ক্যাম্পাস
জবিসাসের মুক্তিযুদ্ধে গণমাধ্যমের ভূমিকা শীর্ষক সেমিনার
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো “স্বাধীনতার ৫২ বছর; গণমাধ্যমের ভূমিকা” শীর্ষক সেমিনার ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটি ২০২৩ এর অভিষেক অনুষ্ঠান।
সোমবার (২০ মার্চ) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যায়ল সাংবাদিক সমিতির আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের সেমিনার কক্ষে সকাল ১০ টায় অনুষ্ঠানটি শুরু হয়।
জবি সাংবাদিক সমিতির সাবেক আহবায়ক সোহাগ রাফিসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যায়লের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. কামালউদ্দীন আহমদ এবং দৈনিক সময়ের আলো পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক মো. হারুন উর রশীদ। অনুষ্ঠানের শুরুতে সেমিনার মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন জবি সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারি অধ্যাপক ড. মো. মিনহাজ উদ্দিন।
জবি সাংবাদিক সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচন ২০২৩ এ নির্বাচিতদের অভিনন্দন জানিয়ে উপাচার্য ড. মো. ইমদাদুল হক বলেন, মার্চ মাস বিভিন্ন দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ। জাতির পিতার ভাষনের মাস। সাংবাদিকরা এই মাসের মর্ম উপলব্ধি করে সেমিনারটা করেছেন এজন্য সাংবাদিক সমিতিকে ধন্যবাদ জানাই।শেখ মুজিবের বঙ্গবন্ধু পর্যায়ে আসার পিছনে তুফাজ্জল হোসেন, সিরাজউদ্দিনএর মত সাংবাদিকরা খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন । তাই বস্তু নিষ্ঠ সাংবাদিককতার কোনো বিকল্প নাই। আমি আশা করবো আমরাও যদি ভুল করে থাকি সাংবাদিকরা ভুল ত্রুটি ধরিয়ে দিবে, তবে অবশ্যই সেটা যেন বস্তুনিষ্ঠ হয়।
উপাচার্য আরও বলেন, সাংবাদিকদের কাজ হল সঠিক তথ্য তুলে ধরা। এখানে পরিপূর্ণ পেশাদারিত্ব বজায় রাখা উচিত। তবে খেয়াল রাখতে হবে কোন গ্রুপিং-কোন্দলে যেন সাংবাদিকতার প্রকৃত গতি ব্যহত না হয়। এসময় তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ বলেন, সংবাদে যেন অবশ্যই বস্তু নিষ্ঠ সংবাদটা প্রকাশ করা হয়। কোনো তোষামোদিত সংবাদ যেন প্রকাশ করা না হয়। বঙ্গবন্ধু নিজেও এরকম সাংবাদিকতা পছন্দ করতেন না। আমাদের ক্যম্পাসে অনেক সমস্যা আছে, আমাদের নতুন ক্যম্পাসের কাজ হচ্ছে। আমরা সেগুলো নিয়ে লিখতে সাংবাদিকদের আহবান জানাই। তবে এমন সংবাদ যেন প্রকাশ করা না হয় যাতে আমাদের নতুন ক্যাম্পাসের কাজ বাধা গ্রস্থ হয়। সাংবাদিকদের গুটিয়ে থাকলে হবে না, বের হতে হবে, লিখতে হবে।
কোষাধ্যক্ষ আরও বলেন, সাংবাদিকতা পেশায় আবেগের জায়গা নেই। এখানে অন্যান্য গুণের মধ্যে বিনয়ীও হতে হবে৷ সাংবাদিকদের সার্বক্ষণিক খেয়াল রাখতে হবে তারা যেন উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ব্যবহার না হয়। সাংবাদিক সমিতির লেখনীর মাধ্যমে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ও উঠে আসবে ধারাবাহিকভাবে সেটা প্রত্যাশা করি।
দৈনিক সময়ের আলোর নির্বাহী সম্পাদক হারুন উর রশীদ বলেন, সাংবাদিকতা পেশায় ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের সুযোগ নেই। সাংবাদিকতা হবে বস্তুনিষ্ঠ। অর্ধেক সত্য বিষয় কখনো সংবাদের বিষয়বস্তু হতে পারেনা। আবার শোনা কথার উপর ভিত্তি করেও সংবাদ করা যাবেনা। এখানে পরিপূর্ণ পেশাদারিত্ব বজায় রাখতে হবে। সাংবাদিকদেরকে প্রচুর জানতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ভালো সাংবাদিক হতে হলে বিপ্লবী চেতনা থাকতে হবে। সাংবাদিকরা বিলাসিতা করতে পারেনা, তাদের মধ্যে ত্যাগ শিকারের মানসিকতা থাকতে হয়।
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল, জবি সাংবাদিক সমিতির প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও সাবেক সভাপতি সোলাইমান সালমান, নবনির্বাচিত সভাপতি মাহমুদুল হাসান তানভির, সাধারণ সম্পাদক মামুন শেখ ও নব নির্বাচিত অন্যান্য সদস্যরা ছাড়াও জবি ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজি, সাধারণ সম্পাদক এস এম আক্তার হোসেনসহ সাংবাদিক প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
ক্যাম্পাস
খুলছে জবি, প্রাথমিকভাবে ক্লাস চলবে অনলাইনে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি)১৮ আগস্ট থেকে অনলাইন ক্লাস শুরু হবে।আজকেই ছাত্রীদের জন্য বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছাত্রী হল খুলে দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৮তম সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত হয় বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলাম।
জানা যায়, ১৮ আগস্ট থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে ক্লাস চলবে। অনলাইন ক্লাস শুরুর আগে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনা করে সব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ডিন, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, ছাত্র উপদেষ্টা ও অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ আলোচনায় বসবেন।
এক সিন্ডিকেট সদস্য গণমাধ্যমকে জানান,তারা ক্যাম্পাসে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছেন। তাই প্রাথমিকভাবে অনলাইন ক্লাস চালুর সিদ্ধান্ত হয়েছে। পরবর্তীতে ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন হলে ক্যাম্পাসে এমনিই ছাত্র রাজনীতি থাকবে না বলে তার মনে হচ্ছে, তবে রাজনীতি নিষিদ্ধ হলে সেটা নতুন সরকার সিদ্ধান্ত নেবে।
প্রসঙ্গত, সিন্ডিকেট সভায় আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা খরচসহ তাদের খোঁজ নেওয়ার বিষয়েও সিদ্ধান্ত হয়েছে।
আই/এ
শিক্ষা
চুয়েটে নিষিদ্ধ হলো ছাত্ররাজনীতি
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) নিষিদ্ধ করা হয়েছে সব ধরনের ছাত্ররাজনীতি।
বুধবার (০৭ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়টির ১৩৬তম জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে তা জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ১৩৬/১(ঘ) অনুযায়ী অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষক/কর্মকর্তা/কর্মচারীদের সকল ধরনের রাজনৈতিক সংগঠন এবং এর কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ততা নিষিদ্ধ করা হলো। এ আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় বিধান অনুযায়ী শাস্তি প্রদান করা হবে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি জানায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সে দাবি আরও জোরালো হয়। এমন প্রেক্ষাপটে ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে চুয়েট।
এসি//
শিক্ষা
আজ থেকে শুরু একাদশ শ্রেণির ক্লাস
২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ক্লাস মঙ্গলবার (০৬ আগস্ট) হওয়ার কথা ছিল। কোটা সংস্কার আন্দোলনের পরিস্থিতিতে পিছিয়ে তা শুরু হচ্ছে আজ।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি বিভিন্ন কলেজ ও মাদ্রাসাগুলোকে বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) থেকে একাদশের ক্লাস শুরু করতে বলেছে। এরইমধ্যে অধ্যক্ষ ও প্রধান শিক্ষকদের এ নির্দেশনা দিয়ে চিঠি পাঠিয়েছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সব উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ ও প্রধান শিক্ষককে পাঠানো চিঠিতে কমিটি বলছে, বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) থেকে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে অনলাইনের মাধ্যমে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরু হবে।
এদিকে প্রথম থেকে তৃতীয় ধাপে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ভর্তির সময় বুধবার (০৭ আগস্ট) শেষ হয়েছে। তবে, একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির চতুর্থ ধাপের আবেদনের সুযোগ দেওয়া হয়েছে শিক্ষার্থীদের। তিন ধাপে আবেদন গ্রহণ ও শিক্ষার্থী নির্বাচনের পরও কিছু কলেজ মাদ্রাসায় সিট খালি থাকায় ও কিছু শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য নির্বাচিত হতে না পারায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, যেসব শিক্ষার্থী কলেজে ভর্তির আবেদন করেননি বা আবেদন করে কলেজ সিলেকশন পাননি তারা এবং যেসব শিক্ষার্থী চূড়ান্ত মনোনয়ন পেয়েও কলেজে ভর্তি হতে পারেননি বা নিশ্চায়ন করতে পারেননি তারা চতুর্থ ধাপে ভর্তির আবেদন করতে পারবেন।
অনলাইনে নির্ধারিত ওয়েবসাইটে (https://www.xiclassadmission.gov.bd) প্রবেশ করে নির্দেশিকা অনুসারে শিক্ষার্থীদের আবেদন করতে হবে। শিক্ষার্থীদের কলেজের আসন সংখ্যা দেখে ৫টি থেকে ১০টি কলেজে আবেদনের চয়েজ দিতে পারবেন। আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫০ টাকা। ব্যাংক কার্ড ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে এ ফি পরিশোধ করতে হবে।
জানা গেছে, ১১ থেকে ১৪ আগস্ট (বুধবার) রাত ১০টা পর্যন্ত চতুর্থ বা সর্বশেষ ধাপের আবেদন গ্রহণ করা হবে। ১৭ আগস্ট (শনিবার) রাত ৮টায় চতুর্থ ধাপের ফল প্রকাশ করা হবে। ১৮ আগস্ট থেকে ১৯ আগস্ট (সোমবার) রাত ৮টা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের সিলেকশন নিশ্চায়ন করতে হবে। চতুর্থ ধাপে নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা ২০ আগস্ট (মঙ্গলবার) কলেজে ভর্তি হতে পারবেন।
এসি//
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন