রাজশাহী
রাজশাহীতে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে ৩৩ জঙ্গির আত্মসমার্পন
স্বাভাবিক জীবনের ফিরে আশার প্রত্যায় ব্যক্ত করে পুলিশের কাছে আত্মসমার্পন করেছে রাজশাহীর ৩৩ জঙ্গি। বিতর্ক কর্যতক্রমের জন্য এসব জঙ্গিদের বিরুদ্ধে একের অধিক মামলা রয়েছে। রাজশাহী মহানগর পুলিশের কাছে তারা আত্মসমার্পন করে স্বাভাবিক জীবন যাপনের অঙ্গিকার করেন। যদিও রাজশাহীতে জঙ্গিবাদের অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যক্তির সংখ্যা ১১১জন। এরমধ্যে ৩৩ জন জঙ্গি রাজশাহী মহানগর পুলিশের উদ্যোগে নেতিবাচক জীবন ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার প্রত্যায় ব্যক্ত করেছে। এসব জঙ্গিরা জামিনে রয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) বিকেলে রাজশাহী নগরীর বেলপুকুর থানায় অভিযুক্ত ও জামিনপ্রাপ্ত ৩৩ জন জঙ্গি হাজির হন। তারা অফিসার ইনচার্জ মনিরুজ্জামানের কাছে হাজিরা দেন। এসময় অনেক গণমাধ্যম কর্মীদের উপস্থিতিতে তারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার কথা ব্যক্ত করেন।
রাজশাহী মহানগরীর ১২ টি থানার মধ্যে ৬ টি থানার মধ্যে বোয়ালিয়া মডেল থানা, রাজপাড়া, মতিহার, বেলপুকুর, পবা ও চন্দ্রিমা থানায় জঙ্গি সংক্রান্তে ২৬ টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে ৯ টি মামলার বিচার সম্পন্ন হয়েছে, ১৪ টি বিচারাধীন ও ৩ টি তদন্তাধীন রয়েছে। ২৬ টি মামলায় ১১১ জনের মধ্যে জেএমবি’র ৮৬ জন, হিযবুত তাহরীরের ১৫ জন, শাহাদৎ আল হিকমা’র ১ জন, আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের ১ জন এবং আনসার আল ইসলামের ৮ জন জঙ্গি রয়েছে। তারা প্রত্যেকই আজ স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার লড়াই করছে।
জঙ্গিদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা প্রসঙ্গে পুলিশ কমিশনার আনিসুর রহমান, বিপিএম (বার), পিপিএম (বার) বলেন, এটি আরএমপি’র প্রতিরোধমূলক কার্যক্রম। থানায় নিয়মিত হাজিরার ব্যবস্থা করা হয়েছে। জামিনে মুক্ত জঙ্গি মামলার আসামিরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার অঙ্গীকার করেছেন এবং আমরাও চাই জঙ্গি মামলার আসামিরা জঙ্গিবাদ হতে মুক্ত হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসুক।
পরীক্ষামূলক বেলপুকুর থানায় ৩৩ জনের হাজিরার মাধ্যমে এ কার্যক্রম শুরু হলো। এপ্রিল থেকে আরও চার থানায় এ কর্মসূচি শুরু করা হবে।
উল্লেখ্য, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের বেলপুকুর থানায় মোট ৩৮ জন তালিকাভুক্ত জঙ্গি রয়েছে। এর মধ্যে ৩৩ জন নিয়মিত থানায় হাজিরা দিচ্ছে ও ১ জন জেল হাজতে রয়েছে। থানায় হাজিরা দেয়া ৩৩ জনের মধ্যে ৩ জন যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি হাইকোর্টের আদেশে জামিনে মুক্ত রয়েছে। বাকি ৩০ জনের মধ্যে ২৯ জন বিচারাধীন আদালত হতে জামিনে মুক্ত আছে এবং ১ জনকে মামলা তদন্তকালে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে। তবে ৪ জন জঙ্গির তথ্য সংগ্রহ সংক্রান্তে গৃহীত কার্যক্রম চলমান আছে।
রাজশাহী
সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে পাবনায় সচেতনতামূলক সমাবেশ
সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সকল প্রকার সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে পাবনায় সচেতনতামূলক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) দুপুরে পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ বৈষম বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আয়োজনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় দেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সচেতনতামূলক বক্তব্য দেন এবং সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করার আহ্বান ও জানান। যাতে কোন অপশক্তি আবারও দেশটাকে অস্থিতিশীল তৈরি করতে না পারে তারও আহ্বান জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, এডওয়ার্ড কলেজের উপাধ্যক্ষ আব্দুল আউয়াল, বাংলা বিভাগের শিক্ষক মাহবুব, এডওয়ার্ড কলেজের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক বরকাতুল্লাহ ফাহাদ,স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক সিরাজুল মনিরা,রাব্বি রুহান ও এম এইচ অনিক।
এএম/
অপরাধ
এনায়েতপুর থানায় হামলা, ১৩ পুলিশ সদস্য নিহত
সিরাগঞ্জের এনায়েতপুরে থানায় হামলা চালিয়ে ১৩ পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
রোববার (৪ আগস্ট) পুলিশ সদর দপ্তর এবং রাজশাহী বিভাগের অতিরিক্ত ডিআইজি বিজয় বসাক গণমাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো বার্তায় বলা হয়, সন্ত্রাসী হামলায় সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানার ১৩ জন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। এছাড়া কুমিল্লার ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে থানায় হামলায় এক পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন।
এদিকে, সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা অসহযোগ কর্মসূচির প্রথম দিনে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সংঘর্ষে বিভিন্ন জেলায় ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন সহস্রাধিক।
এর মধ্যে নরসিংদীতে ৬ জন, রংপুরে ৫ জন, ফেনীতে ৫ জন, ঢাকায় ৪ জন, সিরাজগঞ্জে ৪ জন, পাবনায় ৩ জন, বগুড়ায় ৩ জন, কিশোরগঞ্জে ৩ জন, ভোলায় ৩ জন, লক্ষ্মীপুরে ৩ জন, মুন্সীগঞ্জে ৩ জন, মাগুরায় ২ জন, সিলেটে ২ জন, ঢাকার আশুলিয়ায় একজন, বরিশালে একজন, জয়পুরহাটে একজন ও কুমিল্লায় একজন মারা গেছেন।
দেশজুড়ে
রাজশাহীতে থানা ও ভূমি অফিসে হামলা-অগ্নিসংযোগ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চলমান অসহযোগ কর্মসূচিতে রাজশাহী নগরীর মোহনপুর থানা, আওয়ামী লীগের অফিস, ভূমি অফিস ও একটি মার্কেটে আগুন দিয়েছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
তেমন কোনো অপ্রিতিকর ঘটনা না থাকলেও জেলার মোহনপুরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আজ রোববার রোববার (৪ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মোহনপুর উপজেলা সদরে এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে মোহরপুর পুরো উপজেলা নিয়ন্ত্রণ নেন। এসময় বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ চালায়। এতে ওই এলাকায় চরম আতঙ্ক দেখা যায়। পরে প্রায় দেড় ঘণ্টা পর পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মোহনপুর থানায় হামলা করার পর পাশেই উপজেলা ভুমি অফিসে হামলা চালায়। এসময় সহকারী কমিশনারের (ভুমি) গাড়ি ভাংচুর করা হয়। এছাড়াও ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয় থানার সামনের মার্কেটেও। বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছে থানা পুলিশ।
আই/এ
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন