বাংলাদেশ
ক্যারিবিয়দের হারিয়ে গ্রুপ ওয়ান জমিয়ে দিলো লঙ্কানরা
২০ রানের হারে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শ্রীলঙ্কার দেওয়া ১৯০ রান তাড়া করতে নেমে ১৬৯ রানের বেশি করতে পারেনি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই হারে লাভ হলো বাংলাদেশের। ২০২২ বিশ্বকাপে সরাসরি খেলতে হলে ১৫ নভেম্বরের মধ্যে র্যাংকিংয়ে আটে থাকতে হবে বাংলাদেশকে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হারে বর্তমান রেটিং পয়েন্টে প্রভাব পড়বে এবং অস্ট্রেলিয়ার কাছে শেষ ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজ আবার হারলে তাদের টপকে র্যাংকিংয়ে আটে উঠে যাবে বাংলাদেশ।
তখন অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপে সরাসরি সুপার টুয়েলভে খেলতে পারবে বাংলাদেশ। নয়তো আবার বিশ্বকাপের প্রথম পর্বে নামতে হবে লাল-সবুজ প্রতিনিধিদের। তবে আজ বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়াকে হারালে এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই হারে বাংলাদেশ আজই র্যাংকিংয়ে আটে উঠে যেত। কিন্তু মাহমুদউল্লাহ বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিয়েছেন কোনো জয় ছাড়াই।
বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে শেষ ওভার পর্যন্ত লড়াইয়ে রেখেছিলেন অপ্রতিরোধ্য শিমরন হেটমায়ার। শেষ ওভারে ৩৪ রান দরকার ছিল ক্যারিবিয়ানদের। কিন্তু একা লড়াই করা হেটমায়ার ১৩ রানের বেশি নিতে পারেননি। ৫৪ বলে ৮ চার ও ৪ ছক্কায় একাই ৮১ রান করেন তিনি। বাকিরা ছিলেন আসা-যাওয়ার মিছিলে। কেউই তাকে সঙ্গ দিতে পারেননি।
গেইলের ব্যাট থেকে আসে ১ রান। লুইস করেন ৮। তিনে নামা নিকোলাস পরান ৪৬ রান করে অবদান রাখলেও তা পর্যাপ্ত ছিল না। শেষের দিকে কেউই দায়িত্ব নিতে পারেননি। রাসেল ২, পোলার্ড শূন্য, হোল্ডার ৮ ও ব্রাভো ২ রান করেন। তাতে বিশ্বকাপ থেকে বাদ হওয়ার পথ খুলে যায় বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের।
আবু ধাবিতে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে লঙ্কান ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা ও তিনে নামা চারিথ আসালাঙ্কা দারুণ ব্যাটিং করেন। নিশাঙ্কা ৪১ বলে ৫১ রান করেন ৫ চারে। আসালাঙ্কা ৪১ বলে ৬৮ রানের ইনিংসটি সাজান ৮ চার ও ১ ছক্কায়। শেষ দিকে অধিনায়ক দাসুন শানাকা ১৪ বলে করেন ২৫ রান। ২ চার ও ১ ছক্কায় সাজান ইনিংসটি।
ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি শ্রীলঙ্কার বোলিংও ছিল নিয়ন্ত্রিত। বিনুরা ফার্নান্দো, চামিকা করুনারত্নে ও হাসারাঙ্গা ২টি করে উইকেট নিয়ে ওয়েষ্ট ইন্ডিজের হার্ডহিটারদের ঝড় তুলতে দেননি।
এস
জাতীয়
শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানালেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা
শপথ নেয়ার পরের দিন ভাষা শহীদদের স্মরণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ১৩ জন উপদেষ্টা নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এর আগে, সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ও অন্য উপদেষ্টারা।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি এক নতুন বাংলাদেশ উপহার দেওয়ার অঙ্গীকার করেন।
আই/এ
জাতীয়
উপদেষ্টা পরিষদকে অভিনন্দন জানালেন জাসদ
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল—জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুস এবং অন্য উপদেষ্টাদেরকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন
বৃহস্পতিবার ( ৮ আগস্ট ) রাতে দলের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ অভিনন্দন জানান তারা।
বিবৃতিতে জানানো হয়, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করার পর দেশে আর একটিও প্রাণহানি, হামলা ও সম্পদ ধ্বংসের ঘটনা যেন না ঘটে তা নিশ্চিত হবে।”
বিবৃতিতে আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্রীয় চার মূলনীতিসহ সংবিধানকে সমুন্নত রেখে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তির সাথে আলোচনা করে সরকারের কর্ম পরিকল্পনার রূপরেখা দ্রুত প্রকাশ করে বিদ্যমান অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা প্রশমিত করবেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রাথমিক ও প্রধান কাজ হিসেবে অনতিবিলম্বে দেশে আইনশৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে জনজীবনে স্বাভাবিকতা ও শান্তি ফিরিয়ে আনতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
জাসদ নেতৃবৃন্দ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ, সাংবাদিক পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
জাসদ জোর দাবি জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে পূর্ববর্তী সরকারের পদত্যাগের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে চলমান বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ পেশাজীবী ও হিন্দু ও আহমদীয়াসহ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও হত্যা করা, মন্দিরসহ ধর্মীয় স্থাপনায় হামলা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে ও নেতাকর্মীদের বাসাবাড়িতে হামলা-হত্যা-নির্যাতন, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও ঘরবাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ, সংসদ ভবন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও গণভবনসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন-বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে হামলা, লুটপাট, জ্বালিয়ে ছারখার, দেশের বিভিন্ন স্থানে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য, সাত বীরশ্রেষ্ঠর ভাস্কর্যসহ ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য ও ম্যুরাল ভেঙে ফেলা এবং কুমিল্লার বীরচন্দ্র পাঠাগার, সুনামগঞ্জের ঐতিহ্য জাদুঘর, কুড়িগ্রামের উত্তরবঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, ময়মনসিংহের ঐতিহাসিক শশীলজের ভেনাস ভাস্কর্য ভেঙে ফেলাসহ অগনিত শিল্পকর্ম ভেঙে ফেলার সব অপরাধ কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত দায়ী ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার।
জেডএস/
জাতীয়
তদবির থেকে বিরত থাকুন, দেশগঠনে পরামর্শ দিন : আসিফ মাহমুদ
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে ১৭ সদস্যের অন্তবর্তীকালীন সরকার। এ উপদেষ্টা পরিষদে স্থান পেয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুইজন প্রতিনিধি। এদের একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আসিফ মাহমুদ। তিনি উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেয়ার পর ঘনিষ্ঠজনদের নিজেদের সুবিধার জন্য কোনো আবদার কিংবা তদবির করতে বারণ করেছেন। বরং দেশগঠনে কোনো পরামর্শ থাকলে দেয়ার অনুরোধ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্ট করে এ অনুরোধ করেন।
পোস্টে এই তরুণ উপদেষ্টা লিখেছেন, ব্যক্তিগত লাভের আশায় আবদার, তদবির করা থেকে বিরত থাকুন। এতে করে আমার সাথে আপনার সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে। দেশগঠনে পরামর্শ থাকলে জানাবেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ১৭ জনকে নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়। প্রধান উপদেষ্টা ও অন্য উপদেষ্টাদের শপথ পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ঢাকার বাইরে থাকায় তিন উপদেষ্টা ফারুক-ই-আযম, বিধান রঞ্জন রায় এবং সুপ্রদীপ চাকমা শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি।
সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়া অন্যান্য উপদেষ্টারা হলেন- ১. সালেহ উদ্দিন আহমেদ ২. ড. আসিফ নজরুল ৩. আদিলুর রহমান খান ৪. হাসান আরিফ ৫. তৌহিদ হোসেন ৬. সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান ৭. মো. নাহিদ ইসলাম ৮. আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ৯. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন ১০. সুপ্রদীপ চাকমা ১১. ফরিদা আখতার ১২. বিধান রঞ্জন রায় ১৩. আ.ফ.ম খালিদ হাসান ১৪. নুরজাহান বেগম ১৫. শারমিন মুরশিদ ১৬. ফারুক-ই-আযম।
জেএইচ