ছাত্র-শিক্ষক
সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অবস্থান ধর্মঘট
সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজের কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ এনে অবস্থান ধর্মঘট করছে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মচারী ও এলাকাবাসী।
আজ বুধবার (১৫ মার্চ) সকাল থেকে এ আন্দোলন শুরু হয়। সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজের সরকারিকরণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত দ্রুত বাস্তবায়ন, কলেজ কর্তৃপক্ষের স্বৈরাচারী সিদ্ধান্ত বাতিল এবং শিক্ষক শিক্ষার্থীদের ওপর হয়রানি ও নির্যাতন বন্ধের দাবিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষা মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এই অবস্থান ধর্মঘট।
যে সব অভিযোগে এই অবস্থান ধর্মঘটেঃ
*মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত ও অনুমোদিত নারী শিক্ষার বিদ্যাপীঠ সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজটির সরকারীকরণ বাস্তবায়ন কার্যক্রম আটকে রেখে সরকারকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানো।
*সরকারি আদেশ অমান্য করে সরকারি অধ্যক্ষ প্রেশনে নিয়োগ আদেশ বাতিলের অপচেষ্টা ও অধ্যক্ষকে তার সিটে বসতে না দেয়া।
* বিগত তিন বছর ধরে সরকারি করন প্রক্রিয়াধীন বলে নিয়োগ পদোন্নতি সহ বিভিন্ন আর্থিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা।
* অস্থাবর সম্পত্তির ডিড অফ গিফট প্রদানের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও গত দেড় বছর ধরে তা সরকারের কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছে না এবং কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে তারা আর সরকারি করন করবে না তাই ডিডও দিবে না।
*শিক্ষার্থীরা ২৫ টাকা বেতনে পড়ার কথা জেনে ভর্তি হয়েও মাসে ১৩০০ টাকা বেতন দিতে হচ্ছে যা তাদের পরিবারের জন্য ভীষণ চাপের ও হতাশার একই সাথে এটি প্রতারণার শামিল।
* অভিভাবক প্রতিনিধি ও শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচনে যথাযথ নিয়ম মানা হয়নি, নির্বাচন বিধি বহির্ভূতভাবে করার অবশিষ্ট চলছে।
* যেসব শিক্ষক ছুটিতে থাকবে তারা শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচনে ভোট দিতে পারবে না, এমন নিষেধ থাকা প্রদানের মাধ্যমে ভোটাধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে।
*কলেজ সরকারীকরণ এর পক্ষে কথা বললে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের নানারকম ভয়ভীতি দেখানো হয়। শিক্ষক, কর্মচারীর চাকুরী চলে যাবে, শিক্ষার্থীদের টিসি দিয়ে দেয়া হবে এমন সব কঠোর শাস্তির কথা বলা হয় ও হয়রানি করা হয়।
* গভর্নিং বডির সদস্য শিক্ষক প্রতিনিধিকে গভর্নিং বডির যে কোন সিদ্ধান্ত সঠিক সময় জানানো হয় না, এমনকি মিটিং থাকলেও সে বিষয়ে পূর্ব নির্ধারিত সময়ে না জানিয়ে মিটিং শুরু হবার অল্প কিছু সময় আগে অবগত করা হয়।
* যে কোন সিদ্ধান্ত কলেজের একটি গোষ্ঠীকে লাভবান করতে তাদের অনুকূলে যায় এমন সিদ্ধান্তই নেয়া হয়। কলেজের সমস্ত আর্থিক সুবিধা আছে এমন সব কর্মকাণ্ডে ওই গোষ্ঠিরই সংশ্লিষ্টতা থাকে।
ছাত্র-শিক্ষক
জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ করায় সরকারকে ঢাবি শিক্ষক সমিতির নেতাদের অভিনন্দন
সন্ত্রাসবিরোধী আইনে জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করায় সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি।
শুক্রবার (২ আগস্ট) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভুঁইয়া ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা এক যৌথ বিবৃতিতে এ অভিনন্দন জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে হত্যা, ধর্ষণ ও লুণ্ঠনের সঙ্গে জামায়াতের সক্রিয় সম্পৃক্ততা ছিল। এছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডের কারণে তাদের সংগঠনের রাজনীতি নিষিদ্ধ করায় সরকারকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি অভিনন্দন জানাচ্ছে।
শিক্ষক নেতারা বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাত্রির গণহত্যা ও ১৪ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবী নিধনের নেতৃত্বদানকারী এবং ৩০ লাখ শহীদের রক্তে স্নাত, দুই থেকে ছয় লাখ নারীর সম্ভ্রম ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের বিরোধিতাকারী সংগঠন হচ্ছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও তার ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র শিবির (তৎকালীন ছাত্র সংঘ)। স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশেও তারা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ও রাজপথে শিক্ষক-শিক্ষার্থী নির্যাতন ও হত্যার বহু ঘটনা ঘটিয়েছে।
তারা বলেন, এসব কারণে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্র শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে মনে করে। তবে এটিই যথেষ্ট নয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি রাষ্ট্রের সব পর্যায়ে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ বাস্তবায়নে সব ধরনের উদ্যোগ নেওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছে।
জেএইচ
ছাত্র-শিক্ষক
শিক্ষার্থীদের মুক্তির দাবি ঢাবির ইংরেজি বিভাগের শিক্ষকদের
চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবির প্রতি সমর্থন ও গ্রেপ্তারদের মুক্তির দাবি জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষকরা। এছাড়া শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবির প্রতি সমর্থন এবং সংলাপের মাধ্যমে একটি সৌহার্দ্যপূর্ণ সমাধান আসবে বলে আশা করেন তারা।
রোববার (২৮ জুলাই) বিকেল সোয়া ৩টায় বিভাগের শিক্ষকদের পক্ষ থেকে বিভাগীয় চেয়ারম্যান অধ্যাপক জেরিন আলম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষকরা সম্প্রতি কোটা সংস্কার আন্দোলনে শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের প্রাণহানি, নির্বিচারে গ্রেপ্তার ও হয়রানির ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। আমরা বিশেষভাবে উদ্বিগ্ন যে আমাদের ছাত্র মো. আবুল হাসনাত (হাসনাত আবদুল্লাহ), কোটাবিরোধী আন্দোলনের এক সমন্বয়ক গ্রেপ্তার হয়েছেন। আমরা তার এবং অন্য শিক্ষার্থীদের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানাচ্ছি।
এতে আরও বলা হয়, আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে সংযম প্রদর্শন এবং আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবির প্রতি সমর্থন জানাচ্ছি এবং আশা করছি যে সংলাপের মাধ্যমে একটি সৌহার্দ্যপূর্ণ সমাধান আসবে।
এএম/
ছাত্র-শিক্ষক
শিক্ষক নেতাদের সঙ্গে ওবায়দুল কাদেরের বৈঠক আজ
সর্বজনীন পেনশনের ‘প্রত্যয় স্কিম’ বাতিলের দাবিতে তৃতীয় দিনের মতো সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করেছেন দেশের ৩৫টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) বিষয়টি সুরাহার জন্য শিক্ষক নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
বুধবার (৩ জুলাই) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের মূল ফটকে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
এ সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির মহাসচিব ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক নিজামুল হক ভূঁইয়া জানান, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আন্দোলনরত শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছেন। পরে আজ বসার জন্য সময় দেন তিনি। তবে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষকদের সর্বাত্মক কর্মবিরতি চলবে।
গেলো তিন দিন ধরে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলনের ফলে কার্যত অচল হয়ে আছে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। গতকালও সকাল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করে কলা ভবনের মূল ফটকে অবস্থান নেন।
অন্যদিকে ‘কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ’ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেন। ফলে শিক্ষার্থীরা বিভাগ, হল, ইনস্টিটিউট ও প্রশাসনিক ভবনের কোথাও কোনো ধরনের সেবা পাচ্ছে না। প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে অনেক শিক্ষার্থী সেবা নিতে এসে ফিরে যাচ্ছেন।
অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী মঙ্গলবার শিক্ষকদের চলমান আন্দোলনকে ‘অযৌক্তিক’ বলে মন্তব্য করেছেন। এ বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে নিজামুল হক ভূঁইয়া বলেন, ‘যারা প্রত্যয় স্কিম করেছেন, তারা হয়তো মন্ত্রীকে ভুল বুঝিয়েছেন। তিনি তার জায়গা থেকে কথা বলেছেন। আমরা যখন তাকে বোঝাতে পারব, তখন হয়তো তিনি আমাদের সঙ্গে একমত হবেন। তার বক্তব্যটি আমরা গ্রহণ করিনি।’
টিআর/
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন