লাইফস্টাইল
এবার চুল পরা বন্ধ হবে নিমিষে…
চুল পড়া একটি বিরাট সমস্যা। বেশিরভাগ মহিলাই দাবি করেন চুল পড়ে যাচ্ছে। সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কত কিছুই না ব্যবহার করেন তারা। তার পরেও কোনো কিছুই যেন কাজে লাগে না। কারণ, মাথায় চিরুনি ঠেকালেই হাতে উঠে আসছে চুল। এই সমস্যা থেকে আপনাকে মুক্তি দিতে অনিয়ন অয়েল বা পিঁয়াজের তেল। আয়ুর্বেদ শাস্ত্র অনুযায়ী, এর কোনও বিকল্প নেই। তাই আপনিও ব্যবহার করে দেখতে পারেন অনিয়ন অয়েল। তবে তার আগে জেনে নিন কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।
অনিয়ন অয়েলের ইতিবৃত্ত:
প্রাচীন ভারত, উত্তর পূর্ব ভারতে অনিয়ন অয়েল যথেষ্ট প্রচলিত ছিল। সেই সময় মধ্যবয়সিরা এই তেল ব্যবহার করতেন। মাথা যন্ত্রণা কিংবা শ্লেষ্মাজনিত অসুখ থেকে রেহাই পেতে অনিয়ন অয়েল ব্যবহার হত। বর্তমানে চুল পড়ার সমস্যার পাশাপাশি ত্বকের নানা রোগের ক্ষেত্রে পিঁয়াজ বা অনিয়ন অয়েল ব্যবহারের চল রয়েছে।
অনিয়ন তেলের উপকারিতা:
- অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরা পিঁয়াজের রস মূলত চুল পড়ার সমস্যা দূর করে।
- নতুন চুল জন্মাতেও সাহায্য করে পিঁয়াজের তেল বা অনিয়ন অয়েল।
- এতে রয়েছে সালফার। যা চুলের ডগা ফাটার সমস্যাও দূর করে।
- চুলকে আরও ঘন, লম্বা, উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে।
- প্রতিদিন অনিয়ন অয়েল ব্যবহারে দূর হতে পারে খুশকির সমস্যাও।
- শ্যাম্পুর আগে অনিয়ন অয়েল ব্যবহার করলে তা কন্ডিশনারের মতো কাজ করে। তার ফলে দূর হতে পারে চুলের শুষ্কতা।
তবে যেকোনও পদ্ধতি অনিয়ন অয়েল ব্যবহার করলে চলবে না। চুল পড়ার সমস্যা থেকে রেহাই পেতে উপযুক্ত পদ্ধতি অবলম্বন করা প্রয়োজন। তাই জেনে নিন সঠিক পদ্ধতি।
হাতের তালুতে সামান্য কয়েক ফোঁটা অনিয়ন অয়েল নিন। ভাল করে স্ক্যাল্পে মাসাজ করুন। কমপক্ষে ১৫ মিনিট রেখে দিন। কয়েক ঘণ্টা রাখতে পারলে ফল মিলবে সবচেয়ে ভাল। আর তারপর অবশ্যই অর্গ্যানিক শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। চটজলদি ফল পেতে চাইলে দু’দিন পর পর অনিয়ন অয়েল ব্যবহার করুন। অনিয়ন অয়েলের সঙ্গে নারকেল তেল মিশিয়েও ব্যবহার করতে পারেন।
বাজারে এখন বিভিন্ন সংস্থার তরফে অনিয়ন অয়েল বিক্রি হয়। তাতে কোনও রাসায়নিক মেশানো হয় না বলেই সংস্থার তরফে দাবি করা হয়। তবে অনিয়ন বা পিঁয়াজের তেল ব্যবহার করে সুফল পেতে চাইলে তা বাড়িতে তৈরি করে নেয়াই ভাল। এবার জেনে নেওয়া যাক অনিয়ন অয়েল তৈরির পদ্ধতি।
উপকরণ:
পিঁয়াজের রস
অলিভ অয়েল – ১/২ কাপ
আমন্ড অয়েল – ১/৪ কাপ
জোজোবা অয়েল – ২ চামচ
ক্যাস্টর অয়েল – ১০ ফোঁটা
ল্যাভেন্ডার এসেন্সিয়ল অয়েল – ১০ ফোঁটা
রোসমেরি এসেন্সিয়ল অয়েল – ১০ ফোঁটা
লেমন এসেন্সিয়ল অয়েল – ১০ ফোঁটা
পদ্ধতি:
একটি বড় পিঁয়াজ ভাল করে ব্লেন্ড করে নিন। এবার তার মধ্যে উপরোক্ত সমস্ত তেল মিশিয়ে নিন। ভাল করে তা ফুটিয়ে নিন। তারপর ছাকনিতে ছেঁকে একটি বোতলে ঢেলে রাখুন। ঠান্ডা হলে তা মাথায় ম্যাসাজ করে নিন।
পরামর্শ
মুখে ঘা দূর করতে মেনে চলুন ৫ উপায়
খাওয়া দাওয়ার সময় বা কথা বলার সময়ে মুখে ঘা হলে বেশ সমস্যায় পড়তে হয়। এই সমস্যা দীর্ঘদিন সহ্য না করাই উত্তম। এই সমস্যা কিন্তু একসময় মুখে আলসারেরও লক্ষণ হতে পারে। মুখের আলসারকে সামান্য ঘা ভেবে অবহেলা করলেই বিপদে পড়বেন। কোষ্ঠকাঠিন্য, হরমোন জনিত সমস্যার কারণে মুখের ভিতরে আলসার হতে পারে। অনেকে আবার ব্রেসেস পড়েন, তাঁদেরও মাঝেমাঝে এই সমস্যা হয়। শরীরে ভিটামিন সি ও ভিটামিন বি, আয়রন, জিঙ্ক, ফোলেটের ঘাটতির কারণেও মুখের ঘা থেকে আলসার হতে পারে।
মুখে ঘা হলে কিছুদিনের জন্য ঝাল, টক জাতীয় খাবার এড়িয়ে যাওয়াই ভাল। না হলে মুখে জ্বালা অনুভূত হবে। মুখে ঘা হলে মুক্তি পেতে পারেন ৫ উপায়ে ।
১) মুখের ঘা কমাতে হালকা গরম পানিতে সামান্য লবন মিশিয়ে কুলকুচি করুন। এতে আরাম পাবেন। দিনে তিন থেকে চার বার করলে ব্যথা ও ঘা দুটোই কমে আসবে।
২) ঘায়ের জায়গায় সামান্য মধু লাগিয়ে রাখতে পারেন, ভালো উপকার পাবেন। কয়েক ঘণ্টা অন্তর অন্তর মধু লাগালে সুফল পাবেন।
৩) ঘায়ের জায়গায় বিশুদ্ধ নারিকেল তেল লাগিয়ে রাখলেও বেশ আরাম পাবেন।
৪) যে কোনও ঘায়ের জন্য ভালো প্রাকৃতিক ঔষধ হতে পারে হলুদ। মুখে যে জায়গায় ঘা হয়েছে, সেই স্থানে হলুদ বাটা লাগিয়ে রাখতে পারেন। কিছু দিন ব্যবহার করলেই ঘায়ের তীব্র জ্বালা-যন্ত্রণা কমে আসবে।
৫) বেকিং সোডা ঘা সারাতে দারুণ উপকারী একটি জিনিস। এক কাপ পানিতে এক চা চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে কুলকুচি করলে ঘা কমে যাবে। এছাড়া বেকিং সোডার সঙ্গে সামান্য পানি মিশিয়ে একটা ঘন পেস্ট তৈরি করে নিতে পারেন। সেই পেস্ট ক্ষতস্থানে লাগিয়ে রাখলেও বেশ উপকার পেতে পারেন।
জেডএস/
লাইফস্টাইল
জুতো-মোজার দুর্গন্ধ দূর হবে যেভাবে
এসে গেছে বৃষ্টির দিন। দিনভর ঘ্যানঘ্যানে বৃষ্টিতে বাড়ি থেকে বের হওয়াই সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ। বাড়ি থেকে বেরিয়েই কাকভেজাহয়ে অফিসে যাচ্ছে মানুষ। জুতো থেকে মোজা, সব ভিজে একেবারে চুপচুপে। সেই জুতো-মোজা পরেই সারাদিন কাটিয়ে দেয়া।
সবশেষে ঘরে পৌছে জুতো খুলতেই বিকট গন্ধ! এই পরিস্থিতির সম্মুখীন অনেকেই হচ্ছেন নিশ্চয়ই? এই সমস্যা দূর করতে ঘরোয়া কিছু টিপসে খুব সহজেই দূর করতে পারবেন জুতো, মোজার এই বাজে গন্ধ।
আসুন জেনে নেই তাহলে –
১. ছোট্ট একটি কাপড়ে অল্প পরিমাণ বেকিং সোডা নিয়ে ছোট পুটলি বানিয়ে মোজার মধ্যে রেখে দিন। দেখবেন মোজা থেকে দুর্গন্ধ দূর হবে।
২. ন্যাপথোলিন গুঁড়ো করে নিয়ে ট্যালকম পাউডারের সঙ্গে তা মিশিয়ে জুতোর মধ্যে ছড়িয়ে দিন। দেখবেন জুতোয় আর দুর্গন্ধ হচ্ছে না।
৩. বাড়িতে ফিরেই ভিজে জুতো ভালো করে শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে নিন। তারপর জুতোর মধ্যে কিছু পরিমাণ বেকিং সোডা ছিটিয়ে দিন।
পরের দিন জুতোর ভিতর ভালো করে মুছে ফেলুন। দেখবেন গন্ধ দূর হয়েছে।
৪. জুতোর মধ্যে এক টুকরো ফেব্রিক সফটনার সিট রেখে দিন রাতে। পরদিন সেটি বের করে জুতো পরুন। বাজে গন্ধ একেবারে দূর হয়ে যাবে।
৫. বাড়িতে ফিরে জুতো ধুয়ে হেয়ার ড্রায়ার চালিয়ে হালকা শুকিয়ে নিন। এবার এক টুকরো কাপড় বা তুলো লবঙ্গ তেলে ভিজিয়ে জুতোর মধ্যে রেখে দিন সারারাত। জুতোর দুর্গন্ধ দূর হবে।
৬. ফুটন্ত জলে টি ব্যাগ ফেলে রাখুন ২ মিনিট। টি ব্যাগ ঠাণ্ডা হলে জুতোর মধ্যে রেখে দিন। এক ঘণ্টা পর তা সরিয়ে জুতোর ভেতরের অংশ ভাল করে মুছে নিন। দুর্গন্ধের পাশাপাশি দূর হবে তাতে থাকা ব্যাকটেরিয়াও।
জেডএস//
রেসিপি
ম্যাংগো পুডিং তৈরির রেসিপি
আমের সিজনে অনেকেই আমের পাল্প ডিপ ফ্রিজে সংরক্ষণ করেন। সেই ম্যাংগো পাল্প দিয়েই ম্যাংগো পুডিং বানানো যাবে। আর আমের সিজনে তো ফ্রেশ আমই ব্যবহার করতে পারবেন। ছোট বাচ্চাদের জন্য এটি বেশ হেলদি একটি ডেজার্ট আইটেম। মাত্র ৪টি উপাদান দিয়েই ইয়াম্মি ইয়াম্মি ম্যাংগো পুডিং বানিয়ে নেয়া যায়। চলুন দেরি না করে রেসিপিটি জেনে নেই এখনই।
উপকরণ
ঘন দুধ- ১ কাপ
চিনি- স্বাদ অনুযায়ী ( আমি হাফ কাপ দেই )
আম- ২টি
ডিম- ২টি
ম্যাংগো পুডিং তৈরির পুরো প্রণালী
১. প্রথমে আম ছোট ছোট করে কেটে নিন। দুধ জ্বাল দিয়ে ঘন করুন এবং ঠাণ্ডা করে নিন।
২. এবার ব্লেন্ডার জগে আম, চিনি, দুধ ও ডিম সবকিছু দিয়ে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিন।
৩) মিশ্রণটি মোটামুটি ঘন ও থকথকে হবে। যদি বেশি ঘন হয়ে যায়, লিকুইড দুধ মিশিয়ে নিতে হবে।
৪. এবার একটি স্টিলের টিফিন বক্সে পুডিংয়ের মিশ্রণ ঢেলে নিতে হবে।
৫. বড় সসপ্যানে পানি ফুটতে দিন। এবার একটি স্ট্যান্ড প্যানে সেট করে তার উপর স্টিলের টিফিন বক্সটি রাখুন।
৬. বাটির ঢাকনা ভালোভাবে আটকাবেন এবং পানি যেন ভেতরে না যেতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখবেন।
৭. চুলার আঁচ মিডিয়াম রাখুন, ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করে চেক করুন পুডিং জমেছে কি না।
৮. পুডিং জমে গেলে চুলা নিভিয়ে দিন। এরপর রুম টেম্পারেচারে ঠাণ্ডা করে নিতে হবে।
ব্যস, আমের পুডিং বানানো হয় গেলো! চাইলে ফ্রিজে রেখে ম্যাংগো পুডিং ভালোভাবে সেট করে নিতে পারেন। সেট হয়ে গেলে টিফিন বক্স থেকে পুডিংটি একটি প্লেটে সাবধানে উল্টিয়ে ঢেলে নিন। এবার ছুরি দিয়ে পিস পিস করে কেটে সার্ভ করুন। আর এটি ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা খেতে কিন্তু বেশি মজা লাগে। সব উপকরণগুলো বাসাতে থাকলে আজই বানিয়ে নিন দারুন মজাদার ডেজার্টটি।
জেএইচ
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন