চট্টগ্রাম
প্রথম কলাবতী শাড়ি উপহার পাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
বান্দরবানে কলাগাছের তন্তু থেকে উৎপাদিত প্রথম কলাবতী শাড়ি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার দেয়া হবে। জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি।
রোববার (২ এপ্রিল) বিকেলে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।
ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি জানান, ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে বান্দরবান জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে কলাগাছের তন্তু থেকে হস্তজাতশিল্প তৈরির জন্য পাইলট বা পরীক্ষামূলক একটি প্রকল্প শুরু হয়। প্রথম পর্যায়ে অফিস আদালত বা সভা সেমিনারে ব্যবহারের জন্য ফোল্ডার, ঝুড়ি, শতরঞ্জি, কলমদানি, পাঁচ তারকা হোটেলের ঘরের ভেতর পরার জন্য জুতাসহ বিভিন্ন পণ্য তৈরি হয় কলাগাছের তন্তু দিয়ে।
হয় শাড়ি তৈরির কাজ। আর দীর্ঘ ১৫ দিন অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে বাংলাদেশের মধ্যে বান্দরবানেই প্রথম তৈরি হয় দৃষ্টিনন্দন কলাগাছের তন্তু থেকে একটি শাড়ি।
এ সময় জেলা প্রশাসক আরও বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নারীদের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন আর তারই অনুপ্রেরণায় আমরা বান্দরবানে নারীদের স্বাবলম্বী করতে একটি প্রকল্পের মাধ্যমে কলাগাছের তন্তু থেকে নানা হস্তশিল্প তৈরি করতে সক্ষম হয়েছি আর সকলের প্রচেষ্টায় কলাগাছের তন্তু থেকে তৈরি বাংলাদেশের প্রথম শাড়ি আমরা বান্দরবানবাসী প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দিতে চায়।
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, গেলো ৩০ মার্চ বান্দরবান ডিসির ফেসবুক থেকে দেশে আর কেউ কলাগাছের সুতা থেকে শাড়ি বানিয়েছেন কি না, তা জানানোর জন্য ছবিসহ একটি পোস্ট দিয়েছিলেন। তাতে এখন পর্যন্ত দেশে কেউ এই শাড়ি দেখেছেন বলে জানাননি। ভারতের আগ্রা, মধ্যপ্রদেশসহ বিভিন্ন জায়গায় শাড়ি দেখেছেন বলে অনেকেই জানিয়েছেন। সে দিক থেকে এখন পর্যন্ত বলা যায়, রাধাবতী দেবী যে শাড়িটি বানিয়েছেন, তা দেশে প্রথম কলাগাছের সুতার তৈরি শাড়ি।
জেলা প্রশাসক বান্দরবান পার্বত্য জেলার নারীদের উন্নয়নের পথ আরও সুগম করতে প্রতিটি উপজেলায় পর্যায়ক্রমে এই প্রকল্পের কার্যক্রম চালু করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক মো. লুৎফুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সুরাইয়া আক্তার সুইটি, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম, নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) শেখ আব্দুল্লাহ আল মামুন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাজিব কুমার বিশ্বাস, প্রবীর বিশ্বাস, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আতিয়া চৌধুরী, তাঁত শিল্পী ও প্রশিক্ষক রাধাবতী দেবী, বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক সাইং সাইং উ নিনি, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মিনারুল হকসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সংবাদকর্মীরা।
চট্টগ্রাম
কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় প্রাণ হারালেন দুই সাইকেল আরোহী
কর্ণফুলীতে পণ্যবাহী কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় দুই সাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। কাভার্ডভ্যানটি আটক করা হয়েছে।
বুধবার (৭ আগস্ট) বেলা একটার দিকে চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের ইছানগর বাংলাবাজার এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলার নন্দনালী গ্রামের কামাল মণ্ডলের ছেলে চঞ্চল মণ্ডল (১৮) ও রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার ছোট পাগলা গ্রামের মোহাম্মদ আবদুল জলিলের ছেলে জাহিদুল ইসলাম (১৬)। তারা কর্ণফুলী উপজেলার ইছানগর গ্রামে ভাড়া বাসায় থাকতেন।
চরপাথরঘাটার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আবু তাহের গণমাধ্যমকে বলেন, দুপুরে তারা তিনজন সাইকেল চালিয়ে কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন। এ সময় কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই দুজন নিহত হয়। অপরজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে পাঠানো হয়। কাভার্ডভ্যানটি আটক করা হয়েছে।
এএম/
চট্টগ্রাম
রাতেও ট্রাফিক সামলাচ্ছেন ছাত্রীরা
সরকার পতনের পরে চট্রগ্রামে নগরীর থানাগুলো ফাঁকা পড়ে আছে। এ অবস্থায় নগরীর রাস্তায় নেই কোন ট্রাফিক পুলিশ। দিনভর রাস্তায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করেন সরকার পতনের আন্দোলন করা শিক্ষার্থীরা। তবে দিন পেরিয়ে রাত হলেও, রাস্তায় ছাত্রদের পাশপাশি ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করতে দেখা যায় ছাত্রীদেরও।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) চট্টগ্রাম নগরীর চকবাজার অলী খা মসজিদ মোড় এলাকায় এমন চিত্র দেখতে পায় গণমাধ্যম।
নগরীর অলী খা মসজিদ মোড়ে শৃঙ্খলা রক্ষার কাজ করা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাইজা তাবাসসুম বলেন, দেশে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান হয়েছে। এখন দেশকে এগিয়ে নিতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। নিজের দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে এখানে আসা। সকালে শুনেছি সড়কে ট্রাফিক পুলিশ নেই। তাই তারা কাজ করতে এসেছেন।
আসিফুর রহমান নামে আরেক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী জানান, শিফট সিস্টেম করে ছাত্ররা কাজ করছে। এখন তিনি দায়িত্ব পালন করছেন। নিজেদের ইচ্ছায় তারা এখানে এসেছেন।
আই/এ
চট্টগ্রাম
‘বালুখেকো’ চেয়ারম্যান সেলিম ও তার ছেলে গণপিটুনিতে নিহত
চাঁদপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়ন পরিষদের আলোচিত ‘বালুখেকো’ খ্যাত চেয়ারম্যান সেলিম খান ও তার ছেলে নায়ক শান্ত খান গনপিটুনিতে নিহত হয়েছেন।
সোমবার (৫ আগস্ট) শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার পর নিজ এলাকা থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় বালিয়া ইউনিয়নের ফরক্কাবাদ বাজারে এসে জনগণের তোপের মুখে পড়েন তারা। এরপর সেখানে নিজের পিস্তল থেকে গুলি করে উদ্ধার হয়ে আসতে পারলেও পার্শ্ববর্তী বাগাড়া বাজারে এসে জনতার মুখোমুখি হয়। তারপর সেখানে জনগণের পিটুনিতে নিহত হোন সেলিম খান ও তার ছেলে শান্ত খান।
চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শেখ মুহসীন আলম গণমাধ্যমে বলেন, তাদের মৃত্যুর বিষয় জেনেছি। তবে কেউ খবর দেয়নি। আর জানমালের নিরাপত্তার কারণে সেখানে কাউকে পাঠানো হয়নি।
প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সেলিম খান চাঁদপুর নৌ-সীমানায় পদ্মা-মেঘনা নদীতে শত শত ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে যান। এসব ঘটনায় সে কারাভোগ করেন এবং দুদকে তার বিরুদ্ধে মামলা চলমান রয়েছে। সেলিম খান একজন আলোচিত প্রযোজকও। তিনি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান শাপলা মিডিয়ার কর্ণধার।
এছাড়া সেলিম খানকে পদ্মা-মেঘনার চর থেকে বিভিন্ন সময় বালু তোলাসহ নানা কারণে চাঁদপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান পদ থেকে আজীবন বহিষ্কার করে আওয়ামী লীগ। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি।
এএম/
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন