অপরাধ
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের সই জাল চক্রের সদস্য গ্রেপ্তার
পঞ্চগড়ে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিঞা এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের স্বাক্ষর জাল করে প্রতারণার অভিযোগে প্রতারক চক্রের সদস্য মোজাম্মেল হককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে জালাসি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। শুক্রবার (৭ এপ্রিল) মোজাম্মেল হক (৪৮) কে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতের মাধ্যমে রিমান্ড আবেদন করবে পুলিশ। পঞ্চগড় পুলিশ সুপার এস এম সিরাজুল হুদা সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানায়। এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল রাকিবুল হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কনক কুমার উপস্থিত ছিলেন।
অভিযুক্ত মোজাম্মেলের বাড়ি পঞ্চগড় সদর উপজেলার হাফিজাবাদ ইউনিয়নের পানিমাছপুকুরি এলাকায়। ওই এলাকায় সেলুনে নাপিতের কাজ করছিল মোজামেম্মল।
পুলিশ সুপার জানান, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধকে কে কেন্দ্র করে মোজাম্মেল হক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কার্যালয়ে বাড়িঘর হাঁস মুরগী ছাগল পোড়ানো বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগের জন্য বিচারপ্রার্থী হিসেবে আসামীদের বিরুদ্ধে শাস্তির জন্য আবেদন জানায়। ওই আবেদনগুলোর সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিঞা এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের স্বাক্ষর জাল করে পঞ্চগড় পুলিশ সুপার এবং জেলা প্রশাসককে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়। পরে দরখাস্তগুলোতে সিল সই দেখে সন্দেহ হলে পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয়ে খোঁজ নেয়। খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন মোজাম্মেল হকের দরখাস্তের জন্য কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। বরং মুখ্য সচিবের দপ্তর এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দপ্তর থেকে নিশ্চিত হয় সিলমোহর এবং সই জাল করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, এরই মধ্যে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মোজাম্মেল হক দরখাস্তগুলো তিনি নিজে আবেদন করেছেন বলে স্বীকার করেছেন। তবে পত্র গুলোতে মোজাম্মেল নিজে স্বাক্ষর করেননি। তবে তার পরিচিত একজন স্বাক্ষর করেছেন। আমি মনে করি এখানে একটি চক্র কাজ করেছেন। আমাদের ধারনা সরকারের মন্ত্রী এবং উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের সুপারিশকে প্রতারণামূলকভাবে জাল স্বাক্ষর ও সিলমোহরের ব্যবহার করে এরকম আরও ঘটনা করতে পারে এজন্য পুরো চক্রটিকে শনাক্ত করার চেষ্টা করছি। আশা করছি পুরো চক্রটিকে আমরা শনাক্ত করতে পারবো।
এদিকে মোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে গেলো বুধবার (৫ এপ্রিল) পঞ্চগড় সদর থানার উপ-পরিদর্শক মাসুদ রানা এবং উপ পরিদর্শক মো. রশিদুল আলম চৌধুরী বাদি হয়ে মো. মোজাম্মেল হক ও তার সহযোগী অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়ের করেন। সেই সাথে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের ধরতে পুলিশ কৌশলে অভিযান চালিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে জালাসি এলাকা থেকে মোজাম্মেল হককে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
অপরাধ
রাজধানীতে বস্তা ভর্তি টাকাসহ একটি গাড়ি আটক করলেন শিক্ষার্থীরা
রাজধানীর উত্তরায় একটি প্রাইভেটকার থেকে এক বস্তা টাকাসহ একটি শটগান উদ্ধার করেছেন শিক্ষার্থীরা। এই ঘটনায় তিনজনকে হেফাজতে নিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।
বুধবার (৭ আগস্ট) এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা গণমাধ্যমে জানান, রাজধানীর উত্তরার একটি বাসার গ্যারেজ থেকে গাড়িটি জব্দ করা হয়। এ সময় তিনজনকে হেফাজতে নেয় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। পরে গাড়ি থেকে এক বস্তা টাকা উদ্ধার করে হেফাজতে নেন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। এ সময় স্থানীয় জনতা ও শিক্ষার্থীরা উল্লাস করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান, আওয়ামী লীগ ঘরোয়ানার একটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের এমডির গাড়ি থেকে এ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। গাড়ি থেকে এক বস্তা টাকাসহ একটি শটগান উদ্ধার করে উত্তরা টাউন কলেজের শিক্ষার্থীসহ অনান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
এএম/
অপরাধ
কাশিমপুর কারাগার থেকে পালিয়েছে ২০৯ বন্দি, নিহত ৬
গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ২০৯ জন বন্দি পালিয়েছেন। পালিয়ে যাওয়ার সময় নিরাপত্তাকর্মীদের গুলিতে ছয়জন বন্দি নিহত হয়েছেন।
বুধবার (৭ আগস্ট) বিকেলে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান,গেলো মঙ্গলবার বিকেলে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের বন্দিরা কারাগার ভেঙে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কারারক্ষীরা তাদের নিভৃত করার চেষ্টা করলে বন্দিরা কারারক্ষীদের ওপর চড়াও হয়। বন্দিদের কেউ দেয়াল ভেঙে, কেউ দেয়াল টপকে, আবার কেউ দেয়ালের সঙ্গে বিদ্যুতের পাইপ লাগিয়ে কারারক্ষীদের মারধর করে পালিয়ে যেতে চান।
একপর্যায়ে সেনাবাহিনীকে খবর দিলে তারা কমান্ডো অভিযান চালিয়ে বিদ্রোহ দমন করেন।এসময়ে বন্দিদের মধ্যে ২০৯ জন দেয়াল টপকে পালিয়ে গেছে।বন্দিদের ঠেকাতে নিরাপত্তাকর্মীদের গুলিতে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, নিহতদের নাম পরিচয় পরে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন সিনিয়র জেল সুপার।
আই/এ
অপরাধ
কাশিমপুর কারাগারে তীব্র উত্তেজনা, সেনাবাহিনীর শক্ত অবস্থান
গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে বন্দিরা মুক্তির দাবিতে উত্তেজনা শুরু করেছেন। কারারক্ষীদের জিম্মি করে অনেকে দলবদ্ধভাবে বের হয়ে আসার চেষ্টা করছেন। খবর পেয়ে সেনা সদস্যরা এসে প্রাথমিকভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) দুপুরের দিকে এ পরিস্থিতি দেখা গেছে। এসময়ে ওই এলাকার আকাশে হেলিকপ্টার চক্কর দিতে দেখা যায়।
কারা কর্তৃপক্ষ জানান, কাশিমপুর কারা কমপ্লেক্সে পৃথক চারটি কারাগার রয়েছে। এর মধ্যে বিডিআর বিদ্রোহ মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি, ফাঁসি ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত দুর্ধর্ষ জঙ্গি বন্দিরা রয়েছে। এছাড়া রাজনৈতিক মামলায় গ্রেপ্তার অনেক নেতাকর্মীও ওই কারাগারে রয়েছে।
জানা যায়, বেলা ১১টার দিকে কিছু বন্দি কারাগারের অভ্যন্তরে থাকা কারারক্ষীদের জিম্মি করে মুক্তির দাবিতে বিদ্রোহ শুরু করে। এসময়ে কারারক্ষীরা তাদের শান্ত করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। আগে থেকেই সেখানে অল্প সংখ্যক সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাদের নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেন। উত্তেজনা আরও বেড়ে গেলে দুপুর দেড়টার দিকে অতিরিক্ত সেনা সদস্য হেলিকপ্টার যোগে কারা অভ্যন্তরে এসে বন্দিদের নিয়ন্ত্রণ করেন।
প্রসঙ্গত, কারা অভ্যন্তরে বিদ্রোহের খবর পেয়ে বন্দিদের স্বজনরা সকাল থেকেই কারাগারের সামনে অবস্থান করেন। এ সময় তাদের সঙ্গে আন্দোলনকারীরা যোগ দিয়ে বিক্ষোভ করে। কারাগারের বাইরে একটি ঝুট গুদামে অগ্নিসংযোগ করা হয়। পরে সেনা সদস্যরা বাইরের বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া করে ছত্রভঙ্গ করে দেন।
আই/এ
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন