চট্টগ্রাম
৮ দিন পর ১০ বছরের আয়নীর মরদেহ উদ্ধার
বিড়ালের ছানা দেয়ার লোভ দেখিয়ে আপহরণ করা ১০ বছর বয়সী সেই শিশু আবিদা সুলতানা আয়নীর মরদেহের সন্ধান পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) দিবাগত রাতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) অনুসন্ধানে চট্টগ্রাম নগরীর পাহাড়তলী ওয়ার্লেস মুরগীর ফার্ম এলাকা থেকে আবিদার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করে আবিদা অপহরণ মামলার আইনজীবি অ্যাডভোকেট জিয়া হাবিব আহসান।
তিনি জানান, পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো টিম ছায়া তদন্তের মাধ্যমে শিশু আবিদা নিখোঁজ রহস্য উম্মোচন করেছে। এ ঘটনায় একজন সন্দেহভাজন আটকের পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তার সনাক্ত মতে পাহাড়তলী থানাধীন আলমতারা পুকুরপাড়া মুরগীফার্ম এলাকায় নিখোঁজ আবিদার মরদেহের সন্ধান পাওয়া যায়।
এদিকে পিবিআই সূত্র জানিয়েছে, অভিযান শেষে আজ বুধবার (২৯ মার্চ) সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিস্তারিত তুলে ধরা হবে।
উল্লেখ্য, গেলো ২১ মার্চ স্কুলের যাওয়ার পথে তাকে বিড়াল ছানা দেয়ার লোভ দেখিয়ে স্থানীয় তরকারী বিক্রেতা মো. রুবেল নামে এক যুবক আবিদাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। যা সিসিটিভির ভিডিও ফুটেছে শনাক্ত হয়েছে। এর পর থেকে গত ৮ দিন যাবত তার কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। এ ব্যাপারে পাহাড়তলী থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা না নিয়ে আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দেয়। শিশুটির মা আরও অভিযোগ করেন- পুলিশ আসামী রুবেলকে ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দেয়। অপহরণের পর থেকে আসামী তার দাড়ি কেটে ও বেশভূষা পরিবর্তন করে এলাকায় অবস্থান করছে।
এদিকে পুলিশ থানায় মামলা না নেয়ায় মঙ্গলবার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ চট্টগ্রামে মামলা দায়ের করেন শিশুটির মা মোছাম্মৎ বিবি ফাতেমা। বিচারক শারমিন জাহান অভিযোগ আমলে নিয়ে সরাসরি মামলা গ্রহণ করতে পাহাড়লী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন।
বাদীনী জানায়, তার নাবালিকা শিশু কন্যা আবিদা সুলতানা আয়নী নগরীর পাহাড়তলী কাজীর দীঘি (সাগরিকা রোড়) এলাকার একটি মাদ্রাসার ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্রী।
চট্টগ্রাম
কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় প্রাণ হারালেন দুই সাইকেল আরোহী
কর্ণফুলীতে পণ্যবাহী কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় দুই সাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। কাভার্ডভ্যানটি আটক করা হয়েছে।
বুধবার (৭ আগস্ট) বেলা একটার দিকে চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের ইছানগর বাংলাবাজার এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলার নন্দনালী গ্রামের কামাল মণ্ডলের ছেলে চঞ্চল মণ্ডল (১৮) ও রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার ছোট পাগলা গ্রামের মোহাম্মদ আবদুল জলিলের ছেলে জাহিদুল ইসলাম (১৬)। তারা কর্ণফুলী উপজেলার ইছানগর গ্রামে ভাড়া বাসায় থাকতেন।
চরপাথরঘাটার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আবু তাহের গণমাধ্যমকে বলেন, দুপুরে তারা তিনজন সাইকেল চালিয়ে কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন। এ সময় কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই দুজন নিহত হয়। অপরজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে পাঠানো হয়। কাভার্ডভ্যানটি আটক করা হয়েছে।
এএম/
চট্টগ্রাম
রাতেও ট্রাফিক সামলাচ্ছেন ছাত্রীরা
সরকার পতনের পরে চট্রগ্রামে নগরীর থানাগুলো ফাঁকা পড়ে আছে। এ অবস্থায় নগরীর রাস্তায় নেই কোন ট্রাফিক পুলিশ। দিনভর রাস্তায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করেন সরকার পতনের আন্দোলন করা শিক্ষার্থীরা। তবে দিন পেরিয়ে রাত হলেও, রাস্তায় ছাত্রদের পাশপাশি ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করতে দেখা যায় ছাত্রীদেরও।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) চট্টগ্রাম নগরীর চকবাজার অলী খা মসজিদ মোড় এলাকায় এমন চিত্র দেখতে পায় গণমাধ্যম।
নগরীর অলী খা মসজিদ মোড়ে শৃঙ্খলা রক্ষার কাজ করা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাইজা তাবাসসুম বলেন, দেশে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান হয়েছে। এখন দেশকে এগিয়ে নিতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। নিজের দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে এখানে আসা। সকালে শুনেছি সড়কে ট্রাফিক পুলিশ নেই। তাই তারা কাজ করতে এসেছেন।
আসিফুর রহমান নামে আরেক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী জানান, শিফট সিস্টেম করে ছাত্ররা কাজ করছে। এখন তিনি দায়িত্ব পালন করছেন। নিজেদের ইচ্ছায় তারা এখানে এসেছেন।
আই/এ
চট্টগ্রাম
‘বালুখেকো’ চেয়ারম্যান সেলিম ও তার ছেলে গণপিটুনিতে নিহত
চাঁদপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়ন পরিষদের আলোচিত ‘বালুখেকো’ খ্যাত চেয়ারম্যান সেলিম খান ও তার ছেলে নায়ক শান্ত খান গনপিটুনিতে নিহত হয়েছেন।
সোমবার (৫ আগস্ট) শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার পর নিজ এলাকা থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় বালিয়া ইউনিয়নের ফরক্কাবাদ বাজারে এসে জনগণের তোপের মুখে পড়েন তারা। এরপর সেখানে নিজের পিস্তল থেকে গুলি করে উদ্ধার হয়ে আসতে পারলেও পার্শ্ববর্তী বাগাড়া বাজারে এসে জনতার মুখোমুখি হয়। তারপর সেখানে জনগণের পিটুনিতে নিহত হোন সেলিম খান ও তার ছেলে শান্ত খান।
চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শেখ মুহসীন আলম গণমাধ্যমে বলেন, তাদের মৃত্যুর বিষয় জেনেছি। তবে কেউ খবর দেয়নি। আর জানমালের নিরাপত্তার কারণে সেখানে কাউকে পাঠানো হয়নি।
প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সেলিম খান চাঁদপুর নৌ-সীমানায় পদ্মা-মেঘনা নদীতে শত শত ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে যান। এসব ঘটনায় সে কারাভোগ করেন এবং দুদকে তার বিরুদ্ধে মামলা চলমান রয়েছে। সেলিম খান একজন আলোচিত প্রযোজকও। তিনি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান শাপলা মিডিয়ার কর্ণধার।
এছাড়া সেলিম খানকে পদ্মা-মেঘনার চর থেকে বিভিন্ন সময় বালু তোলাসহ নানা কারণে চাঁদপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান পদ থেকে আজীবন বহিষ্কার করে আওয়ামী লীগ। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি।
এএম/
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন