বাংলাদেশ
মৌসুমীর জন্মদিনে ওমর সানীর মন খারাপ
ঢাকাই চলচ্চিত্রের এক সময়ের দারুণ জনপ্রিয় জুটি ওমর সানী-মৌসুমী। পর্দায় যেমন তারা সফল জুটি ছিলেন। বাস্তব জীবনেও তারা জুটি বেঁধে জীবনের অনেকগুলো বসন্ত পার করেছেন। আজ এই লাস্যময়ী ‘প্রিয়দর্শিনী’ খ্যাত মৌসুমীর ৪৯ তম জন্মদিন। কিন্তু এমন দিনে মন খারাপ ওমর সানীর। কিন্তু কেন?
এবিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় মৌসুমীর স্বামী ওমর সানী একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। পাঠকদের জন্য পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো- ‘আমি তোমার জন্মদিনের উৎসব পালন করছি দীর্ঘ ২৭ বছর। কিন্তু আজকেরই জন্মদিনটি তোমার জন্য আমার পরিবারের জন্য একটা অন্যরকম তাৎপর্য। একসঙ্গে থাকার ইচ্ছে ছিল আমার।
যাক আল্লাহর হুকুমে কর্মের কারণে তুমি বাংলাদেশের বাইরে আছো। সারা জাহানের মালিক, আমাদের আল্লাহ তোমাকে সুস্থ রাখুন। হায়াত দারাজ করুন, প্রিয়দর্শিনী মৌসুমী, শুভ জন্মদিন।
বাংলা চলচ্চিত্র ইতিহাসের অন্যতম সফল নায়িকা মৌসুমী। পুরো নাম আরিফা পারভীন জাহান মৌসুমী। ‘প্রিয়দর্শিনী’ খ্যাত এই অভিনেত্রীর আজ জন্মদিন। ৪৮ পেরিয়ে ৪৯ বছরে পা দিয়েছেন মৌসুমী। ১৯৭৩ সালের ৩ নভেম্বর খুলনায় জন্ম। বাবা নাজমুজ্জামান মনি এবং মা শামীমা আখতার জামান দম্পতির বড় মেয়ে তিনি।
একাধিক জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এই অভিনেত্রীর ছোট বোন ইরিন জামানও একসময় চলচ্চিত্রের মানুষ ছিলেন। তবে বহু বছর ধরে তিনি যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী। দাম্পত্য জীবনে মৌসুমী চিত্রনায়ক ওমর সানীর স্ত্রী। ছেলে ফারদিন এহসান স্বাধীন এবং মেয়ে আইজাকে নিয়ে তাদের দুই যুগেরও বেশি সময়ের সংসার।
কিন্তু স্ত্রীর জন্মদিনে মন খারাপ নায়ক ওমর সানী। কারণ বিশেষ এ দিনটিতে মৌসুমী দেশে নেই। একমাত্র মেয়ে ফাইজাকে নিয়ে গত ১৪ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রে গেছেন নায়িকা। ফাইজা এই ধনি দেশটির নাগরিক। গত ২৯ অক্টোবর তার ১৮ বছর পূর্ণ হয়েছে। তাই যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে তার আইডি কার্ড ও অন্যান্য কাগজপত্রের জন্য আবেদন করতেই যুক্তরাষ্ট্রে মা-মেয়ে।
এছাড়া মৌসুমীর ইচ্ছা, তার মেয়ে ফাইজা যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করুক। সে সময় ওমন সানী গণমাধ্যমকে এসব খবর জানিয়েছিলেন। এও বলেছিলেন, মেয়েকে নিয়ে তিন সপ্তাহ যুক্তরাষ্ট্রে থাকবেন মৌসুমী। মেয়ের কাজের পাশাপাশি সময় কাটাবেন মা এবং বোন ইরিন জামানের সঙ্গে। তাই জন্মদিনটাও সেখানেই কাটাবেন।
ওমর সানী জানিয়েছিলেন, স্ত্রী মৌসুমী ও মেয়ে ফাইজার সঙ্গে তারও যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ভিসা জটিলতায় যেতে পারেননি। ফলে আজ ৩ নভেম্বর মৌসুমীর জন্মদিনেও তার পাশে থাকা হলো না। যদিও দেশে থাকলে স্ত্রীর জন্মদিন বেশ আয়োজন করেই পালন করেন নায়ক ওমর সানী। এছাড়া মৌসুমীর ভক্তদের পক্ষ থেকেও থাকে বিশেষ আয়োজন।
যেভাবে চলচ্চিত্রে এসেছিলেন মৌসুমী
ছোটবেলা থেকেই অভিনেত্রী এবং গায়িকা হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন মৌসুমী। এরপর তিনি ‘আনন্দ বিচিত্রা ফটো বিউটি কনটেস্ট’ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন। যার উপর ভিত্তি করে ১৯৯০ সালে টেলিভিশনের বাণিজ্যিকধারার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সুযোগ পান।
১৯৯৩ সালে সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ ছবির মাধ্যমে চলচ্চিত্রে প্রবেশ করেন মিষ্টি চেহারার নায়িকা মৌসুমী। ওই ছবিতে তার নায়ক ছিলেন প্রয়াত সুপারস্টার সালমান শাহ। ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ ছিল তাদের দুজনেরই অভিষেক ছবি। প্রথম ছবিতেই পরিচালক-প্রযোজক ও দর্শকের নজর কাড়েন মৌসুমী, সঙ্গে সালমান শাহও।
এরপর শুধু ছুটেই চলেছেন। কখনোই আর তাকে পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। অভিনয় জীবনে দুর্দিনও খুব একটা আসেনি। ক্যারিয়ারে মৌসুমী অভিনয় করেছেন ৮০টিরও বেশি ছবিতে। যার অধিকাংশই ব্যবসাসফল। এই নায়িকার সঙ্গে মান্না ও ইলিয়াস কাঞ্চনের জুটি ছিল সুপারহিট। এছাড়া স্বামী ওমর সানীর সঙ্গেও বেশ কয়েকটি ভালো ছবি উপহার দিয়েছেন তিনি।
মৌসুমী অভিনীত ছবিগুলোর মধ্যে ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’, ‘দোলা’, ‘মৌসুমী’, ‘অন্তরে অন্তরে’, ‘বিদ্রোহী বধূ’, ‘আত্মত্যাগ’, ‘বিশ্ব প্রেমিক’, ‘গরীবের রানী’, ‘লুটতরাজ’, ‘লাট সাহেবের মেয়ে’, ‘আম্মাজান’, ‘কষ্ট’, ‘খায়রুন সুন্দরী’, ‘মেঘলা আকাশ, ‘দেবদাস’ এবং ‘তারকাঁটা’ উল্লেখযোগ্য।
২৮ বছরের ক্যারিয়ারে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন মৌসুমী। সেই তিনটি সিনেমা হলো, মেঘলা আকাশ (২০০১), দেবদাস (২০১৩), তারকাঁটা (২০১৪)। মেরিল প্রথম আলো পুরস্কার জিতেছেন তিনবার। এছাড়া ছয়বার পেয়েছেন বাচসাস পুরস্কার। অভিনয়ের পাশাপাশি কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশের শিশুদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় জনমত ও সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ইউনিসেফের হযে কাজ করেন মৌসুমী।
জাতীয়
শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানালেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা
শপথ নেয়ার পরের দিন ভাষা শহীদদের স্মরণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ১৩ জন উপদেষ্টা নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এর আগে, সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ও অন্য উপদেষ্টারা।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি এক নতুন বাংলাদেশ উপহার দেওয়ার অঙ্গীকার করেন।
আই/এ
জাতীয়
উপদেষ্টা পরিষদকে অভিনন্দন জানালেন জাসদ
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল—জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুস এবং অন্য উপদেষ্টাদেরকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন
বৃহস্পতিবার ( ৮ আগস্ট ) রাতে দলের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ অভিনন্দন জানান তারা।
বিবৃতিতে জানানো হয়, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করার পর দেশে আর একটিও প্রাণহানি, হামলা ও সম্পদ ধ্বংসের ঘটনা যেন না ঘটে তা নিশ্চিত হবে।”
বিবৃতিতে আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্রীয় চার মূলনীতিসহ সংবিধানকে সমুন্নত রেখে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তির সাথে আলোচনা করে সরকারের কর্ম পরিকল্পনার রূপরেখা দ্রুত প্রকাশ করে বিদ্যমান অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা প্রশমিত করবেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রাথমিক ও প্রধান কাজ হিসেবে অনতিবিলম্বে দেশে আইনশৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে জনজীবনে স্বাভাবিকতা ও শান্তি ফিরিয়ে আনতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
জাসদ নেতৃবৃন্দ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ, সাংবাদিক পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
জাসদ জোর দাবি জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে পূর্ববর্তী সরকারের পদত্যাগের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে চলমান বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ পেশাজীবী ও হিন্দু ও আহমদীয়াসহ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও হত্যা করা, মন্দিরসহ ধর্মীয় স্থাপনায় হামলা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে ও নেতাকর্মীদের বাসাবাড়িতে হামলা-হত্যা-নির্যাতন, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও ঘরবাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ, সংসদ ভবন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও গণভবনসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন-বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে হামলা, লুটপাট, জ্বালিয়ে ছারখার, দেশের বিভিন্ন স্থানে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য, সাত বীরশ্রেষ্ঠর ভাস্কর্যসহ ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য ও ম্যুরাল ভেঙে ফেলা এবং কুমিল্লার বীরচন্দ্র পাঠাগার, সুনামগঞ্জের ঐতিহ্য জাদুঘর, কুড়িগ্রামের উত্তরবঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, ময়মনসিংহের ঐতিহাসিক শশীলজের ভেনাস ভাস্কর্য ভেঙে ফেলাসহ অগনিত শিল্পকর্ম ভেঙে ফেলার সব অপরাধ কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত দায়ী ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার।
জেডএস/
জাতীয়
তদবির থেকে বিরত থাকুন, দেশগঠনে পরামর্শ দিন : আসিফ মাহমুদ
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে ১৭ সদস্যের অন্তবর্তীকালীন সরকার। এ উপদেষ্টা পরিষদে স্থান পেয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুইজন প্রতিনিধি। এদের একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আসিফ মাহমুদ। তিনি উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেয়ার পর ঘনিষ্ঠজনদের নিজেদের সুবিধার জন্য কোনো আবদার কিংবা তদবির করতে বারণ করেছেন। বরং দেশগঠনে কোনো পরামর্শ থাকলে দেয়ার অনুরোধ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্ট করে এ অনুরোধ করেন।
পোস্টে এই তরুণ উপদেষ্টা লিখেছেন, ব্যক্তিগত লাভের আশায় আবদার, তদবির করা থেকে বিরত থাকুন। এতে করে আমার সাথে আপনার সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে। দেশগঠনে পরামর্শ থাকলে জানাবেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ১৭ জনকে নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়। প্রধান উপদেষ্টা ও অন্য উপদেষ্টাদের শপথ পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ঢাকার বাইরে থাকায় তিন উপদেষ্টা ফারুক-ই-আযম, বিধান রঞ্জন রায় এবং সুপ্রদীপ চাকমা শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি।
সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়া অন্যান্য উপদেষ্টারা হলেন- ১. সালেহ উদ্দিন আহমেদ ২. ড. আসিফ নজরুল ৩. আদিলুর রহমান খান ৪. হাসান আরিফ ৫. তৌহিদ হোসেন ৬. সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান ৭. মো. নাহিদ ইসলাম ৮. আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ৯. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন ১০. সুপ্রদীপ চাকমা ১১. ফরিদা আখতার ১২. বিধান রঞ্জন রায় ১৩. আ.ফ.ম খালিদ হাসান ১৪. নুরজাহান বেগম ১৫. শারমিন মুরশিদ ১৬. ফারুক-ই-আযম।
জেএইচ