বাংলাদেশ
মেসির হাতে উঠছে সপ্তম ব্যালন ডি’অর: মার্কা
বন্ধ হয়ে গেলো ২০২১ সালের ব্যালন ডি’অরের ভোট গ্রহণ। ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করতে হবে নভেম্বরের ২৯ তারিখ পর্যন্ত। এদিন ফ্রান্সের প্যারিসে বিজয়ীর হাতে তুলে দেয়া হবে ব্যালন ট্রফি। তবে স্প্যানিশ গণমাধ্যম মার্কা তার আগেই পাঠক জরিপে সম্ভাব্য বিজয়ী হিসেবে আর্জেন্টিনা অধিনায়ক লিওনেল মেসিকে বেছে নিয়েছে। যিনি চলতি মৌসুমে বার্সেলোনা ছেড়ে ফ্রি এজেন্ট হিসেবে ফ্রান্সের ক্লাব পিএসজিতে যোগ দিয়েছেন।
কিছুদিন আগে ২০২১ সালের ব্যালন ডি’অরের দৌড়ে থাকা ৩০ ফুটবলারের সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রকাশ কর হয়। যেখানে লিওনেল মেসি, ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো, রবার্তো লেভানডফস্কি, করিম বেনজেমা, কিলিয়ান এমবাপ্পে, নেইমারদের মতো নামিদামি সব তারকারা ছিলেন।
সম্প্রতি স্প্যানিশ ক্রীড়া দৈনিকটি পাঠকদের ওপর একটি জরিপ চালায়। যেখানে ৩৪ শতাংশ ভোট পেয়ে সবার শীর্ষে আর্জেন্টাইন অধিনায়ক ও পিএসজি তারকা লিওনেল মেসি। ২৬ শতাংশ ভোট পেয়ে তারপরই আছেন ফরাসি স্ট্রাইকার ও পিএসজি তারকা করিম বেনজেমা। এরপরই রয়েছেন জার্মান ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখের পোলিশ তারকা রবার্ট লেভানদোভস্কি। তিনি পেয়েছেন ১১ শতাংশ ভোট। তবে এই জরিপে মেসির আশেপাশেও ছিলেন না চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো।
ব্যালন ডি অরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৬টি ব্যালন ডি’অর জিতেছেন লিওনেল মেসি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫টি ব্যালন ডি’অর রয়েছে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর। এ দুইজনের আশেপাশেও নেই আর কোন খেলোয়াড়।
শুধু পাঠক কিংবা সমর্থকরা নয় ব্যালনের লড়াইয়ে অনেক খেলোয়াড়ই বলছেন এবারের ট্রফিটিও পরিষ্কারভাবেই উঠছে মেসির শোকেসে। সম্প্রতি আর্জেন্টাইন পত্রিকা ওলের সঙ্গে আলাপচারিতায় লুইস সুয়ারেজ বলেন, ব্যালনের লড়াইয়ে একজন কেবল এক বছরে কী করেছে, সেটা দেখা উচিত নয়। খেলোয়াড় হিসেবে সে কেমন, সেটাও দেখা উচিত। আমার বিশ্বাস, মেসির কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নেই।
মেসির পক্ষেই মত দিয়েছেন বর্তমান ক্লাব পিএসজির কোচ মাউরিসিও পচেত্তিনো। তিনি বলেন, মেসিই ব্যালন ডি’অর পাবে, এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। আমি যদি মেসিকে কোচিং নাও করাতাম, তারপরও বলতাম মেসিই পাবে। এটা আমি হৃদয় থেকে বলছি।
২০২১ সালটা দারুণ কাটছে মেসির। বার্সেলোনা, পিএসজি ও আর্জেন্টিনার হয়ে এরই মধ্যে ৪৮ ম্যাচে ৪০ গোল করেছেন তিনি। সর্তীথদের দিয়ে করিয়েছেন ১৪ গোল। এছাড়াও তার নেতৃত্বে গত ১১ জুলাই ব্রাজিলকে হারিয়ে দীর্ঘ ২৮ বছর পর কোপা আমেরিকার শিরোপা ঘরে তোলে আর্জেন্টিনা। সেই সঙ্গে টুর্নামেন্টটির সেরা গোলদাতা ও সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারও জিতেন এই আর্জেন্টাইন।
জরিপ, সাবেক সতীর্থ কিংবা ক্লাব কোচ যতই মেসিকে বিজয়ী মনে করুক না কেনো। এবারের ব্যালন যে মেসিই জিতবেন তার কোনও গ্যারান্টি নেই। কেননা এবার মেসির বিপক্ষে রয়েছে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী। ইতালি ও চেলসি মিডফিল্ডার জর্জিনহোও এ লড়াইয়ের অন্যতম ফেভারিট। যিনি কিনা ক্লাবের গত মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগ ও জাতীয় দলের হয়ে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ শিরোপা জিতেছেন।
জর্জিনহো অবশ্য ব্যালনের জন্য মেসিকেই যোগ্য মনে করেন। সম্প্রতি ‘টুইস’-এ স্বদেশি সাবেক ফুটবলার আন্তোনিও কাসানোকে দেয়া সাক্ষাৎকারে জর্জিনহো নিজেই বলেন, আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডই এ মুকুটের যোগ্য। এরপরই বলেন, যদি মেসির বদলে আমি ব্যালন জিতি তাহলে সেটা নিয়ে অনেক কথা হবে। সবসময় সে-ই এটা জিতবে।
এদিকে মেসি কিন্তু নিজেকে এর যোগ্য দাবিদার ভাবছেন না। এক্ষেত্রে তার বক্তব্য, আমি নিজেকে ফেভারিট মনে করি না এবং ফলাফলের আগ পর্যন্ত এটা নিয়ে কথা বলতে কখনই ভালো লাগে না আমার। যদি এটা জিতি, তাহলে দারুণ হবে।
এস
জাতীয়
শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানালেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা
শপথ নেয়ার পরের দিন ভাষা শহীদদের স্মরণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ১৩ জন উপদেষ্টা নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এর আগে, সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ও অন্য উপদেষ্টারা।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি এক নতুন বাংলাদেশ উপহার দেওয়ার অঙ্গীকার করেন।
আই/এ
জাতীয়
উপদেষ্টা পরিষদকে অভিনন্দন জানালেন জাসদ
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল—জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুস এবং অন্য উপদেষ্টাদেরকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন
বৃহস্পতিবার ( ৮ আগস্ট ) রাতে দলের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ অভিনন্দন জানান তারা।
বিবৃতিতে জানানো হয়, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করার পর দেশে আর একটিও প্রাণহানি, হামলা ও সম্পদ ধ্বংসের ঘটনা যেন না ঘটে তা নিশ্চিত হবে।”
বিবৃতিতে আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্রীয় চার মূলনীতিসহ সংবিধানকে সমুন্নত রেখে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তির সাথে আলোচনা করে সরকারের কর্ম পরিকল্পনার রূপরেখা দ্রুত প্রকাশ করে বিদ্যমান অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা প্রশমিত করবেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রাথমিক ও প্রধান কাজ হিসেবে অনতিবিলম্বে দেশে আইনশৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে জনজীবনে স্বাভাবিকতা ও শান্তি ফিরিয়ে আনতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
জাসদ নেতৃবৃন্দ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ, সাংবাদিক পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
জাসদ জোর দাবি জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে পূর্ববর্তী সরকারের পদত্যাগের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে চলমান বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ পেশাজীবী ও হিন্দু ও আহমদীয়াসহ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও হত্যা করা, মন্দিরসহ ধর্মীয় স্থাপনায় হামলা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে ও নেতাকর্মীদের বাসাবাড়িতে হামলা-হত্যা-নির্যাতন, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও ঘরবাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ, সংসদ ভবন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও গণভবনসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন-বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে হামলা, লুটপাট, জ্বালিয়ে ছারখার, দেশের বিভিন্ন স্থানে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য, সাত বীরশ্রেষ্ঠর ভাস্কর্যসহ ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য ও ম্যুরাল ভেঙে ফেলা এবং কুমিল্লার বীরচন্দ্র পাঠাগার, সুনামগঞ্জের ঐতিহ্য জাদুঘর, কুড়িগ্রামের উত্তরবঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, ময়মনসিংহের ঐতিহাসিক শশীলজের ভেনাস ভাস্কর্য ভেঙে ফেলাসহ অগনিত শিল্পকর্ম ভেঙে ফেলার সব অপরাধ কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত দায়ী ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার।
জেডএস/
জাতীয়
তদবির থেকে বিরত থাকুন, দেশগঠনে পরামর্শ দিন : আসিফ মাহমুদ
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে ১৭ সদস্যের অন্তবর্তীকালীন সরকার। এ উপদেষ্টা পরিষদে স্থান পেয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুইজন প্রতিনিধি। এদের একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আসিফ মাহমুদ। তিনি উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেয়ার পর ঘনিষ্ঠজনদের নিজেদের সুবিধার জন্য কোনো আবদার কিংবা তদবির করতে বারণ করেছেন। বরং দেশগঠনে কোনো পরামর্শ থাকলে দেয়ার অনুরোধ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্ট করে এ অনুরোধ করেন।
পোস্টে এই তরুণ উপদেষ্টা লিখেছেন, ব্যক্তিগত লাভের আশায় আবদার, তদবির করা থেকে বিরত থাকুন। এতে করে আমার সাথে আপনার সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে। দেশগঠনে পরামর্শ থাকলে জানাবেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ১৭ জনকে নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়। প্রধান উপদেষ্টা ও অন্য উপদেষ্টাদের শপথ পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ঢাকার বাইরে থাকায় তিন উপদেষ্টা ফারুক-ই-আযম, বিধান রঞ্জন রায় এবং সুপ্রদীপ চাকমা শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি।
সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়া অন্যান্য উপদেষ্টারা হলেন- ১. সালেহ উদ্দিন আহমেদ ২. ড. আসিফ নজরুল ৩. আদিলুর রহমান খান ৪. হাসান আরিফ ৫. তৌহিদ হোসেন ৬. সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান ৭. মো. নাহিদ ইসলাম ৮. আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ৯. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন ১০. সুপ্রদীপ চাকমা ১১. ফরিদা আখতার ১২. বিধান রঞ্জন রায় ১৩. আ.ফ.ম খালিদ হাসান ১৪. নুরজাহান বেগম ১৫. শারমিন মুরশিদ ১৬. ফারুক-ই-আযম।
জেএইচ