বাংলাদেশ
বিশ্বকাপে টানা দ্বিতীয় জয়ে উড়ছে পাকিস্তান
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচে ভারতকে বিধ্বস্ত করার পর নিউজিল্যান্ডও পাত্তা পেলো না পাকিস্তানের কাছে। শারজাহতে অনুষ্ঠিত ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে তারা। এতে করে বিশ্বকাপ মঞ্চে ৬ষ্ঠ ম্যাচে চতুর্থ জয় তুলে নিলো মেন ইন গ্রিনরা। বল হাতে ব্ল্যাকক্যাপসের ৪ উইকেট তুলে নেয়া হারিস রউফ প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন।
মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) শারজাহর আবু জায়েদ স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়।
কিউইদের দেয়া টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে বাবর-রিজওয়ানের ব্যাটে উড়ন্ত সূচনা করে পাকিস্তান। কিন্তু দলীয় ২৮ রানে সাউদির বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন বাবর। দ্বিতীয় উইকেটে ফাখার জামানকে দলীয় ৪৭ রানে এলবির ফাঁদে ফেলেন সোধি। মোহাম্মদ হাফিজ দলীয় ৬৩ রানে স্যাটনারের বলে কনওয়ের দুর্দান্ত ক্যাচে পরিণত হন।
দলীয় ৬৯ রানে আগের ম্যাচে অপরাজিত অর্ধশত করা রিজওয়ান ব্যক্তিগত ৩৩ রান করে সোধির দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন। পঞ্চম উইকেট হিসেবে ইমাদ ওয়াসিমকে এলবির ফাঁদে ফেলেন বোল্ট। পাকিস্তানের দলীয় স্কোর তখন ৮৭। ৬ষ্ঠ উইকেটে অভিজ্ঞ শোয়েব মালিক তরুণ আসিফ আলীকে নিয়ে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। আসিফ আলী ১২ বলে ৩ ছয় ও ১ চারের সাহায্যে ২৭ রানের এক টর্নেডো ইনিংস খেলেন।
কিউইদের হয়ে সোধি ২টি, স্যাটনার, সাউদি ও বোল্ট প্রত্যেকে একটি করে উইকেট লাভ করেন।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৫.২ ওভারে স্কোরবোর্ডে ৩৬ রান যোগ করেন দুই কিউই ওপেনার গাপটিল ও মিশেল। ব্যক্তিগত ১৭ রানে গাপটিলকে হারিস বোল্ড করলে জুটি ভাঙে। অধিনায়ক উইলিয়ামসন দ্বিতীয় উইকেটে মিশেলকে নিয়ে ১৮ রানের জুটি গড়েন। দলীয় ৫৪ রানে মিশেল ইমাদের শিকারে পরিণত হন।
তৃতীয় উইকেট হিসেবে নিশামকে ফেরান মোহাম্মদ হাফিজ। তখন দলীয় রান ৫৬। উইলিয়ামসন দলীয় স্কোর ৫৬ থেকে ৯০ তে নিয়ে যান কনওয়েকে নিয়ে। নিজের ভুলে রানআউটের ফাঁদে পড়েন উইলিয়ামসন। কনওয়েকে দলীয় ১১৬ রানে বাবরের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান হারিস। ম্যাচে এটি তার দ্বিতীয় উইকেট।
দলীয় ১১৬ রানে ৬ষ্ঠ উইকেট হিসেবে ফিলিপস হারিসের বলে হাসান আলীকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। এর মধ্য দিয়ে ম্যাচে হারিস তার তৃতীয় উইকেট তুলে নেন। সপ্তম উইকেটে শাহিন আফ্রিদি টিম সেইফার্টকে দলীয় ১২৫ রানে হাফিজের ক্যাচ বানান। আগের ম্যাচে ৩ উইকেট পাওয়া আফ্রিদি এদিন মাত্র এক উইকেট পান। ২০তম ওভারের শেষ বলে মিচেল স্যান্টনারকে বোল্ড করে ম্যাচে চতুর্থ উইকেট তুলে নেন রউফ।
পাকিস্তানের হয়ে হারিস রউফ ৪টি, আফ্রিদি, ইমাদ ও হাফিজ প্রত্যেকে একটি করে উইকেট লাভ করেন।
এস
জাতীয়
শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানালেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা
শপথ নেয়ার পরের দিন ভাষা শহীদদের স্মরণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ১৩ জন উপদেষ্টা নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এর আগে, সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ও অন্য উপদেষ্টারা।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি এক নতুন বাংলাদেশ উপহার দেওয়ার অঙ্গীকার করেন।
আই/এ
জাতীয়
উপদেষ্টা পরিষদকে অভিনন্দন জানালেন জাসদ
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল—জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুস এবং অন্য উপদেষ্টাদেরকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন
বৃহস্পতিবার ( ৮ আগস্ট ) রাতে দলের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ অভিনন্দন জানান তারা।
বিবৃতিতে জানানো হয়, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করার পর দেশে আর একটিও প্রাণহানি, হামলা ও সম্পদ ধ্বংসের ঘটনা যেন না ঘটে তা নিশ্চিত হবে।”
বিবৃতিতে আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্রীয় চার মূলনীতিসহ সংবিধানকে সমুন্নত রেখে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তির সাথে আলোচনা করে সরকারের কর্ম পরিকল্পনার রূপরেখা দ্রুত প্রকাশ করে বিদ্যমান অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা প্রশমিত করবেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রাথমিক ও প্রধান কাজ হিসেবে অনতিবিলম্বে দেশে আইনশৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে জনজীবনে স্বাভাবিকতা ও শান্তি ফিরিয়ে আনতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
জাসদ নেতৃবৃন্দ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ, সাংবাদিক পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
জাসদ জোর দাবি জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে পূর্ববর্তী সরকারের পদত্যাগের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে চলমান বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ পেশাজীবী ও হিন্দু ও আহমদীয়াসহ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও হত্যা করা, মন্দিরসহ ধর্মীয় স্থাপনায় হামলা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে ও নেতাকর্মীদের বাসাবাড়িতে হামলা-হত্যা-নির্যাতন, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও ঘরবাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ, সংসদ ভবন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও গণভবনসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন-বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে হামলা, লুটপাট, জ্বালিয়ে ছারখার, দেশের বিভিন্ন স্থানে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য, সাত বীরশ্রেষ্ঠর ভাস্কর্যসহ ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য ও ম্যুরাল ভেঙে ফেলা এবং কুমিল্লার বীরচন্দ্র পাঠাগার, সুনামগঞ্জের ঐতিহ্য জাদুঘর, কুড়িগ্রামের উত্তরবঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, ময়মনসিংহের ঐতিহাসিক শশীলজের ভেনাস ভাস্কর্য ভেঙে ফেলাসহ অগনিত শিল্পকর্ম ভেঙে ফেলার সব অপরাধ কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত দায়ী ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার।
জেডএস/
জাতীয়
তদবির থেকে বিরত থাকুন, দেশগঠনে পরামর্শ দিন : আসিফ মাহমুদ
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে ১৭ সদস্যের অন্তবর্তীকালীন সরকার। এ উপদেষ্টা পরিষদে স্থান পেয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুইজন প্রতিনিধি। এদের একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আসিফ মাহমুদ। তিনি উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেয়ার পর ঘনিষ্ঠজনদের নিজেদের সুবিধার জন্য কোনো আবদার কিংবা তদবির করতে বারণ করেছেন। বরং দেশগঠনে কোনো পরামর্শ থাকলে দেয়ার অনুরোধ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্ট করে এ অনুরোধ করেন।
পোস্টে এই তরুণ উপদেষ্টা লিখেছেন, ব্যক্তিগত লাভের আশায় আবদার, তদবির করা থেকে বিরত থাকুন। এতে করে আমার সাথে আপনার সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে। দেশগঠনে পরামর্শ থাকলে জানাবেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ১৭ জনকে নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়। প্রধান উপদেষ্টা ও অন্য উপদেষ্টাদের শপথ পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ঢাকার বাইরে থাকায় তিন উপদেষ্টা ফারুক-ই-আযম, বিধান রঞ্জন রায় এবং সুপ্রদীপ চাকমা শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি।
সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়া অন্যান্য উপদেষ্টারা হলেন- ১. সালেহ উদ্দিন আহমেদ ২. ড. আসিফ নজরুল ৩. আদিলুর রহমান খান ৪. হাসান আরিফ ৫. তৌহিদ হোসেন ৬. সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান ৭. মো. নাহিদ ইসলাম ৮. আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ৯. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন ১০. সুপ্রদীপ চাকমা ১১. ফরিদা আখতার ১২. বিধান রঞ্জন রায় ১৩. আ.ফ.ম খালিদ হাসান ১৪. নুরজাহান বেগম ১৫. শারমিন মুরশিদ ১৬. ফারুক-ই-আযম।
জেএইচ