আইন-বিচার
৭ বছর আগের ভাইভা পরীক্ষার ফল প্রকাশের নির্দেশ: হাইকোর্ট
২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত সমবায় অধিদপ্তরের অধীনে ৮৭ পদের ভাইভা পরীক্ষার ফল ৯০ দিনের মধ্যে প্রকাশ করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সোমবার (১৩ মার্চ) এ বিষয়ে জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি কাশেফা হোসেন ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার নূর উস সাদিক।
এর আগে ২০২২ সালে ১৫ জন নিয়োগ প্রার্থীর দায়ের করা রিটের শুনানি নিয়ে রিটকারীদের ভাইভা পরীক্ষার ফল প্রকাশে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না এবং একইসঙ্গে ভাইভা পরীক্ষার ফল প্রকাশ করে নিয়োগ প্রক্রিয়া সমাপ্ত করার জন্য বিবাদীদের প্রতি কেন নির্দেশনা দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ্ মিয়া বলেন, সমবায় অধিদপ্তর ২০১৪ সালের ২৭ ডিসেম্বর বিভিন্ন পদে নিয়োগের জন্য একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। সেই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী রিট পিটিশনাররাসহ অন্যান্য নিয়োগ প্রার্থীরা আবেদন করেন। তারা লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার জন্য অ্যাডমিট কার্ড প্রাপ্ত হন এবং পরে লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে রিট পিটিশনাররা লিখিত পরীক্ষায় সফলভাবে উত্তীর্ণ হন। লিখিত উত্তীর্ণ হওয়ার পর তারা ভাইভা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার জন্য অ্যাডমিট কার্ড প্রাপ্ত হন। যথানিয়মে ভাইভা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। ২০১৫ সালের অক্টোবর মাসের বিভিন্ন তারিখে ভাইভা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। ৭ বছর সময় অতিবাহিত হয়ে গেলেও সমবায় অধিদপ্তর তাদের ভাইভা পরীক্ষার ফল প্রকাশ না করায় সংশ্লিষ্টদের নিষ্ক্রিয়তায় ক্ষুব্ধ হয়ে ২০২২ সালে রিট দায়ের করেন ১৫ জন প্রার্থী।
শুভজিৎ রায়, উম্মে আফিয়া, বৃষ্টি আক্তার, মো. আতিকুর রহমান, মো. রাকিব হাসান খান, মো. আল ইমরান (রানা), মো. বিপুল মিয়া, মো. আশফাক হোসেন, শ্রী দেবাশীষ শাহা, মো. মমিনুর রহমানসহ মোট ১৫ জন এ রিট দায়ের করেন। ওই রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে হাইকোর্ট আজ এই রায় দেন।
আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ্ মিয়া আরও বলেন, দীর্ঘ প্রায় ৭ বছর সময় অতিবাহিত হয়ে গেলেও বেআইনিভাবে রিট পিটিশনারদের ভাইভা পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়নি, কিন্তু ওই রায়ের ফলে রিট পিটিশনাররা ন্যায়বিচার পেয়েছেন। আমি আশা করছি কর্তৃপক্ষ সময়ক্ষেপণ না করে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ভাইভা পরীক্ষার ফল প্রকাশ করবেন।
আইন-বিচার
নতুন অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান
রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান।
বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাকে এ নিয়োগ দেন।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, ‘রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয় আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামানকে পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত অ্যাটর্নি জেনারেল পদে নিয়োগ প্রদান করলেন।’
উল্লেখ্য, আ.লীগ সরকারের পতনের পর পদত্যাগ করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। বুধবার (০৭ আগস্ট) রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। তার স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন মো. আসাদুজ্জামান।
২০২০ সালের ৮ অক্টোবর রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এ এম আমিন উদ্দিনকে অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেন। এর আগে তিনি ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
এসি//
আইন-বিচার
পদত্যাগ করেছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর
পদত্যাগ করেছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর। বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন।
পদত্যাগ করার বিষয়টি এস এম মুনীর নিজেই গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও আরেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মো. মোরসেদ পদত্যাগ করেন।
২০২০ সালের ১ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক এবং জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম মুনীরকে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।
প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার চূড়ান্ত আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেশত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। গেলো ৫ আগস্ট দুপুর আড়াইটায় বঙ্গভবন থেকে একটি সামরিক হেলিকপ্টার তাকে নিয়ে ভারতের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। এ সময় তার সঙ্গে তার ছোট বোন শেখ রেহানা ছিলেন। ভারতে যাওয়ার আগে রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র দেন শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে বড় বড় পদে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। আবার অনেকেই স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করছেন।
এসি//
আইন-বিচার
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণের সেই ভাস্কর্যটি উপড়ে ফেলা হয়েছে
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে হাইকোর্ট এনেক্স ভবনের সামনে থাকা গ্রিক দেবী থেমিসের ভাস্কর্যটি ভাঙচুরের পর উপড়ে ফেলা হয়েছে।তবে কে বা কারা ভাস্কর্যটি ভেঙেছে তা জানা যায়নি।
বুধবার (৭ আগস্ট) দুপুরে ভাস্কর্যটি মাটিতে পরে থাকতে দেখা যায়। এর আগে,গেলো মঙ্গলবার সকালে ইস্পাতের তৈরি ভাস্কর্যটির হাত ও দাঁড়িপাল্লা ধরে থাকা হাত ভাঙা অবস্থায় দেখা গিয়েছিলো।
সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তা জানান, গ্রিক দেবী থেমিসের আদলে ন্যায়বিচারের প্রতীক হিসেবে গড়ে তোলা ভাস্কর্যটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। তবে কে বা কারা এটি করেছেন, তা তাদের জানা নেই।
এর আগে ২০১৬ সালের ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টে প্রবেশের মূল ফটকের বরাবর থাকা লিলি ফোয়ারায় প্রথমে ভাস্কর্যটি বসানো হয়। হেফাজতসহ কয়েকটি ইসলামি সংগঠনের দাবির মুখে ২০১৭ সালের মে মাসে ভাস্কর্যটি সরিয়ে এনেক্স ভবনের সামনে স্থাপন করা হয়।
আই/এ
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন