ফুটবল
আবারও গোলশূন্য ড্র লিভারপুল-চেলসির ম্যাচ
দলের একের পর এক ব্যর্থতায় রোববার চাকরি হারান চেলসির কোচ গ্রাহাম পটার। অন্তর্বর্তীকালীন কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ব্রুনো সালটারের অধীনেও ম্যাচেও ভাগ্য বদলাল না দলটির।
৬ বদল নিয়ে মাঠে নামা ইয়ুর্গেন ক্লপও পাড়লেন না কোচ বিহীন চেলসির বিপক্ষে জয় তুলতে। শেষ পর্যন্ত ড্র নিয়ে পয়েন্ট ভাগাভাগি করেই সন্তুষ্ট থাকতে হল দুই দলকে। এ নিয়ে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে দল দুটির মুখোমুখি সবশেষ চার ম্যাচে কোনো গোলের দেখা মিলল না।
মঙ্গলবার রাতে স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে ম্যাচে চেলসির কপালটাও অবশ্য মন্দ ছিল। দুবার জালে বল পাঠালেও অফসাইডে দেখা মিলল না গোলের। ম্যাচের চতুর্থ মিনিটে বল নিয়ে দারুণ গতিতে লিভারপুল ডিফেন্সে ঢুকে পড়েছিলেন জোয়াও ফেলিক্স। কিন্তু তার শট আকটিয়ে দেন মেতিপ। পরের মুহূর্তে আবারও লিভারপুল ডিফেন্স কাঁপিয়ে দেয় চেলসি। কিন্তু এবারও সূবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করে চেলসি। শেষ মুহূর্তে ইব্রাহিমা কোনাটের নৈপুণ্যে বেঁচে যায় লিভারপুল।
লিভারপুল পাল্টা আক্রমণে গিয়ে চাপ তৈরির চেষ্টা করলেও চেলসির প্রেসিংয়ের কারণে বেশ বেগ পেতে হচ্ছিল ক্লপের শিষ্যদের। লিভারপুরের চেয়ে চেলসিকেই বরং অনেক বেশি ভয়ঙ্কর দেখাচ্ছিল। ১৯ মিনিটে গিয়ে প্রথম লক্ষ্যে শট নেয় লিভারপুল। যদিও সেটা থেকে কোনো সাফল্য আসেনি।
২৪ মিনিটে কর্নার থেকে গোল করেন চেলসির রিচ জেমস। ভিএআর পরীক্ষার পর অফসাইডের কারণে অবশ্য বাতিল হয়ে যায় সেই গোল। ম্যাচের প্রথম ৩০ মিনিট ছিল চেলসির দাপটের গল্প। স্বাগতিকদের তেমন কোনো পরীক্ষাতেই ফেলতে পারেনি লিভারপুল। এমনকি প্রথম ৩০ মিনিট প্রতিপক্ষের বক্সে বলের স্পর্শও পায়নি অ্যানফিল্ডের দলটি। আক্রমণে অবশ্য চেলসিও খুব একটা ধারাবহিক ছিল না। বিশেষ করে লিভারপুল ডি-বক্সের ভেতর গিয়ে বারবার খেই হারাচ্ছিল তারা।
প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে গিয়ে জ্বলে উঠে লিভারপুল। দলকে এগিয়ে দেওয়ার সুযোগ পান দিয়েগো জোতা। তবে বলকে জালের ঠিকানা দেখাতে ব্যর্থ হন এই পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড। এরপর জো গোমেজের প্রচেষ্টা ঠেকান চেলসি গোলরক্ষক কেপা। একটু পর আবারও বৃথা যায় লিভারপুলের প্রচেষ্টা। গোলশূন্য অবস্থায় বিরতিতে যায় দুই দল। চেলসি ঘরের মাঠে এ নিয়ে টানা ৮ ম্যাচে প্রথমার্ধে গোলহীন থাকল।
দ্বিতীয়ার্ধের দ্বিতীয় মিনিটে সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করেন কোভাচিচ। কোনাতের পাস ধরে বক্সে ঢুকে ওয়ান-অন-ওয়ানে উড়িয়ে মারেন ক্রোয়েশিয়ার এই মিডফিল্ডার।
তিন মিনিট পর আরেকবার লিভারপুলের জালে বল, কিন্তু গোল মেলেনি এবারও। রিপ্লেতে দেখা যায়, বক্সে ঢুকে হাভার্টজের চিপ আলিসন ঠেকিয়ে দেওয়ার পর ফিরতি বল জার্মান মিডফিল্ডারের হাতে লেগে জালে গিয়েছিল।চলতি মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগে এই নিয়ে ৮৫টি সেভ করলেন আলিসন, লিভারপুল যোগ দেওয়ার পর এক আসরে যা তার সর্বোচ্চ।
মাঝে খেলার গতি কমে আসে। ৭৬তম মিনিটে ভালো পজিশনে বল পেয়ে উড়িয়ে মারেন ফেলিক্স। যোগ করা সময়ের শেষ মিনিটে ফের্নান্দেসের শটও ক্রসবারের ওপর দিয়ে উড়ে যায়।
এই ড্রয়ে ২৮ ম্যাচে ৪৩ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার অষ্টম স্থানে আছে লিভারপুল। আর এক ম্যাচ বেশি খেলে ৩৯ পয়েন্ট নিয়ে ১১ নম্বরে অবস্থান করছে চেলসি।
ফুটবল
ফুটবলকে বিদায় জানালেন পেপে
সব ধরনের ফুটবল থেকে বিদায় নিলেন পর্তুগালের ডিফেন্ডার পেপে। বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি।
সর্বশেষ ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে পর্তুগালের ম্যাচটাই হয়ে রইল ৪১ বছর বয়সী এই ফুটবলারের ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ।
সে ম্যাচে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিয়েছিল পর্তুগাল। ইউরোর মূলপর্বে সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামার রেকর্ডও গড়েন তিনি।
পর্তুগালের হয়ে ১৪১ ম্যাচ খেলেছেন পেপে। জিতেছেন ২০১৬ ইউরো।
ফুটবল
বাফুফে থেকে পদত্যাগ করলেন সালাম মুর্শেদী
পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী। তিনি ২০০৮ সাল থেকে পদটিতে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এছাড়াও সালাম মুর্শেদী বাফুফের অর্থ কমিটি ও রেফারিজ কমিটির প্রধানও ছিলেন। এই দুটি পদ থেকেও তিনি পদত্যাগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সালাম মুর্শেদীর পদত্যাগের কথা জানায় বাফুফে। সালাম মুর্শেদী খুলনা–৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন।
ফুটবল
চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সংগঠক সাইদুর রহমান প্যাটেল
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অন্যতম সংগঠক ও উদ্যেক্তা সাইদুর রহমান প্যাটেল মারা গেছেন। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ছিলেন। হাসপাতালে থাকাকালীন সেসব ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করতেন তিনি। অবশেষে ৭৩ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন সাইদুর রহমান। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) শোক জানিয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সাইদুর রহমানের অবদান ছিল অনস্বীকার্য। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন স্থানে তহবিল তুলতেন সাইদুর রহমানরা। তারা ভারতে ঘুরে ঘুরে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের হয়ে প্রীতি ম্যাচ খেলতেন। সেখান থেকেও তহবিল সংগ্রহ করতো এই দলটি।
একজন ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রাখার লক্ষ্য নিয়েই স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠন করার উদ্যেগ নিয়েছিলেন সাইদুর রহমান প্যাটেলরা। এখানে খেলে যে অর্থ উত্তোলন হবে, তা মুক্তিযুদ্ধের জন্য গঠিত তহবিলে প্রদান করা হবে; এমনই ছিল স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সেসময়ের ভাবনা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ইচ্ছা ছিল সাইদুর রহমানের। সবশেষ সাধারণ নির্বাচনের আগেই অবশ্য চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাতে হয় তাকে। সেখানে লম্বা সময় ধরে চিকিৎসা নেওয়ার পর আর দেশে ফিরতে পারলেন না তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতেই নিজের জীবনের শেষ সময়টুকু কাটালেন।
সাইদুর রহমানের জন্ম ১৯৫১ সালের ৭ অক্টোবর। তিনি ঢাকার কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। পরে অবশ্য গেন্ডারিয়ায় চলে যায় তার পরিবার। গেন্ডারিয়াতেই বেড়ে উঠেছেন, স্থানীয় পর্যায়ে ফুটবল খেলতে খেলতে শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলেও নিজের জায়গা করে নেন। তিনি ঢাকার ইস্টএন্ডের হয়ে ফুটবল খেলেছেন। দ্বিতীয় বিভাগে ফরাশগঞ্জের হয়ে, প্রথম বিভাগে পিডব্লুডি’র হয়ে খেলেছেন সাইদুর রহমান প্যাটেল।
এম এইচ//
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন