জেডএস//
রেসিপি
ম্যাংগো পুডিং তৈরির রেসিপি
আমের সিজনে অনেকেই আমের পাল্প ডিপ ফ্রিজে সংরক্ষণ করেন। সেই ম্যাংগো পাল্প দিয়েই ম্যাংগো পুডিং বানানো যাবে। আর আমের সিজনে তো ফ্রেশ আমই ব্যবহার করতে পারবেন। ছোট বাচ্চাদের জন্য এটি বেশ হেলদি একটি ডেজার্ট আইটেম। মাত্র ৪টি উপাদান দিয়েই ইয়াম্মি ইয়াম্মি ম্যাংগো পুডিং বানিয়ে নেয়া যায়। চলুন দেরি না করে রেসিপিটি জেনে নেই এখনই।
উপকরণ
ঘন দুধ- ১ কাপ
চিনি- স্বাদ অনুযায়ী ( আমি হাফ কাপ দেই )
আম- ২টি
ডিম- ২টি
ম্যাংগো পুডিং তৈরির পুরো প্রণালী
১. প্রথমে আম ছোট ছোট করে কেটে নিন। দুধ জ্বাল দিয়ে ঘন করুন এবং ঠাণ্ডা করে নিন।
২. এবার ব্লেন্ডার জগে আম, চিনি, দুধ ও ডিম সবকিছু দিয়ে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিন।
৩) মিশ্রণটি মোটামুটি ঘন ও থকথকে হবে। যদি বেশি ঘন হয়ে যায়, লিকুইড দুধ মিশিয়ে নিতে হবে।
৪. এবার একটি স্টিলের টিফিন বক্সে পুডিংয়ের মিশ্রণ ঢেলে নিতে হবে।
৫. বড় সসপ্যানে পানি ফুটতে দিন। এবার একটি স্ট্যান্ড প্যানে সেট করে তার উপর স্টিলের টিফিন বক্সটি রাখুন।
৬. বাটির ঢাকনা ভালোভাবে আটকাবেন এবং পানি যেন ভেতরে না যেতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখবেন।
৭. চুলার আঁচ মিডিয়াম রাখুন, ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করে চেক করুন পুডিং জমেছে কি না।
৮. পুডিং জমে গেলে চুলা নিভিয়ে দিন। এরপর রুম টেম্পারেচারে ঠাণ্ডা করে নিতে হবে।
ব্যস, আমের পুডিং বানানো হয় গেলো! চাইলে ফ্রিজে রেখে ম্যাংগো পুডিং ভালোভাবে সেট করে নিতে পারেন। সেট হয়ে গেলে টিফিন বক্স থেকে পুডিংটি একটি প্লেটে সাবধানে উল্টিয়ে ঢেলে নিন। এবার ছুরি দিয়ে পিস পিস করে কেটে সার্ভ করুন। আর এটি ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা খেতে কিন্তু বেশি মজা লাগে। সব উপকরণগুলো বাসাতে থাকলে আজই বানিয়ে নিন দারুন মজাদার ডেজার্টটি।
জেএইচ
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন