রাজশাহী
যুবককে সালিশে ডেকে নিয়ে কুপিয়ে হত্যা করল আ.লীগ নেতা
বগুড়ার আদমদীঘিতে টাকা নিয়ে বিরোধে আমিনুল ইসলাম (৩৫) নামে এক ব্যক্তিকে সালিশবৈঠকে ডেকে এনে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। বুধবার রাতে উপজেলার নশরতপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আজ বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) সকাল পর্যন্ত মামলা হয়নি। অভিযোগের বরাত দিয়ে আদমদীঘি থানার ওসি রেজাউল করিম জানান, টাকা নিয়ে বিরোধে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তাকে হত্যা করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, নিহত আমিনুল ইসলাম বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার নশরতপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেমের ছেলে। তিনি ব্যবসা ও কৃষিকাজ করতেন। পাওনা টাকা নিয়ে তার সঙ্গে একই এলাকার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন ও কর্মী তৌহিদুলের বিরোধ চলে আসছিল। এ বিষয়ে সমঝোতা করতে বুধবার রাত ১০টার দিকে শাহীন, তৌহিদুল ও তাদের লোকজন আমিনুলকে ডেকে আনেন। বৈঠক চলার একপর্যায়ে তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও রড দিয়ে আঘাত করে আমিনুলকে গুরুতর জখম করেন। স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে আদমদীঘি হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে রাত ১২টার পর আমিনুল মারা যান।
মরদেহ উদ্ধার করে বগুড়া শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য অভিযুক্ত শাহীনের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে আদমদীঘি উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মিহির সরকার জানান, শাহীন ও তৌহিদুল গত ২০১৮ সালে বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে যোগ দেন। তাদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ পরিবারের সদস্য আমিনুলের সখ্য ছিল। তিনি আরও জানান, টাকা নিয়ে বিরোধের জের ধরেই এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে শুনেছেন।
আদমদীঘি থানার ওসি রেজাউল করিম জানান, হত্যাকাণ্ডের কারণ ও জড়িতদের শনাক্ত করতে কাজ চলছে। মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। মামলা পেলে পরবর্তী আইনগত কার্যক্রম শুরু হবে।
রাজশাহী
সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে পাবনায় সচেতনতামূলক সমাবেশ
সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সকল প্রকার সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে পাবনায় সচেতনতামূলক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) দুপুরে পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ বৈষম বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আয়োজনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় দেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সচেতনতামূলক বক্তব্য দেন এবং সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করার আহ্বান ও জানান। যাতে কোন অপশক্তি আবারও দেশটাকে অস্থিতিশীল তৈরি করতে না পারে তারও আহ্বান জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, এডওয়ার্ড কলেজের উপাধ্যক্ষ আব্দুল আউয়াল, বাংলা বিভাগের শিক্ষক মাহবুব, এডওয়ার্ড কলেজের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক বরকাতুল্লাহ ফাহাদ,স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক সিরাজুল মনিরা,রাব্বি রুহান ও এম এইচ অনিক।
এএম/
অপরাধ
এনায়েতপুর থানায় হামলা, ১৩ পুলিশ সদস্য নিহত
সিরাগঞ্জের এনায়েতপুরে থানায় হামলা চালিয়ে ১৩ পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
রোববার (৪ আগস্ট) পুলিশ সদর দপ্তর এবং রাজশাহী বিভাগের অতিরিক্ত ডিআইজি বিজয় বসাক গণমাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো বার্তায় বলা হয়, সন্ত্রাসী হামলায় সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানার ১৩ জন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। এছাড়া কুমিল্লার ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে থানায় হামলায় এক পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন।
এদিকে, সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা অসহযোগ কর্মসূচির প্রথম দিনে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সংঘর্ষে বিভিন্ন জেলায় ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন সহস্রাধিক।
এর মধ্যে নরসিংদীতে ৬ জন, রংপুরে ৫ জন, ফেনীতে ৫ জন, ঢাকায় ৪ জন, সিরাজগঞ্জে ৪ জন, পাবনায় ৩ জন, বগুড়ায় ৩ জন, কিশোরগঞ্জে ৩ জন, ভোলায় ৩ জন, লক্ষ্মীপুরে ৩ জন, মুন্সীগঞ্জে ৩ জন, মাগুরায় ২ জন, সিলেটে ২ জন, ঢাকার আশুলিয়ায় একজন, বরিশালে একজন, জয়পুরহাটে একজন ও কুমিল্লায় একজন মারা গেছেন।
দেশজুড়ে
রাজশাহীতে থানা ও ভূমি অফিসে হামলা-অগ্নিসংযোগ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চলমান অসহযোগ কর্মসূচিতে রাজশাহী নগরীর মোহনপুর থানা, আওয়ামী লীগের অফিস, ভূমি অফিস ও একটি মার্কেটে আগুন দিয়েছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
তেমন কোনো অপ্রিতিকর ঘটনা না থাকলেও জেলার মোহনপুরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আজ রোববার রোববার (৪ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মোহনপুর উপজেলা সদরে এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে মোহরপুর পুরো উপজেলা নিয়ন্ত্রণ নেন। এসময় বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ চালায়। এতে ওই এলাকায় চরম আতঙ্ক দেখা যায়। পরে প্রায় দেড় ঘণ্টা পর পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মোহনপুর থানায় হামলা করার পর পাশেই উপজেলা ভুমি অফিসে হামলা চালায়। এসময় সহকারী কমিশনারের (ভুমি) গাড়ি ভাংচুর করা হয়। এছাড়াও ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয় থানার সামনের মার্কেটেও। বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছে থানা পুলিশ।
আই/এ
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন