বাংলাদেশ
গুরুত্বপূর্ণ সফরে ফ্রান্স যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
দীর্ঘ ২২ বছর পর ফ্রান্স সফরে যাচ্ছেন যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আগামীকাল মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) ফ্রান্সে যাবেন তিনি। এই সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফ্রান্সের রাষ্ট্রপ্রধান, সরকারপ্রধান ও ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
একইসঙ্গে ইউনেস্কোর ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে অংশগ্রহণ ও প্রথম ‘ইউনেস্কো-বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু পুরস্কার’ নিজ হাতে বিজয়ীদের তুলে দেওয়ারও কথা রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে কেন্দ্র করে দেশটিতে বসবাসরত প্রবাসীদের মধ্যে ব্যাপক উচ্ছ্বাস ও আনন্দ আয়োজন বিরাজ করছে।
ফরাসি সরকারের আমন্ত্রণেই আনুষ্ঠানিক সফরে ফ্রান্সে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা। বিভিন্ন কারণেই এবারের সফরটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করে সংশ্লিষ্টরা।
সফরে ফরাসি বাংলাদেশি ব্যবসায়ী নেতারাও দেখা করবেন একাধিক বৈঠক করবেন বলে জানান ব্যবসায়ীরা । তারা আরো জানান, বাংলাদেশে বিনিয়োগের যে সুযোগ রয়েছে সেটিকে তারা কাজে লাগাতে চান।
ফ্রান্স বাংলাদেশ ইকোনমিক চেম্বার্সের সভাপতি কাজী এনায়েত উল্লাহ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ফ্রান্স সফর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখানে আমাদের সভা আছে। বিনিয়োগ বিষয়ে প্রধামন্ত্রী নিশ্চয়ই পরামর্শ দেবেন।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে কেন্দ্র করে দেশটিতে বসবাসরত প্রবাসীরা উচ্ছ্বসিত এই ভেবে যে, শেখ হাসিনাকে যে সম্মাননা দিবে ফ্রান্স সরকার তাতে বাংলাদেশ তথা প্রবাসীরাও সম্মানিত বোধ করবেন।
চিত্রশিল্পী শাহাবুদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হবে, যেখানে নেপোলিওনের কবর আছে। এটা খুবই দুর্লভ ঘটনা। এটা একটা বড় সম্মান। গুরুত্বপূর্ণ এ সফরে বঙ্গবন্ধুকন্যাকে সম্মান দেওয়া হচ্ছে।
প্রবাসীরা বলছেন, প্রধানমন্ত্রীকে তিন জায়গায় গার্ড অব অনার দিয়ে সম্মান জানানো হবে। তাকে এ সম্মান জানানোর মধ্য দিয়ে আমরা মনে করি ফ্রান্সে প্রবাসী বাংলাদেশিরা সম্মানিত হবেন। শেখ হাসিনা দক্ষতার কারণেই হয়তো বাংলাদেশের নারী গোষ্ঠি, যারা অনেক পেছনে ছিল, তাদের অনেকেই নারী নেতৃত্বে এগিয়ে এসেছেন। ফ্রান্সে তার আগমন উপলক্ষে আমরা গর্বিত।
সফরকালে তিনি সৃজনশীল অর্থনীতিতে অবদানের জন্য প্রবর্তিত ‘ইউনেসকো-বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আন্তর্জাতিক পুরস্কার’ বিজয়ীদের হাতে তুলে দেবেন।
মুক্তা মাহমুদ
জাতীয়
শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানালেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা
শপথ নেয়ার পরের দিন ভাষা শহীদদের স্মরণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ১৩ জন উপদেষ্টা নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এর আগে, সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ও অন্য উপদেষ্টারা।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি এক নতুন বাংলাদেশ উপহার দেওয়ার অঙ্গীকার করেন।
আই/এ
জাতীয়
উপদেষ্টা পরিষদকে অভিনন্দন জানালেন জাসদ
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল—জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুস এবং অন্য উপদেষ্টাদেরকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন
বৃহস্পতিবার ( ৮ আগস্ট ) রাতে দলের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ অভিনন্দন জানান তারা।
বিবৃতিতে জানানো হয়, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করার পর দেশে আর একটিও প্রাণহানি, হামলা ও সম্পদ ধ্বংসের ঘটনা যেন না ঘটে তা নিশ্চিত হবে।”
বিবৃতিতে আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্রীয় চার মূলনীতিসহ সংবিধানকে সমুন্নত রেখে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তির সাথে আলোচনা করে সরকারের কর্ম পরিকল্পনার রূপরেখা দ্রুত প্রকাশ করে বিদ্যমান অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা প্রশমিত করবেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রাথমিক ও প্রধান কাজ হিসেবে অনতিবিলম্বে দেশে আইনশৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে জনজীবনে স্বাভাবিকতা ও শান্তি ফিরিয়ে আনতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
জাসদ নেতৃবৃন্দ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ, সাংবাদিক পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
জাসদ জোর দাবি জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে পূর্ববর্তী সরকারের পদত্যাগের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে চলমান বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ পেশাজীবী ও হিন্দু ও আহমদীয়াসহ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও হত্যা করা, মন্দিরসহ ধর্মীয় স্থাপনায় হামলা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে ও নেতাকর্মীদের বাসাবাড়িতে হামলা-হত্যা-নির্যাতন, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও ঘরবাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ, সংসদ ভবন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও গণভবনসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন-বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে হামলা, লুটপাট, জ্বালিয়ে ছারখার, দেশের বিভিন্ন স্থানে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য, সাত বীরশ্রেষ্ঠর ভাস্কর্যসহ ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য ও ম্যুরাল ভেঙে ফেলা এবং কুমিল্লার বীরচন্দ্র পাঠাগার, সুনামগঞ্জের ঐতিহ্য জাদুঘর, কুড়িগ্রামের উত্তরবঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, ময়মনসিংহের ঐতিহাসিক শশীলজের ভেনাস ভাস্কর্য ভেঙে ফেলাসহ অগনিত শিল্পকর্ম ভেঙে ফেলার সব অপরাধ কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত দায়ী ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার।
জেডএস/
জাতীয়
তদবির থেকে বিরত থাকুন, দেশগঠনে পরামর্শ দিন : আসিফ মাহমুদ
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে ১৭ সদস্যের অন্তবর্তীকালীন সরকার। এ উপদেষ্টা পরিষদে স্থান পেয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুইজন প্রতিনিধি। এদের একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আসিফ মাহমুদ। তিনি উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেয়ার পর ঘনিষ্ঠজনদের নিজেদের সুবিধার জন্য কোনো আবদার কিংবা তদবির করতে বারণ করেছেন। বরং দেশগঠনে কোনো পরামর্শ থাকলে দেয়ার অনুরোধ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্ট করে এ অনুরোধ করেন।
পোস্টে এই তরুণ উপদেষ্টা লিখেছেন, ব্যক্তিগত লাভের আশায় আবদার, তদবির করা থেকে বিরত থাকুন। এতে করে আমার সাথে আপনার সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে। দেশগঠনে পরামর্শ থাকলে জানাবেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ১৭ জনকে নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়। প্রধান উপদেষ্টা ও অন্য উপদেষ্টাদের শপথ পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ঢাকার বাইরে থাকায় তিন উপদেষ্টা ফারুক-ই-আযম, বিধান রঞ্জন রায় এবং সুপ্রদীপ চাকমা শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি।
সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়া অন্যান্য উপদেষ্টারা হলেন- ১. সালেহ উদ্দিন আহমেদ ২. ড. আসিফ নজরুল ৩. আদিলুর রহমান খান ৪. হাসান আরিফ ৫. তৌহিদ হোসেন ৬. সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান ৭. মো. নাহিদ ইসলাম ৮. আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ৯. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন ১০. সুপ্রদীপ চাকমা ১১. ফরিদা আখতার ১২. বিধান রঞ্জন রায় ১৩. আ.ফ.ম খালিদ হাসান ১৪. নুরজাহান বেগম ১৫. শারমিন মুরশিদ ১৬. ফারুক-ই-আযম।
জেএইচ