ইসলাম
বঙ্গবাজারে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বায়তুল মোকাররমে দোয়া
রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদে রমজানের ১৫তম দিনে জুমার নামাজ শেষে বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। নামাজ শেষে দোয়া পরিচালনা করেন খতিব মুফতি রুহুল আমীন। আল্লাহ তায়ালার কাছে সবাইকে ধৈর্য ধরার তৌফিক কামনা করা হয়।
এরআগে দুপুর সাড়ে ১২টার মধ্যেই রাজধানীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ মুসল্লিতে পূর্ণ হয়ে যায়। নামাজে জায়গা না পেয়ে মুসল্লিরা মসজিদের ওপরে-নিচে, উত্তর ও দক্ষিণ গেটের সিঁড়িতে, এমনকি মসজিদের বাইরে যে যেখানে পেরেছেন রোদ উপেক্ষা করে নামাজ আদায় করেছেন। দুপুর দেড়টায় জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
দোয়ায় আল্লাহর সাহায্য চেয়ে বলা হয়, বঙ্গবাজারে দেশের স্মরণকালের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। এই আগুনে হাজারো মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, অনেকে কোটি টাকা হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে।
দোয়ায় বায়তুল মোকাররম খতিব বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মুসলমানরা নির্যাতিত হচ্ছে। বিশেষ করে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি বাহিনী আগ্রাসন চালাচ্ছে। এই অবস্থায় ফিলিস্তিনি ‘মজলুম’ মুসলমানরা যেন ধৈর্য ধারণ করতে পারেন, সেজন্য দোয়া করা হয়, একইসঙ্গে ফিলিস্তিনিদের রক্ষায় আল্লাহর সাহায্য কামনা করা হয়।
মুফতি রুহুল আমীন দোয়ায় উল্লেখ করেন, বর্তমানে রজমানের মাগফিরাতের দশক চলছে। এই দশক উপলক্ষ্যে আল্লাহ কোটি কোটি বান্দাকে ক্ষমা করে দেবেন। সেই ক্ষমাপ্রাপ্তদের তালিকায় যেন মসজিদে উপস্থিত সকল মুসল্লিকে রাখা হয়, সেই আকুতি জানানো হয়। এসময় উপস্থিত মুসল্লিরা ‘আমিন’, ‘আল্লাহুম্মা আমিন’ বলেন।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, অন্যান্য দিনের তুলনায় বায়তুল মোকাররমে নারী ও শিশু মুসল্লিদের উপস্থিতিও উল্লেখযোগ্য ছিল।
ইসলাম
দেশে ফিরেছেন ৬৯ হাজার ৭৪২ হাজি, মৃত্যু বেড়ে ৬৫
চলতি বছরে হজ যাত্রীদের মৃত্যুর মিছিল যেন থামছেই না। আরও একজন বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬৫ জনে। যার মধ্যে পুরুষ ৫২ জন এবং নারী ১৩ জন।
সোমবার (১৫ জুলাই) হজ পোর্টালের সবশেষ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বুলেটিনে বলা হয়, হজ পালন শেষে এখন পর্যন্ত ৬৯ হাজার ৭৪২ জন হাজি দেশে ফিরেছেন। সৌদি থেকে ১৯৬টি ফ্লাইটে এসব হাজি দেশে ফিরেছেন। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ৮৭, সৌদি এয়ারলাইন্স ৬৯টি এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্স ২৮টি ফ্লাইট পরিচালনা করছে।
গেলো ২০ জুন থেকে দেশে আশা শুরু করেন হজ যাত্রীরা। ওইদিন বাংলাদেশ বিমানের প্রথম ফিরতি ফ্লাইট ৪১৭ জন হাজি নিয়ে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। আগামী ২২ জুলাই পর্যন্ত হাজিদের ফিরতি ফ্লাইট অব্যাহত থাকবে।
প্রসঙ্গ, বাংলাদেশ থেকে মোট ৮৫ হাজার ২২৫ জন (ব্যবস্থাপনা সদস্যসহ) হজযাত্রী সৌদি আরবে গেছেন। আগামী বছর (২০২৫) বাংলাদেশের জন্য এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনের কোটা দিয়েছে সৌদি আরব।
সৌদি আরবের আইন অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি হজ করতে গিয়ে যদি মারা যান, তাহলে তার মরদেহ সৌদি আরবে দাফন করা হয়। নিজ দেশে আনতে দেওয়া হয় না। এমনকি পরিবার-পরিজনের কোনো আপত্তিও গ্রহণ করা হয় না। মক্কায় হজযাত্রী মারা গেলে মসজিদুল হারামে জানাজা হয়।
জেডএস/এমএম/এএম
ইসলাম
আশুরা কবে জানা যাবে আজ
১৪৪৬ হিজরি সনের মহররম মাসের চাঁদ দেখা এবং আশুরার তারিখ নির্ধারণে আজ শনিবার (৬ জুলাই) সভায় বসছে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি।
আজ সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে এ সভা হবে। সভায় সভাপতিত্ব করবেন ধর্মবিষয়ক মন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।
আজ মহররম মাসের চাঁদ দেখা গেলে জিলহজ মাস ২৯ দিনের হবে এবং আগামীকাল রোববার মহররম মাস শুরু হবে। সে ক্ষেত্রে আগামী ১৬ জুলাই আশুরা হবে। আর আজ মহররমের চাঁদ দেখা না গেলে জিলহজ মাস ৩০ দিনে পূর্ণ হবে এবং আগামী সোমবার থেকে মহররম মাস শুরু হবে। এ ক্ষেত্রে ১৭ জুলাই আশুরা হবে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশের আকাশে কোথাও পবিত্র মুহাররম মাসের চাঁদ দেখা গেলে তা টেলিফোন নম্বর: ০২-২২৩৩৮১৭২৫, ০২-৪১০৫০৯১২, ০২-৪১০৫০৯১৬ ও ০২-৪১০৫০৯১৭ এবং ফ্যাক্স ০২-২২৩৩৮৩৩৯৭ ও ০২-৯৫৫৫৯৫১ নম্বরে অথবা সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসক অথবা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানানোর জন্য ইফার পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
জেএইচ
ইসলাম
আশুরা কবে জানা যাবে শনিবার
১৪৪৬ হিজরি সনের মহররম মাসের চাঁদ দেখা এবং আশুরার তারিখ নির্ধারণে শনিবার (৬ জুলাই) সভায় বসছে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি।
শনিবার সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে এ সভা হবে। সভায় সভাপতিত্ব করবেন ধর্মবিষয়ক মন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।
শুক্রবার (৫ জুলাই) ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশের আকাশে কোথাও পবিত্র মুহাররম মাসের চাঁদ দেখা গেলে তা টেলিফোন নম্বর: ০২-২২৩৩৮১৭২৫, ০২-৪১০৫০৯১২, ০২-৪১০৫০৯১৬ ও ০২-৪১০৫০৯১৭ এবং ফ্যাক্স ০২-২২৩৩৮৩৩৯৭ ও ০২-৯৫৫৫৯৫১ নম্বরে অথবা সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসক অথবা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানানোর জন্য ইফার পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
জেএইচ
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন