বাংলাদেশ
ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে টস জিতে ফিল্ডিংয়ে অসিরা
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সুপার টুয়েলভে গ্রুপ-১এ নিজেদের শেষ ম্যাচে আজ শনিবার (৬ নভেম্বর) মুখোমুখি হচ্ছে অস্ট্রেলিয়া ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অসিরা।
এ ম্যাচটি অসিদের জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এ ম্যাচ জিতলেই সেমিফাইনালের লড়াইয়ে টিকে থাকবে অসিরা। তবে ওয়েস্ট ইনিডজের জন্য ম্যাচটি কেবলই নিয়মরক্ষার। কেননা সেমিফাইনালের দৌঁড় থেকে ইতোমধ্যে ছিটকে পড়েছে ক্যারিবীয়রা।
আবু ধাবিতে বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টায় শুরু হবে অস্ট্রেলিয়া-ওয়েস্ট ইন্ডিজ লড়াই।
৪ খেলায় ৩ জয় ও ১ হারে ৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয়স্থানে আছে অস্ট্রেলিয়া। একই অবস্থা দক্ষিণ আফ্রিকারও। তবে রান রেট বিবেচনায় এগিয়ে অস্ট্রেলিয়া। অসিদের রান রেট +১.০৩১। আর প্রোটিয়াদের রান রেট +০.৭৪২। ৪ ম্যাচের সবগুলোতে জিতে ৮ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপে টেবিলের শীর্ষে ইংল্যান্ড। অস্ট্রেলিয়া-ওয়েস্ট ইন্ডিজের ম্যাচের দিন রাতে মাঠে ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকা।
সুপার টুয়েলভ পর্বে নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীঙ্কাকে যথাক্রমে ৫ ও ৭ উইকেটে হারায় অস্ট্রেলিয়া। তবে তৃতীয় ম্যাচে ইংল্যান্ডের কাছে ৮ উইকেটে হারে অসিরা। আর চতুর্থ ম্যাচে বাংলাদেশকে উড়িয়ে দিয়ে দুর্দান্ত এক জয় তুলে নেয় অস্ট্রেলিয়া।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জয় পেলে এই রান রেটও সেমির পথে যেতে বড় সহায়ক হবে অসিদের। তবে সবকিছু নির্ভর করছে ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচের ফলাফলের উপর। তবে এ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া হেরে গেলে, আর ইংল্যান্ডকে দক্ষিণ আফ্রিকা হারালে সেমিতে খেলবে ইংলিশরা ও প্রোটিয়ারা। আর অস্ট্রেলিয়া জিতলে, দক্ষিণ আফ্রিকা হারলেও, ইংল্যান্ড ও অসিরা সেমিতে খেলবে। আর যদি নিজ-নিজ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা জিতে, তবে রান রেটে হিসেবে সেমির টিকিট পাবে দলগুলো। আবার যদি নিজ-নিজ খেলায় অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা হেরেও যায় । তখনও রান রেটে ভাগ্য নির্ধারিত এই দু’দলের কারা সেমিতে খেলবে।
৪ খেলায় ১ জয় ও ৩ হারে ২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের পঞ্চমস্থানে থেকে ইতোমধ্যে বিশ্বকাপ থেকে নিজেদের বিদায় নিশ্চিত করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এবারের আসরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের একমাত্র জয় বাংলাদেশের বিপক্ষে।
জাতীয়
শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানালেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা
শপথ নেয়ার পরের দিন ভাষা শহীদদের স্মরণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ১৩ জন উপদেষ্টা নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এর আগে, সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ও অন্য উপদেষ্টারা।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি এক নতুন বাংলাদেশ উপহার দেওয়ার অঙ্গীকার করেন।
আই/এ
জাতীয়
উপদেষ্টা পরিষদকে অভিনন্দন জানালেন জাসদ
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল—জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুস এবং অন্য উপদেষ্টাদেরকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন
বৃহস্পতিবার ( ৮ আগস্ট ) রাতে দলের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ অভিনন্দন জানান তারা।
বিবৃতিতে জানানো হয়, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করার পর দেশে আর একটিও প্রাণহানি, হামলা ও সম্পদ ধ্বংসের ঘটনা যেন না ঘটে তা নিশ্চিত হবে।”
বিবৃতিতে আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্রীয় চার মূলনীতিসহ সংবিধানকে সমুন্নত রেখে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তির সাথে আলোচনা করে সরকারের কর্ম পরিকল্পনার রূপরেখা দ্রুত প্রকাশ করে বিদ্যমান অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা প্রশমিত করবেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রাথমিক ও প্রধান কাজ হিসেবে অনতিবিলম্বে দেশে আইনশৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে জনজীবনে স্বাভাবিকতা ও শান্তি ফিরিয়ে আনতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
জাসদ নেতৃবৃন্দ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ, সাংবাদিক পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
জাসদ জোর দাবি জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে পূর্ববর্তী সরকারের পদত্যাগের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে চলমান বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ পেশাজীবী ও হিন্দু ও আহমদীয়াসহ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও হত্যা করা, মন্দিরসহ ধর্মীয় স্থাপনায় হামলা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে ও নেতাকর্মীদের বাসাবাড়িতে হামলা-হত্যা-নির্যাতন, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও ঘরবাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ, সংসদ ভবন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও গণভবনসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন-বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে হামলা, লুটপাট, জ্বালিয়ে ছারখার, দেশের বিভিন্ন স্থানে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য, সাত বীরশ্রেষ্ঠর ভাস্কর্যসহ ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য ও ম্যুরাল ভেঙে ফেলা এবং কুমিল্লার বীরচন্দ্র পাঠাগার, সুনামগঞ্জের ঐতিহ্য জাদুঘর, কুড়িগ্রামের উত্তরবঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, ময়মনসিংহের ঐতিহাসিক শশীলজের ভেনাস ভাস্কর্য ভেঙে ফেলাসহ অগনিত শিল্পকর্ম ভেঙে ফেলার সব অপরাধ কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত দায়ী ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার।
জেডএস/
জাতীয়
তদবির থেকে বিরত থাকুন, দেশগঠনে পরামর্শ দিন : আসিফ মাহমুদ
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে ১৭ সদস্যের অন্তবর্তীকালীন সরকার। এ উপদেষ্টা পরিষদে স্থান পেয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুইজন প্রতিনিধি। এদের একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আসিফ মাহমুদ। তিনি উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেয়ার পর ঘনিষ্ঠজনদের নিজেদের সুবিধার জন্য কোনো আবদার কিংবা তদবির করতে বারণ করেছেন। বরং দেশগঠনে কোনো পরামর্শ থাকলে দেয়ার অনুরোধ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্ট করে এ অনুরোধ করেন।
পোস্টে এই তরুণ উপদেষ্টা লিখেছেন, ব্যক্তিগত লাভের আশায় আবদার, তদবির করা থেকে বিরত থাকুন। এতে করে আমার সাথে আপনার সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে। দেশগঠনে পরামর্শ থাকলে জানাবেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ১৭ জনকে নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়। প্রধান উপদেষ্টা ও অন্য উপদেষ্টাদের শপথ পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ঢাকার বাইরে থাকায় তিন উপদেষ্টা ফারুক-ই-আযম, বিধান রঞ্জন রায় এবং সুপ্রদীপ চাকমা শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি।
সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়া অন্যান্য উপদেষ্টারা হলেন- ১. সালেহ উদ্দিন আহমেদ ২. ড. আসিফ নজরুল ৩. আদিলুর রহমান খান ৪. হাসান আরিফ ৫. তৌহিদ হোসেন ৬. সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান ৭. মো. নাহিদ ইসলাম ৮. আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ৯. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন ১০. সুপ্রদীপ চাকমা ১১. ফরিদা আখতার ১২. বিধান রঞ্জন রায় ১৩. আ.ফ.ম খালিদ হাসান ১৪. নুরজাহান বেগম ১৫. শারমিন মুরশিদ ১৬. ফারুক-ই-আযম।
জেএইচ