আইন-বিচার
সোনা লুটে স্ত্রীসহ পুলিশ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে চার্জশিট
দিনদুপুরে ৯৮ ভরি সোনা ডাকাতির ঘটনায় রাজধানীর কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় করা মামলায় পুলিশ কনস্টেবল মুন্সী মো. কামরুজ্জামান ওরফে লিংকন ও তার স্ত্রী নাহিদা নাহারসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছে পুলিশ। গেলো ২৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করা হয়।
আজ বুধবার (১৫ মার্চ) সকালে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও কেরানীগঞ্জ মডেল থানার উপ-পরিদর্শক অলোক কুমার দে বিষয়টি জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ৯৮ ভরি সোনা ডাকাতির মামলায় চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। চার্জশিটে পুলিশ কনস্টেবল কামরুজ্জামান ও তার স্ত্রী নাহিদাসহ ১১ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। নাহিদার কাছ থেকে ৩৬ ভরিসহ মোট ৫১ ভরি সোনা ও লুণ্ঠিত সোনা বিক্রির নগদ ১৫ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। যা আদালতের মাধ্যমে বাদীর জিম্মায় দেয়া হয়েছে।
চার্জশিটভুক্ত অন্য আসামিরা হলেন- পুলিশ কনস্টেবল কামরুজ্জামানের স্ত্রী নাহিদা নাহার মেমি, মো. শফিকুল ইসলাম ওরফে সুমন, উত্তম চন্দ্র মজুমদার, মো. শরীফুল ইসলাম, মো. জাকির হোসেন, মো. রহমান সরদার, আনন্দ পাল, মো. নজরুল ইসলাম ওরফে বাবুল, উত্তম পাল ও দুলাল চন্দ্র পাল।
আসামিদের মধ্যে আনন্দ পাল, উত্তম পাল ও দুলাল পাল পলাতক রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়েছে। এছাড়া নাসির ও মালেকের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে পুলিশ। তবে তাদের পূর্ণাঙ্গ নাম-ঠিকানা না পাওয়ায় মামলার দায় থেকে অব্যাহতির আবেদন করা হয়েছে।
চার্জশিটে বলা হয়েছে, আসামিদের মধ্যে শফিকুল ইসলাম ওরফে সুমন মামলার মূল পরিকল্পনাকারী ও ডাকাতদলের হোতা। অন্যরা আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য। শফিকুলের নেতৃত্বে অপরাপর আসামিরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পোশাক পরে সংঘবদ্ধভাবে যানবাহনে থাকা যাত্রীদের টার্গেট করতো। এরপর সুযোগ বুঝে তাদের পথরোধ করে ডাকাতিসহ নানা রকম অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করতো। আসামী জাকির ও উত্তম মজুমদার পরস্পর বন্ধু। তারা একত্রে বিভিন্ন ডাকাতিতে অংশ নেয়।
চার্জশিটে আরও উল্লেখ করা হয়, ভুক্তভোগীর দোকান কর্মচারী বরুণ ঘোষ ছয় মাস আগে থেকে বিভিন্ন সময় গলানো সোনা কারখানায় আনা-নেয়ার কাজ করতেন। ২০২২ সালের ২ সেপ্টেম্বর বিকেলে গলানো ৯৮ ভরি সোনা নিয়ে মোটরসাইকেলে রাজধানীর তাঁতিবাজারে রওনা করেন। এরপর কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন এলাকায় মোটরসাইকেল রাখেন বরুণ ঘোষ। এরপর নৌকায় নদী পার হয়ে ওয়াইজঘাট ডাব পট্টি ঘাটে নেমে তাঁতিবাজার যান। কিন্তু কারখানা বন্ধ থাকায় বরুণ তার সঙ্গে থাকা সোনা নিয়ে ফিরে আসেন। একইভাবে নদী পার হয়ে কেরাণীগঞ্জ মডেল থানাধীন জনি টাওয়ার সংলগ্ন সাজেদা হাসপাতালের গলি রাস্তায় মোটরসাইকেলের কাছে আসেন। এসময় দুজন সিভিল ও দুজন মহানগর পুলিশের পোশাক পরা লোক তার সামনে আসেন এবং তাকে বলেন তার কাছে অবৈধ মাদকদ্রব্য আছে।
আসামিরা বরুণকে তাদের সঙ্গে যেতে বলে মাইক্রোবাসে তুলে নেয়। গাড়িতে তুলে তাকে কিলঘুষি মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করেন এবং তার পরা প্যান্টের ভেতরে ডান কোমরে বাঁধা কালো কাপড়ের তৈরি ব্যাগে রাখা দোকানের ৯৮ ভরি সোনা ও নগদ তিন হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। এরপর তারা বরুণকে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি দেখিয়ে চুপ থাকতে বলে। চিৎকার-চেচামেচি করলে জানে মেরে ফেলারও হুমকি দেয়। আসামিরা বরুণকে তাদের মাইক্রোবাসে করে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন ঝিলমিল প্রজেক্টের ফাঁকা রাস্তায় ফেলে রেখে যায়।
চার্জশিটে আরও বলা হয়, পুলিশ কনস্টবল মুন্সী কামরুজ্জামান ও আসামি আনন্দ পালকে গ্রেফতার করা হয়। উত্তম পালের বাসা থেকে ৯ ভরি ৮ আনা সোনা, দুলাল পালের বাসা থেকে পাঁচ ভরি ১৪ আনা সোনা জব্দ করা হয়। পরবর্তী সময়ে আসামি সুমনের কাছে লুণ্ঠিত সোনার অলংকার বিক্রির আট লাখ টাকা, আসামি উত্তম মজুমদারের কাছে থেকে চার লাখ টাকা ও আসামি শরীফের কাছে থেকে তিন লাখ টাকা জব্দ করা হয়। আসামি রহমানকে গ্রেফতার করা হয় এবং তার কাছে থেকে মাইক্রোবাস জব্দ করা হয়।
এছাড়া আসামি কামরুজ্জামানের তথ্যমতে নাহিদাকে গ্রেফতার করা হয়। তার কাছে থেকে ৩৬ ভরি সোনা জব্দ করা হয়। উদ্ধার হওয়া মোট ৫১ ভরি ৫ আনা সোনা এবং লুণ্ঠিত সোনা বিক্রির নগদ ১৫ লাখ টাকা ভুক্তভোগীর জিম্মায় দেয়া হয়েছে।
আইন-বিচার
নতুন অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান
রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান।
বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাকে এ নিয়োগ দেন।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, ‘রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয় আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামানকে পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত অ্যাটর্নি জেনারেল পদে নিয়োগ প্রদান করলেন।’
উল্লেখ্য, আ.লীগ সরকারের পতনের পর পদত্যাগ করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। বুধবার (০৭ আগস্ট) রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। তার স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন মো. আসাদুজ্জামান।
২০২০ সালের ৮ অক্টোবর রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এ এম আমিন উদ্দিনকে অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেন। এর আগে তিনি ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
এসি//
আইন-বিচার
পদত্যাগ করেছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর
পদত্যাগ করেছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর। বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন।
পদত্যাগ করার বিষয়টি এস এম মুনীর নিজেই গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও আরেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মো. মোরসেদ পদত্যাগ করেন।
২০২০ সালের ১ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক এবং জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম মুনীরকে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।
প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার চূড়ান্ত আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেশত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। গেলো ৫ আগস্ট দুপুর আড়াইটায় বঙ্গভবন থেকে একটি সামরিক হেলিকপ্টার তাকে নিয়ে ভারতের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। এ সময় তার সঙ্গে তার ছোট বোন শেখ রেহানা ছিলেন। ভারতে যাওয়ার আগে রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র দেন শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে বড় বড় পদে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। আবার অনেকেই স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করছেন।
এসি//
আইন-বিচার
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণের সেই ভাস্কর্যটি উপড়ে ফেলা হয়েছে
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে হাইকোর্ট এনেক্স ভবনের সামনে থাকা গ্রিক দেবী থেমিসের ভাস্কর্যটি ভাঙচুরের পর উপড়ে ফেলা হয়েছে।তবে কে বা কারা ভাস্কর্যটি ভেঙেছে তা জানা যায়নি।
বুধবার (৭ আগস্ট) দুপুরে ভাস্কর্যটি মাটিতে পরে থাকতে দেখা যায়। এর আগে,গেলো মঙ্গলবার সকালে ইস্পাতের তৈরি ভাস্কর্যটির হাত ও দাঁড়িপাল্লা ধরে থাকা হাত ভাঙা অবস্থায় দেখা গিয়েছিলো।
সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তা জানান, গ্রিক দেবী থেমিসের আদলে ন্যায়বিচারের প্রতীক হিসেবে গড়ে তোলা ভাস্কর্যটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। তবে কে বা কারা এটি করেছেন, তা তাদের জানা নেই।
এর আগে ২০১৬ সালের ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টে প্রবেশের মূল ফটকের বরাবর থাকা লিলি ফোয়ারায় প্রথমে ভাস্কর্যটি বসানো হয়। হেফাজতসহ কয়েকটি ইসলামি সংগঠনের দাবির মুখে ২০১৭ সালের মে মাসে ভাস্কর্যটি সরিয়ে এনেক্স ভবনের সামনে স্থাপন করা হয়।
আই/এ
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন