রাজশাহী
স্কুল ছাত্রকে অপরহরণ করে হত্যা, আটক ৩
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলা হাবিবুল্লাহ নগর ইউনিয়নের রতনকান্দি উত্তরপাড়া গ্রামের ২য় শ্রেণির ছাত্র রিদয়ান ইসলাম (৮) কে অপহরণের পর মুক্তিপন না পেয়ে হত্যা করার ঘটনায় পুলিশ তিন জনকে আটক করেছে পুলিশ।
আসামীরা হলো- উপজেলার রতনকান্দি গ্রামের আলাউদ্দিনের ছেলে সাগর (১৯), আব্দুল জলিল ভক্তের ছেলে ভান চালক নাঈম (২০) ও জিগারবাড়িয়া গ্রামের আব্দুল হালিমের ছেলে সাখাওয়াত (১৯)।
নিহত রিদয়ান ওই গ্রামের মোঃ মমিরুল ইসলামের ছেলে। সে নগরডালা বাজারের হাবিবুল্লাহ কিন্ডারগার্টেনের ২য় শ্রেণির ছাত্র।
এ বিষয়ে নিহতর চাচা কামরুল ইসলাম বলেন, গেলো শুক্রবার বিকেলে রিদয়ান বাড়ির পাশে খেলা করছিল। এরপর তাকে আর খুজে পাওয়া যায় না। ঔই দিন রাতে একটি অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন দিয়ে অপহরণকারীরা শিশুটির পিতা মমিরুলের কাছে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপন দাবী করে এবং তা না দিলে তাকে হত্যার হুমকি দেয়। ঐ দিন রাতেই পিতা মমিরুল ইসলাম পুত্র রিদয়ানকে বাঁচাতে বিকাশের মাধ্যমে ১০ হাজার টাকা পঠায়। এরপর থেকেই অপহরনকারীদের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পরদিন শনিবার সকালে মমিরুল সন্দেহভাজন তিনজনকে আসামী করে শাহজাদপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে।
গেলো রবিবার (১৮ মার্চ) রাতে অপহরনকারী তিনজনকে গ্রেপ্তার করে শাহজাদপুর থানা পুলিশ।তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী ২০ মার্চ সোমবার সকালে আসামীদের সঙ্গে নিয়ে পুলিশ শাহজাদপুর উপজেলার পোতাজিয়া ইউনিয়নের পোতাজিয়া দহবিল ঘাসের জমি থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় আসামীদের বিরুদ্ধে অপহরণ ও হত্যা আইনে মামলা হয়েছে। নিহতের বাবা মনিরুল বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
এদিকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে সোমবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে ।
এ ব্যাপারে শাহজাদপুর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) আব্দুল মজিদ বলেন, শিশুটি অপহরনের পর গত শনিবার আমরা অভিযোগ পাই এবং রবিবার রাতে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী আমরা লাশ উদ্ধার করি। এ ঘটনায় শাহজাদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
রাজশাহী
সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে পাবনায় সচেতনতামূলক সমাবেশ
সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সকল প্রকার সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে পাবনায় সচেতনতামূলক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) দুপুরে পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ বৈষম বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আয়োজনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় দেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সচেতনতামূলক বক্তব্য দেন এবং সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করার আহ্বান ও জানান। যাতে কোন অপশক্তি আবারও দেশটাকে অস্থিতিশীল তৈরি করতে না পারে তারও আহ্বান জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, এডওয়ার্ড কলেজের উপাধ্যক্ষ আব্দুল আউয়াল, বাংলা বিভাগের শিক্ষক মাহবুব, এডওয়ার্ড কলেজের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক বরকাতুল্লাহ ফাহাদ,স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক সিরাজুল মনিরা,রাব্বি রুহান ও এম এইচ অনিক।
এএম/
অপরাধ
এনায়েতপুর থানায় হামলা, ১৩ পুলিশ সদস্য নিহত
সিরাগঞ্জের এনায়েতপুরে থানায় হামলা চালিয়ে ১৩ পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
রোববার (৪ আগস্ট) পুলিশ সদর দপ্তর এবং রাজশাহী বিভাগের অতিরিক্ত ডিআইজি বিজয় বসাক গণমাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো বার্তায় বলা হয়, সন্ত্রাসী হামলায় সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানার ১৩ জন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। এছাড়া কুমিল্লার ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে থানায় হামলায় এক পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন।
এদিকে, সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা অসহযোগ কর্মসূচির প্রথম দিনে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সংঘর্ষে বিভিন্ন জেলায় ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন সহস্রাধিক।
এর মধ্যে নরসিংদীতে ৬ জন, রংপুরে ৫ জন, ফেনীতে ৫ জন, ঢাকায় ৪ জন, সিরাজগঞ্জে ৪ জন, পাবনায় ৩ জন, বগুড়ায় ৩ জন, কিশোরগঞ্জে ৩ জন, ভোলায় ৩ জন, লক্ষ্মীপুরে ৩ জন, মুন্সীগঞ্জে ৩ জন, মাগুরায় ২ জন, সিলেটে ২ জন, ঢাকার আশুলিয়ায় একজন, বরিশালে একজন, জয়পুরহাটে একজন ও কুমিল্লায় একজন মারা গেছেন।
দেশজুড়ে
রাজশাহীতে থানা ও ভূমি অফিসে হামলা-অগ্নিসংযোগ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চলমান অসহযোগ কর্মসূচিতে রাজশাহী নগরীর মোহনপুর থানা, আওয়ামী লীগের অফিস, ভূমি অফিস ও একটি মার্কেটে আগুন দিয়েছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
তেমন কোনো অপ্রিতিকর ঘটনা না থাকলেও জেলার মোহনপুরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আজ রোববার রোববার (৪ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মোহনপুর উপজেলা সদরে এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে মোহরপুর পুরো উপজেলা নিয়ন্ত্রণ নেন। এসময় বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ চালায়। এতে ওই এলাকায় চরম আতঙ্ক দেখা যায়। পরে প্রায় দেড় ঘণ্টা পর পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মোহনপুর থানায় হামলা করার পর পাশেই উপজেলা ভুমি অফিসে হামলা চালায়। এসময় সহকারী কমিশনারের (ভুমি) গাড়ি ভাংচুর করা হয়। এছাড়াও ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয় থানার সামনের মার্কেটেও। বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছে থানা পুলিশ।
আই/এ
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন