ঢাকা
চলন্ত ট্রেনে বৃষ্টির মতো পাথর নিক্ষেপ, আহত ৩০ যাত্রী
ট্রেন থামিয়ে যাত্রী না তোলায় মণ্ডলভোগ বারুণী মেলায় আসা দর্শনার্থীরা বৃষ্টির মতো পাথর নিক্ষেপ করেছে চলন্ত ট্রেনে। এতে ট্রেনটির চালকসহ অন্তত ৩০ যাত্রী আহত হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে কিশোরগঞ্জের মানিকখালি ও সরারচর স্টেশনের মধ্যবর্তী এলাকায়।
রোববার (১৯ মার্চ) রাতে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা কিশোরগঞ্জগামী আন্তঃনগর এগারসিন্দুর এক্সপ্রেস ট্রেনে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, রোববার ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা কিশোরগঞ্জগামী আন্তঃনগর এগারসিন্দু এক্সপ্রেস ট্রেনটি মধ্যরাতের মানিকখালি এলাকায় পৌঁছলে, সেখানে মেলায় অংশ নেয়া যুবকরা ট্রেন থামিয়ে উঠতে চান। জায়গাটি কোনো স্টেশন না হওয়ায় কর্তৃপক্ষ না দাঁড়িয়ে ট্রেন চালিয়ে যায়।
এ সময় মেলায় অংশ নেয়া যুবকরা ক্ষিপ্ত হয়ে চলন্ত ট্রেনটি লক্ষ্য করে বৃষ্টির মতো পাথর নিক্ষেপ শুরু করে। এতে ট্রেনের ভেতরে অবস্থান করা বিভিন্ন বয়সের যাত্রীর মধ্যে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সবাই এদিক-ওদিক ছোটাছুটি করতে থাকে। এর পরও যুবকদের ছোড়া পাথরের আঘাত থেকে রেহাই পাননি সাধারণ যাত্রীরা।
এ নির্বিচার পাথর হামলায় অন্তত ৩০ যাত্রী আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে শুধু যাত্রীরা নয়, ট্রেনে অবস্থান করা সহকারী চালক মো. কাওছার হোসেন গুরুতর আহত হন। এ ছাড়া ট্রেনটির লুকিংগ্লাসসহ চালক ও পরিচালকের রুমের জানালার কাঁচ চূর্ণবিচূর্ণ হয়েছে পাথরের আঘাতে।
এদিকে আহত সহকারী ট্রেনচালক মো. কাওছার হোসেন তার নিজ ফেসবুক আইডিতে চলন্ত ট্রেনে হামলার একটি ভিডিও শেয়ার দেন, যা দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায়। সেখানে তিনি লিখেন, মানিকখালী স্যাংশনে যে মেলা হয়, সেখানে স্টপেজের কোনো অনুমতি নেই। সুতরাং ট্রেন দাঁড়ানোর যুক্তিই আসে না। সেই স্থানে না দাঁড়ানোর জন্য একদল উচ্ছৃঙ্খল যুবক বৃষ্টির মতো পাথর নিক্ষেপ করে যাত্রীদের আহত করেছে। আমার হাত কেটে গেছে। প্রাণে বেঁচে গেছি এ জন্য মহান আল্লাহতায়ালার কাছে শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি।
রেলওয়ে সংশ্লিষ্টদের ভাষ্য— চলন্ত ট্রেনে যে পাথর ছুড়ে যাত্রীদের আহত করেছে, এটা কোনো সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষের কাজ নয়।
রেলওয়ে স্টেশনমাস্টার ইউসুফ হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে গণমাধ্যমকে বলেন, এ ঘটনাটি ট্রেনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে। তাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে। তা ছাড়া ট্রেনে দায়িত্ব পালন করা পুলিশ সদস্যরাও তাদের কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছেন।
ঢাকা
মন্দির পাহারা দিচ্ছে সাধারণ শিক্ষার্থী ও বিএনপির নেতাকর্মীরা
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের তারাবো পৌরসভার আরিয়াব এলাকার সংখ্যালঘুদের মন্দির পাহারা দিচ্ছে শিক্ষার্থীরা ও বিএনপি’র নেতা কর্মীরা।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) সকাল থেকে পৌরসভার আরিয়াব দুর্গা মন্দিরসহ উপজেলার বিভিন্ন মন্দিরে উপস্থিত হয়ে শিক্ষার্থী ও বিএনপি নেতাকর্মীরা মন্দির কমিটির লোকজনদেরকে যে কোনো হামলার প্রতিরোধে আশ্বাস দিচ্ছেন।
তারা জানান, কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে এক দফা দাবির পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশ ছাড়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাম্প্রদায়িক বিবাদ লাগাতে প্রস্তুত দুষ্কৃতকারী। তাই রূপগঞ্জের সাধারণ শিক্ষার্থী ও বিএনপি নেতাকর্মীরা উদ্যোগ নিয়েছে। যতদিন দেশ শঙ্কামুক্ত না হচ্ছে মন্দির ভাঙচুর প্রতিরোধে আমরা এভাবে পাহারায় থাকব।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী রাকিব ভূঁইয়া বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীরা সবসময় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে, তারই অংশ আজকের এই পাহারা।
তারাবো পৌরসভার বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফ হাসান আরব বলেন, দেশের এই ক্লান্তি লগ্নে কেউ যেন সংখ্যালঘু পরিবারের উপরে হামলা করে দেশকে অস্থিতিশীল করতে না পারে। সেজন্য শিক্ষার্থীদের সাথে বিএনপির নেতাকর্মীরা সবসময় পাহাড়া থাকবে।
এসয়ম উপস্থিত ছিলেন, তারাবো পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের বিএনপি’র সভাপতি আনিসুর রহমান ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক বাবুল শিকদার, সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম সাউথ, সহ-সভাপতি আবুল সাউদ, আলমগীর মীর, যুবদলের সভাপতি ৬ নং ওয়ার্ড মোখলেস সাউথ,মকবুল হোসেন, শিক্ষার্থী হাসান ভূঁইয়া, নীরব মিল্কি, আরিয়ান প্রমূখ।
এএম/
ঢাকা
গাজীপুর জেলা কারাগারে গোলাগুলি
হঠাৎ করেই গোলাগুলি শুরু হয়েছে গাজীপুর জেলা কারাগারে । বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) সকাল ১১টার দিকে এ গোলাগুলি শুরু হয়।
গুলির শব্দে আতঙ্কে রয়েছেন এলাকাবাসী।
গাজীপুর জেলা কারাগারের জেল সুপার আনোয়ারুল করীম গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, কারাগারে হঠাৎ গোলাগুলি শুরু হয়েছে। এখন পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। পরে বিস্তারিত জানানো হবে।
এদিকে কারাগার সূত্রে জানা গেছে, কারাগারের ভেতরে ১৩ জন কারারক্ষী এবং ৩ জন কয়েদি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
এসি//
অপরাধ
রাজধানীতে বস্তা ভর্তি টাকাসহ একটি গাড়ি আটক করলেন শিক্ষার্থীরা
রাজধানীর উত্তরায় একটি প্রাইভেটকার থেকে এক বস্তা টাকাসহ একটি শটগান উদ্ধার করেছেন শিক্ষার্থীরা। এই ঘটনায় তিনজনকে হেফাজতে নিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।
বুধবার (৭ আগস্ট) এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা গণমাধ্যমে জানান, রাজধানীর উত্তরার একটি বাসার গ্যারেজ থেকে গাড়িটি জব্দ করা হয়। এ সময় তিনজনকে হেফাজতে নেয় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। পরে গাড়ি থেকে এক বস্তা টাকা উদ্ধার করে হেফাজতে নেন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। এ সময় স্থানীয় জনতা ও শিক্ষার্থীরা উল্লাস করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান, আওয়ামী লীগ ঘরোয়ানার একটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের এমডির গাড়ি থেকে এ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। গাড়ি থেকে এক বস্তা টাকাসহ একটি শটগান উদ্ধার করে উত্তরা টাউন কলেজের শিক্ষার্থীসহ অনান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
এএম/
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন