ভর্তি -পরীক্ষা
গুচ্ছভর্তি পরীক্ষায় না থাকার সিদ্ধান্তে এখনও অনড় জবিশিস
গোলমালের গুচ্ছভর্তি পরিক্ষায় না থাকার সিদ্ধান্তে অনড় অবস্থায় আছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি(জবিশিস)। শিক্ষকদের নিজস্বতা,ছাত্রদের হয়রানি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব মান টিকিয়ে রাখাসহ বিভিন্ন দিক বিবেচনা করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বুধবার ( ২২ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক লাউঞ্জে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এসব কথা তুলে ধরেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।
একটি স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে নিজস্ব মান টিকিয়ে রাখার দাবীসহ বিভিন্ন দিক বিবেচনা করে এবছরের শুরু থেকেই গুচ্ছবিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরিক্ষায় যেতে চাচ্ছে না জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সর্ববৃহৎ সংগঠনসহ সকলের অনুমোদন নিয়ে গুচ্ছে না যাওয়ার সিদ্ধান্তে এখনও অনড় অবস্থায় আছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। এ বিষয়ে শিক্ষক সমিতির একাডেমিক কাউন্সিলের মিটিংয়ে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় না যাওয়ার পক্ষে সকলে সম্মতি দিয়েছেন।
অন্যদিকে গত ২০ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) ও শিক্ষামন্ত্রণালয়ের সাথে গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ভিসিদের এক বিশেষ মিটিংয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়কে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় থাকার নির্দেশ প্রদান করেন।
তবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি মনে করেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছে না থাকার বিষয়ে একাডেমিক কাউন্সিলে গৃহীত সিদ্ধান্তের প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের ( ইউজিসি) মন্তব্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ২০০৫ এর ৪০ নং ধারার সাথে সাংঘর্ষিক হবে।
এ সময় তারা বলেন, গত ১৫ই মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলে সকলের সিদ্ধান্ত মোতাবেক জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ পদ্ধতি থেকে বের হওয়ায় যে সিদ্ধান্ত হয়েছে সেই সিদ্ধান্তে তারা এখনো অটুট আছে বলে মন্তব্য করেন। একাডেমিক কাউন্সিলে যে সিদ্ধান্ত হয়েছে তা খুব দ্রুতই সিন্ডিকেট সভায় গৃহীত হয়ে নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হবে বলেও তারা মনে করেন।
লিখিত বক্তব্যে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ কে এম ড.লুৎফর রহমান বলেন, কোনো ধরণের গবেষণা ছাড়া তাড়াহুড়া করে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে প্রথম গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় নানাবিধ শঙ্কার কারণে যেতে রাজি ছিল না। কিন্তু তৎকালীন প্রশাসন শিক্ষক সমিতির সিদ্ধান্তকে তোয়াক্কা না করে জোর করে অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় ঠেলে দেন। পরে দেখা যায় গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের হয়রানি বন্ধের বদলে হয়রানি আরো বহুগুণ বেড়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, গুচ্ছের মত একটি অদূরদর্শী প্রক্রিয়ার মধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় অন্তর্ভুক্তির ফলে বিশ্ববিদ্যালয় অবস্থানকে অবনমন করা হয়েছে। শুধু তাই নয় কিছু বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছের ভিতরে এবং কিছু বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছের বাইরে এটা একটা বৈষম্য নীতিও বলে মনে করেন তারা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ২০০৫ অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা গ্রহনের ক্ষেত্রে একাডেমিক কাউন্সিল সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ। এ আইনের ৪০ নং ধারায় “বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও অন্যান্য পাঠ্যক্রমে ছাত্রভর্তি একাডেমিক কাউন্সিল কর্তৃত এতদুদ্দেশ্যে নিজস্ব ভর্তি কমিটি কর্তৃক প্রণীত বিধি দ্বারা প্ররিচালিত হবে। ”
এ সময় লিখিত বক্তব্য ছাড়াও তাদের পক্ষ থেকে মন্তব্য করা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন যারাই ভঙ্গ করবে তাদেরই সেই দায়ভার নিতে হবে। মন্ত্রণালয় বা ইউজিসি যদি একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্তকে অমান্য করে অবহেলা বা আইনের পরিপন্থী কিছু করে তাহলে তার দায়ভার তাদেরই নিতে হবে।
একাডেমিক কাউন্সিলে নেয়া সিদ্ধান্তই বহাল থাকবে বলে মনে করেন জৈষ্ঠ্য প্রফেসররা। এরপরও যদি এ আইনের প্রতি অবহেলা বা তোয়াক্কা না করে তাহলে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভায় যে সিদ্ধান্ত হবে তাই বাস্তবায়ন করা হবে।
উল্লেখ্য, ‘গুচ্ছে থাকা না থাকার প্রশ্নে’ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থী না থাকার দাবী জানিয়ে শিক্ষক সমিতির এ সিদ্ধান্তকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
ভর্তি -পরীক্ষা
রাতে প্রকাশিত হচ্ছে একাদশে ভর্তির শেষ ধাপের ফল
চলতি বছরের একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির তৃতীয় বা শেষ ধাপের ফল প্রকাশ করা হবে আজ রাতে। আবেদনকারীদের নিবন্ধিত মোবাইল নম্বরে এসএমএস করে ফল জানিয়ে দেয়া হবে। এছাড়া একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির ওয়েবসাইটে গিয়েও ফল জানতে পারবেন শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (১২ জুলাই) রাতে এ ফল প্রকাশ করা হবে বলে ভর্তিবিষয়ক ওয়েবসাইটে এ এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি জানায়, আজ রাত ৮টায় একাদশে ভর্তির কেন্দ্রীয় ওয়েবসাইটে তৃতীয় ধাপে আবেদন করা শিক্ষার্থীরা কে কোন কলেজ পেলেন, তা জানানো হবে। একইসঙ্গে এদিন দ্বিতীয় ধাপের মাইগ্রেশনের তালিকাও প্রকাশ করা হবে।
ভর্তি নীতিমালা অনুযায়ী, তিন ধাপে নির্বাচিত এবং সফলভাবে নিশ্চায়ন করা শিক্ষার্থীদের আগামী ১৫ থেকে ২৫ জুলাইয়ের মধ্যে ভর্তি হতে হবে। এরপর ৩০ জুলাই আনুষ্ঠানিকভাবে সারা দেশে একযোগে একাদশ শ্রেণিতে ক্লাস শুরু হবে।
প্রসঙ্গত, তৃতীয় বা শেষ ধাপে আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয় গেলো ৯ জুলাই, যা শেষ হয় ১০ জুলাই রাত ৮টায়।
আই/এ
ভর্তি -পরীক্ষা
আজ এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু
চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা আজ রোববার (৩০ জুন) শুরু হয়েছে।
প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজব ও নকল মুক্ত পরিবেশে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পরীক্ষা গ্রহণের লক্ষ্যে ২৯ জুন থেকে ১১ আগস্ট পর্যন্ত সকল কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।
এবার ৯ টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ও মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি/আলিম/এইচএসসি (বিএম/বিএমটি), এইচএসসি(ভোকেশনাল)/ডিপ্লোমা ইন কমার্স পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন। এরমধ্যে ছাত্র সংখ্যা ৭ লাখ ৫০ হাজার ২৮১ জন এবং ছাত্রী সংখা ৭ লাখ ৫০৯ জন।এবার মোট কেন্দ্র ২ হাজার ৭২৫ টি ও মোট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ৯ হাজার ৪৬৩ টি।নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে, মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১১ লাখ ২৮ হাজার ২৮১ জন। এরমধ্যে ছাত্র সংখা ৫ লাখ ৩৩ হাজার ৬৮০ জন এবং ছাত্রী সংখা ৫ লাখ ৯৪ হাজার ৬০১ জন। মোট কেন্দ্র ১ হাজার ৫৬৬ টি এবং মোট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ৪ হাজার ৮৭০টি। আলিম পরীক্ষায় এবার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৮৮ হাজার ৭৬ জন। এরমধ্যে ছাত্র ৪৭ হাজার ৫৯২ জন এবং ছাত্রী সংখা ৪০ হাজার ৪৮৪ জন। মোট কেন্দ্র ৪৫২ টি এবং মোট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ২ হাজার ৬৮৫ টি।এইচএসসি (বিএম/বিএমটি) এইচএসসি (ভোকেশনাল)/ডিপ্লোমা ইন কমার্স পরীক্ষা (কারিগরি) বোর্ডে চলতি বছরে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২ লাখ ৩৪ হাজার ৪৩৩ জন। এরমধ্যে ছাত্র সংখ্যা ১ লাখ ৬৯ হাজার ৯ জন এবং ছাত্রী সংখ্যা ৬৫ হাজার ৪২৪ জন। মোট কেন্দ্র ৭০৭ টি এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ১ হাজার ৯০৮ টি। গতবছরের তুলনায় ২০২৪ সালে চলতি বছরে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে ৯১ হাজার ৪৪৮ জন। মোট প্রতিষ্ঠান বেড়েছে ২৯৪ টি, মোট কেন্দ্র বেড়েছে ৬৭ টি।
এদিকে, পরীক্ষা সূচারুভাবে সম্পন্নের লক্ষ্যে কিছু নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এসব নির্দেশনায় বলা হয়, পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ৩০ মিনিট পূর্বে পরীক্ষার্থীদেরকে অবশ্যই পরীক্ষার হলে প্রবেশ করতে হবে। অনিবার্য কারণে কোন পরীক্ষার্থীকে নির্ধারিত সময়ের পরে প্রবেশ করতে দিলে তার নাম, রোল নম্বর, প্রবেশের সময়, বিলম্ব হওয়ার কারণ ইত্যাদি একটি রেজিষ্টারে লিখে ওই দিনই সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডে প্রতিবেদন দিতে হবে। পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট পূর্বে এসএমএস এর মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের কাছে প্রশ্ন পত্রের সেট কোড জানিয়ে দেয়া হবে। ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছাড়া অন্য কেউ মোবাইল ফোন/ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না; শুধু ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন (তবে ছবি তোলা যায় না এমন মোবাইল ফোন)। পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি (যেমন-পরীক্ষার্থী, কক্ষ প্রত্যবেক্ষক (ইনভিজিলেটর),মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্র পরিদর্শন টিম,বোর্ডের কেন্দ্র পরিদর্শন টিম, জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের পরিদর্শন টিম,নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য ছাড়া অন্য কেউই কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবে না।
অন্যদিকে, বিশেষ সক্ষম (ডিফারেন্টলি অ্যাবল) পরীক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে শিক্ষামন্ত্রণালয়।
বিশেষ ব্যবস্থায় উল্লেখ করা হয়েছে, দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, সেরিব্রালপালসি জনিত প্রতিবন্ধী এবং যাদের হাত নেই এমন প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থী স্ক্রাইব (শ্রুতি লেখক) সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। এ ধরনের পরীক্ষার্থীদের এবং শ্রবণ পরীক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ২০ মিনিট বাড়ানো হয়েছে। প্রতিবন্ধী (অটিস্টিক, ডাউনসিন্ড্রম,সেরিব্রালপালসি) পরীক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময় বাড়ানোসহ শিক্ষক,অভিভাবক বা সাহায্যকারীর বিশেষ সহযোগিতা দেয়ার সুযোগ সৃষ্টি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার রুটিনে জানা যায়, সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের তত্ত্বীয় পরীক্ষা আজ হতে শুরু হয়ে ১১ আগস্ট শেষ হবে। ব্যবহারিক পরীক্ষা ১২ আগস্ট হতে শুরু হয়ে ২১ আগস্ট শেষ হবে। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের তত্ত্বীয় পরীক্ষা একইদিন শুরু হয়ে ১১ আগস্ট শেষ হবে। ব্যবহারিক পরীক্ষা ১২ আগস্ট হতে শুরু হয়ে ২১ আগস্ট শেষ হবে। কারিগরি বোর্ডে তত্ত্বীয় পরীক্ষা আগামীকাল শুরু হয়ে ১৮ জুলাই শেষ হবে। ব্যবহারিক পরীক্ষা ১৯ জুলাই হতে শুরু হয়ে ৪ আগস্ট শেষ হবে।
বিদেশে এবার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা মোট ২৮১ টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে। এসব কেন্দ্রের মধ্যে জেদ্দায় ৪৭টি,রিয়াদে ৪৩টি,ত্রিপলীতে ২টি,দোহায় ৬৩টি,আবুধাবীতে ৪৪টি,দুবাইয়ে ২২টি,বাহরাইনে ৩৪টি,সাহাম ওমানে ২৬টি।
এইচএসসি পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীরা (নিয়মিত, অনিয়মিত, মানোন্নয়ন) ২০২৪ সালের পূনর্বিনাস করা পাঠ্যসূচি অনুযায়ী সব বিষয়ে পূর্ণনম্বর ও পূর্ণসময়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে।
ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড এইচএসসি পরীক্ষা একমাস পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে একটি ভুয়া খবর ছড়িয়ে পড়লে এর পরিপ্রেক্ষিতে ১ জুন এক জরুরি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। সংশ্লিষ্ট সবাইকে এ ধরনের অপপ্রচার থেকে সতর্ক থাকার অনুরোধ জানিয়েছে বোর্ড কর্তৃপক্ষ।
এতে জানানো হয়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে যে বিজ্ঞপ্তি ছড়িয়েছে তা সঠিক নয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ২০২৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষা শুরুর তারিখ সম্পর্কিত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রচারিত হয়েছে, যা ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা শাখার ইস্যুকৃত নয়। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সময়সূচি অনুসারে যথাসময়ে এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
জেএইচ
ভর্তি -পরীক্ষা
এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হচ্ছে কাল
চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা আগামী ৩০ জুন রোববার থেকে শুরু হতে যাচ্ছে। আসন্ন এইচএসসি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজব ও নকল মুক্ত পরিবেশে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পরীক্ষা গ্রহণের লক্ষ্যে ২৯ জুন থেকে ১১ আগস্ট পর্যন্ত সকল কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।
এবার ৯ টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ও মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি/আলিম/এইচএসসি (বিএম/বিএমটি), এইচএসসি(ভোকেশনাল)/ডিপ্লোমা ইন কমার্স পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন। এরমধ্যে ছাত্র সংখ্যা ৭ লাখ ৫০ হাজার ২৮১ জন এবং ছাত্রী সংখা ৭ লাখ ৫০৯ জন।
এবার মোট কেন্দ্র ২ হাজার ৭২৫ টি ও মোট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ৯ হাজার ৪৬৩ টি। এবার ৯ টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১১ লাখ ২৮ হাজার ২৮১ জন। এরমধ্যে ছাত্র সংখা ৫ লাখ ৩৩ হাজার ৬৮০ জন এবং ছাত্রী সংখা ৫ লাখ ৯৪ হাজার ৬০১ জন। মোট কেন্দ্র ১ হাজার ৫৬৬ টি এবং মোট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ৪ হাজার ৮৭০টি।
আলিম পরীক্ষায় এবার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৮৮ হাজার ৭৬ জন। এরমধ্যে ছাত্র ৪৭ হাজার ৫৯২ জন এবং ছাত্রী সংখা ৪০ হাজার ৪৮৪ জন। মোট কেন্দ্র ৪৫২ টি এবং মোট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ২ হাজার ৬৮৫ টি।
এইচএসসি (বিএম/বিএমটি) এইচএসসি (ভোকেশনাল) /ডিপ্লোমা ইন কমার্স পরীক্ষা (কারিগরি) বোর্ডে চলতি বছরে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২ লাখ ৩৪ হাজার ৪৩৩ জন। এরমধ্যে ছাত্র সংখ্যা ১ লাখ ৬৯ হাজার ৯ জন এবং ছাত্রী সংখ্যা ৬৫ হাজার ৪২৪ জন। মোট কেন্দ্র ৭০৭ টি এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ১ হাজার ৯০৮ টি।
২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে ৯১,৪৪৮ জন। মোট প্রতিষ্ঠান বেড়েছে ২৯৪ টি, মোট কেন্দ্র বেড়েছে ৬৭ টি।
সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের তত্ত্বীয় পরীক্ষা ৩০ জুন হতে শুরু হয়ে ১১ আগস্ট শেষ হবে। ব্যবহারিক পরীক্ষা ১২ আগস্ট হতে শুরু হয়ে ২১ আগস্ট শেষ হবে। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের তত্ত্বীয় পরীক্ষা ৩০ জুন হতে শুরু হয়ে ১১ আগস্ট শেষ হবে। ব্যবহারিক পরীক্ষা ১২ আগস্ট হতে শুরু হয়ে ২১ আগস্ট শেষ হবে। কারিগরি বোর্ডে তত্ত্বীয় পরীক্ষা ৩০ জুন শুরু হয়ে ১৮ জুলাই শেষ হবে। ব্যবহারিক পরীক্ষা ১৯ জুলাই হতে শুরু হয়ে ৪ আগস্ট শেষ হবে।
বিদেশে এবার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা মোট ২৮১ টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে। এসব কেন্দ্রের মধ্যে জেদ্দায় ৪৭টি, রিয়াদে ৪৩টি, ত্রিপলীতে ২টি, দোহায় ৬৩টি, আবুধাবীতে ৪৪টি, দুবাইয়ে ২২টি, বাহরাইনে ৩৪টি, সাহাম ওমানে ২৬টি।
পরীক্ষা সূচারুভাবে সম্পন্নের লক্ষ্যে কিছু নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এবার এইচএসসি পরীক্ষায় (নিয়মিত,অনিয়মিত,মানোন্নয়ন) ২০২৪ সালের পূনর্বিনাস করা পাঠ্যসূচি অনুযায়ী সব বিষয়ে পূর্ণনম্বর ও পূর্ণসময়ে পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে। পরীক্ষা শেষে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ফলাফল প্রকাশিত হবে।
এরমধ্যে রয়েছে, পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ৩০ মিনিট পূর্বে পরীক্ষার্থীদেরকে অবশ্যই পরীক্ষার হলে প্রবেশ করতে হবে। অনিবার্য কারণে কোন পরীক্ষার্থীকে এর পরে প্রবেশ করতে দিলে তার নাম, রোল নম্বর, প্রবেশের সময়, বিলম্ব হওয়ার কারণ ইত্যাদি একটি রেজিষ্টারে লিখে ওই দিনই সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডে প্রতিবেদন দিতে হবে।
পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট পূর্বে এসএমএস এর মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের কাছে প্রশ্ন পত্রের সেট কোড জানিয়ে দেয়া হবে।
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছাড়া অন্য কেউ মোবাইল ফোন/ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না; শুধু ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন (তবে ছবি তোলা যায় না এমন মোবাইল ফোন)।
পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি (যেমন-পরীক্ষার্থী, কক্ষ প্রত্যবেক্ষক (ইনভিজিলেটর), মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্র পরিদর্শন টিম, বোর্ডের কেন্দ্র পরিদর্শন টিম, জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের পরিদর্শন টিম, নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য) ছাড়া অন্য কেউই কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবে না।
এছাড়া বিশেষ সক্ষম ( ডিফারেন্টলি অ্যাবল) পরীক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ কিছু ব্যবস্থা করেছে শিক্ষামন্ত্রণালয়।
এর মধ্যে- দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, সেরিব্রালপালসি জনিত প্রতিবন্ধী এবং যাদের হাত নেই এমন প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থী স্ক্রাইব (শ্রুতি লেখক) সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। এ ধরনের পরীক্ষার্থীদের এবং শ্রবণ পরীক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ২০ মিনিট বাড়ানো হয়েছে।
প্রতিবন্ধী (অটিস্টিক, ডাউনসিন্ড্রম,সেরিব্রালপালসি) পরীক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময় বাড়ানোসহ শিক্ষক, অভিভাবক বা সাহায্যকারীর বিশেষ সহযোগিতায় পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ সৃষ্টি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এদিকে, এইচএসসি পরীক্ষা পরীক্ষা একমাস পিছিয়ে দেয়া হয়েছে বলে একটি ভুয়া খবর ছড়িয়ে পড়লে এর পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড ১ জুন এক জরুরি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে।
সংশ্লিষ্ট সবাইকে এ ধরনের অপপ্রচার থেকে সতর্ক থাকার অনুরোধ জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে যে বিজ্ঞপ্তি ছড়িয়েছে তা সঠিক নয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ২০২৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষা শুরুর তারিখ সম্পর্কিত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রচারিত হয়েছে, যা ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা শাখার ইস্যুকৃত নয়। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সময়সূচি অনুসারে আগামী ৩০ জুন থেকে এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন