খুলনা
চিত্রা নদীতে শেখ রাসেল ১৮তম জাতীয় দূরপাল্লা সাঁতার প্রতিযোগিতা
জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে নড়াইলের চিত্রা নদীতে ‘শেখ রাসেল ১৮তম জাতীয় দূরপাল্লা সাঁতার প্রতিযোগিতা-২০২১’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (৭ নভেম্বর) বাংলাদেশ সুইমিং ফেডারেশনের উদ্যোগে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সুইমিং ফেডারেশনের সভাপতি ও নৌবাহিনী
প্রধান এডমিরাল এম শাহীন ইকবাল।
চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের নির্বাচিত বিভিন্ন বয়সের ৭ জন পুরুষ সাঁতারু এবং ৭ জন মহিলা সাঁতারু অংশগ্রহণ করে। পুরুষ সাতারুরা চিত্রা নদীর নায়েরবাড়ী ঘাট হতে শুরু হয়ে রূপগঞ্জ বাঁধাঘাট পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার সাঁতারে অংশ নেয়।
প্রতিযোগিতায় সেনাবাহিনীর ফয়সাল আহমেদ ১ ঘন্টা ৩ মিনিট ১৭ সেকেন্ড সময় নিয়ে প্রথম স্থান ও নৌবাহিনীর পলাশ চৌধুরী ১ ঘন্টা ৪ মিনিট সময় নিয়ে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে এবং নৌবাহিনীর কাজল মিয়া ১ ঘন্টা ৫ মিনিট সময় নিয়ে তৃতীয় স্থান অধিকার করে। অন্যদিকে, চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত ৭ জন মহিলা সাঁতারু জেলার চিত্রা
নদী রতভাঙ্গা ঘাট হতে শুরু হয়ে রূপগঞ্জ বাঁধাঘাট পর্যন্ত প্রায় ০৮ কিলোমিটার সাঁতার প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে।
এদের মধ্যে নৌবাহিনীর সোনিয়া আক্তার, ৫৮.৫০ সেকেন্ড সময় নিয়ে প্রথম স্থান অধিকার করে, সেনাবাহিনীর মুক্তি খাতুন ১ ঘন্টা ৪৩ সেকেন্ড সময় নিয়ে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে এবং নৌবাহিনীর সুরাইয়া আক্তার ১ ঘন্টা ২ মিনিট ৪০ সেকেন্ট সময় নিয়ে তৃতীয় স্থান অধিকার করে।
শাহীন ইকবাল বলেন, প্রান্তিক পর্যায়ে দেশে অনেক প্রতিভা লুকিয়ে আছে। নদীমাতৃক এই বাংলাদেশে মানুষ ছোটবেলা থেকেই এক একজন সাঁতারু। সুপ্ত প্রতিভাগুলোকে খুঁজে বের করতেই এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এধরণের উদ্যোগের মাধ্যমে নতুন নতুন সাঁতারু খুঁজে পাওয়া সম্ভব হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। .
এর আগে গত ২৭ অক্টোবর ২০২১ সৈয়দ নজরুল ইসলাম জাতীয় সুইমিং কমপ্লেক্স, মিরপুর, ঢাকায় উন্মুক্ত বাছাইয়ের মাধ্যমে ৬ জন পুরুষ সাঁতারু এবং ৬ জন মহিলা সাঁতারু চূড়ান্তভাবে নির্বাচন করা হয়।
প্রতিযোগিতা শেষে প্রধান অতিথি বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন। অনুষ্ঠানে সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক, নড়াইলের পুলিশ সুপার প্রবীর কুমার রায় ও নড়াইলের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমানসহ জাতীয় সুইমিং ফেডারেশনের কর্মকর্তা, বাংলাদেশ নৌবাহিনীর কর্মকর্তা, বিপুল সংখ্যক সাঁতারু ও সাধারণ দর্শক উপস্থিত ছিলেন।
খুলনা
কুষ্টিয়া কারাগার থেকে পালাল অর্ধশতাধিক আসামি
কুষ্টিয়া জেলা কারাগার থেকে অন্তত অর্ধশতাধিক আসামি পালিয়েছে গেছেন বলে জানা গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শতাধিক রাউন্ড গুলি ছোড়েন কারারক্ষীরা। এ ঘটনায় অন্তত ১৫ জন কারারক্ষী আহত হয়েছেন।
বুধবার (৭ আগস্ট) দুপুর ২টার দিকে এই ঘটনার পর সেনাসদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছেন।
তবে জেলা প্রশাসক এহেতেশাম রেজা গণমাধ্যমে বলছেন, ১২-১৩ জনের মতো আসামি পালিয়েছেন। পলাতকদের তালিকা করার পর বিস্তারিত জানানো যাবে।
কারা সূত্রে জানা গেছে, কুষ্টিয়া বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী জামিন পান। দুপুর আড়াইটার দিকে বের হওয়ার কথা ছিল। তাদের সঙ্গে বের হতে হট্টগোল শুরু করেন কারাবন্দীরা। এ সময় কারারক্ষীরাও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গুলি চালান। তবে এর আগেই অর্ধশত আসামি পালিয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
কুষ্টিয়া কারাগারের জেলার আবু মুসা গণমাধ্যমে জানান, কারাগার থেকে ঠিক কত জন কয়েদি পালিয়ে গেছে তা সঠিক হিসাব জানা যায়নি।
এএম/
খুলনা
মাগুরায় ছাত্রদল নেতা নিহত, আহত ১০
কোটা সংস্কারের দাবিতে গড়ে ওঠা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে অসহযোগ আন্দোলনের প্রথম দিনে মাগুরা শহরের ঢাকা রোড়ে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় জেলা শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক মেহেদী হাসান রাব্বী নিহত হয়েছেন। এছাড়াও আহত হয়েছেন পুলিশের তিন সদস্যসহ ১০ জন।
রোববার সকাল ১১টার দিকে এ সংঘর্ষে ঘটে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, সকাল ১১টার দিকে পারনান্দুয়ালী এলাকা থেকে বিএনপি একটি মিছিল নিয়ে শহরে ঢুকতে গেলে পুলিশি বাধার সম্মুখিন হয়। ঘটনাস্থলে বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর ইট পাটকেট নিক্ষেপ করে। এ সময় পুলিশ তাদের ধাওয়া করে রাবার বুলেট নিক্ষেপ ও গুলি করলে জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক মেহেদেী হাসান রাব্বী নিহত হন।
জেলা শাখা ছাত্রদলের সভাপতি আব্দুর রহিম গণমাধ্যমকে জানান, ‘রাব্বি পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছে। তার বুকে গুলি লেগেছে।’
মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. আমর প্রশাদ বিশ্বাস জানান, আহত তিন পুলিশ সদস্যসহ ১০ জনকে মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জেডএস/
খুলনা
কনস্টেবল সুমন হত্যায় মামলা, অজ্ঞাত পরিচয়ে আসামি ১২০০
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতায় খুলনায় পুলিশ কনস্টেবল সুমন ঘরামী হত্যার ঘটনায় অজ্ঞাত পরিচয়ে ১ হাজার ২০০ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।
লবণচরা থানার এসআই মোস্তফা সাকলাইন বাদী হয়ে শুক্রবার (২ আগস্ট) রাতে লবণচরা থানায় মামলাটি করেন। মামলায় অজ্ঞাত পরিচয় ১ হাজার ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ মামলায় এখনও কেউ গ্রেপ্তার নেই বলে জানান লবণচরা থানার ওসি মমতাজুল হক।
এছাড়া কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে শুক্রবার বিকেলে ভাঙচুর ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে খুলনা সদর ও সোনাডাঙ্গা থানায় আলাদা দুটি মামলা হয়েছে।
নিহত সুমন ঘরামীর বাড়ি বাগেরহাট জেলার কচুয়া উপজেলায়। স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন নগরীর বয়রা এলাকায়। তিনি খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের সোনাডাঙ্গা জোনের সহকারী কমিশনার সৌমেন বিশ্বাসের দেহরক্ষী ছিলেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় খুলনার মোহাম্মদনগর এলাকায় পিটুনিতে নিহত হন তিনি। সমুনের স্ত্রী মিতু বিশ্বাস। তাদের ৬ বছর বয়সি স্নিগ্ধা নামে এক মেয়ে রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের উদ্ধৃত্তি দিয় পুলিশ জানায়, বিকেলে খুলনায় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত এ সংঘর্ষ চলে। সন্ধ্যার পরে আবার সোনাডাঙ্গা এলাকায় সংঘর্ষ হয়। এ সময় পুলিশের একটি গাড়িতে আগুন দেয় বিক্ষোভকারীরা।
সংঘর্ষের এ ঘটনায় পুলিশ কনস্টেবল সুমন গুরুতর আহত হন। পরে রাতে খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। জানা গেছে, এ ঘটনায় আহত হয়েছেন পুলিশের আরও ৩০ সদস্য।
এসি//